দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণ-ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে জানুন
প্রিয় পাঠক দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণ ও ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে জানুন। আমাদের সবার দেহের মধ্যে ক্যান্সার কোষ রয়েছে । আমাদের শরীরে ইমিউনিটি সিস্টেম তৈরি করতে ক্যান্সার কোষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ক্যান্সার কোষ থেকে আমাদের শরীরের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন পাওয়া যায় যা আমাদের দেহের অভ্যন্তরে বিভিন্ন অংশে ব্যবহার হয়ে থাকে এটিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা অটোফেজি বলে।
ভূমিকা
আমাদের জীবনকালের কোন না কোন সময় অটোফেজি বন্ধ হয়ে যায়। যেটির কারণে আমাদের শরীরে ক্যান্সার কোষ দ্রুত বৃদ্ধি হতে থাকে এবং ধীরে ধীরে তা টিউমারে রূপান্তরিত হয় যেটির মাধ্যমে ক্যান্সার সৃষ্টি হয়। যেসব ব্যক্তি অনেক বেশি মাত্রায় ধূমপান মধ্যপান তামাক জর্দা গুল এসব খান তাদের খুব দ্রুত ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয় এ সম্পর্কে জানতে নিচে আরও পড়ুন।
দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণ
আমাদের দাঁতের মাড়িতে ঘাঁ এবং ব্যাঁথা হলে আমরা খুব একটা পাত্তা দেয় না । এই সমস্যাগুলো হলে অল্প একটু যত্ন নিলেই সেরে যায়। তবে এই সমস্যাকে হালকাভাবে নিলে গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে মুখের মধ্যে ঘাঁ ও দাঁতের মাড়িতে ব্যঁথা অনুভূত হলে এটা ক্যান্সার রোগের পূর্বভাস হিসেবে ধরা যায়। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায় আমাদের মাথা থেকে
আরও পড়ুনঃ ডায়াবেটিস হলে মানুষ কতদিন বাঁচে
গলার মধ্যকার বিভিন্ন অংশে যেমন কণ্ঠনালী বা দাঁতের মাড়ি মুখ নাঁকের গর্ত লালা গ্রন্থি এসব স্থান গুলোতে সাইনাস ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা খুব একটা কম নয়। আমেরিকান সোসাইটি ফর ক্লিনিকাল অনকোলজির তথ্য মতে সারা বিশ্বে ৩ লক্ষ ৫৫ হাজার মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে যার মধ্যে ১ লক্ষ ৭৭ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছেন।
এখানকার বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন যে এই রোগটি প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত করা গেলে খুব দ্রুত এটা নিরাময় করা যায়। আমাদের মুখে বা দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সার হওয়ার মূল কারণ হিসেবে ধরা যায় তামাক সেবন। যেমন গুল জর্দা সিগারেট চুরুট ইত্যাদি খাওয়ার ফলে। এবং অ্যালকোহল বা মদ্যপান করলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে
আরও পড়ুনঃ কিডনী রোগের লক্ষন কি
এবং অনেক গবেষণায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে নারীদের থেকে পুরুষের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
- বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণের মতে আমাদের মুখের গব্বরের ও মুখে ক্যান্সার রোগের লক্ষণ হিসেবে প্রথমেই খেয়াল রাখতে হবে যে অস্বাভাবিকভাবে মুখের অভ্যন্তরীণ কোন জায়গা ভুলে যাচ্ছে নাকি।
