গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে-মুড়ি খেলে কি হয় জানুন
আসসালামু আলাইকুম এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের জানাবো যে গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে ও মুড়ি খেলে কি হয় জানুন। গর্ভাবস্থায় অনেক বেশি পরিমাণে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকলে জ্ঞান হারানোর মতো গুরুতর সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত মাত্রায় ঘুম আপনার গর্ভের সন্তানের জন্য হুমকি স্বরূপ।
প্রেগনেন্সির সময় আপনাদের শরীর অনেক ভারী হয়ে যায়। এই সময় শারীরিক অস্বস্তি সহ বিভিন্ন ধরনের হরমন জনিত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। গর্ভবতী মায়েদের ইনসোমনিয়া বেড়ে গেলে অতিরিক্ত ঘুমের প্রবণতা তৈরি হয় ।
ভূমিকা
গর্ভকালীন সময়ে আপনাদের পাকস্থলীতে অতিরিক্ত চাপ অনুভব হয় এজন্য বদহজম ও এসিড রিফ্লেক্স হতে পারে। এজন্য ঘুমাতে গেলে মনে হয় খাবারগুলো ভেতর থেকে উঠে আসবে। এ সময় অতিরিক্ত মানসিক চাপ একদমই নিবেন না টেনশন খুব কম করবেন এবং নিয়মিত ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন এ সম্পর্কে জানতে আরও পড়ুন।
গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে
এই সময় অনেক বেশি পরিমাণ শুয়ে থাকলে । আপনার এবং আপনার পেটের বাচ্চার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। প্রেগনেন্সির সময় আপনাদের সঠিক খাবার ও পরিমিত ঘুমের প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না পাড়লে আপনার শরীর খারাপ করবে এবং আপনার বাচ্চার স্বাস্থ্য বিকাশে বাধা সৃষ্টি হবে। এই সময় ঠিকমতো ঘুম হয় না।
আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়
অনেক সময় রাত জেগে বসে থাকেন। তবে এই সময় নিয়ম করে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন খুব বেশি পরিমাণে ঘুমালে আপনার পেটের মধ্যেকার সন্তানের অনেক ক্ষতি হতে পারে। এই অবস্থায় আপনাদের নিয়মিত দিনে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। কিন্তু এর বেশি ঘুমালে আপনার গর্বের সন্তানের
বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। এই সময় হরমোন জনিত কারণে আপনাদের ইনসোমনিয়া সৃষ্টি হতে পারে এবং প্রজেস্টেরন বেড়ে যাওয়ায় শরীরে ক্লান্তি ভাব বৃদ্ধি পাবে। সেজন্য ঘুমের পরিমাণ বেড়ে যায়।
- গর্ভকালীন সময়ে অনেক বেশি ঘুমালে আপনাদের শরীরে পাকস্থলীর উপর চাপ বৃদ্ধি করে। মনে হয় যেন গলা দিয়ে সব খাবার বের হয়ে যাবে এর পাশাপাশি এসিড রিফ্লেক্স ও বদ হজম হতে পারে।
- এ সময় অনেক বেশি ঘুমালে হঠাৎ ঘুম থেকে উঠতে গেলে আপনি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন যার ফলে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
- এ সময় হাত-পা অবশ হয়ে আসে চোখের সামনে সব জাপসা হয়ে যায় আপনার অনেক বেশি শ্বাস-প্রশ্বাস ভারী হয়ে যাবে।
- প্রেগনেন্সির সময় আপনার শরীরের ওজন অনেক বেশি হয়ে যায়। সেজন্য চিৎ হয়ে অনেক বেশি সময় ঘুমালে আপনি হঠাৎ করে উঠতে গেলে মাতা হালকা হয়ে যাবে শরীরের শক্তি হারিয়ে ফেলবেন নিজের প্রতি কন্ট্রোল ক্ষমতা হারিয়ে যাবে।
- যখন বুঝতে পারবেন আপনার মাথা অনেক ঘুরছে মনে হচ্ছে আপনি পড়ে যাবেন সে সময় হাতের কাছে যা পাবেন তাই ধরে দাঁড়িয়ে যাবেন নয়তো ধীরে ধীরে বসে পড়বেন।
