আজওয়া খেজুরের উপকারিতা কি-খেজুর ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
প্রিয় পাঠক খেজুরে অনেক পুষ্টিকর উপকারী উপাদান আছে। আজওয়া খেজুরের উপকারিতা কি ও খেজুর ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা হল। এই ফলে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যকর পুষ্টি উপাদান। পুরুষদের জন্য অনেক উপকারী একটি ফল। এই ফলটি খেলে পুরুষের মানসিক স্ট্রেস কমিয়ে শরীর ও মনকে স্বতঃস্ফূর্ত করে তোলে।
বিভিন্ন ধরনের খনিজ ও উপকারী উপাদান আছে খেজুরে মানবদেহে অনেক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এতে বিদ্যমান রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যার হৃদ রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। পুরুষদের রুক্ষ শুষ্ক ত্বকের যত্নে খেজুর কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
ভূমিকা
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আরবের পবিত্র মদিনার মাটিতে প্রথম খেজুর উৎপাদিত হয় খেজুরে রয়েছে ছোট বড় অনেক রোগের হাত থেকে মুক্তির উপায় খেজুর বছরের প্রায় সব সময় পাওয়া যায়। নিয়মিত সকালে ২ টি করে খেজুর খেলে শরীরে আর কোন ধরনের রোগ বালাই ঘেষতে পারবে না। নিত্যদিনের কাজের চাপে পুরুষদের ক্লান্তিময় শরীরে শক্তি বৃদ্ধিতে খেজুরের ভূমিকা অপরিসীম। এ সম্পর্কে আরো পড়ুন।
আজওয়া খেজুরের উপকারিতা কি
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর সব থেকে বেশি পছন্দের খাবার গুলোর মধ্যে খেজুর অন্যতম ছিল হাদিসে বর্ণিত আছে যে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের বলেছেন তোমরা সব সময় মহান আল্লাহর কাছে উত্তম স্বাস্থ্যের জন্য দোয়া করবে। কারণ উত্তম ঈমানের সাথে উত্তম স্বাস্থ্যের থেকে আর মঙ্গলজনক কিছু নেই। এজন্য
মহান আল্লাহ তাআলার সবচাইতে বড় নেয়ামতের মধ্যে একটি উত্তম স্বাস্থ্য। এজন্য আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের সব সময় সুস্থ থাকার জন্য বেশি বেশি দোয়া করতে হবে এবং হালাল খাদ্য খেতে হবে। হালাল খাদ্যের মধ্যে আজওয়া খেজুর অন্যতম। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ সাহাবীদের সবসময় রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তির উপায় বলে দিতেন। সাহাবীরা অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি
আরও পড়ুনঃ কিসমিস খাওয়ার গোপন উপকারিতা
দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া চাইতেন আল্লাহর কাছে এবং সুস্থতা লাভের উপায় বলে দিতেন। আজওয়া খেজুরে বিদ্যমান রয়েছে অনেক পুষ্টিকর উপাদান। যা মানব দেহে অনেক পুষ্টির যোগান দিতে সক্ষম। এসব উপাদানগুলি হচ্ছে ভিটামিন এ ভিটামিন বি১ কার্বোহাইড্রেট ভিটামিন বি ২ বেটা ক্যারোটিন
ভিটামিন বি ৩ লুটিন ভিটামিন বি ৪ জানথেন ভিটামিন বি ৫ ও ৬ ম্যাগনেসিয়াম ক্যালসিয়াম সোডিয়াম ক্যালোরি এবং ভিটামিন সি ই কে এর মত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আজওয়া খেজুর পৃথিবীর সবচাইতে দামি এবং সর্বোত্তম পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এই খেজুরের চাষ হয় এবং ফলন বেশি হয়। মদিনার পবিত্র ভূমিতে আজওয়া খেজুর উৎপাদিত হয়েছিল।
আজওয়া খেজুর যেদিন খাওয়া হবে সেইদিন কোন ধরনের খারাপ কিছু মানুষের ক্ষতি করতে পারবে না। বিভিন্ন ধরনের রোগের মহা ঔষধ হিসেবে এই খেজুর কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এটিকে জান্নাতি ফল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। মদিনার সব থেকে পবিত্রতম ফল এটি।
হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই খেজুর অনেক সাহায্যকারী ভূমিকা পালন করে চিকিৎসকদের পরামর্শে জানা যায় এই খেজুরের বিদ্যমান আছে শর্করা আমিষ আঁশ ও উপকারী উপাদান থিয়ামিন ফোলেট নিয়াসিন ও রিবোফ্লোভিন এই খেজুরটি খেলে মানুষের শরীরের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে স্নায়বিক শক্তি বৃদ্ধি
করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে হজম শক্তি বাড়িয়ে লিভার ও পাকস্থলীকে বলবান করে তুলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এজমা কফ স্লেশা শুষ্ক কাশি পেট ব্যাথা পেটের গ্যাস নির্মূল করে গর্ভাবস্থায় নারীরা খেলে বাচ্চা প্রসবের সময় সুন্দরভাবে প্রসব করে। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
খেজুর ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
খেজুর ভিজিয়ে খেলে নানা ধরনের পুষ্টিগুণ দেহের মধ্যে প্রবেশ করে।
- যেসব ব্যক্তি অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান তাদের এই খেজুর খেতে হবে। এতে থাকা ফাইবার ক্ষুদা কমিয়ে দিতে সক্ষম এজন্য প্রতিদিন ভেজানো খেজুর খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
- রাতে খেজুর ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে স্নায়বিক দুর্বলতা কেটে যায় শরীর ও মন চাঙ্গা থাকে।
- বেশি সময় ধরে ভিজিয়ে রাখলে এর মধ্যকার ফাইটিক অ্যাসিড দূর হয়ে যায়। সারারাত ধরে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে হজম ভালোভাবে হ।
- নিয়মিত দুটি করে খেজুর খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ প্রতিরোধ হবে।
- এতে অনেক বেশি পরিমাণে আয়রন থাকে যা মানুষের শরীরে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে।
- গর্ভবতী মহিলারা প্রতিদিন এক থেকে দুইটা করে খেজুর খেলে তাদের শরীরের রক্তের ঘাটতি পূরণ হয়ে যায় এর মধ্যে থাকার খনিজ ও আয়রনের কারনে।
- খেজুরের মধ্যে এক ধরনের তেল রয়েছে এটি খেলে চুল পড়া সমস্যা দূর হয়ে যায়।
মরিয়ম খেজুরের উপকারিতা
রমজান মাসে সারাদিন রোজা রাখার পর আমাদের শরীরে যে ক্লান্তি ভাব অনুভব করে সেটি দূর করতে খেজুর গুরুত্বপূর্ণ্য ভূমিকা পালন করে। মরিয়ম খেজুরের উপকারিতা হল বিশ্বনবীর সব থেকে প্রিয় খাবারের মধ্যে একটি খেজুর। খেজুর আকারের ছোট হলেও এর পুষ্টিগুণ উপাদান অনেক বেশি রাসুল সাঃ এর স্ত্রী আম্মাজান মরিয়ম (আ.) গর্ভাবস্থায় সুস্বাস্থ্য
ধরে রাখার জন্য এবং বাচ্চার স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য বেশি বেশি মরিয়ম খেজুর খেতেন। এই খেজুরটি খেলে প্রসবকালীন যন্ত্রনা কমে যায়। এই খেজুরের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ প্রতিরোধ করে। এতে বিদ্যমান রয়েছে এন্টি ইনফ্লেমেন্টরি ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
আরও পড়ুনঃ কাঁচা বাদাম খাওয়ার গোপনীয় উপকার
এই খেজুরে প্রাকৃতিক চিনি ও শক্তির নিদারুণ এক উৎস পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম মরিয়ম খেজুরে বিদ্যমান রয়েছে ক্যালসিয়াম ১২% আয়রন ৪২% ভিটামিন এ ৪.২% ভিটামিন সি ৪.২% ১.৬ মিলিগ্রাম সোডিয়াম থাকে ও ১৩.৪৭ গ্রাম ফাইবার। উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন থাকার কারণে মানুষের শরীরের পেশি সুস্থ রাখতে
এই খেজুরটি খেলে দৃষ্টিশক্তি আর উন্নত হয়। আয়রনের অভাবে মহিলাদের রক্তশূন্যতা রোগ দেখা দেয় মরিয়ম খেজুর খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয় এবং রক্তশূন্যতা রোগ দূর হয়। পেতে থাকা ক্যালসিয়াম শিশুদের মস্তিষ্ক গঠনে ও দাঁতের
মাড়ি সুস্থ রাখতে এবং প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের হাড়ের সুস্থতায় সাহায্য করে। এতে রয়েছে সুগার ৬৩ গ্রাম, ০.৪ মিলিগ্রাম ফ্যাট, ২ গ্রাম প্রোটিন, কপার ১৮গ্রাম, ২ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ও ৬৫৬ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম
- এই খেজুরের মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদানের মধ্যে সেরোটোনিন থাকে যা মানব দেহে হরমোন তৈরি করতে সাহায্য করে এবং মানসিক প্রশান্তি দিয়ে মনকে চাঙ্গা করে তোলে।
- মহিলাদের রক্তশূন্যতা রোগ দূর করতে মরিয়ম খেজুর কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এর মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন।
- এই খেজুরে থাকা ডায়েটরি ফাইবার উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
- এই খেজুরটি মস্তিষ্ককে প্রাণবন্ত করে তো।
- এই খেজুর খেলে ফুসফুস কে সুস্থ রাখে এবং মুখোগহব্বরের রোগ প্রতিরোধ হয়।
- ডিহাইড্রেশন ও পানি শূন্যতার মতো রোগ দূর হয় মরিয়ম খেজুর খে।
