স্ট্রবেরি খাওয়ার ১৫টি উপকারিতা-গর্ভাবস্থায় স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা


সম্মানিত পাঠক স্ট্রবেরির ইংরেজি নাম ফ্রাগাইরা। স্ট্রবেরি খাওয়ার ১৫টি উপকারিতা ও গর্ভাবস্থায় স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা । এই ফলটির রূপে যেমন মানুষকে আকৃষ্ট করে স্বাদেও ঠিক তেমনি সুস্বাদু । অধিক ফলনশীল এই ফলটি জুস জ্যাম ও আইসক্রিম হিসেবে তৈরি করে খাওয়া যায়।
স্ট্রবেরি খাওয়ার ১৫টি উপকারিতা
প্রাচীন রোম জনগোষ্ঠীরা এই ফলটিকে ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করত। বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী আমাদের শরীর ভালো রাখতে নিয়মিত ফ্রুটস খাওয়া দরকার। কেননা ফলমূলে আছে ছোট বড় অনেক রোগ প্রতিরোধের ক্ষম। এজন্য আমরা প্রতিদিন খাবারের তালিকায় এইফল রাখবো।

ভূমিকা 

এইফলে বিদ্যমান আছে অনেক বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পটাশিয়াম ফাইবার প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম এজন্য নিয়মিত এই ফল খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আমাদের আশেপাশে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামন দিন দিন বেড়েই চলেছে আর এইসব সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে বেশি বেশি ছত্রাক নাশক ফলমূল খেতে হবে যার মধ্যে একটি স্ট্রবেরি এর সম্পর্কে নিচে আরো পড়ুন।

স্ট্রবেরি খাওয়ার ১৫টি উপকারিতা

এইফল দেখতে অনেক সুন্দর। খেতে অনেক সুস্বাদু সুমিষ্ট। এই ফল খাওয়ার ১৫টি উপকারী উপাদান হল। দেখতে অনেক সুন্দর লাল চকচকে এই ফলটি দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে। এই ফলে ক্যালরির মাত্রা অনেকাংশেই কম। তবে এর পুষ্টিকর উপাদান অনেক বেশি।
  • এই ফলে আছে অনেক বেশি মাত্রায় পটাশিয়াম ম্যাঙ্গানিজ ও ভিটামিন সি। পুরো একটি কমলার সমপরিমাণ ভিটামিন সি থাকে মাত্র ৮ টি স্ট্রবেরিতে। যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • ফলটি খেলে আমাদের শরীরের খারাপ চর্বি এল ডি এল ধীরে ধীরে কমতে থাকে ।
  • এইফলে সোডিয়াম এর পরিমাণ অনেক কম যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
  • এই ফলটিতে রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে পানি। এতে কার্বোহাইড্রেট মাত্রা অনেক কম থাকে  আপনারা প্রতিদিন এইফল খেতে পারবেন।
  • এই ফলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্লান্ট কম্পাউন্ড যা আপনার রক্তের শর্করার আর উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এবং ফ্রী রেডিক্যালস বাড়াতে দেয় না।  ফ্রিরেডিক্যালস স্বাভাবিক থাকলে ক্যান্সার রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
  • এই ফলের বীজ ছোট ছোট কিন্তু এর মধ্যে থাকে ফ্যাটি আসিড ওমেগা থ্রি যা আমাদের হার্ট সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
  • এই ফলে অনেক বেশি বিদ্যমান আছে ফসফরাস ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ এবং ভিটামিন এ ও সি আপনি প্রতিদিন তিন থেকে চারটি স্ট্রবেরি খেলেই আপনার শরীরে ভিটামিন সি বৃদ্ধি পেতে থাকব।
  • এই ফলে রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে ফাইবার যেটি আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়াবেটিস রোগ দূর করতে সাহায্য করে
  • এই ফলটিতে ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আছে অনেক বেশি ।
  • এইফল খেলে অতিরিক্ত ওজন কমাতে সহায়তা করে ।
  • এই ফলে আছে প্রোটিন এজন্য এটি খেলে অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা রোধ হয় ।
  • এই ফল খেলে আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় ।
  • এই ফলে বিদ্যমান রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট অনেক বেশি পরিমাণে। পলিফেনোল জাতীয় এনটিঅক্সিডেন্ট অনেক বেশি মাত্রায় থাকে।
  • সকালের নাস্তা তৈরি করতে আমরা অনেকেই বিরক্ত বোধ করি। আমরা যদি সকালের খাদ্য তালিকায় এইফল রাখি তাহলে আমার আমাদের সকালের ক্ষুধা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে ।
  • এই ফলটিতে কোন ধরনের ফ্যাট নাই সেজন্য এটি খেলে আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ কমতে থাকে। ফ্যাট বিহীন খাদ্য আমাদের শরীরে সুস্থ রাখার জন্য অনেক উপকারী এবং এতে কোন কোলেস্টেরল নাই।

