চুল পড়া ও চিরতরে খুশকি দূর করার উপায় জানুন
প্রিয় পাঠক আমাদের মাথার গুরুত্বপূর্ণ একটি সমস্যা চুল পড়া ও চিরতরে খুশকি দূর করার উপায় জানুন। এই সমস্যা দূরীকরণে প্রধান কাজ হচ্ছে আমাদের খাদ্য তালিকায় প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার
বেশি বেশি খেতে হবে চুলের বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল যুক্ত স্টাইলিং ও হেয়ার কাটিং হিটিং ব্যবহার করা যাবে না। এগুলো ব্যবহার করার ফলে চুলের অনেক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে ।
ভূমিকা
অনেক দামি দামি হেয়ার প্রোডাক্ট বা হেয়ার ড্রাই আমাদের মাথায় এলার্জিজনিত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে এইসব সমস্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় জানতে নিচে আরও পড়ুন।
চুল পড়া
চুল আমাদের সৌন্দর্যের সবচাইতে বড় একটি দিক চুলের সৌন্দর্য দূর হয়ে গেলে মাথা থেকে চুল ঝরে পড়লে মাথা এবং নিজের সৌন্দর্য অনেকটাই কমে যায়। ঈদের আগে লম্বা ও ঘন চুল পেতে এখন থেকে ব্যবহার করুন প্রাকৃতিক সব উপায় এই উপকরণ গুলি ব্যবহার করলে খুব দ্রুত চুল পড়া ও খুশকি দূর হয়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ খুশকি দূর করার ১০ টি শ্যাম্পুর নাম জানুন
বর্তমান সময় পাতি লেবু ও নারিকেল তেল চুলের জন্য বেশ কার্যকর উপাদান। এজন্য আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক উপায় চুল ঘন ও বৃদ্ধি করতে চাই তাহলে নারিকেল তেল ও লেবুর রসের উপাদান অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোতে ক্ষতিকারক কোন রাসায়নিক দ্রব্য নেই এজন্য আমাদের স্কেল্পের ও চুলের ক্ষতি হয় না।
- নারিকেল তেলের রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে লাউরিক অ্যাসিড ও ফ্যাটি অ্যাসিড যা চুল ঝরে পড়া রোধ করতে সাহায্য করে এবং এছাড়াও নারিকেল তেল ব্যবহারের ফলে চুলের ফলিকলকে ময়েশ্চারাইজড করে দূষণ মুক্ত রাখে। নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই কে ও আয়রন এর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এইজন্য এই তেল চুলে ব্যবহার করলে চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং এর মধ্যে থাকায় এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এন্টিফাঙ্গাল উপাদানের কারণে চুলের খুশকি ও উকুন নির্মূল করে।
- লেবুর রস হয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে থাকে। এই কোলাজেন গুলো আমাদের চুলের সৌন্দর্য ও গ্রোথ বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে। এর সঙ্গে লেবুর রস চুলের ফলিকল ও ওপেন পোরসকে পরিষ্কার রাখতে বিষেশ ভূমিকা পালন করে। যার ফলে চুলের ফলিকল অনেক মজবুত হয়ে ওঠে। লেবুর রস রয়েছে এন্টিফাঙ্গাল ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান এজন্য লেবুর রস মাথায় ব্যবহার করলে কিছু কিছু ব্যাকটেরিয়া চুলের ধারে কাছেও ঘেঁশতে পারে না এর ফলে চুল পড়া সমস্যা খুব দ্রুত কমে যায় ।
- টক দই আমাদের চুলের জন্য অনেক উপকারী একটি উপাদান । টক দইয়ের সঙ্গে অল্প কিছু পরিমাণে লেবুর রস মিশিয়ে মাথার ত্বকের মধ্যে ও চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখতে হবে এরপর শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করে চুল ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে এতে চুলের গোড়া অনেক মজবুত হয়ে ওঠে।
