কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা-প্রতিদিন কতটুকু ছোলা খাওয়া প্রয়োজন


সম্মানিত পাঠোক সকালটা শুরু হয় যেন ভেজানো ছোলা খাওয়ার মাধ্যমে। কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা এবং প্রতিদিন কতটুকু ছোলা খাওয়া প্রয়োজন এই সম্পর্কে আজকে আমরা এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের জানাবো। এর মধ্যে ভিটামিন প্রোটিন ও ফাইবার এই তিনটি উপাদানই বিদ্যমান থাকে
কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা
ছোলা ভিজিয়ে খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উচ্চ রক্তচাপ কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এতে ফ্যাট অনেক কম মাত্রায় থাকে যা আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ সম্পর্কে জানতে নীচে আরো পড়ুন।

ভূমিকা

ছোলা সঠিকভাবে খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাওয়া। এজন্য আগের রাতে ঘুমানোর আগে একটি বাটিতে ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম ছোলা পরিষ্কার করে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এটি খেতে হবে তাহলে আমাদের শরীর অনেক শক্তিশালী হয়ে থাকবে। ছোলা খাওয়ার সময় এতে হালকা একটু গুড়, চিনি, বা একটু বিট লবণ মিশিয়ে ভালোভাবে খাওয়া যায়।

কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা

ছোলা অনেক পুষ্টি গুণাগুণ সমৃদ্ধ ও উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবার। ছোলাতে বিদ্যমান রয়েছে ভিটামিন বি। যা আমাদের শরীরে মস্তিষ্কের রোগ বেরিবেরি রোগ হৃদপিন্ডের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এতে ভিটামিন সি উপাদানও আছে ১০০ গ্রাম কাঁচা ছোলায় বিদ্যমান থাকে ১২০ মাইক্রগ্রাম 

ভিটামিন এ, ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১৮ গ্রাম আমিষ, প্রায় ৫ গ্রাম ফ্যাট, ৬৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট উপাদান।
  • ছোলাতে ভিটামিন বি অনেক বেশি মাত্রায় থাকায়। এটি খেলে আমাদের শরীরের স্নায়বিক দুর্বলতা ও মেরুদন্ডে ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।
  • ছোলা ভিজিয়ে রেখে আঁদার সাথে খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের এন্টিবায়োটিক ও আমিষের চাহিদা পূরণ হবে। যার দরুন এন্টিবায়োটিক আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও আমি আমাদের দেহকে আরো শক্তিশালী করে।
  • এতে বিদ্যমান রয়েছে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় দুই ধরনের খাদ্য আঁশ। যা আমাদের শরীরে হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে।
  • প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ভেজানো ছোলা খাওয়ার ফলে আমাদের দেহের রক্তের শর্করার মাত্রা কমে। যার ফলে আমাদের দেহের টাইপ টু ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভনা কমে যায়।
  • নিয়মিত কাঁচা ছোলা খেলে এর মধ্যে থাকা ম্যাঙ্গানিজ উপাদানের কারণে আমাদের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ফাইন লাইন্স, বলি্রেখা ও বার্ধক্যের ছাপ কমাতে সহায়তা করে।
  • আমাদের দেহের মধ্যে হজম ক্রিয়া সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য। অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান হচ্ছে ভোজ্য আঁশ। যা এই ছোলার মধ্যে অনেক বেশি বিদ্যমান আছে। ভোজ্য আঁশের অভাব সারা পৃথিবী জুড়েই প্রধান একটি সমস্যা।
  • এতে বিদ্যমান রয়েছে ফলিক এসিড যা আমাদের শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
  • এতে বিদ্যমান আছে অনেক বেশি মাত্রায় ক্যালোরি যা আমাদের শরীরে অনেক বেশি সময় ধরে শক্তির সঞ্চয় করে।
  • এটির কারণে আমাদের শরীরে হাত পায়ের জ্বালাপোড়া এবং মাথা গরম হয়ে যাওয়া রোগ প্রতিরোধ হয়।
  • কাঁচা ছোলা খেলে আমাদের শরীরের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়।
  • এতে রয়েছে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সেজন্য এটি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের অস্থিরতা ভাব দূর করতে সাহায্য করে।