গর্ভাবস্থায় স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা

এই ফল ছোট থেকে বড় সবাই খেতে অনেক পছন্দ করে এর ফল খেতে অনেক সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি এর পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ উপাদান অনেক বেশি। একদল গবেষক মতামত দিয়েছেন যে গর্ভাবস্থায় আপনারা এই ফল খেতে পারবেন না। এই ফলটি খাওয়ার ফলে এলার্জি হতে পারে এবং এই ফলটি খেলে শিশুর স্বাস্থ্য বিকাশে ক্ষতি করতে পারে। 

তবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী গর্ভাবস্থায় এই ফল খাওয়া যাবে। গর্ভবতী নারীদের জন্য এই ফল ক্ষতির কারণও হতে পারে আবার নিয়ম মেনে খেলে স্বাস্থ্য উপকারিতায় আসতে পারে। এই সময়ে মিষ্টি জাতীয় কিছু খাবার ইচ্ছে করলে। আপনি সালাদের সাথে টক মিষ্টি স্বাদের সুস্বাদু এই ফলটি খেতে পারেন এই ফলটি মৌসুমীয়ও ফল 

এজন্য এ ফলের মৌসুম আসলে ফলটি পরিপক্কতা পায় আর সেই সময়টাতে এই ফল বেশি বেশি খাওয়া প্রয়োজন। অনেক গবেষণায় জানা গেছে এই ফলে বেশ কিছু উপকারী উপাদান আছে যা আমাদের দেহের বাজে কোলেস্টেরল কমাতে ও ধমনীর প্লাক হ্রাস করতে সাহায্য করে। এই ফলে বিদ্যমান রয়েছে ভিটামিন সি যা খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় 

এবং বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ হতে রক্ষা করে। আপনার শরীরে যদি এলার্জি ঠিক কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে গর্ভকালীন সময়ে এই ফলটি না খাওয়াই ভালো। তবে প্রেগনেন্সির সময় আপনারা নিয়ম নীতি মেনে 

এই ফলটি খেতে পারবেন যদি খাবার ইচ্ছা দৃঢ় থাকে। দুধ বা দুগ্ধ জাত পণ্যের সাথে ফলটি খাওয়া অনেক ভালো এভাবে খেলে আপনার শরীরে অনেক উপকারী উপাদান পাবেন যা আপনার এবং শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজে দেবে।

স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি

ইউরোপ মহাদেশের দেশ ইতালির রোমে এইফল প্রথম হয় । স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি।  দুর্দান্ত স্বাদ এই ফলের। ফ্রান্স দেশে এই ফলটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই ফলের উপকারিতা হল। 

লাল টুকটুকে ফলটি দেখে লোভ সামলানো দায়। ফলটিতে ক্যালোরি অনেক কম থাকে। তবে এর পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। ফলটিতে বিদ্যমান থাকে অনেক বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এই ফলটি খাওয়া যায় অনেক ভাবে সালাদে দইয়ের সঙ্গে সালসা এবং জুস তৈরি করে।
  • এই ফলে ক্যালরি অনেক কম থাকে এজন্য অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য এই ফলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এতে ফাইবার থাকার কারণে আমাদের পেট দীর্ঘ সময় ধরে ভরা থাকতে সক্ষম হয়
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খব ভালো ভূমিকা পালন করে এই ফল । এর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে
  • এই ফল আমাদের মনকে মানসিক চাপ থেকে দূরে রাখে।
  • এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের শরীরে হাড়ের সুস্থতায় ও হাড় কে শক্তিশালী করে তুলে
  • এই ফলে রয়েছে এফ্রোডিশিয়াক নামক একটি হরমোন যা পুরুষের উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • এই ফলে বিদ্যমান রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর পাশাপাশি ফ্ল্যাভোনোয়েড। যা চোখের ছানি পড়া রোগ রোধ করে এবং দৃষ্টিশক্তি আরো ভালো করে তুলে ।
  • এইফলে অল্প পরিমাণে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকে সেজন্য এটি আমাদের শরীরের রক্তের শর্করার মান নিয়ন্ত্রণ করে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর জন্য এই ফল খাওয়া ভীষণ উপকারী।