- আপনি যখন ঘরে একা অনেক বেশি পরিমাণে ঘুমাবেন তখন সেই ঘরের দরজা জানালা গুলো একটু খোলা রাখবেন যাতে বাইরের হাওয়া বাতাস ঘরে প্রবেশ করতে পারে এবং আপনার কোন সমস্যা হলে পরিবারের অন্য সদস্যরা যেন আপনার কাছে খুব দ্রুত আসতে পারে ।
- অকল্যান্ডের একদল গবেষক বেশ কিছু প্রেগনেন্সি মহিলাকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান এই পরীক্ষা শেষে তারা বলেন যে প্রেগনেন্সির সময় মহিলারা চিত হয়ে শুয়ে থাকলে অনেক বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে এমন কি গর্বের সন্তানের মৃত্যু হতে পারে।
- বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার গণ পরীক্ষা করে জানিয়েছেন যে এই সময় চিত হয়ে শুয়ে থাকলে মায়ের গর্ভের ভেতরের সন্তানের মায়ের রক্তনালী থেকে ঠিকমতো রক্ত সঞ্চালন হয় না এর ফলে বাচ্চার সঠিকভাবে অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে না।
- অকল্যান্ডের বিশেষজ্ঞ টিম আরো বলেন যে এই সময় গর্ভবতী মায়েরা বাম পাশে কাত হয়ে শুলে গর্বের সন্তান অক্সিজেন বেশি পায়।
মুড়ি খেলে কি হয় জানুন
মুড়ি সবার কাছে একটি পছন্দের খাবার। মুড়িতে রয়েছে এসিডি রোধ করার ক্ষমতা। গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয় জানুন। আমাদের শরীর এর জন্য মুড়ি খুবই উপকারী উপাদান। প্রেগনেন্সির সময় মুড়ি খাওয়া খুবই ভালো। গর্ভকালীন সময়ে আপনার শরীরে
আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় জাফরান দুধের গোপন উপকারিতা
বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই পরিবর্তনের কারণে আপনার শরীরে অনেক পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হতে পারে যার জন্য সৃষ্টি হয় নতুন রোগের সম্ভাবনা। মুড়ি এই সময় অনেক কার্যকরী এর উপকারিতা সম্পর্কে আপনার না জানা থাকলে নিচে এর উপকারিতা সম্পর্কে পড়তে থাকুন ।প্রেগনেন্সির সময় শরীরে ক্যালসিয়াম আয়রণ ও প্রোটিনের ঘাটতি তৈরি হয়।
এই সময় এই খনিজ উপাদান গুলোর চাহিদা অনেক বেশি বেড়ে যায়। এজন্য গর্ভকালীন সময়ে বেশি বেশি মুড়ি খাবেন এর মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম আয়রন ও প্রোটিন সব ধরনের খনিজ উপাদানের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে। এ সময় মুড়ি আপনার শরীরের জন্য ভীষণ কার্যকরী। মুড়িতে এসিডের পরিমাণ অনেক কম এজন্য প্রেগনেন্সির সময় এটি খেলে
এসিডিটি ও বদহজম হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। মুড়িতে অনেক কম পরিমাণে ক্যালোরি রয়েছে। এজন্য এই সময় মুড়ি খেলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মুড়িতে বিদ্যমান রয়েছে আয়রন আর সেজন্য এটি আপনার শরীরে হজমের সাহায্য করে ও ডাইজেস্টিক সিস্টেম ভালো রাখে।
মুড়ি আপনার শরীরে চিনি ও শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এজন্য আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে না। বুড়ির মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যেমন পটাশিয়াম কার্বোহাইড্রেট ক্যালোরি নিয়াসিন ম্যাগনেসিয়াম থায়ামিন এতসব উপাদান থাকার কারণে নিয়মিত মুড়ি খেলে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
প্রেগনেন্সির সময় ভিটামিন ও মিনারেল এর ঘাটতি পূরণেও বিশেষ ভূমিকা রাখে মুড়ি। এই অবস্থায় আপনাদের শরীরের অনেক বড় একটি সমস্যা হাড়ের ক্ষয় সৃষ্টি হওয়া। এই সময় মুড়ি খেলে এর মধ্যে থাকা আয়রন ও ক্যালসিয়াম এর কারনে
