খেজুরের রস খাওয়ার উপকারিতা-তালের রসের ১০টি উপকারিতা
প্রিয় পাঠক খেজুরের রস কে প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিঙ্কস হিসেবে ধরা যায়। খেজুরের রস খাওয়ার উপকারিতা ও তালের রসের ১০টি উপকারিতা হল। এই রসে অনেক বেশি পরিমাণে শর্করা এবং পানি আছে এজন্য নিয়মিত একগ্লাস খেজুরের রস খেলে আমাদের শরীরের পানি শূন্যতা দূর হয় এবং খনিজের ভারসাম্য ঠিক থাকে।
শীতকালে শীতের সময় আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধে যেমন জ্বর সর্দি কাশি এইরস খাওয়ার ফলে এসব রোগ প্রতিরোধ হয় এবং আমাদের শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দেয়। এ রসে বিদ্যমান থাকা ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের হাড়ের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
ভূমিকা
এইরস খেলে আমাদের শরীরে রক্তস্বল্পতা রোগ প্রতিরোধ হয়। রস দিয়ে তৈরিকৃত পাটালি গুড় অনেক সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। কুয়াশার চাদরে ঢাঁকা শীতের সকালে এইরস অথবা খেজুরের তৈরিকৃত গুড় ও লালি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠা ও পায়েস খেতে অনেক ভালো লাগে। এই রসে অনেক বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম আয়রন খনিজ ও পুষ্টিগুণ উপাদান আছে এ সম্পর্কে জানতে আরও পড়ুন।
খেজুরের রস খাওয়ার উপকারিতা
শীতের হাড় হীম করা ঠান্ডায় কাঁচা খেজুরের রস খেতে কার না ভালো লাগে। তবে এই রস আমরা অনেক ভাবে খেতে পারি। সকালে রস হিসেবে বা গুড় তৈরি করে আবার পিঠা পুলি ও পায়েস তৈরি করে। এইরস মূলত আমরা শীতকালে বেশি পেয়ে থাকি। বছরে অধিকাংশ সময়ই স্বল্প পরিসরে এই রস পাওয়া যায়। তবে শীতের সময়ে এই রসটি অনেক সুস্বাদু।
আরও পড়ুনঃ খেজুর ভিজিয়ে খাওয়ার গোপন উপকারিতা জানুন
এইরসে বিদ্যমান রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুুন উপাদান ও খনিজ। এই রসে বিদ্যমান আছে ১৫ থেকে ২০% শর্করা এটি থেকে সিরাপ ও গুড় তৈরি করা হয়। এই রস দিয়ে তৈরিকৃত সিরাপ বা লালি দিয়ে সকালের রুটি অথবা মুড়ির সঙ্গে মাখিয়ে খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদদের তথ্য মতে এই রসে অনেক বেশি পরিমাণে এনার্জি ও শক্তি আছে।
এর মধ্যে জলীয় অংশ অনেক বেশি একে প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিংকস হিসেবে ধরা যায়। গ্লুকোজ এর পরিমাণ অনেক বেশি মাত্রায় থাকে। এ রস কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যায় এবং জাল দিয়ে গুড় অথবা লালি তৈরি করে খেয়ে থাকি আমরা। এই রসে আছে লৌহ এবং আয়রন যা আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে।
টাটকা খেজুরে রস খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম । নবান্নের পিঠে পুলি পায়েস ও খেজুরের গুড়ে এক অনন্য স্বাদ লুকিয়ে থাকে।
আর এইসব খেলে যেন প্রাণ জুড়িয়ে যায়। এর স্বাধের পাশাপাশি আমরা অনেক পুষ্টি উপাদান ও পেয়ে থাকি। যার মধ্যে রয়েছে আয়রন গ্লুকোজ ভিটামিন খনিজ প্রোটিন পটাশিয়াম ফ্রুক্টোজ ও সোডিয়াম। এজন্য শীতের সময় এই রসটি প্রতিদিন খেলে আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী উপাদান পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার গোপন উপকারিতা কি
