কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা-খেজুর ও কিসমিসের উপকারিতা


প্রিয় পাঠক কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা এবং খেজুর ও কিসমিসের উপকারিতা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো। নিয়মিত এটি খেলে মানসিক ও স্নায়বিক সমস্যা কেটে যায়। এর মধ্যে থাকা ফাইবার রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে বোরন যুক্ত মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট যা মানব দেহে হাড়ের গঠন সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ ক।

কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
এতে বিদ্যমান রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মানুষের শরীরের ভেতরে থাকা ফ্রি রেডিক্যাল ধ্বংস করে দেয় এবং ক্যান্সার বিরোধী কোষগুলো বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে পটাশিয়াম যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নিয়মিত এটা খাওয়া প্রয়োজন।

ভূমিকা

এতে বিদ্যমান রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান উচ্চ প্রোটিন ফাইবার খনিজ আয়রন যা শরীরের হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন বাড়িয়ে বিপাক তন্ত্র কে আরো উন্নত করে। প্রতিদিন এটা খেলে মানসিক অবসাদ ও স্নায়বিক দুর্বলতা কাটিয়ে মানুষের শরীর মন ও মেজাজকে স্বতঃস্ফূর্ত করে তোলে এ সম্পর্কে জানতে আরও পড়ুন।

কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

এটি অনেক স্বাস্থ্য গুনাগুন উপাদান সমৃদ্ধ খাবার শুকনো অবস্থায় বা ভেজানো পানি যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন কিসমিসের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। এটা ভিজিয়ে রেখে এর পানি পান করলে অনেক বেশি উপকারী উপাদান পাওয়া যায়। এটা সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখলে এতে থাকা পুষ্টিকর উপাদান খুব সহজেই পানির সাথে দ্রবণীয় হয় 

এবং সেই পানিটি খেলে এর মধ্যে থাকা গুনাগুন মানুষের শরীরে খুব সহজেই মিশে যায়। এজন্য প্রতিদিন সকালে ভেজানো কিসমিসের পানি খেলে অনেক উপকারী উপাদান পাওয়া যাবে। এটা মানুষের শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে রক্তে লাল কণিকার পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এসিডিটি ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থেকে মুক্তি মিলবে নিয়মিত এটা ভেজানো পানি খেলে 

এটি শুকনো খাওয়ার পরিবর্তে ভিজিয়ে খেলে অনেক বেশি উপকারী উপাদান মিলবে। এবং রক্ত পরিষ্কার রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে একজন ব্যক্তি প্রত্যেক সপ্তাহে প্রায় ৪ দিন এটা ভেজানো পানি খেলে তার পেট পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করবে এতে বিদ্যমান থাকা এনার্জি একজন মানুষকে সারাদিন প্রাণবন্ত করে রাখতে সাহায্য করে। 

এটা ভেজানো পানি খেলে উচ্চ রক্তচাপ ও হাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। হজমশক্তি বৃদ্ধিতে কিসমিস ভেজানো পানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

ভেজানো কিসমিস কিংবা এটা ভেজানো পানি প্রতিদিন খেলে আমাদের শরীর দূষণ মুক্ত হবে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এর মধ্যে অনেক বেশি পরিমাণে খনিজ ও ভিটামিন আছে যার ফলে হৃদক্রিয়া ভালো থাকে 

এতে ক্যালসিয়াম এবং বোরন এর মাত্রা থাকার কারণে দাঁত ও হাড়ের সুস্থতায় কাজ করে এতে বিদ্যমান থাকা ফলিক অ্যাসিড, আইরন ও ভিটামিন বি ১২ উপাদানগুলি থাকার কারণে মানুষের শরীরে রক্তস্বল্পতা রোগ প্রতিরোধ করে।

খেজুর ও কিসমিসের উপকারিতা

খেজুরে রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে শক্তি, মিনারেল, ভিটামিন, শর্করা ও অ্যামাইনো এসিড রমজান মাসে রোজা রাখার ফলে আমাদের শরীর অনেক সময় ধরে না খেয়ে থাকার ফলে গ্লুকোজের ঘাটতি তৈরি হয়। আর এই ঘাটতি পূরণে খেজুর ও কিসমিস এর উপকার অনেক বেশি। ৩০ দিন রোজা রাখার পর শরীর অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়ে আর এই ক্লান্তি ভাব দূর করতে কিসমিস ও 