প্রতিদিন কতটুকু ছোলা খাওয়া প্রয়োজন

ছোলা আমাদের দেহের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান প্রতিদিন ১০০ গ্রাম ছোলা খেলে আমাদের শরীরে মিলবে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কোবালামিন, সোডিয়াম, ভিটামিন বি ৬ ফ্যাট ৯ গ্রাম, প্রোটিন ১৯ গ্রাম, আঁশ ১৭ গ্রাম, ক্যালোরি ৩৬৪ গ্রাম, এবং শর্করা ৬১ গ্রাম। প্রতিদিন ছোলা খাওয়া প্রয়োজন কতটুকু। 

আমাদের প্রতিদিন ২৫ - ৩০ গ্রাম ছোলা খাওয়া প্রয়োজন। তবে এর থেকে বেশি খেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ২৫ - ৩০ গ্রাম ছোলা খাওয়া প্রয়োজন। এটি নিয়মিতভাবে খেলে আমাদের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে ও শরীরে ক্যালরির চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। এটি অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ ভিটামিন উপাদান 

যা খেলে আমাদের চুল ও ত্বকের উপকার হয়। এতে এক ধরনের রাসায়নিক স্যাপনিন রয়েছে। যা মানব দেহের বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার ও টিউমারের বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে। ছোলা খাওয়ার ফলে আমাদের অতিরিক্ত ক্ষুধা ও ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কারণ এতে রয়েছে উচ্চ প্রোটিন ও ফাইবার যা আমাদের 

রমজান মাসে সারাদিন রোজা রাখার পর আমাদের দেহ অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়ে সে সময় ইফতারের পরে সিদ্ধ ছোলা খেলে আমাদের শরীর অনেক শক্তি সঞ্চয় করতে পারে। কারণ এতে রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে পটাশিয়াম। ছোলায় বিদ্যমান থাকা ফ্যাট ও 

তেলের বেশির ভাগই পলি আন- স্যাচুরেটেড ফ্যাট যা আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর নয়। ফ্যাট, প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট ছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে খনিজ এবং বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন। এজন্য প্রতিদিন ২০ - ৩০ গ্রাম ছোলা খাওয়া একজন সুস্থ মানুষের জন্য প্রয়োজন।

সিদ্ধ ছোলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

ছোলা সিদ্ধ হোক বা কাঁচা যে অবস্থায় খাই না কেন এর পুষ্টি উপাদান কিন্তু সমান আমাদের শরীরের জন্য।। সিদ্ধ ছোলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন।
  • সিদ্ধ ছোলা খাওয়ার ফলে আমাদের ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ হয় এবং অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। এর মধ্যে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান অনেক বেশি পরিমাণে থাকলেও ক্যালোরি শক্তির পরিমাণ অনেকাংশই কম থাকে। সেজন্য আমাদের দেহে ক্যালরির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকলে আমাদের ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
  • সেদ্ধ ছোলা ডায়েট কন্ট্রোলের জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ডায়েটে এটি খেলে আমাদের ওজন কমানোর জন্য অতিরিক্ত কষ্টকর কোন পন্থা অবলম্বন করা প্রয়োজন নেই।
  • ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের সেদ্ধ ছোলা বেশ কার্যকরী। কেননা ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের খাবারে অনেক নিয়মকানুন মেনে খেতে হয়। এর মধ্যে থাকা ফাইবার ও প্রোটিনের কারণে আমাদের দেহের শর্করার শোষণ ধীর গতির হয়ে যায়। এই সময় ব্লাড প্রেসার দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। আর রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকলে ডায়াবেটিস ও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সেজন্য ইনসুলিন নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
  • এ বিষয়ে সেদ্ধ ছোলার চাইতে কাঁচা ছোলা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। কাঁচা ছোলা রাতে ঘুমানোর আগে ভিজিয়ে রেখে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে খালি পেটে এটি খেলে পুরুষদের দেহের শক্তি বৃদ্ধি পাবে। তবে পেঁয়াজ দিয়ে খেলে আরো ভালো কাজে দেবে ।
  • প্রতিদিন সকালে ছোলা আঁদা ও লবণ পানি দিয়ে সিদ্ধ করে খেলে। এর মধ্যে থাকা শর্করার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম পরিমাণে থাকায় আমাদের শরীরের শারীরিক অস্থিরতা কমিয়ে সারাদিনের শক্তির যোগান দেয়।
  • এর মধ্যে থাকে সালফার উপাদানের কারণে আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। দ্রুত বমি হওয়ার সমস্যা হাত-পা জ্বালাপোড়া এবং মাথা গরম হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা দূর হয়ে যায় সেদ্ধ ছোলা খেলে। এবং ভিটামিন বি উপাদানের কারণে আমাদের দেহের স্নায়বিক দুর্বলতা এবং মেরুদন্ডের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