আপনার ও আপনার গর্ভের সন্তানের হাড়ের ক্ষয় রোধ করে ও হাড়ের গঠন সঠিকভাবে করতে সহায়তা করে। মুড়ি একটি শুকনো খাবার তবু এটি খেলে আপনার শরীরে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হবে। এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে যার কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগের সংক্রমণে হাত থেকে রক্ষা পাবেন ।
গর্ভাবস্থায় কি সবজি খাওয়া যাবেনা জেনে নিন
আমরা সবসময় চেষ্টা করি পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার জন্য। ঠিক তেমনি এই সময় আমাদের অনেক বেশি পুষ্টিকর খাবার খেতে হয় শরীরের ঘাটতি মেটানোর জন্য। প্রেগনেন্সির সময় আমরা অনেক নিয়ান্ত্রিক জীবন যাপন করে থাকি । সেটা নিজের লাইফস্টাইলে হোক
কিংবা নিয়মিত খাদ্য তালিকায় হোক। প্রেগনেন্সির সময় শেষের কিছুদিন আপনার অনেক কষ্ট করে থাকেন। অনেক কিছু বাছ বিচার করে খেতে হয়। অনিয়ম মেনে চলাফেরা করতে হয়। এবং নিয়ম করে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হয়। গর্ভাবস্থায় কি সবজি খাওয়া যাবেনা জেনে নিন।
- প্রেগনেন্সির সময় পরিষ্কার পানিতে না ধোওয়া ফল ও শাকসবজি কখনোই খাবেন না। কারণ এই অবস্থায় এসব সবজির গায়ে অনেক ক্ষতিকর কীটনাশক ও বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া জীবাণু থাকতে পারে। যা টক্সপ্লাজমা গণ্ডি ও লিস্তোরিয়ার মত মারাত্মক ব্যাকটেরিয়া প্যাথোজেনদের থাকার স্থান।
- এই সময় সব ধরনের কাঁচা শাকসবজি খাওয়া ক্ষতিকারক যেগুলো আপনার এবং আপনার গর্বের সন্তানের অনেক ক্ষতি করতে পারে।
- সজিনা তে থাকে আলফা সিটেস্টেরল উপাদান। যা প্রেগনেন্সি সময় খেলে আপনার গর্ভপাত হতে পারে। এজন্য অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সবজি হলেও এই সময় সজিনা খাওয়া থেকে বিরত থাকবো।
- এসময় কোন অবস্থায় আদা সিদ্ধ কোন ডিম ডিমের পোচ ডিমের মামলেট ও ডিমের কে খাব না। আদা সিদ্ধ ডিম খেলে সালমোনিলা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যার কারণে আপনার শরীরে বমি বমি ভাব ও ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। সেজন্য ডিম খুব ভালো করে রান্নায় সিদ্ধ করে খেতে হবে।
- এ সময় পেঁপে খাওয়ার ফলে গর্ভের সন্তানের গুরুতর ক্ষতি হতে পারে।
- সকলের পছন্দের একটি ফল আনারস কিন্তু গর্ভকালীন সময়ে এই ফল খেলে এর মধ্যে থাকা ব্রোমালিন নামক উপাদান। আপনার গর্বের সন্তানে ক্ষতির সৃষ্টি করতে পারে।
- সৌন্দর্য চর্চায় ও পেট পরিষ্কার রাখার জন্য এলোভেরা জুস নিয়মিত খেয়ে থাকি আমরা। এই অবস্থায় এলোভেরা জুস একদমই খাওয়া ঠিক না। এটি খেলে গর্ভপাতের মত বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হয়।
- করলাতে বিদ্যমান থাকা বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর উপাদান যেমন গ্লাইকোলাইসিস, মারো ডিসিন, সেফনিক থাকে। এজন্য গর্ভকালীন সময়ে করলা খেলে গর্বের সন্তানের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়
গর্ভাবস্থায় যে ১০টি ফল খাওয়া যাবে না
শুধু পরিবারের লোকজন করলেই হবে না আপনার নিজেরও আপনার গর্ভের সন্তানের জন্য অনেক বেশি যত্নবান হতে হয় খাবারের মাধ্যমে এবং নিজের লাইফ স্টাইলের মাধ্যমে। এই সময় অনেক বেশি প্রয়োজন পুষ্টিকর ফলমূল খাওয়া।