খেজুরের গুরুত্ব অনেক বেশি। যেসব ব্যক্তিদের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অনেক কম তাদের প্রতিদিন খেজুর খেতে হবে কারণ এতে আছে অনেক বেশি পরিমাণে মিনারেল ও আয়রন যা রক্তশূন্যতা রোগ প্রতিরোধ করে খেজুরের বিদ্যমান আছে পটাশিয়াম ঋদরোগ ওই স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট কিসমিস ভেজানো পানি খেলে 

মহিলাদের রক্তস্বল্পতা রোগ দূর হয়। কিসমিস ও খেজুরের মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে রক্তে এসিডিটির মাত্রা কমে যায়। শরীর ও মনকে চাঙ্গা রাখতে কিসমিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে খেজুর ও কিসমিস প্রতিদিন খাওয়া যায় তাহলে মানব দেহের ভিতরে অনেক উপকারী উপাদান বৃদ্ধি পেতে থাকে 

এবং দৃষ্টিশক্তি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বিভিন্ন চোখের রোগ সহ রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। আর এই উপাদান গুলি মানব শরীরের প্রবেশ করলে মস্তিষ্কের কোষের ক্ষমতা অনেক দ্রুত বৃদ্ধি করে তোলে এবং ব্রেন সুস্থ ও সতেজ করে রাখে। এজন্য ব্রেনের বিকাশ ও 

বুদ্ধিমান হতে চাইলে নিয়মিত দুই থেকে তিনটা করে কিসমিস ও খেজুর খেতে হবে। কিসমিসের মধ্যে বিদ্যমান আছে অনেক বেশি পরিমাণে আয়রন যা মানব শরীরে প্রবেশ করলে লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এবং রক্তস্বল্পতা রোগ দূর হয়। মহিলাদের মধ্যে অ্যানিমিয়া রোগ অনেক দ্রুত বাড়ছে। সেজন্য প্রতিদিন কিসমিস খেলে এই রোগটি প্রতিরোধ হবে।

শুকনো কিসমিসের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন  

এটা খাওয়া যায় অনেক ভাবে। শুকনো কিসমিসের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন। মূলত আঙ্গুর ফলের রঙের অনুযায়ী এটার রং হয় খেজুরের মত শুকনো একটি ফল এটি । 

আঙ্গুর কে রোদে শুকিয়ে এটা তৈরি করা হয় বা মেশিনের মাধ্যমে পানি শুকিয়ে এটি তৈরি করা হয়। রক্ত বর্ণের আঙ্গুর থেকে রক্ত বর্ণের কিসমিস এবং কালো আঙ্গুর থেকে কালো রঙের কিসমিস তৈরি হয়।
  • এতে বিদ্যমান থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার প্রদাহ প্রতিরোধকারী প্রধান উপাদান ফাইটোকেমিক্যাল থাকে যা রক্তে লিপিড ফ্যাট ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
  • এর মধ্যে থাকা কপার ভিটামিন বি জিংক ও আয়রন উপাদান গুলি মানবদেহে রক্ত কণিকা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং রক্তে নতুন নতুন কোষ তৈরি করে ও রক্তস্বল্পতা রোগ দূর করে।
  • এতে রয়েছে পলিফেনল ও কেটোসিন যুক্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মানব দেহের ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষগুলোকে ধ্বংস করে ক্যান্সার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
  • এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ভিটামিন ও এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে মানুষের ব্রেনের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এতে থাকা বোরনের কারণে মানুষের শারীরিক স্নায়বিক দুর্বলতা কেটে ব্রেনের সুস্থ ও স্বাভাবিক কার্যক্রম বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  • এতে ফাইবার থাকার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর করতে সাহায্য করে। অন্ত্র পরিষ্কার করে এবং মল ত্যাগ হয় স্বাভাবিকভাবে।
  • অনেক বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা হাড় ও দাঁতের সুস্থতায় কাজ করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম থাকার কারণে হাড়ের ক্ষয় রোধ রোগ প্রতিরোধ করে।
  • ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের ইনসুলিনের অসামঞ্জস্যতা দূর করতে ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে এটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন পালন ক।
  • সর্দি জ্বর ও কাশি হলে বা দেহের কোথাও ক্ষত হলে খুব দ্রুত খুব দ্রুত সুস্থ করে তুলতে সাহায্য করে এটা । এতে প্রদাহের মোকাবেলা করার উপাদান আছে।
  • এটার অবদান মানবদেহে শক্তি যোগাতে অনেক বেশি।
  • এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এটি অন্ধত্ব প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এটি খেলে মানুষের শরীরে বয়সের ভার বোঝা যায় না এবং চোখে ছানি পড়া ও দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়া থেকে রক্ষা করে।
  • মানবদেহে রক্তের মধ্যে অতিরিক্ত এসিডিটি টক্সিটিটি (বিষ উপাদান) থাকলে চর্মরোগ হৃদরোগ বাত ও ক্যান্সার হতে পারে। এটা খাওয়ার ফলে রক্ত অতিরিক্ত অ্যাসিডিটির মাত্রা কমে যায়।
  • এর মধ্যে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও আন্টিইনফেম্টরি এবং পলিফেনালস উপাদান যা শরীরে ঘা ও ক্ষতোর মতো ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি কমায়।