শীতকালে আমাদের শরীর ক্লান্ত থাকার পাশাপাশি ছোটখাটো বিভিন্ন সমস্যার তৈরি হয় পেটের সমস্যা ও জ্বর সর্দি কাশি এজন্য আমাদের শরীর অনেক দুর্বল হয়ে থাকে। এজন্য শীতের সময় প্রতিদিন আমরা এই রস খাব।
তালের রসের ১০টি উপকারিতা
আমাদের দেশে মৌসুমীয় ও ফল হিসেবে তাল অতি পরিচিত। তাল বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় । তাল গাছের রস তালের আঁটির স্বাশ এবং পাকা তালের রস দিয়ে তৈরিকৃত বিভিন্ন ধরনের পিঠা তালের কেক তালের বড়া তালের ভাপা ইত্যাদি খাওয়া যায়।এ ফলের বেশ কিছু পুষ্টিকর উপাদান আছে ভিটামিন এ বি ও সি, ক্যালসিয়াম
খনিজ আয়রন জিংক পটাশিয়াম। এর পাশাপাশি অ্যান্টি ইনফ্লামেন্টরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এ ভরপুর উপাদান।
- এর মধ্যে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট মানবদেহের ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- এ ফলের রস স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ও আমাদের স্মৃতিশক্তি ভালোভাবে রাখার জন্য কাজ করতে সাহায্য করে।
- তালের রসে অনেক বেশি পরিমাণে রয়েছে ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম। আমাদের শরীরে দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে ।
- যেসব ব্যক্তি কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্ত্রের রোগের সমস্যায় ভুগছেন। তারা এ ফলের রস খেলে এসব রোগ গুলি সেরে যাবে।
- তালের রস দিয়ে তৈরিকৃত তালমিশরী যকৃত ও পিত্তনাশকের এবং সাধারণ সর্দি কাশির মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে থাকে ।
- তালের রসে বিদ্যমান আছে ৯৩% জলীয় অংশ। এর মধ্যে থাকা জেলাট্রেন উপাদান খেলে আমাদের পেট ভরে থাকার অনুভূতি সৃষ্টি হয় এর মাধ্যমে অতিরিক্ত ক্ষুধা ভাব অনেকটা কমে যায়।
- আমাদের দেহের বিভিন্ন কোষের ভেতরে ইলেকট্রোলাইট উপাদানের ভারসাম্য ঠিক রাখতে তালের রস এবং স্বাস অনেক বেশি উপকারী।
- যে সব মানুষের ডায়রিয়ার সমস্যা আছে এবং বমি বমি ভাব হয় তারা এই রসটি খেলে এসব সমস্যা দূর হয়ে যায়।
- বাথ জনিত সমস্যা দূর করার জন্য তালের রস অনেক বেশি কার্যকরী আমরা নিয়মিত চিনি ও পানি ছাড়া ১০০ গ্রাম তাল খেতে পারি। তাহলে এই সমস্যাটি আস্তে আস্তে কমে যাবে।
- যাদের বুক ধড়ফড়ানি রোগের সমস্যা আছে। সেসব ব্যক্তি নিয়মিত তিন থেকে চার চামচ তালের রসের সঙ্গে দুধ মিক্স করে খেলে এই সমস্যাটি নির্মূল হয়ে যায়।
খেজুরের রস খাওয়ার প্রধান কিছু অপকারিতা
এই রস বিক্রির পাশাপাশি এ থেকে গুড় তৈরি হয় অনেক পুষ্টিকর ও সুস্বাদু। এগুলো বিক্রি করে তারা জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এ রস কোমল পানীয় হিসেবে পরিচিত প্রতিদিন সকালে এই রস এক গ্লাস করে খেলে
আমাদের শরীরের ক্লান্তি দূর হয়ে যায় এবং অনেক সুন্দর একটা মনোভাব তৈরি হয়। তবে এইরস খাওয়ার প্রধান কিছু অপকারিতা আছে। আমাদের দেশে এই রস নামানোর জন্য গাছীরা বিকেলবেলাতে তাদের প্রয়োজনীয় কাজ সেরে মাটির হাড়ি লাগিয়ে আসে রস পড়ার জন্য। তবে মাটির হাড়ি সব সময় খালি অবস্থায় থাকে । রাতের বেলা এইরসের হাড়ি গুলোতে