এই সময় প্রত্যেকটি মায়েরাই একটু বেশি যত্নবান হয়ে ওঠে তাদের গর্ভের সন্তানের জন্য। গর্ভাবস্থায় যে ১০টি ফল খাওয়া যাবে না সে সম্পর্কে জেনে নিন। এমন কিছু কিছু ফল আছে যা এই সময় খেলে গর্ভপাতের মত ভয়ানক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
- প্রেগনেন্সির সময় তেঁতুল অথবা অতিরিক্ত টক জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। তবে এই সময়ই বেশি বেশি টক খেতে ইচ্ছা করে। কিন্তু এই সময় তেঁতুল অথবা টক জাতীয় খাবার বেশি খেলে এর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি উপাদানের কারণে আপনার শরীরে প্রোজেস্টেরনের উৎপাদন কমে যাবে যার ফলে গর্ভপাত হতে পারে। এজন্য প্রেগনেন্সির সময় এ জাতীয় খাবার একদমই খাবেন না।
- আঙ্গুর গর্ভকালীন সময়ে না খাওয়াই ভালো। এজন্য এই সময় আঙ্গুর খাবেন না। কালো আঙ্গুরের চামড়া অনেক শক্ত হয় যার জন্য এটি হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
- পেঁপেতে অনেক বেশি পরিমাণে বিদ্যমান রয়েছে ভিটামিন পুষ্টি ও সালফার। কিন্তু প্রেগনেন্সির মহিলাদের জন্য এ ফলটি একদমই উপকৃত না। ল্যাটএক্স সমৃদ্ধ উপাদান। যা খেলে আপনাদের শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে রক্তপাত ও জরায়ুর সংকোচন সৃষ্টি হয়ে গর্ভপাতের মত গুরুতর সমস্যা হতে পারে। এজন্য গর্ভকালীন সময়ে কোনভাবেই পেঁপে খাবেন না।
- তরমুজ আমাদের শরীর থেকে অনেক ক্ষতিকারক পদার্থ বের করে দিয়ে আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে কিন্তু এই সময় এই ফল খেলে আপনার শরীরে সকল প্রকার টক্সিন ধ্বংস করার পাশাপাশি আপনার ভ্রূণের ও ক্ষতি করতে পারে।
- এই সময় টমেটো জাতীয় ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ এগুলোতে অনেক প্রিজারভেটিভ ও ক্ষতিকারক পদার্থ ব্যবহার করা হয় ফলকে অনেকদিন ধরে সতেজ রাখার জন্য এজন্য এ ধরনের খাবার খেলে আপনার এবং আপনার সন্তানের ক্ষতি হতে পারে।
- কলাতে রয়েছে চিটিনেস লাটএক্স জাতীয় উপাদান এটি আপনাদের শরীরে তাপ বৃদ্ধি করে যার ফলে এলার্জিজনিত সমস্যা বৃদ্ধি পাবে। এবং এতে রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে চিনি যা খেলে আপনার শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে যেতে পারে।
- খেজুর একদমই খাওয়া উচিত নয় কারণ খেজুর শরীরে তাপ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে । এটি অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে আপনার শরীরে অনেক চাপ সৃষ্টি হবে এবং গর্ভপাতের মতো গুরুতর সমস্যা হতে পারে।
- প্রেগন্যান্সির সময় হিমাইত ঘরে রাখা বেশি দিন ধরে ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা বেরি জাতীয় ফল ফল খাওয়া ঠিক না কারণ এসব ফল অনেকদিন ধরে হিমায়িত থাকার জন্য অনেক ক্ষতিকারক ফরমালিন ব্যবহৃত হয়। যা খেলে আপনার শরীরে বিভিন্ন রোগের ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে। এজন্য এই সময় এই ফলগুলি খাবেন না
গর্ভাবস্থায় কি মাছ খাওয়া যাবেনা সে সম্পর্কে জানুন
প্রেগনেন্সির সময় মাছ মাংস দুর ডিম আপনাদের শরীরে আমিষ ও প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করে। এই সময় নিয়ম মেনে সব খাবার খাওয়া প্রয়োজন। কোন খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ঠিক না। গর্ভাবস্থায় কি মাছ খাওয়া যাবেনা সে সম্পর্কে জানুন। মাছে অনেক বেশি পরিমাণে পারদ থাকে। প্রায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা স্বল্প পরিসরে