- এই খেজুর খেলে খাদ্য অরুচি কেটে গিয়ে খাবারের রুচি ভালো হয়ে ওঠে।
- এই খেজুরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান আছে যা ত্বকের সুস্বাস্থ্য ধরে রেখে বেশি দিন ধরে তারুণ্যতা ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে।
সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা হল। কেননা রমজান মাস এলে খেজুরের চাহিদা অনেক গুণ বেড়ে যায়। তবে শুধু রমজান মাসেই না খেজুর বছরের প্রায় সবসময়ই খাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ ড্রাগন ফল দিয়ে রুপচর্চার গোপন টিপস
নিয়মিত সকালে দুটি করে খেজুর খেলে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই দূর হয়ে যায়। মানব শরীরে আয়রনের চাহিদা পূরণ করে খেজুর। এতে রয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রোটিন সালফার ম্যাঙ্গানিজ ভিটামিন এ, বি ম্যাগনেসিয়াম আয়রন ও ফাইবার যা মানুষের শরীরে ক্লান্তি ভাব দূর করে শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং চুল ও ত্বকের সৌন্দর্যতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
- প্রতিদিন সকালে খেজুর খেলে এর মধ্যে থাকা ফাইবার ক্ষুদার পরিমাণ কমিয়ে দেয় ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ওজন কমতে থাকে।
- গর্ভবতী মহিলারা প্রতিদিন এক থেকে দুইটি করে খেজুর খেলে তাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয়। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন।
- নিয়মিত খালি পেটে প্রতিদিন সকালে খেজুর খেলে দুর্বল হার্টের সমস্যা কমে ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
- খেজুর মুখোপাধ্যায়ের ক্যান্সারে প্রতিরোধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- খেজুরের মধ্যে এক ধরনের পুষ্টিগুণ সম্পন্ন তেল বিদ্যমান থাকে আর সেজন্য খেজুর খেলে চুলের বিভিন্ন ধরনের রোগ চুল পড়া এবং চুলের রুক্ষ শুষ্কতা দূর হয়।
- এতে থাকে ক্যালসিয়াম যা হাড়ের সুস্থতায় সাহায্য করে।
- রোজা রেখে ইফতারের পর শরীরে অনেক ক্লান্তি ভাব থাকে এজন্য দুইটি করে খেজুর খেলে শরীরে অনেক শক্তি উৎপাদন হয় কারণ এর মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি।
অপকারিতা
- খুব বেশি পরিমানে খেজুর খেলে দেহের ওজন বেড়ে জেতে পারে।
- খেজুর অনেক বেশি খাওয়া হলে পেটের অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে এবং বদ হজম হতে সক্ষম।
- খেজুরে বিদ্ধমান আছে অনেক বেশি পরিমানে পটাসিয়াম। এজন্য এই ফলটি বেশি খেলে আমদের দেহের কিডনির ক্ষতি হতে পারে।
পুরুষের খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
পুরুষের খেজুর খাওয়ার উপকারিতা হচ্ছে। প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরে বিদ্যমান থাকে ২৭৭ গ্রাম ক্যালরি শক্তি ,কার্বোহাইড্রেট ৭৫ গ্রাম, কপার আইরন
ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম ম্যাঙ্গানিজ ভিটামিন বি ৬ এবং অনেক বেশি পরিমাণে ফাইবার থাকে খেজুর হার্টের সমস্যা প্রতিরোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে রক্তে শর্করার মান নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম এতে থাকা ক্যালসিয়াম ও এন্টিঅক্সিডেন্ট পুরুষদের শারীরিক ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। পুরুষেরা যদি প্রতিদিন দুধের সাথে ভিজিয়ে চারটি করে খেজুর খাই
তাহলে তাদের বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় রোগ দূর হয়ে যাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে। মানসিক চাপ থেকে বেরিয়ে মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে খেজুর খাওয়ার ফলে প্রাণশক্তি বৃদ্ধি হয়ে মনোবল দৃঢ় তৈরি হয়। এর মধ্যে উপকারী উপাদান আছে প্রোটিন ক্যালসিয়াম খনিজ আয়রন পটাশিয়াম যেগুলো বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের পাওয়ার হাউস।
এটি খাওয়ার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় ত্বক চকচকে ও সুন্দর হয়ে ওঠে। বেশি বেশি খেজুর খেলে শরীরে বাধ্যকের ছাপ