চিরতরে খুশকি দূর করার উপায় জানুন
আমাদের মাথায় যখন খুশকি হয় তখন আমাদের মাথা থেকে অনবরত চুল ঝরতে থাকে এই সমস্যাটি খুব দ্রুত প্রতিরোধ করতে না পারলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের সমস্যা ভিডিও হতে পারে। এইজন্য চুলের এই ধরনের সমস্যা হলে খুব দ্রুত প্রাকৃতিক উপায়ে তা নির্মূলের চেষ্টা করতে হবে নইলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ খুশকি দূর করার ৩ টি ঔষুধের নাম জানুন
লেবুর রস নারকেল তেল একসাথে মিক্স করে ব্যবহার করলে আমরা খুব দ্রুত চুলের বিভিন্ন ধরনের চুলকানি চুল ঝরে পড়া ও খুশকি রোগ খুব দ্রুত প্রতিরোধ করতে পারব। এই মিশ্রণটি তৈরি করার জন্য প্রয়োজন ৩ চামচ নারিকেল তেলের সঙ্গে ১ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে এরপর এই মিশ্রণটি আমাদের মাথায় চুলে খুব
সুন্দর ভাবে মেসেজ করে মালিশ করতে হবে। আমাদের মাথার স্কেলপে এই উপকরণ লাগানোর পর খুব সুন্দর ভাবে মালিশ করতে হবে। এবং প্রায় ১ ঘন্টা রেখে গোসলের সময় ভালো শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এবং গোসল শেষে হলে কন্ডিশনার লাগাতে হবে। চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে ১ এই উপকরণটি
আমাদের মাথার চুলে ব্যবহার করতে হবে এর কিছুদিনের মধ্যে আমাদের চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা খুশকি খুব দ্রুত দূর হয়ে যাবে। সপ্তাহে দুইদিন আধা কাপ টক দই ও এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিক্স করে আমাদের মাথার স্কেলপে ও চুলের গোড়ায় ভালো করে মেসেজ করতে হবে এরপর ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে
এবং গোসলের সময় ক্লিয়ার মেন অ্যান্টি ড্যানড্রোপ শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করে চুল ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে এটি ব্যবহারের ফলে আমাদের চুলের সব ধরনের খুশকি খুব দ্রুত নির্মূল হয়ে যাবে।
ছেলেদের চুলের খুশকি দূর করার ৫ টি উপায়
চুলের খুশকি ও চুল ঝরে পড়া বর্তমান সময়ে একটি মহামারী আঁকার ধারণ করেছে। সব বয়সী মানুষের এই সমস্যা হচ্ছে। এই সমস্যা গুলি হলে আমরা বাহিরে চলাফেরার সময় বন্ধু-বান্ধবের কাছে অনেক হাসির খোরাক হয়ে যায়। এর প্রধান কারণ হচ্ছে বর্তমান সময়ে অনেক দামি দামি প্রোডাক্ট চুলের জন্য আমরা ব্যবহার করে থাকি
বাজারের এইসব দামি কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্টগুলি ব্যবহার করার ফলে আমাদের মাথার ত্বক খুব দ্রুত নষ্ট হতে থাকে যার ফলে তা ধীরে ধীরে খুশকি ও চুল ঝরে পড়া রোগে রূপান্তরিত হয়। তবে সঠিকভাবে যত্ন নিলে এ ধরনের সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব ছেলেদের চুলের খুশকি দূর করার ৫ টি উপায় জানুন।
- সাদা সিরকা বা ভিনেগার এটি খুশকি নির্মূলের জন্য বেশ কার্যকরী । এজন্য প্রয়োজন দুই কাপ সাদা পানি আধা কাপ সিরকা ও ২ চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে গোসলের সময় অথবা গোসল করার আগে মাথায় খুব সুন্দর ভাবে মেসেজ করে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে । এরপর শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করে চুল পরিষ্কারভাবে ধুয়ে নিতে হবে এই উপকরণটি ব্যবহার করতে হবে প্রত্যেক সপ্তাহে ২ বার।