- আমাদের মুখের ভেতরের কোন অংশতে ছোট পিন্ডোর মত কোন কিছু বের হলে এবং সেটি রং সাদা বা লাল হওয়া কিংবা রং পরিবর্তন হয়ে যাওয়াকে মুখোপাধ্যায়ের ক্যান্সার এর প্রধান লক্ষণ হিসেবে ধরা যায়।
- আমাদের দাঁতের মাড়ির কোন অংশে অস্বাভাবিকভাবে ভুলে যাওয়া রক্তক্ষরণ হওয়া ও দাঁতের মাড়ি নিচের দিকে দেবে যাওয়াকে এ রোগের প্রধান লক্ষণ হিসেবে ধরা যায়।
- এই ক্যান্সারে প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যঁথা অনেক কম থাকে সময়ের সাথে সাথে ঘাঁ বেড়ে গেলে মুখের মধ্যে অস্বাভাবিক রকম ভাবে লালা তৈরি হয় মুখ বড় করে হা করা যায় না এবং মুখের ভেতরে জিহ্বা নাড়াচাড়া করতে ভীষণ কষ্ট হয়।
- পুরো মুখ গলা ও ঠোঁট মাঝে মাঝে অবশ হয়ে যেতে পারে দাঁতের মাড়িতে প্রচন্ড ব্যাথা দাঁত পড়ে যাওয়া অবশ হয়ে যাওয়া ও কানে অনেক ব্যাথা সৃষ্টি হওয়া এছাড়াও ওজন অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে অনেক পরিমাণে কমে যাওয়া এই ক্যান্সারের লক্ষণ।
ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে জানুন
ক্যান্সার অনেক ভয়াবহ ও মারাত্মক একটি ব্যাধি। যা আমরা সকলেই মনে করি তবে সব ধরনের ক্যান্সার মারাত্মক না কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্যান্সার অনেক মারাত্মক একটি রোগ। এইজন্য কোন ব্যক্তির ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হলে তার প্রিয়জনরা অনেক চিন্তিত হয়ে যায়। কোন ডাক্তার যখন একজন রোগীর কাছে বা তাদের স্বজনদের কাছে
সর্বপ্রথম এই রোগের আক্রান্ত হওয়ার তথ্যটি দেয় তখন তাদের মধ্যে অনেক ধরনের চিন্তা ভাবনা সৃষ্টি হয়ে যায়। যে রোগী আর কতদিন বাঁচবে কোন স্টেজে আছে আদতে বাঁচাতে পারব কিনা এই রোগে ভালো করার কোন চিকিৎসা আছে কিনা। জন্ম ও মৃত্যু মহান আল্লাহর হাতে তিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এজন্য আমাদের সময় শেষ হলে তিনি
আবার আমাদেরকে মৃত্যুর মাধ্যমে এই পৃথিবী থেকে তুলে নিবেন। এজন্য এই বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত পরিমাণে দুশ্চিন্তা ও হতাশ হবার কিছুই নেই। এসব রোগবালা উছিলা মাত্র । এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে একজন ডক্টর অনেক চেষ্টা করে সেই রোগীকে ট্রিটমেন্ট করে দ্রুত সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার ফলে এখন অনেক মানুষ ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হলেও সঠিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছেন। ক্যান্সার মোট ৪ টি স্টেজে বিভক্ত স্টেজ নাম্বার যত বেশি হবে রোগীর পরিস্থিতি তত খারাপ হবে। আমাদের দেশে ক্যান্সারের প্রধান চিকিৎসা হিসেবে ধরা যায় কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি
আরও পড়ুনঃ কিডনীতে পাথর কেন হয় জানুন
যার মাধ্যমে অনেক রোগী সুস্থ জীবনে ফিরে এসেছেন। তবে ক্যান্সার হলে মানুষ কতদিন বাঁচে এ বিষয়ে সঠিক কোন তথ্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ দিতে পারেন না এটি শুধুমাত্র একটি মনগড়া কথা। যে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী ৩০ দিন বা ৩ মাস কিংবা ৬ মাস বাঁচে। এই কথাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
ব্রেস্ট ক্যান্সারের ১০ টি প্রাথমিক লক্ষণ জেনে নিন
