জাফরান তেল ব্যবহারের নিয়ম-জাফরান দুধের উপকারিতা


সম্মানিত পাঠক জাফরান তেল ব্যবহারের নিয়ম এবং জাফরান দুধের উপকারিতা হল জাফরানে আছে স্বাস্থ্য উপকারিতা। এইতেল ব্যবহার করলে আমাদের চুল ঘন ও লম্বা হয়ে ওঠে আমাদের মাথায় এই তেল প্রতিদিন ব্যবহার করলে চুলের সব ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যায় এবং চুল লম্বা ও ঘন হতে থাকে। এই তেল  বিরল ১০ টি ভেষজ গুণ দিয়ে তৈরি।
জাফরান তেল ব্যাবহারের নিয়ম
এই তেলে বিদ্যমান রয়েছে জিংক ও আয়রন যা আমাদের মাথার ত্বকে অক্সিজেন প্রদাহ করে নতুন টিস্যু তৈরি করতে সাহায্য করে। এর ফলে চুল পড়ার প্রবণতা দ্রুত কমতে থাকে। আমাদের মাথার চুলকে ঝলমলে ও সিল্কি করে তুলে। চুলের গোড়ার ভেতরে পুষ্টি পৌঁছে দিয়ে চুলকে আরো শক্ত করে তোলে।

ভূমিকা

চুল পড়া সমস্যা প্রায় আমাদের সবারই আছে এজন্য আমরা নিয়মিত এইতেলর  সঙ্গে অলিভ অয়েল হালকা গরম করে মাথার ত্বকে লাগালে চুলের গোড়া আরো শক্ত হয়ে চুল পড়া প্রতিরোধ করে নতুন নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে। চুল ঘন ও দ্রুত লম্বা হতে থাকে। জাফরান দুধ খেলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দূর হয়ে যায় এ সম্পর্কে জানতে নিচে আরও পড়ুন।। 

জাফরান তেল ব্যবহারের নিয়ম

দৈনন্দিন জীবনে খাবারের স্বাদ ও গন্ধ ঠিক রাখতে জাফরান ব্যবহার করা হয়। তবে শুধু রান্নার মসলা হিসেবে নয় এটি আমাদের চুলের জন্য অনেক উপকারী। অল্প কিছু পরিমাণ জাফরানের মধ্যেই লুকিয়ে আছে ঝলমলে ও সুন্দর চুলের রহস্য। চুল পড়া রোগের সমস্যা প্রায় বেশিরভাগ মানুষের আছে। আর সেসব ব্যক্তিদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী। 

এটি আমাদের মাথার খুশকি দূর করতে ও স্ক্যাল্পের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে । এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর কারণে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের মাথার চুল অনেক মজবুত করে তুলে চুলের গোড়ায় এর পুষ্টি পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে। চুল খুব দ্রুত বর্ধনশীল হয়ে ওঠে। এই তেল তৈরি করা হয় 

জাফরানের নির্যাস ও মোট ১০টি বিশেষ গুণ সম্পন্ন ভেষজ উপাদান দিয়ে। যা আমাদের চুলে ব্যবহারের জন্য অনেক কার্যকর। বিশেষ এই উপাদান গুলির মধ্যে প্রোটিন জিঙ্ক ও আয়রন যা আমাদের স্ক্যালপে অক্সিজেনের প্রবাহ করে এবং নতুন টিস্যু তৈরি করে চুল পড়া বন্ধ করতে ও চুল খুব দ্রুত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। 

ভেষজ উপাদানগুলো আমাদের মাথার ত্বকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পৌঁছে দেয়। এটি ব্যবহার করলে আমাদের মাথার ত্বকের ভেতর থেকে চুলকে শক্ত করে এবং চুল পড়া বন্ধ করে ।

ব্যবহারের নিয়ম

সপ্তাহের মধ্যে তিন দিন ঘুমানোর আগে এইতেলর সঙ্গে অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল হালকা গরম করে নিয়ে আমাদের মাথার ত্বকে আলতো করে লাগাতে হবে। এর ফলে আমাদের চুলের গোড়া অনেক শক্ত হবে এবং চুলের গোড়ার মধ্যে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যাবে ও চুল পড়া বন্ধ হবে। অল্প কিছু সংখ্যাক জাফরান আধা গ্লাস দুধে ভিজিয়ে রাখতে হবে 

এর মধ্যে যোগ করতে হবে স্বল্পমাত্রায় যষ্ঠী মধু। একে ভালো করে মিক্স করে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এই পেস্টগুলো আমাদের মাথার স্কেলপে ও চুলের ভেতরে সুন্দর করে ঘষে ঘষে লাগাতে হবে। কিছু সময় বা অন্তত ১৫ মিনিট রাখার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহের মধ্যে দুই দিন এভাবে ব্যবহার করলেই 