পড়তে দেয় না। এজন্য পুরুষ মানুষের ত্বকের যত্নে খেজুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপকারী উপাদান এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন এর মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং রক্তে শর্করার মান নিয়ন্ত্রণ করে। পুরুষদের ক্ষেত্রে অনেক বেশি পরিমাণে তাদের শরীরে কোলেস্টেরল থাকার কারণে হার্টের সমস্যা সৃষ্টি হয়। সেজন্য রাতে খাবার পর ঘুমানোর আগে
খেজুরে বিদ্যমান আছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ যা খাদ্য পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ প্রতিরোধ করে। এতে থাকা পটাশিয়ামের কারণে হৃদরোগ প্রতিহত হয় এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।
খেজুরে থাকা ক্যালসিয়ামের কারণে পুরুষের শরীরের হাড় ও দাঁতের মাড়ি মজবুত ও সুরক্ষিত থাকে। প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় খেজুর রাখলে ক্লান্তি ভাব দূর হয়ে দ্রুত শক্তি উৎপাদন হবে শরীরে। প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটি খেজুর খেলে শরীরে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পাবে। কারণ এদের রয়েছে উচ্চ প্রোটিন। পুরুষের রুক্ষ ত্বকের সমস্যা দূর করতে খেজুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
খুরমা খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
খেজুরে অনেক প্রাকৃতিক শক্তির উৎস আছে। এটি অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি ফল। খুরমা খেজুর খাওয়ার উপকারিতা হল। খুরমা খেজুরে আছে পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ক্যালসিয়াম আয়রন ভিটামিন জিংক ও আঁশ। প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের শরীরে আয়রনের চাহিদার প্রায় ১১ ভাগ পূরণ করতে সাহায্য করে।
বিভিন্ন ধরনের পেটের অসুখের জন্য খেজুর মহৌ ঔষধ হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত ৩ থেকে ৪ টি করে খেজুর খাওয়া হলে শরীরে অনেক উপকারী উপাদান পাওয়া যাবে। পুষ্টিগুণের উৎস খুরমা খেজুর।নিয়মিত ডায়েটে রাখলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এজন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও পুষ্টিবিদরা নিয়মিত খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দেন।
- খেজুরে আছে অনেক বেশি পরিমাণে ভিটামিন বি যা নার্ভ কে স্বতঃস্ফূর্ত করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
- এতে রয়েছে ভিটামিন কে যা মানুষের হাঁড় এবং দাঁতকে মজবুত করতে সাহায্য করে।
- এ ফলটির বিশেষ গুণ হচ্ছে মস্তিষ্ককে সুস্থ রেখে প্রাণবন্ত করে তোলা। রোজগার ক্লান্তিময় শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে খুরমা খেজুর।
- এই খেজুরে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য উপাদান আছে যা হজম শক্তি ও পাকস্থলী শক্তি বৃদ্ধি করে এবং খাবার রুচি বাড়ায়। ও শরীরের রক্ত উৎপাদন করে।
- এই খেজুর নিয়মিত খেলে আমাদের দৃষ্টি শক্তি আর উন্নত হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং লাঞ্চ ক্যান্সার ও ক্যাভিটি ক্যান্সার থেকে শরীরকে রক্ষা ক।
- এই খেজুর খেলে পাতলা পায়খানা রোগ বন্ধ হয়এবং মহিলাদের শ্বেত প্রদর ও শিশুর রিকেট রোগ দূর করতে সাহায্য করে।
- খুরমা খেজুর খেলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমতে থাকে। এবং শরীরে গ্লুকোজের ঘাটতি পূরণ করে।
- গর্ভাবস্থায় নারীদের ৭ থেকে ৮ মাস বয়সের সময় খেজুর খেলে তাদের সন্তান প্রসবের সময় প্রসব বেদনা কম হয়।
শেষ কথা
খেজুরে আছে অনেক বেশি পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল যা মানব দেহের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে। এজন্য আমরা প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করব। কেননা খেজুর খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হলে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল ধ্বংস হয়ে ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায়। এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url