ছোলা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা জেনে নিন

ছোলা বুট আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি পূরণ করে। ছোলা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা জেনে নিন। ছোলায় বিদ্যমান রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন এ, বি, সি ও খনিজ। এছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ প্রোটিন যা আমাদের শরীরে আমিষের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। 

ছোলা তরকারি রান্না বা সেদ্ধ অথবা কাঁচা অবস্থায় খেলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকারী উপাদান পাওয়া যায়। ছোলা খোসা ছাড়িয়ে আঁদা ও লবণ পানির সঙ্গে ভিজিয়ে খেলে আমাদের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক ও আমিষের উপাদান গঠিত হয়। ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য ছোলা বেশ উপকারী। ১০০ গ্রাম ছোলায় বিদ্যমান থাকে 

প্রোটিন ও আমিষ ১৭ গ্রাম, ফ্যাট ও তেল ৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২০০ মিলিগ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৬৪ গ্রাম, ১৯০ মাইক্রগ্রাম ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ১ ও ভিটামিন বি ২ ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস উপাদান। ছোলা রাতে ঘুমানোর আগে ভিজিয়ে রেখে লবণ ও আঁদা মিশিয়ে সেদ্ধ করে খেলে পুরুষদের শরীরে শুক্রানুর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। 

বর্তমান সময়ে বহু মানুষ অতিরিক্ত সুগার বা ডায়াবেটিস নিয়ে বেশি চিন্তিত। ছোলা বুট নিয়মিত ভিজিয়ে খেলে এর মধ্যে থাকা কার্বোহাইড্রেট ফাইবার ও প্রোটিন আমাদের শরীরের রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে যার ফলে টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

কাঁচা ছোলা খেলে কি মোটা হওয়া যায় বিস্তারিত জানুন

বুট বা ছোলা অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। কাঁচা ছোলা খেলে কি মোটা হওয়া যায় বিস্তারিত জানুন। বর্তমান বাজারের যে মূল্যস্ফীতি তাতে সাধারণ মানুষের মাংস তো দূরের কথা মাছ কিনে খাওয়ায় দুর্দায়। 

সেজন্য আমাদের মত দারিদ্র তালিকার দেশগুলোকে আমিষের চাহিদার মেটানোর জন্য মাংস ও মাছের পরিবর্তে ছোলাকে রাখা যায়। আমরা মোটা হওয়ার জন্য ছোলা খেতে পারি। ১০০ গ্রাম ছোলাতে বিদ্যমান রয়েছে শর্করা ৬৪ গ্রাম, আমিষ ও প্রোটিন ১৭ গ্রাম, ফ্যাট ৫ গ্রাম, ছোলার মধ্যে থাকা কার্বোহাইড্রেট বা শর্করার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক কম পরিমাণে থাকে। 

যা আমাদের দেহের জন্য ভীষণ উপকারী। এজন্য নিয়মিত খাদ্য তালিকায় ছোলা বুট খেতে হবে। কাঁচা ছোলা খেলে আমাদের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক ও আমিষের মত গুরুত্বপূর্ণ  উপাদান পাওয়া যাবে। এন্টিবায়োটিক আমাদের শরীরে 

যেকোনো ধরনের রোগের সংক্রমণকে ধ্বংস করে দেয় এবং আমিষ আমাদের দেহকে আরও স্বাস্থ্যবান ও শক্তিশালী করে তোলে। এবং পুরুষদের শরীরে চাহিদা শক্তি বৃদ্ধি করে। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন প্রোটিন ও ফাইবার যাতে ফ্যাটের পরিমাণ অনেক কম। এজন্য এটি খেলে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ওজন কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