স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বর্তমান সময়ে নারীদের মৃত্যু ঝুঁকি দিন দিন বেড়েই চলেছে। ৫০ বছর বয়স অতিক্রমকারী নারীদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ব্রেস্ট ক্যান্সারের ১০ টি প্রাথমিক লক্ষণ জেনে নিন। আশ্চর্যজনক একটি বিষয় হচ্ছে এতদিন এই ক্যান্সারের জন্য নারীদেরকে অনেক বেশি সচেতন করা হয়েছে তবে এখন পুরুষদের ক্ষেত্রেও এই
সচেতন করার প্রক্রিয়াটি চলমান রয়েছে। কেননা পুরুষদের শরীরেও স্তন ক্যান্সার সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। তবে এই সংখ্যা অনেক কম যুক্তরাজ্যের একটি জরিপে দেখা গেছে প্রতিবছর ৪১ হাজার নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় এবং প্রায় ৩০০ জন পুরুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এটি হওয়ার প্রধান লক্ষণ গুলি হল
- এই রোগটি প্রধানত হয়ে থাকে আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যঅভ্যাসের ও জীবন যাপনের পরিবর্তনের কারণে। এবং পরিবারের অন্য কোন সদস্যের আগে এই রোগ হওয়ার ইতিহাস থাকলে।
- যদি কোন নারীর ১২ বছরের আগে ঋতুস্রাব হয়ে থাকে এবং অনেক দেরিতে মেনোপজ ও ঋতুস্রাব বন্ধ হয় তাদের এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।
- অনেক দেরিতে সন্তান জন্ম দেওয়া এবং যাদের সন্তান নেই কিংবা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর অভ্যাস নেই তাদের খাদ্য অভ্যাসের মধ্যে ফলমূল ও শাক সবজির থেকে প্রাণীজ আমিষ ও চর্বি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়ার ফলে এবং প্রসেসড কোড ফুড অনেক বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে তাদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
- বগলের নিচ অংশে চাকা চাকা হয়ে ফুলে যাওয়া ।
- স্তন বৃত্তের চারপাশে রাশ ও ফুসকুড়ির মত তৈরি হওয়া ।
- স্তনের ভেতরের অংশের গোটা হওয়া বা শক্ত হয়ে যাওয়া।স্তন বৃত্তের আকারের পরিবর্তন হওয়া।
- স্তনের আকার ও আকৃতি স্বাভাবিকের চাইতে অনেক পরিবর্তন হওয়া।
- স্তন থেকে রক্ত ও তরল পদার্থ পড়া ।
- স্তনের অংশে ফুলে চাকা চাকা হয়ে যাওয়া এবং ল্যাম্প দেখা দেওয়া।
- অনেক বেশি সময় ধরে জন্ম নিয়ন্ত্রক পিল খাওয়ার ফলে বা হরমোনের ইনজেকশন গ্রহণ করার ফলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়।
- তবে এই রোগটি প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত করা গেলে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে ১০০% সুস্থ হওয়া সম্ভব।
স্কিন ক্যান্সারের প্রধান ৫ টি লক্ষণ জানুন
ক্যান্সার এমন একটি রোগ যা আমাদের শরীরে ও ত্বকের বিভিন্ন স্থানে এর উপসর্গ সৃষ্টি হতে পারে যার মধ্যে স্কিন ক্যান্সার এর বিভিন্ন উপসর্গগুলো হল আমাদের ঘাড়ে কানের কাছে ও মুখে মাংসপিণ্ড তৈরি হওয়াকে এ রোগের প্রধান লক্ষণ হিসেবে ধরা যায়। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ এই সমস্যাটিকে বলেন বেসাল কার্সিনোমা। স্কিন ক্যান্সারের প্রধান ৫ টি লক্ষণ জানুন।
। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জীবন যাপন স্কিন ক্যান্সারের প্রধান লক্ষণ। সূর্যের আলো আমাদের শরীরে যে সব স্থানে সরাসরি স্পর্শ করে করে সেসব স্থানে এ রোগের উপসর্গ গুলি সৃষ্টি হয়। এ রোগের প্রধান পাঁচটি লক্ষণ হল