চুলের সব ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। আমরা অনেক দামি দামি শ্যাম্পু ব্যবহার করার জন্য আমাদের মাথার চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে এবং মাথায় অনেক খুশকি তৈরি হচ্ছে এসব সমস্যা দূরে রাখতেএইতেল ব্যবহার করুন।

জাফরান দুধের উপকারিতা

জাফরান দুধ আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এইদুধ আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। 

বিবাহিত পুরুষের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় এই সময় দুধ ও জাফরানের মিশ্রণ আমাদের শরীরকে চাঙ্গা করে তোলে এবং মানসিক চাপ কমিয়ে দেয়। দুধ ও জাফরান একসঙ্গে খেলে আমার আমাদের শরীরে টনিক এর কাজ করে। শরীরকে সুস্বাস্থ্যকর করে তোলে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে এবং এটি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে শুক্রাণু সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। 

দুধ অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য উপাদান যা খেলে আমাদের শরীরে অনেক পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়। এতে বিদ্যমান থাকা ভিটামিন এ ডি এ ও ই ক্যালসিয়াম প্রোটিন আয়রন ফসফরাস ম্যাগনেসিয়াম আয়োডিন। এছাড়াও বেশ কিছু খনিজ পদার্থ। এবং জাফরানের মধ্যে বিদ্যমান আছে ভিটামিন সি পটাশিয়াম প্রোটিন 

দুধ ও জাফরান একসঙ্গে মিক্স করে খেলে এতে থাকা ক্যালসিয়ামের কারণে আমাদের শরীরের হাড় আরো শক্তিশালী ও মজবুত হয়ে ওঠে। প্রতিদিনের ক্লান্তিময় ও দুর্বলতা থেকে রক্ষা পাবার জন্য 

আমরা নিয়মিত জাফরানও দুধ একসঙ্গে খেলে এর মদ্ধ্যে থাকা আয়রনের ফলে এসব সমস্যা খুব দ্রুত দূর হয়ে যায় । এর মধ্যে রয়েছে এফ্রোডিসিয়াক। ইলেক্ট্রোলাইট ডি ফাংশনের ক্ষেত্রে ভিশন উপকারী এটি। জাফরান দুধ ও কিসমিস একসঙ্গে খেলে। পুরুষদের শারীরিক ও দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি পায়।

জাফরান খাওয়ার ৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা

আমাদের দেশেও পৃথিবীর সবথেকে দামি মসলার মধ্যে জাফরান একটি। জাফরান খাওয়ার ৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা মাত্র এক পাউন্ড জাফরানের বাজার মূল্য ৫০০ থেকে ৫০০০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর উপকারিতা অনেক। এর জন্য বহুকাল আগে থেকে এর ব্যবহার করে আসছেন প্রাচীন যুগের মানুষেরা। 

সারা পৃথিবীব্যাপী জুড়ে এর খ্যাতি আছে। প্রাচীন আমলের লোকেরা অনেক ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা ও রোগের চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করতেন। এর মধ্যে রয়েছে পেটের সমস্যা আলসারের সমস্যা ও মহিলাদের ঋতুশ্রাবের সমস্যা দূর করতে অনেক সাহায্য করে। 
  • এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরকে ফ্রি রেডিক্যালস ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে সুরক্ষা দেয় ।
  • এটি খেলে আমাদের মস্তিষ্ককের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকে। এক গবেষণা থেকে জানা যায় জাফরান এর নির্যাস আমাদের মস্তিষ্কে ডোপামিন এর মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। নিয়মিত ৩০ মিলিগ্রাম জাফরান খেলে এর মধ্যে থাকা ইমিপ্রামাইন ও ফ্লুকজেক্টিং ড্রাগের চিকিৎসার মত। এইজন্য নিয়মিত এটি খেলে হতাশা দূর হয়ে যায় এবং মেজাজ সব সময় উৎফুল্ল থাকে।
  • এই উদ্ভিদ আমাদের শরীরকে রোগ ও ছত্রাক থেকে রক্ষা করে এবং মানবদেহের বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার যেমন ফুসফুস প্রটেস্ট ও কোলন ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ করে ।
  • এতে বিদ্যমান রয়েছে বিভিন্ন ধরনের এন্টিঅক্সিডেন্ট যার ফলে এটি খেলে আমাদের শরীরের ক্ষতিকারক কোষগুলিকে ধ্বংস করতে ও মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্র কে সুস্বাস্থ্য রাখতে সাহায্য করে ।
  • এটি অনেক সুস্বাদু ও ঘ্রাণযুক্ত। এর ফুলের পাপড়িতে এক ধরনের উপাদান আছে যার নাম কেম্পফেরোল। এজন্য এটি খেলে আমাদের শরীরে প্রদাহ কমতে থাকে ।
  • এর মধ্যে থাকা রাসায়নিক উপাদানের কারণে আমাদের শরীরে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে আমরা হৃদরোগের সম্ভাবনা থেকে মুক্ত থাকি  ।

