কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম-কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা


সম্মানিত পাঠক যখন ইচ্ছে তখন এটি খেতে পারবেন কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা। এটি একটি মসলা জাতীয় খাদ্য কিন্তু এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক বেশি এতে আছে ২১ শতাংশ আমিষ ও ৩৮ শতাংশ শর্করা এর স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কিত কিছু তথ্য নিচে পড়ুন।
কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিস
এটি মূলত মসলা অবদান হিসেবে ব্যবহৃত হয় সেজন্য এটি ভাজা করার পরে খাবারের সঙ্গে যুক্ত হয়। এটার স্বাস্থ্য উপকারিতা পেশাদার চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে এতে ১০০ টির ও বেশি প্রয়োজনীয় উপাদান বিদ্যমান আ।

ভূমিকা

কালোজিরা ও মধু মানবদেহে বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক ও প্রতিরোধোক হিসেবে হিসেবে কাজ করে এতে বিদ্যমান আছে নাইজেলুন, লিনোলীক অ্যাসিড, ওলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম আয়রন থাইমুকিনুন জিংক ফসফেট ভিটামিন এ ভিটামিন বি ভিটামিন সি ভিটামিন বি ২ ইত্যাদি আছে এ সম্পর্কে জানতে আরো পড়ুন।

কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম 

বহুকাল আগে থেকে প্রাচীন মানুষ বিভিন্ন রোগের জন্য প্রতিষেধক হিসেবে এটি কে ব্যবহার করে অনেকে এর নাম কালি হীরা দিয়েছেন এর বীজ থেকে এক ধরনের তেল তৈরি হয় এই তৈল মানব শরীরের জন্য অনেক উপকারী এতে আছে ফসফরাস আইরন ও ফসফেট ছোট বড় অনেক রোগের থেকে মানুষের শরীরকে রক্ষা করে থাকে এটা

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এই খাদ্যদ্রব্যটির অনেক প্রশংসা করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন কালোজিরাতে সকল ধরনের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা আছে। শুধুমাত্র (আস্সাম) ছাড়া এই আস্সাম কথার অর্থ মৃত্যু বিভিন্ন ধরনের রোগের জন্য এটার তেল অনেক উপকারী সেজন্য রাসূল সাঃ এর প্রিয় সাহাবায়ে কেরামগণ 

সব সময় এটা রাখতেন তাদের সঙ্গে আরেক হাদিস খালিদ ইবনে সাদ রাঃ হতে বর্ণিত যে রাসুল (সা.) এর জামানায় একদল সাহাবী যুদ্ধের অভিযানে বের হয়েছিল যাদের সঙ্গে ছিলেন গালিব ইবনে আফজার নামে একজন সাহাবী তিনি পথের মধ্যে অসুস্থ হয়ে যান তারাসবাই মদিনায় ফেরার পরও তিনি অসুস্থ থাকেন তাকে দেখতে আসেন ইবনে আবি আতিক। 

তিনি বলেন  তোমরা পাঁচ থেকে সাতটি কালোজিরা পিষে নিবে এর মধ্যে জয়তুনের তৈল কয়েক ফোটা দিয়ে এই ব্যক্তির নাকের ছিদ্রে কয়েক ফোটা ঢুকিয়ে দাও। তিনি বলেন মা আয়েশা রা. বলেছেন যে কালোজিরা সাম ব্যতীত সকল ধরনের রোগের মহা ঔষধ তিনি বলেন সাম কি উত্তরে মা আয়েশা (রা.) বলেন সাম মানে মৃত্যু।

কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

যে কোন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় কালোজিরাকে। এটার ভেষজ গুনাগুন নিয়ে অনেক গবেষণা করা হয় মিশরের একদল গবেষক ১৯৬০ সালে কালোজিরা কে নিয়ে গবেষণা করে পান যে এটাতে থাকা নাইজেল উপকরণের জন্য হাঁপানি রোগ নিরাময় হয় জার্মান গবেষক টিম বলেছেন এতে আছে এন্টি ব্যাক্টেরিয়াল ও এন্টি মাইক্রোটিক। 

এটি বোন ম্যারো এবং প্রতিরক্ষা কোষ গুলোকে উত্তেজিত করে এবং মানব শরীরে ইন্টারফেরুন তৈরি করে স্মরণ শক্তি বৃদ্ধিতে এটার ভূমিকা অপরিসীম নিয়মিত আধা চামচ কালোজিরা বা এক চামচ এটার তেল খেলে মানুষের মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা বেড়ে স্মৃতিশক্তি বাড়তে থাকে শরীরে কোন জায়গায় ব্যথা হলে এটি্র তেল অল্প গরম করে নিয়ে 