অপকারিতা

  • এই ফলে বিদ্যমান রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে ফাইবার সেজন্য এই ফলটি বেশি খেলে ডায়রিয়া গ্যাস অম্বল বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে ।
  • মাত্রাতিরিক্ত ভাবে এ ফলটি খেলে আমাদের শরীরের পেশি ক্র্যাম্প হতে পারে ।
  • যাদের এলার্জি জনিত সমস্যা আছে তাদের এ ফল না খাওয়াই ভালো। কেননা এই ফলটি খেলে এলার্জি বেড়ে যাবে। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায়ী নারীরা সাবধানতা অবলম্বন করে ফলটি খাবেন।
  • এই ফলে প্রাকৃতিক এসিড ও শর্করা রয়েছে এজন্য অনেক বেশি পরিমাণে এই ফলটি খাওয়ার পর সঠিকভাবে মুখ পরিষ্কার না করা হলে দাঁতের ক্ষয় সহ বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি হতে পারে ।
  • এই ফলে রয়েছে কিছু প্রাকৃতিক যৌগ যেমন অ্যাসপিরিন ও স্যালিসিলেট যা বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ওষুধের সাথে মিতষ্ক্রিয়া হতে পারে। কিছু কিছু মানুষের শরীরে স্যালিসিলেটের সংবেদনশীলতা থাকার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ক্রমে এই ফলটি খেতে হবে।

স্ট্রবেরির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

স্ট্রবেরির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। ফলটি অনেক পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর এতে রয়েছে ফলিক অ্যাসিড ভিটামিন এ সি ই ক্যালসিয়াম সালোনিয়াম 

ফেরালিক কুমারিক অ্যাসিড পলিফেনাল জ্যান্তোমাইসিন কুইয়েরসিটিন এবং ফাইটোস্টেরোল। এছাড়াও এতে বিদ্যমান আছে স্নেহ ০.৩ গ্রাম শক্তি ৩৩ ক্যালোরি চিনি ৪.৮৯ গ্রাম শর্করা ৭.৬৮ গ্রাম প্রোটিন ০. ৬৭ গ্রাম বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ক্যালসিয়াম ১৬ মিলিগ্রাম লৌহ ০.৪১ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম ১৫৪ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম ১৩ মিলিগ্রাম 

সোডিয়াম এক মিলিগ্রাম জিংক ০.১ ৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ৫৮.৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন কে ২.২ মিলিগ্রাম পানি ৯০.৯৫ গ্রাম ফসফরাস ২৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি ৬ ০. ০৪৭ মিলিগ্রাম স্নেহ ০.৩ গ্রাম খাদ্য আঁশ ২ গ্রাম ভিটামিন ই ০.২৯ মিলিগ্রাম ।
  • এই ফলে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ কমে ও আমাদের শরীরের রক্ত প্রবাহ সঠিকভাবে সঞ্চালন করে। সবকটি কোষ কে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
  • এই ফলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায় এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগ প্রতিহত করে।
  • এইফলে আছে এলার্জিক অ্যাসিড আলফা হাইড্রোক্সাই অ্যাসিড সেলিসিলিক অ্যাসিড উপাদান যেটি আমাদের হাইপার পিগমেন্টেশন কমিয়ে ত্বকের ব্রণ ও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ত্বকের মৃত চামড়া কে সতেজ করে তুলে।
  • এই ফলে থাকা ফাইটোকেমিক্যালস উপাদান যা আমাদের চোখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রোগ প্রতিরোধ করে এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি আরো উন্নত করে ।
  • ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য এইফল কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এর মধ্যে থাকা গ্লাইএসামিক ইনডেক্স ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে ।
  • এই ফলটিতে বিদ্যমান রয়েছে এডিপনেটিটিন ও লেপটিনের মত উপাদান। যা আমাদের শরীরে চর্বি কমাতে সাহায্য করে এবং ক্ষুধা ও গ্লুকোজ হ্রাস করিয়ে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে ।
  • এ ফলটিতে আছে ভিটামিন সি আয়োডিন ও ফাইটোকেমিক্যাল। এজন্য এই ফলটি খেলে আমাদের স্নায়ুতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করে এবং মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে ।