অপকারিতা

এটা ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক নিরাপদ হলেও এটি ঠিক ভাবে ব্যবহার না করতে পারলে। এর ফলে আমাদের শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়ে অনেক ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এটি ওষুধের মত ব্যবহার করলে নিরাপদ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে । কিন্তু এরপরেও বেশ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যেমন পেট ব্যথা বমি বমি ভাব শুল্ক মুখ এলার্জি ও মাথা ব্যাথার সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে ।

গর্ভাবস্থায় জাফরান খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

এটি হলো প্রাকৃতিক মহৌষধ যা আমাদের শরীরে শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ রাখার জন্য অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। গর্ভাবস্থায় জাফরান খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন। গর্ভবতী মহিলাদের এই সময় হরমোন পরিবর্তনের কারণে মুড স্যুইং সমস্যা সৃষ্টি হয়। আর জাফরান সেই সময় এন্টিডিপ্রেসেন্ট হিসেবে কাজ করে এই সমস্যা কমাতে সহায়তা করে।
  • গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভকালীন সময়ে ঘুম না হওয়া একটি বড় ধরনের সমস্যা এজন্য এটি খেলে ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে খুব বেশি মাত্রায় এটা খেলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে এজন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দিনে ০. ৫-১ গ্রাম জাফরান খেতে পারেন।
  • প্রেগনেন্সির সময় গর্ভবতী নারীদের হৃদ যন্ত্রের উপরে চাপ অনেক বেড়ে যায়। তবে এটি খেলে হৃদ যন্ত্রের চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • প্রেগনেন্সির সময় গর্ভবতী নারীদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ব্যাথার অনুভব হয় যেমন পেট ব্যথা পিঠ ব্যথা হাত ও পায়ের গোড়ালি ব্যথা । এই সময় এটি খেলে আপনাদের শরীরে ব্যথা নিরাময়ক হিসেবে কাজ করবে ।
  • গর্ভকালীন সময়ে মহিলাদের উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি হতে পারে তবে এটা খেলে উচ্চ রক্তচাপ সমস্যাটি নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • প্রেগনেন্সির সময় গর্ভবতী মহিলাদের বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয় যেমন বুকের মধ্যে কফ জমে যাওয়া ও শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি হওয়া। এই সময় প্রতিদিন এটি খেলে এই সমস্যাগুলো ধীরে ধীরে কেটে যায়।
  • প্রেগনেন্সির সময় মহিলাদের শরীরের পেশীর মধ্যে অনেক সময় টান ধরে। এই সময় এটা খেলে এ ধরনের সমস্যাগুলো দূর হয়ে যায়।

জাফরান দিয়ে ত্বক ফর্সা করার নিয়ম

সারা পৃথিবীর দামি মসলাগুলোর মধ্যে একটি জাফরান এর বৈজ্ঞানিক নাম (Crocus sativus) ও ইংরেজিতে স্যাফরন নামে ডাকা হয়। জাফরান দিয়ে ত্বক ফর্সা করার নিয়ম। এটি অতি মূল্যবান একটি মসলা এজন্য একে রেড গোল্ড নামে ডাকা হয় বিশ্বের বাণিজ্যিক বাজারে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতের কাশ্মীর প্রদেশে 