সকালে খালি পেটে ছোলা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত একটি খাদ্যদ্রব্য বিশেষ করে রমজান মাসে ইফতারের পরে ছোলার সঙ্গে মানুষ একটু বেশি পরিচিত। সে সময় ছোলা এবং আরো অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য দিয়ে সুস্বাদু ভাবে মুড়ি মাখানো খেতে কার না ভালো লাগে। এবং সারাদিনের ক্লান্তিময় শরীরকে এনার্জেটিক করে তুলতে ছোলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

সকালে খালি পেটে ছোলা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা হল ছোলা অনেক ভাবে খাওয়া যায় এর উপকারিতা ও আমাদের শরীরে বিভিন্নভাবে হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সবার উপরে থাকবে ভিজিয়ে ছোলা খাওয়ার নিয়ম। ছোলায় বিদ্যমান রয়েছে ক্যালসিয়াম আয়রন ও প্রোটিন যা প্রাকৃতিক পুষ্টির পাওয়ার হাউস। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে অল্প কিছু ছোলা 

একটি পাত্রে ভিজিয়ে রেখে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে একমুঠো নরম ছোলা খেলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যকর উপাদান পাওয়া যায়। একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন অতিরিক্ত পরিমাণে কোন জিনিস খাওয়া ঠিক না ঠিক তেমনি ছোলার ক্ষেত্রেও অনেক বেশি পরিমাণে খেলে ডায়রিয়া সহ পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
  • এতে রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে খনিজ উপাদান। যা আমাদের চুলের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য কাজ করে।  এবং প্রতিদিন ভেজানো ছোলা খাওয়ার ফলে অল্প বয়সে চুল পাকার সম্ভাবনা কমে যায়।
  • ছোলা ভিজিয়ে খেলে এর মধ্যে থাকা ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট ও এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান আমাদের শরীরের রক্তনালীকে সুস্থ রাখে এবং রক্ত জমাট বাধা রোগ প্রতিরোধ করে।
  • ছোলাতে থাকা ফাইবার যা দ্রবণীয় আমাদের পিত্তরস কে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে এবং কোলেস্টরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।
  • ছোলাতে অনেক বেশি পরিমাণে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার যা আমাদের কে অনেক বেশি সময় ধরে শক্তিশালী করে রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস বা রাস্তার ধারে ফাস্টফুড খাবার অভ্যাস কে প্রতিহত করে।
  • প্রতিদিন সকালে অল্প কিছু পরিমাণ ভেজানো ছোলা খেলে আমাদের শরীর অনেক শক্তিশালী হয়ে থাকবে এর ফলে আমাদের দৈনন্দিন কাজগুলো খুব দ্রুত করা সম্ভব হবে। 
  • এতে বিদ্যমান থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইট্রো নিউট্রিয়েন্ট উপাদান মানবদেহের বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার যেমন কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
  • কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে খেলে এতে অনেক বেশি পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। যা মানব দেহের পরিপাকতন্ত্রের গঠনে কাজ করে । এবং আমাদের দেহের ক্ষতিকারক টক্সিন গুলো বের করে দিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন ভেজানো ছোলা খাওয়ার ফলে বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের সম্ভাবনা দূর হয়ে যায়।
  • ছোলাতে বিদ্যমান রয়েছে আয়রন যা আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যেসব ব্যক্তিরা অ্যানিমিয়া রোগে ভুগছেন সেসব ব্যক্তিদের জন্য ছোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি গর্ভবতী নারীরা ও সদ্যসন্তান প্রসবকারি নারীরা ছোলা খেতে পারবেন।

লেখকের মন্তব্য

ছোলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আপনারা সকলেই অবগত এজন্য নতুন করে আর কিছু বলার নেই। অধিক প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার হচ্ছে ছোলা। এজন্য ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে হোক বা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এটি নিয়ম মেনে খেতে হবে। নইলে বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে কোন কিছু খাওয়া ঠিক না।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url