বাদুঁড় সহ বিভিন্ন ধরনের পাখি ও কাঠবিড়ালি এসে হাঁড়ির ভেতর থেকে রসগুলো পান করে। এতে করে রসের সাথে এসব প্রাণীর মুখের লালা মিশ্রিত হয়ে যায়। এর ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি সহ নিপাহ ভাইরাস রোগ সৃষ্টি হয় হয় । এই ভাইরাসটি অনেক মারাত্মক একটি ভাইরাস। নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রথম অবস্থায় জ্বর আসবে এরপর খিচুনি ও
এক পর্যায়ে মৃত্যু হতে পারে। এই রোগটি বাদুঁড় রস পান করার সময় তার মুখের লালা মিশ্রিত রসের সঙ্গে মিশে যাওয়ার জন্য হয়ে থাকে সেজন্য আমরা খেজুরের রস আহরণের জন্য এবং খাবার জন্য অনেক সাবধানতা অবলম্বন করব। এই ভাইরাসটি অত্যন্ত মারাত্মক এ ভাইরাস উদ্ভব ঘটে সর্বপ্রথম বাংলাদেশে ২০০১ সালে। বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করে জানতে পারেন
আরও পড়ুনঃ বিয়ের আগে রসুন খাওয়ার উপকারিতা কি
যে গাছিদের খেজুরের রস লাগানো হাঁড়িতে বাদুঁড়ের লালা এবং মল লেগে থাকা দেখে তারা এইটা নিয়ে অনেক গবেষণা করে এবং পরিশেষে জানতে পারে এই নিপাহ ভাইরাসটি বাদুঁড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এই ভাইরাসের কবলে পড়েছে আমাদের দেশের বেশ কিছু জেলার মানুষ এর মধ্যে রয়েছে টাংগাইল ফরিদপুর ঠাকুরগাঁও নওগাঁ রাজবাড়ী রংপুর কুষ্টিয়া মানিকগঞ্জ জেলাসহ
মোট ৩১ টি জেলার মানুষ । এখন পর্যন্ত আইইডিসিআর তথ্য অনুসারে ২০০১ থেকে ২০১৮ সালের শেষ পর্যন্ত ৩০৩ জন ব্যক্তি নিপাহ ভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছে এদের মধ্যে ২১৭ জন ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেছেন। যা আক্রান্ত রোগীর প্রায় ৭০% খেজুরের রস আহরণের সময় গাছীরা সন্ধ্যের আগ মুহূর্তে মাটির হাঁড়ি অথবা কলস বেঁধে রেখে আসে গাছগুলোতে
এ সময় এসব ফাঁকা পাত্রে অনেক ধরনের পোকা মাঁকড় এ রসের মধ্যে পড়ে রস খায় এর ফলে এই রস খাওয়ার পর আমরা বিভিন্ন ধরনের রোগের কবলে পড়ি বমি বমি ভাব ডায়রিয়া ও মাথাব্যঁথা জ্বর শারীরিক দুর্বলতা প্রভৃতি ধরনের রোগ এর সংক্রমণ হতে পারে এজন্য সাবধানতা অবলম্বন করে এই রস খাব।
খেজুরের গুড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
শীতকালে গাছীরা এইরস থেকে অনেক সুস্বাদু খেজুরের গুড় ও লালি তৈরি করে। যার অনেক পুষ্টিগুণ উপাদান আছে। এইসব গুড় ও লালি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠ৷ ও পায়েস এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরি করেন আমাদের মা খালা চাচীরা। খেজুরের গুড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন। এই গুড় খেলে আমাদের শরীরে তেমন কোন
পরিবর্তন দেখা যায় না। বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদরা মতামত দিয়েছেন আমাদের শরীরের জন্য চিনির থেকে গুড় খাওয়া অনেক ভালো । বাজারের বিভিন্ন ধরনের গুড়ের মধ্যে খেজুরের গুড়ের পুষ্টিমান অনেক বেশি থাকে। এই গুড়ে বিদ্যমান আছে ম্যাগনেসিয়াম আয়রন পটাশিয়াম জাতীয় খনিজ ও ফসফরাস। প্রতিদিন অল্পমাত্রায় এই গুড় খেলে আমাদের শরীরে