এগুলো অনেক বেশি জন্মে থাকে। এটি মসলা ও ওষুধের পাশাপাশি আমাদের ত্বকের যত্নেও বেশ কার্যকরী। ফেসপ্যাক ও ক্রিম হিসেবে জাফরানের অনেক উপাদানের কথা শোনা যায়। এটির উৎপাদন কম হওয়া এবং চাহিদা বেশি থাকায় বাজারে এর দাম অনেক বেশি।
  • কাঁচা দুধের সাথে জাফরান মিশিয়ে এরমধ্যে একটা তুলার বল তৈরি করে ডুবিয়ে দিতে হবে কিছুক্ষণ পর এই বলটি দিয়ে ত্বকের উপরে আলতো করে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। এরফলে আমাদের ত্বক প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার হবে এবং তৎক্ষণাৎ উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
  • বাদামের তেলের মধ্যে অল্প কিছু জাফরান ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং ঘুমানোর আগ মুহূর্তে সুন্দরভাবে এটি ব্যবহার করতে হবে ত্বকের উপরে এর ফলে আমাদের ত্বকে ময়েশ্চারাইজার গ্লো করবে।
  • আমাদের ত্বকের আদ্রতা ও সতেজতা ধরে রাখার জন্য গোলাপজলের মধ্যে এটি ভিজিয়ে রেখে একসঙ্গে মিক্স করে একটি স্প্রে তৈরি করতে হবে এবং ঘুমানোর আগে প্রতিদিন এই স্প্রেটি আমাদের মুখের ত্বকে নিলে ত্বক সুস্থ ও সতেজ হয়ে উঠবে।
  • গোলাপজল চন্দন ও জাফরানের মিশ্রণে একটি প্রাকৃতিক গ্লোবুস্টিং ফেসমাস্ক তৈরি করতে পারি এর জন্য প্রয়োজন অল্প পরিমাণে জাফরানগুড়ো এক চা চামচ চন্দন পাউডার ও গোলাপজল নিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে। এই মিশ্রণটি আমাদের মুখে উপরের অংশে লাগিয়ে প্রায় ১৫ মিনিট রাখার পরে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এতে করে আমাদের ত্বকের উজ্জলতা ও গ্লো বৃদ্ধি পাবে ।

বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করতে গর্ভাবস্থায় জাফরান খান

প্রেগনেন্সির সময় গর্ভবতী মহিলারা সবসময় এই চিন্তা করেন যে আমার বাচ্চাটি যেন দেখতে অনেক সুন্দর এবং ভালো সুস্বাস্থ্য ও অধিক মেধাবী হিসেবে জন্ম লাভ করে । আর সেই জন্য তারা বিভিন্ন ধরনের ফলমূল ও পুষ্টিকর খাবারের দিকে গুরুত্ব দেয়। বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা করতে গর্ভাবস্থায় জাফরান খান কারণ এর মদ্ধ্যেকার বিশেষ পুষ্টিগুণ আপনার এবং সন্তানের দুজনেরই সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
  • প্রেগনেন্সির সময় গর্ভবতী মায়েরা দুধের সঙ্গে এটি মিশিয়ে খেলে আপনাদের গর্বের সন্তানের গায়ের রং ফর্সা হবে।
  • নারকেলের সাদা অংশ ও জাফরান একসাথে খেলে গর্ভকালীন মহিলাদের গর্ভের সন্তানের গায়ের রং ফর্সা হয়। তবে খেয়াল রাখবেন অতিরিক্ত পরিমাণে নারিকেল খাওয়া ঠিক না গর্ভবতী নারীদের জন্য।
  • প্রেগনেন্সি সময় বেশি বেশি দুধ ও জাফরান খেলে গর্বের ভেতরের সন্তান এর ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
একজন মানুষ হিসেবে আমাদের শিশুকে আমরা তাদের মৌলিক অধিকার গুলি দেওয়ার চেষ্টা করব  তাকে গায়ের রং দিয়ে বিচার করবেন না এই পৃথিবীতে তাকে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন। 

এক সময় দেখবেন সে আপনার এবং দেশের জন্য বড় একটি সম্পদে পরিণত হয়ে গেছে। এজন্য সন্তান যেমনই হোক না কেন মানুষের কথা শুনে তাকে কখনো অবহেলা করবেন না। কারণ এই পৃথিবীতে সন্তানের একমাত্র বিশ্বাস ও ভরসার স্থান তার মা-বাবা।

লেখকের শেষকথা 

আমাদের জন্ম যে দেশেই হোক না কেন আমাদের গায়ের রং একটু কালো হবেই। কারণ বেশিরভাগ শিশুই জন্মগ্রহণ করার পর তার গায়ের রং লাল ও বেগুনি রংয়ের সংমিশ্রণে হয়ে থাকে । কারণ এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ও স্বাভাবিকভাবেই হয়ে থাকে। বাচ্চার গায়ের রং বুঝতে প্রায় ৬ মাস লেগে যায়।বাচ্চার গায়ের রং কালো কিংবা ফর্সা এটি পুরোপুরি ভৌগোলিক কারণের জন্য হয়ে থাকে। 

তবে বাচ্চা কালো হলেই যে সে সম্মানিত হবে না বা ভালবাসা পাবে না এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা। সচেতন বাবা-মা হিসেবে আপনার সন্তানকে সমাজ এবং মানুষের কথা শুনে কখনো অবহেলা করবেন না। ছোট্ট একটি কথা মাথায় রাখবেন। আপনার ছোট্ট একটি অবহেলার কারণে আপনার সন্তান পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে পারে। কারন আপনার সন্তানের সবথেকে বেশি ভরসার জায়গা আপনারা।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url