এটি খাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। কারণ এর মধ্যে থাকা প্লাসেন্টার উপাদান ভ্রূণে প্রবেশ করে। যা শিশুর বুদ্ধির বিকাশে সহায়তা করে। প্রেগনেন্সির সময় উচ্চ পারদ যুক্ত মাছ একদমই খাওয়া ঠিক না সামুদ্রিক মাছে অনেক বেশি পারদ থাকে এজন্য এই সময় সামুদ্রিক মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
- রান্নায় আধা সিদ্ধ মাছ একদমই খাওয়া ঠিক না এতে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করতে পারে আপনাদের শরীরে।
- যে সব পুকুর বা নালায় মাছকে দ্রুত বৃদ্ধি করানোর জন্য অনেক ক্ষতিকারক খাদ্যদ্রব্য ও কেমিক্যাল ব্যবহারিত হয় সেই স্থানের মাস একদমই খাবেন না এতে আপনার বাচ্চার অনেক ক্ষতি হতে পারে।
- অনেকদিন ধরে ফ্রিজে রাখা মাছ এবং উচ্চ পারদ যুক্ত মাছ খাওয়া ঠিক না। নিম্ন পারদ যুক্ত মাছ সঠিকভাবে অনেক সময় ধরে রান্না করে নিয়ে খেতে হবে।
- এই সময় সামুদ্রিক তেলাপিয়া মাছ ও টুনা মাছ একদমই খাবেন না এই মাছগুলোতে অনেক বেশি পরিমাণে পারদ রয়েছে যা আপনার শিশুর ব্রেইনের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি হয় সঠিক তর্থ্য জানুন
আমাদের শরীরে পুষ্টিকর খাদ্যের পাশাপাশি পানির গুরুত্ব অনেক। আমাদের দেহের ৬০ ভাগই পানি। এজন্য বিশেষজ্ঞদের মতে পানির অপর নাম জীবন। গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি হয় সঠিক তর্থ্য জানুন।
প্রেগনেন্সির সময় আপনারা খুব বেশি পানি খেতে চান না কিন্তু এই সময়ে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে। এজন্য পানি সঠিকভাবে খেতে হবে। পানির মতো ফলের রস জুস ও সুপ খেলে আপনাদের শরীরে পানির চাহিদা পূরণ হয়। গর্ভবস্থায় পানি শূন্যতা রোগ হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় যেমন
- একটি মায়ের গর্ভে যমজ দুটি সন্তান থাকলে পানি শূন্যতার কারণে একটি ভ্রূণের ফ্লুইড নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এবং অন্যটি অনেক বেশি পরিমাণে ফ্লুইড পেতে থাকবে।
- বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রেগনেন্সি নারীদের প্লাসেন্টার সমস্যা তৈরি হয় এই সময়। যার জন্য দেহে রক্তের পরিপূর্ণ পুষ্টি সরবরাহ করতে ব্যাহত হয় এর ফলে শিশুর প্রস্রাবের মাত্রা কমে এমিনোউটিক ফ্লুইড তৈরি করে।
- এই সময় পানি কম খেলে গর্ভপাত বা মিস ক্যারেজের মত বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে।
- সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে প্রেগনেন্সির সময় পানি কম খেলে এমম্বিলিক্যাল কোড সংকুচিত হয়ে শিশু অক্সিজেনের ঘাটতি তৈরি হতে পারে। যার ফলে শিশুটিকে সিজার করে পৃথিবীতে জন্ম লাভ করানো হয় ।
- প্রেগনেন্সির সময় পানি খুব কম পরিমাণে খেলে নির্ধারিত সময়ের আগেই বাচ্চাটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
শেষ কথা
এই অবস্থায় সঠিকভাবে নিয়ম কানুন মেনে খাদ্য গ্রহণ করতে হয় ও চলাফেরা করতে হয়। এজন্য একজন মাকে অনেক কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়। শত কষ্ট অপেক্ষা করে একজন মা তার সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখানোর জন্য অনেক ব্যাঁথা বেদনা ত্যাগ তিতিক্ষা সয্য করতে হয়। কারণ মা ছাড়া পৃথিবীর আর কোন মানুষ এই কষ্ট তার সন্তানের জন্য করতে পারবে না।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url