- আমাদের ত্বকের মধ্যে কোন জায়গায় দাগ দেখা দিলে এবং সেই দাগের স্থানে চুলকানি ও ক্রমাগত ব্যাথা অনুভূত হলে।
- ত্বকের মধ্যে এমন কোন ক্ষত যেখান দিয়ে রক্তপাত হতে পারে।
- সারা শরীরে আঁচিলের মত মাংসপিণ্ড সৃষ্টি হলে।
- মানুষের ত্বকের উপরে মোমের মত সাদা রঙের কোন মাংসপিণ্ড যেগুলো সময়ের সাথে সাথে দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
- ত্বকের মধ্যে বাদামি কালো অথবা গারো নীল রঙের কোন ধরনের দাগ হঠাৎ করে তৈরি হলে।
এ রোগ থেকে সুরক্ষা পাওয়ার উপায়
- সূর্যের আলো থেকে আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান প্রবেশ করে তবে অনেক তীব্রমাত্রায় সূর্যের আলো যেন আমাদের শরীরে কোন অংশ স্পর্শ না করে।
- গ্রীষ্মকালে এবং শীতকালে বাড়ি থেকে বের হলেই সানস্ক্রিন ক্রিম মেখে বের হতে হবে
- ত্বক উজ্জ্বল করার বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ও মাথার চুল কালার করার রংগুলো ব্যবহার করার আগে এর উপকরণ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিয়ে ব্যবহার করতে হবে নইলে এগুলো ক্যান্সার রোগ সৃষ্টি করার সম্ভাবনা তৈরি করে
- ত্বকের মধ্যে হঠাৎ করে বিভিন্ন ধরনের দাগ কিংবা মাংসপিণ্ড আবির্ভাব তৈরি হলে অবহেলা না করে খুব দ্রুত ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিতে হবে।
টনসিল ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আমাদের গলার পিছনে দুইটি টনসিল রয়েছে। টনসিল এক ধরনের টিস্যু প্যাড ডিম্বাকৃতির হয়ে থাকে যা গলার পিছনে অবস্থিত। গলার টনসিল ফুলে গেলে অনেক বেদনা দায়ক একটি মুহূর্ত তৈরি হয় এই সময় ডানে বামে তাকাতে এবং গলা দিয়ে কোন কিছু গিলতে গেলে অনেক ব্যঁথা অনুভূত হয় সংবেদনশীল লিম্ফ নোডগুলি
সবই টনসিলাটিসের সূচক। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ফলেও টনসিলায়টিসের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। টনসিল ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। এই ক্যান্সার প্রধানত ৬ ধরনের হয়ে থাকে যেমন
- অরোফ্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সার এটি মুখের ডান দিক থেকে সৃষ্টি হয় যা টনসিল ক্যান্সারের প্রধান অংশ ।
- নাস্ফ্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সার এটি নাকের ঠিক পিছনের অংশের সৃষ্টি হয় ।
- হাইপোফ্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সার এটি গলার নিচের অংশে সৃষ্টি হয়ে খাদ্য নালির পাইপ এর মধ্যে থাকে।
- ভোকাল কর্ড থেকে লোডিং ক্যান্সার সৃষ্টি হয়।
- সাবগ্লোটিক ক্যান্সার ষাশযন্ত্রের নিচে তৈরি হয়।
- সুপারগ্লোটিক ক্যান্সার ষাশযন্ত্রের উপরের অংশে সৃষ্টি হয় যার ফলে রোগীর খাবার গিলতে অনেক সমস্যা হয়।
টনসিল ক্যান্সারের লক্ষণগুলো হলঃ
- ক্রমাগতভাবে শ্বাসকষ্ট এই ক্যান্সার রোগের প্রধান একটি উপসর্গ।
- দীর্ঘ সময় ধরে গলার মধ্যে কিছু আটকে থাকার অনুভূতি ও এই ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে । রোগীর খাবার গিলে খেতে সমস্যা হয়।
- যে ধরনের ক্যান্সার হোক না কেন শরীরের ওজন কমে যাওয়া প্রধান একটি লক্ষণ।
- গলার মধ্যে অনেক দিন ধরে কফ জমে থাকা এবং কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন হওয়াকে ক্যান্সার রোগের লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়।