সেখানে মালিশ দিলে ব্যথা সেরে যাবে অনেক ভালো উপকার পাওয়া যায় বাতের ব্যথায় এট চিবিয়ে খেলে দাঁতের বিভিন্ন রোগ সেরে যায় মাড়ি ফুলে দাঁত ব্যথা ও দাঁতের গোড়া দিয়ে রক্ত পড়া রোগ প্রতিরোধ করে ডায়াবেটিস রোগীরা এটি চিবিয়ে খেয়ে এক গ্লাস পানি খেলে অনেক উপকার পাবেন সকালে খালি পেটে এই কাজটি করলে রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

সকালে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম

দু'রকম ভাবে এটা খাওয়া যায় কাঁচা চিবিয়ে এবং কিছুর মাধ্যমে পিষিয়ে বা ভর্তা করে খাওয়া যায় সকালে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম মহিলাদের বিভিন্ন রোগের সমস্যার সমাধানের গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ হিসেবে এটি কাজ করে গর্ভবতী মহিলাদের প্রসবের সময়ের ব্যথা কমানোর জন্য এবং গর্ভবতী মহিলার স্তনের দুগ্ধ বৃদ্ধির জন্য এর বাটা ভর্তা অনেক উপকারী 

রাত এবং দিনের মধ্যে সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর আপনাদের পেট পরিষ্কার থাকে আর এই পেট খালি অবস্থায় এটি খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায় মানব শরীরের অনেক ধরনের রোগ নিরাময় হয়ে যায়।

সকালে খালি পেটে মধু ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম

আয়ুর্বেদিক ইউনানী কবিরাজি চিকিৎসায় এটার ঔষধি গুন বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে থাকে সকালে খালি পেটে মধু ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম। ১০০ টিরও বেশি প্রয়োজনীয় উপাদান আছে এটার তেলে তারুণ্যতা ধরে রাখার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের লোকেরা অনেকদিন ধরে এটা খেয়ে আসছেন এতে আছে ২১ শতাংশ আমিষ

৩৫ শতাংশ তেল ও চর্বি ও ৩৮ শতাংশ শর্করা মানুষের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এটি প্রতিদিন কালো জিরা খাওয়ার ফলে দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সতেজ ও সুন্দর থাকে যা জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে রোগ প্রতিরোধ গড়ে তুলে মানব দেহকে সুন্দর করে তোলে এজন্য প্রতিদিন সকালে কালোজিরা ও মধু মিশিয়ে খাবেন 

কালোজিরা ও মধু নারী এবং পুরুষের দৈহিক শক্তি বাড়াতে কাজ করে জাদুর মত। নিয়মিত খাবারের সাথে এটি খেলে পুরুষের শুক্রানুর সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং মধু ও কালোজিরা বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তির সম্ভাবনা দ্বার তৈরি করে। কালোজিরা ও মধু খাওয়ালে শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি দ্রুত ঘটতে থাকে এটি শিশুর মস্তিষ্ককে সুস্থ রেখে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে অনেক সাহায্য করে ।

মধু কালোজিরা ও রসুন খাওয়ার উপকারিতা

মধুতে কালোজিরা এবং রসুন ভিজিয়ে রাখা একটি ঐতিহ্যবাহি খাদ্য অভ্যাস। রসুন এবং কালোজিরা উভয়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর বৈশিষ্ট্য আছে এবং মধুতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টি ভাইরাল বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায় ।

এই খাবারের মিশ্রণটি খেলে মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ হতে রক্ষা পাবে কালোজিরা এবং রসুন শ্বাস যন্ত্রের উপকারিতায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে রসুন ও কালোজিরার মধ্যে এন্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান আছে তা মানুষের শরীরে ফ্রি রেডিক্যাল ও অক্সিডেটিভ ট্রেস কে রক্ষা করতে সহায়তা করে। মধু কালোজিরা ও রসুন খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানলেন উপরে।

কালোজিরা মধু ও পানের উপকারিতা কি

কালোজিরা মধু ও পানের উপকারিতা কি কাঁচা পানের সঙ্গে কালোজিরা ও মধু খাওয়ার ফলে এটি মাদকদ্রব্য হিসেবে ধরা যাবে না বরং 

এটি এক গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য উপকারিতা মহা ঔষধ। মানব দেহের স্নায়বিক ক্লান্তি দুর্বলতা কাটানোর জন্য কয়েকটি পান পাতার রসে এক চামচ মধু ও কালোজিরা মিশিয়ে খেলে তা অনেক বড় রোগ নিরাময়ের ঔষধ হিসেবে কাজ করে।

লেখকের মন্তব্য

এটা খাওয়ার সঠিক কোন নিয়ম নাই আপনি যখন খাবেন তখনই হবে দুপুর ১২ টায় খেতে পারেন এবং রাত ১২ টায় ও খেতে পারেন গরম ভাতের সঙ্গে এটার ভর্তা খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে এবং খিচুড়ির সাথে ও এটার ভর্তা ভালো লাগে আমি নিজে খেয়েছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url