অনেক উপকারী উপাদান মিলবে এই গুড় আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ওজন কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। যে সকল ব্যক্তিদের হজমজনিত সমস্যা আছে। সে সকল ব্যক্তিগণ ডায়েটে নিয়মিত এক চামচ খেজুরের গুড় খেতে পারেন। এলার্জি জনিত সমস্যা যেমন কোল্ড এলার্জি রোগ প্রতিরোধ করে এই গুড় খেলে।
কারণ এই গুড় আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রক্তস্বল্পতা রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এই গুড়ে থাকা আয়রন ও কার্বোহাইড্রেট আমাদের শরীরে গ্লুকোজের ঘাটতি পূরণ করে। এর মধ্যে থেকে অনেক বেশি পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য কাজে লাগে।
খেজুরের গুড় আমাদের ত্বক সতেজ ও সুন্দর রাখে এবং ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। এই গুড় খাবার ফলে আমাদের শরীরের জ্বর সর্দি কাশি রোগ দূরে থাকে এবং ঠান্ডার দিনে শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে।
অপকারিতা
আমাদের দেশে খেজুরের গুড় অনেক জেলাতে উৎপাদিত হয় তবে বর্তমান সময়ে কিছু কুচক্রী মহল এই গুড়ের প্রাকৃতিক স্বাদ ও ঘ্রাণ নষ্ট করে দিচ্ছে কারণ তারা অনেক ক্ষতিকর কেমিক্যাল দিয়ে এই সব গুড় তৈরি করছে এবং বাজারে খেজুরের গুড় বলে বিক্রি করছে সাধারণ মানুষের কাছে। এর ফলে এসব গুড় খেয়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর রোগের কবলে পড়তে পারি
এইজন্য আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করে এই গুড় খেতে হবে। অল্প পরিমাণে খেলে সমস্যা হবে না কিন্তু খুব বেশি পরিমাণে খেলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। এর মধ্যে থাকা কার্বোহাইড্রেট এর কারণে।
আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকারক গুড়ের মধ্যেও ১০ গ্রাম গুড়ে ৯.৭ গ্রাম চিনি থাকে যা খেলে আমাদের শরীরে রক্তের শর্করা বৃদ্ধি পেতে পারে। গ্রীষ্মের খরতাপে অনেক বেশি গরমের সময় এই গুড় খাওয়ার ফলে আমাদের নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে। গুড় কোথাও প্রক্রিয়াজাত করা হয় না এজন্য এতে অনেক বেশি পরিমাণে সুক্রোজ আছে।
এজন্য প্রদাহ জনিত ও বাতের রোগীদের এগুলো না খাওয়াই ভালো আর খেলেও অল্প পরিমাণে খেতে হবে। কেবল তৈরীকৃত বা গরম গুড় খেলে আমাদের শরীরে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ হওয়ার পাশাপাশি ডায়রিয়া রোগ সৃষ্টি হতে পারে।
গুড় সুস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি না হলে সেই গুড় খেলে অন্ত্রের মধ্যে বিভিন্ন রোগ জীবাণু সংক্রমণ সৃষ্টি করে। গ্রামের লোকেরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গুড় তৈরি করে থাকেন তারা কোন ধরনের স্বাস্থ্যকর উপায় অবলম্বন করেন না এজন্য এসব গুড় খেলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ হওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটবে।
ভালো খেজুরের গুড় কোথায় পাওয়া যায়