অপকারিতা 

  • ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা অনেক বেশি পরিমাণে এটি খাবেন না ডায়াবেটিস এর মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পা।
  • স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতন মানুষদের খুব বেশি পরিমাণে এটা খাওয়া ঠিক না। এটি বেশি খেলে ওজন বাড়তে পারে।
  •  খুব বেশি পরিমাণে এটা খেলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়ে বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি হতে পারে।
  • এতে অনেক বেশি পরিমাণ ক্যালোরি থাকে যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ ও কার্ডিওভাসকুলার রোগের সৃষ্টি করে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি থাকে এজন্য এটা খাওয়ার পর দাঁত ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে দাঁতে পোকা লাগতে পারে এবং দাঁতের গহবর সমস্যার সৃষ্টি হতে পা।
  • এতে আছে উচ্চ শর্করা আর উচ্চ শর্করা শরীরে প্রবেশ করলে শরীরে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে এটি খেলে গ্যাস্ট্রো ইনটেস্টটাইনাল সমস্যার সৃষ্টি হয়ে পেট ফাঁপা পেট ব্যাথা ও পেটে গ্যাস ইত্যাদি রোগ হতে পা।
  • এর মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম অক্সালেট আমাদের শরীরে কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে।
  • যেসব ব্যক্তিদের কিডনি জনিত সমস্যা আছে তাদেরকে এটি বর্জন করতে হবে কেননা এতে আছে পটাশিয়াম। আর পটাশিয়াম বেড়ে গেলে কিডনির অনেক ক্ষতি হ।
  • এর মধ্যে থাকা ফাইবার অনেক মানুষের জন্য উপকারি হলেও অতিরিক্ত পরিমাণে ফাইবার গ্রহণের ফলে কিছু কিছু মানুষের বদহজম অস্বস্তি হতে পারে।

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

এটা মানবদের জন্য অত্যন্ত উপকারী উপাদান। কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা হল এটি খাওয়ার পরে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি হয় এবং চুল ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। 
  • এতে থাকা পটাশিয়াম উচ্চ ব্লাড প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার প্রাকৃতিক পদ্ধতি গুলির মধ্যে এটি এক।
  • প্রতিদিন এটা খাওয়ার ফলে নিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর হয়। পেটের সমস্যা থাকলে প্রতিদিন খালি পেটে এটা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর হয়ে যাবে।
  • চারিদিকে দূষণযুক্ত পরিবেশে থাকতে থাকতে মানব শরীরে যখন বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয় তখন প্রতিদিন এটি খেলে শরীর থেকে এই বিষক্রিয়া ধ্বংস হয়ে যায়।
  • সকালে খালি পেটে এটি খেলে আমাদের শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পেতে থাকে। এতে উচ্চ ফাইবার থাকার কারণে হার্টের জন্য অনেক উপকারী। এর মধ্যে থাকা কম্পাউন্ড হার্ট রোগের ঝুঁকি কমিয়ে ও কোলেস্টরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।