স্ট্রবেরি খাওয়ার সেরা ১০টি নিয়ম

এই ফলে অনেক পুষ্টি উওপাদান বিদ্যমান থাকে । আমরা বাজারের বিভিন্ন ধরনের খাবারের উপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি অধিক মসলা দিয়ে তৈরি সুস্বাদু এই খাবারগুলো খেয়ে আমাদের অনেক ক্ষতি হতে পারি। কিন্তু এই এইফলে যে অনেক উপকারী উপাদান আছে তা আমরা অনেকে জানিনা। এজন্য 

বিশেষজ্ঞরা প্রায় সব সময় ফল খাওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করে থাকেন। ফলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন মিনারেলস অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও খনিজের মতো উপকারী উপাদান। স্ট্রবেরি খাওয়ার সেরা ১০টি নিয়ম হল ।
  • এই ফল আপনারা বিভিন্ন ধরনের খাবারের সাথে বা খাবার তৈরি করে খেতে পারেন ।
  • আপনি খুব সহজেই স্ট্রবের দিয়ে মাফিন্স তৈরি করে খেতে পারেন ।
  • এই ফলকে ওটস এর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায় ।
  • এই ফলটিকে ব্লেন্ড করে খাওয়া যায় ।
  • এই ফলকে স্মোদি করে খাওয়া যায় ।
  • এই ফলটিকে আমরা সকালের নাস্তা জ্যাম হিসেবে খেতে পারি । 
  • এই ফলকে জেলি হিসেবেও খাওয়া যায় ।
  • এই ফলটিকে রান্না করে খাওয়া যায় এবং ফল হিসেবেও খাওয়া যায়।
  • পুরো এক কাপ স্ট্রবেরিতে মাত্র ৫০ ক্যালোরি থাকে।

স্ট্রবেরি ফল খাওয়ার গোপন ১০ টি উপকারিতা

দেখতে লাল টুকটুকে এই ফল খেতে অনেক সুস্বাদু এর মধ্যে রয়েছে উপকারী সব পুষ্টিগুণ। স্ট্রবেরি ফল খাওয়ার গোপন ১০ টি উপকারিতা হলো এই ফলে রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে খনিজ ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পটাশিয়াম ও প্রোটিন এর মত উপাদান । 
  • এই ফলে অনেক বেশি পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম থাকার কারণে আমাদের শরীরে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে ।
  • এই ফলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা খেলে আমাদের শরীরের ত্বকের তারুণ্যতা ধরে রেখে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ।
  • প্রতিদিন সুস্বাদু ফলটি খেলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে ।
  • এই ফলে রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট ফলিক এসিড ও অভিটামিন সি। সেজন্য এই ফলটি খেলে মানব শরীরে কোন ধরনের টিউমার সৃষ্টি হতে পারে না। এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে ।
  • অনেক গবেষণা থেকে জানা যায় এই ফলে অনেক বেশি পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আছে যা আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল ধ্বংস করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
  • এর ফলে রয়েছে পটাশিয়াম ভিটামিন সি কে ও ম্যাঙ্গানিজ এজন্য এই ফলটি খেলে আমাদের শরীরের হাড় সুস্থ ও আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
  • এই ফলটি খেলে চোখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া চোখে ছানি পড়া ডিজাইনারেশন চোখ শুকিয়ে যাওয়া ও মাসকুলার রোগের সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে ।
  • এইফলে অনেক বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি আছে যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা জ্বর সর্দি কাশি সারাতে ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।

লেখকের মন্তব্য

ইউরোপের দেশ ইতালিতে এর উৎপত্তি হলেও এখন আমাদের বাংলাদেশেও অনেক বেশি পরিমাণে এই ফলের চাষাবাদ হচ্ছে। এই ফলটি দেখতে অনেক সুন্দর টক মিষ্টি স্বাদে সুস্বাদু। তবে আমরা একটি বিষয় লক্ষ্য রাখবো যে খুব বেশি পরিমাণে যেন এই ফলটি না খায় অনেক বেশি মাত্রায় ফলটি খেলে বিভিন্ন ধরনের রোগের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url