শীতকালে শীতের সময় এই রস থেকে তৈরিকৃত খেজুরের গুড় অনেক সুস্বাদু। ভালো খেজুরের গুড় কোথায় পাওয়া যায় চলুন জেনে নেওয়া যাক। খেজুরের রস নামানোর জন্য এখন গাছিদের পাওয়া যায় না এজন্য আমাদের দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গাছিদের সংগ্রহ করে একেক এলাকার মানুষজন এই রস সংগ্রহ করে থাকেন এরমধ্যে রাজশাহী ও যশোরের গাছীরা
খেজুর রস নামানোর জন্য বিখ্যাত। এবং আমাদের দেশে কৃষি ইনস্টিটিউট গবেষণা ক্ষেত্রের তথ্যমতে ফরিদপুর জেলার খেজুরের গুড় এবং পাটালি গুড় বিখ্যাত। এই জেলার গুড় অনেক খাঁটি ও স্বাধে ও গুনে -মানে অনেক ভালো। গাছের রস থেকে তৈরি করেন খাঁটি গুড় কোন ধরনের কেমিক্যাল ও রাসায়নিক দ্রব্য না মিশিয়ে।
এজন্য এই অঞ্চলের গাছীদের তৈরিকৃত খেজুরের গুড় আমাদের দেশের মধ্যে সব থেকে ভালো গুড়। এছাড়াও আমাদের দেশে রাজশাহী বগুড়া নাটোর চুয়াডাঙ্গা কুষ্টিয়া ময়মনসিংহ নোয়াখালীর বেশ কিছু অঞ্চলে খেজুরের গুড় তৈরি হয়। বর্তমান সময়ে এসব গুড় আমরা বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে কিনতে পারি।
তবে এসব গুড় কেনার ক্ষেত্রে সঠিক মান নিয়ন্ত্রণ করে তারপর কিনবেন। যশোর জেলায় বেশ বেশ কিছু অনলাইন মার্কেট তাদের গুড় মার্কেটিং করছেন এর মধ্যে রয়েছে (www.Jessoreroad.com), (Jessore road.com-G) ও (Jessoreroad.com) এবং (Jessoreroad.com-Gi) এসব ওয়েবসাইটগুলোতে আপনারা অনেক ভালো ভালো গুড় নিরাপদে কিনতে পারবেন ।
খেজুরের গুড়ের জন্য বিখ্যাত কোন জেলা
আমাদের দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই রসের গুড় পাওয়া যায় তবে খেজুরের গুড়ের জন্য বিখ্যাত কোন জেলা সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। আমাদের দেশে যশোর জেলার খাজুরা খাঁটি খেজুরের গুড়ের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছেন। এই অঞ্চলের গুড় অনেক খাঁটিও স্বাস্থ্যসম্মত গুণগত মানের। কারণ এ অঞ্চলের মানুষ কোন ধরনের কেমিক্যাল ও রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে গুড় তৈরি করে না।
আর সেজন্য গুড়ের স্বাদ ও গুণগতমান সঠিক থাকে। এছাড়াও আমাদের দেশের বেশ কিছু জেলার রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, ফরিদপুর, নড়াইলের খেজুরের রস ও গুড় অনেক বিখ্যাত। এছাড়াও নওগাঁ এবং নাটোরের বেশ কিছু অঞ্চলে খেজুরের গুড় ও লালি তৈরি হচ্ছে যা খেতে অনেক সুস্বাদু ও সুমিষ্ট। এগুলি আমাদের দেশসহ দেশের বাইরেও রপ্তানি হচ্ছে যা থেকে ব্যবসায়ীরা অনেক লাভবান হচ্ছে।
লেখকের শেষকথা
এইরস বা রস থেকে তৈরিকৃত পাটালি গুড় দিয়ে বিভিন্ন পিঠাপুলি ও পায়েস খেতে অনেক সুস্বাদু। এই গুড় খেলে আমাদের শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। তবে এই গুড়ের কিছু খারাপ দিক আছে বাজারে খেজুরের গুড় বলে বিভিন্ন কেমিক্যালযুক্ত ও রাসায়নিক পদার্থ যুক্ত গুড় তৈরি করে বিক্রি করছেন দোকানদাররা। এখান থেকে সাধারণ ক্রেতারা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন এসব গুড় খেয়ে এজন্য গুড় কেনার সময় সঠিক ভাবে পরীক্ষা করে নিবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url