ও অপকারিতা

  • যেসব ব্যক্তি শরীরে অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান তাদের এটি না খাওয়াই ভালো কারণ এটা খেলে শরীরে ওজন বেড়ে যায়।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে এটা খেলে খাবার খাওয়ার পর হজমে বিঘ্ন ঘট।
  • ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের অনেক বেশি পরিমাণে এটি খাওয়া ঠিক না। এটি বেশি খেলে ডায়াবেটিস বেড়ে যাবে।
  • একটু বেশি পরিমাণে খেলে এসিডিটি সমস্যা সৃষ্টি হতে পা।
  • কিডনি সমস্যা যাদের আছে তাদের এটা না খাওয়ায় কারণ এতে রয়েছে পটাশিয়াম । অতিরিক্ত পটাশিয়াম কিডনির জন্য হুমকি স্বরূপ।
  • এটি শুকনো করে রাখতে সালফাইট এর ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অনেক মানুষের ক্ষেত্রে এই সালফাইট এলার্জির কারণ হতে পারে এজন্য এলার্জি জনিত রোগীদের এটা না খাওয়াই ভালো।
  • খুব বেশি পরিমাণে এটি খেলে গ্যাস্ট্রো ইনটেস্টটাইনাল সমস্যার সৃষ্টি হয়ে পেট ব্যাথা পেট ফাঁপা ও গ্যাস সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

সকালে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

এটা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী এতে আছে ভিটামিন ও মিনারেল। যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে সকালে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা সমূহ
  • এতে রয়েছে ফলিক অ্যাসিড ভিটামিন বি১২ ও আয়রন যা রক্তস্বল্পতা দূর করতে সহায়তা করে।
  • এতে বিদ্যমান আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদান ত্বকের ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ক।
  • সারারাত ধরে এটি ভিজিয়ে রেখে সকাল বেলা খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর হয়ে যায়।
  • অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য এটা ভিজিয়ে রেখে দিলে বেঁচে থাকা ফাইবারের পরিমাণ অনেক গুণ বেড়ে যায়। যার জন্য হজম শক্তি খাবারের পরিমাণ কমতে থাকে। এতে করে দ্রুত ওজন কমতে থা।
  • এটি সারারাত ভিজিয়ে রেখে দিলে এর মধ্যে থাকা ফাইবার পানির সাথে খুব দ্রুত দ্রবীভূত হয় আর এই পুষ্টি উপাদান খুব দ্রুত শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে যার ফলে শরীরের শক্তি বেড়ে যায় এবং ক্লান্তি ভাব দূর হয়ে যায়।

রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়

এটা খেলে মানব শরীরে পরিপাকতন্ত্র খুব ভালোভাবে কাজ করে শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য পদার্থ ও ময়লা বের করে দেয় মলের সাথে অনেক বেশি পরিমাণে বর্জ্য পদার্থ বের হয়ে যায় এর ফলে শরীর বিষক্রিয়া মুক্ত থাকে।  রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয় এ সম্পর্কে জানতে নিম্নে পড়ুন। যেসব ব্যক্তিদের অ্যাসিডিটি সমস্যা আছে এবং 

রাতে ঘুম ধরে না সেসব ব্যক্তিদের জন্য এটা খাওয়া অনেক জরুরী রাতে ঘুমানোর আগে। এটি খেলে মানুষের শরীরে ফ্লোটেরট্রিপ টু ফ্যান ও মুলাতুনিন এর পরিমাণ বেড়ে গিয়ে ঘুমের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি করে এবং স্নায়ুকে সুস্থতা করে তুলে। রাতে ঘুমানোর আগে গরম দুধের সঙ্গে কিসমিস খেলে শরীরে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধি পায় ফলে হাড়ের ঘনত্ব খনিজ চলাচলের পথ সুগম করে এবং 

হাড় কে শক্তিশালী করে তোলে। অনেক বেশি পরিমাণে লবণ খেলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় লবণের মধ্যে থাকা সোডিয়াম রক্তনালীর সাথে শরীরের প্রদাহ বাড়াতে কাজ করে থাকে। এটি শরীরের সোডিয়াম শোষণ করে এবং আধিক্য কমাতে সাহায্য করে এর মধ্যে পটাশিয়াম থাকে যা শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখে এর ফলে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয় এবং হার্টের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা মিলে।

লেখকের শেষ কথা

এটা খেলে যেসব উপকারিতা পাবেন সে সম্পর্কে উপরে আলোচনা করা হয়েছে এজন্য নিয়মিত এটি খেলে আমাদের শরীরের নানান ধরনের জটিল ও কঠিন রোগ প্রতিরোধ হয়। যাদের সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয় এবং উঠার পরে গাঁ ব্যাঁথা করে তাদের প্রতিদিন এটা খাওয়া প্রয়োজন। এটি খেলে এই সমস্যাটি দূর হয়ে যাবে।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url