- কানে অনেক বেশি দিন ধরে থেমে থেমে ব্যঁথা অনুভূত হলে এটিও এই ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
- মুখের ভেতরের অংশে বা গালে সাদা অথবা লাল গুটি গুটি দাগ দেখা দিলে এটিও ক্যান্সারের লক্ষণ।
- কোন সমস্যা ছাড়াই গলা থেকে অবিরত রক্তপাত হলে এটিও টনসিল ক্যান্সারের প্রধান লক্ষণ ।
ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর ৮ টি লক্ষণ জেনে নিন
ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তির আটটি লক্ষণ দেখে বোঝা যাবে যে তিনি আর কতদিন বাঁচতে পারেন। নতুন একদল বিশেষজ্ঞ গবেষণা করে এই তথ্যটি দিয়েছেন। এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস এর এমডি এন্ড ক্যান্সার সেন্টার এর গবেষকরা এ গবেষণাটি করেছেন। এর আগে অনেক গবেষণায় ক্যান্সার জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে যে শুধুমাত্র মৃত্যু পথযাত্রী
রোগীদের সনাক্তকরণ করা সম্ভব হয়েছিল। এখানকার গবেষকরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুই বার করে রোগীর বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা পর্যবেক্ষণ করতেন । এই সময় একজন রোগীর দৈহিক ও মস্তিষ্কের ৫২ ধরনের পরিবর্তন সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন তারা । যার মধ্যে থেকে আটটি লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে আগের গবেষণাগুলো থেকে বোঝা যায় এদের মধ্যে থেকে
কারা মারা যাবেন সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়েছে। এই গবেষণাটি ৩৫৭ জন ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিয়ে করা হয়েছিল এদের মধ্যে থেকে ৫৭% মারা গিয়েছে আর যেসব ব্যক্তিদের ৫২ ধরনের লক্ষণ দেখা দিয়েছিল তারা পরবর্তী তিন দিনের ভেতরে মারা যান। যে সব ব্যক্তি গুলো তিন দিনের ভেতরে মারা গিয়েছিলেন তাদের মৃত্যুর আগ মুহূর্তে এই লক্ষণ গুলি প্রকাশ পেয়েছিল।
- কথা বলার সময় মুখ ও জিহ্বার প্রতিক্রিয়া কমে যায়।
- দৃষ্টিশক্তি দ্রুত কমে আসে।
- আলোর বৃদ্ধি ও হ্রাস পেলে এর প্রতিক্রিয়া তাদের চোখের পিউপিলের পড়ে না।
- মাথা সামনের দিকে ঝুঁকে আসে।
- কণ্ঠনালীর মধ্যে থেকে গড় গড় আওয়াজ আসতে থাকে।
- এই সময় চোখের পাতা বন্ধ করতে অনেক কষ্ট হয়।
- নাক ও ঠোঁটের দুই কোন এর মধ্যে যে রেখা পড়ে হাসার সময় এই রেখা তৈরি হয় কিন্তু তাতে ব্যাপক ভাঁজ পড়ে।
- যে প্রত্যঙ্গ খাবার উপাদান ও পুষ্টি শুষে নেয় অর্থাৎ গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল এর উপরের অংশে রক্তক্ষরণ সৃষ্টি হয়।
ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর ৮ টি লক্ষণ জেনে নিন এই উপসর্গ যেসব রোগীদের মধ্যে দেখা দিয়েছিল সেই সব রোগী পরবর্তী ৩ দিনের ভেতরে মারা গিয়েছিলেন।
লেখকের শেষকথা
ক্যান্সার একটি মারাত্মক ব্যাধি এর রোগ হলে আমরা অনেক দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় যে আর হয়তো বেশি দিন বাঁচা সম্ভব না। তবে এই রোগটি আধুনিক বিশ্বে অনেক চিকিৎসা নেমেছে যার ফলে চিকিৎসা নিয়ে ১০০% সুস্থ হয়ে রোগী সাধারণ জীবন যাপন করছেন আগের মত। এজন্য এই রোগটি হলে খুব দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url