- টি ট্রি আয়েলে রয়েছে আন্টি ফাঙ্গাল ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান এই তেলটি খুশকি দূর করার জন্য কয়েক ফোটা তেল গোসল করার সময় শ্যাম্পুর সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করে গোসল করে ধুয়ে ফেলতে হবে গোসলের পর কয়েক ফোঁটা করে অলিভ অয়েল ও নারকেল তেল এই তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় লাগাতে হবে অথবা রাতে ঘুমানোর আগে এই উপকরণটি মাথায় লাগে ঘুমাতে হবে ।
- লেবুর রস খুশকি দূর করার প্রধান একটি উপকরণ। এর মধ্যে থাকা এসিড খুশকি সৃষ্টিকারী ছত্রাকের সঙ্গে লড়াই করে খুব দ্রুত তাকে ধ্বংস করে দেয় এর ফলে মাথার খুশকি দূর হয়ে চুল পড়ার রোগ প্রতিরোধ হয় । প্লেন ইয়োগার্ট ওয়াটার কাপ এর সঙ্গে আধা কাপ লেবুর রস মিশিয়ে এই উপাদানটি মাথার স্কেলপে লাগাতে হবে। ২০ মিনিট পরে গোসলের সময় শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে এতে খুশকি খুব দ্রুত নির্মূল হবে।
- নিম পাতা চুলের খুশকি দূর করার জন্য প্রধান একটি উপাদান একটি পাত্রে চার গ্লাস পানি নিতে হবে এতে অল্প কিছু পরিমাণে নিমপাতা দিয়ে তা ফুটিয়ে নিতে হবে এই ফোটানো পানি নামিয়ে ঠান্ডা করে পরিষ্কার করে ছেকে নিতে হবে এবং গোসলের সময় হালকা হালকা ভাবে নিম পাতা মাথায় ঢেলে গোসল করতে হবে এবং শ্যাম্পু ব্যবহার করে গোসল করতে হবে তাহলে খুব দ্রুত চুলের খুশকি দূর হবে।
- মেথিতে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এজন্য ৩ চামচ মেথি ১ গ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে সকালে সুন্দরভাবে তা বেটে এর সঙ্গে ২ চামচ প্লেন ইয়োগার্ট ও ১ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মাথার চুলের গোড়ায় ভালোভাবে ব্যবহার করলে খুব দ্রুত চুলের খুশকি দূর করতে সাহায্য করবে এই উপকরণটি প্রতি সপ্তাহে ১ বার ব্যবহার করতে হবে।
মহিলাদের মাথার খুশকি দূর করার উপায় জেনে নিন
মহিলাদের মাথার খুশকি দূর করার উপায় জেনে নিন। চুলের প্রধান সমস্যা হলো খুশকি এটি খুব সাধারন মনে হলেও অনেক গুরুত্বর একটি সমস্যা। এটি একবার হলে একে নিয়ে ভোগান্তির কোন শেষ থাকে না। এই সমস্যা সৃষ্টি হলে চুল আদ্রতা হারিয়ে রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যাওয়া ও মাথার ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ তৈরি হওয়া এবং অকালে চুল ঝরে পড়ার মত সমস্যা সৃষ্টি হয় এ সমস্যার সমাধানের প্রাকৃতিক কিছু উপায় জানুন
- নারিকেল তেল আমাদের চুলের জন্য অনেক উপকারী এর সঙ্গে জোজোবা ওয়েল ও অনেক কার্যকরী। এজন্য খুশকি দূর করার জন্য এই দুই-তেল একসঙ্গে মিক্স করে মাথায় সুন্দর করে লাগাতে হবে এরপর একটি গরম কাপড় দিয়ে মাথা ভালো করে ঢেকে রাখতে হবে ঠিক ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে গোসল করতে হবে তাহলে খুশকি খুব দ্রুত দূর হবে।
- নারিকেল তেল একটি ছোট পাত্রে হালকা গরম করে নিতে হবে অনেক বেশি পরিমাণে গরম যেন না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে তেল গরম হওয়ার কিছু সময় পর মাথার পুরো স্ক্যাল্পে মেসেজ করে লাগাতে হবে এটি লাগানোর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর চুলে আবার ঠান্ডা তেল লাগিয়ে নিতে হবে। তার ঠিক ৩০ মিনিট পর হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করে চুল পরিষ্কার করে নিতে হবে তাহলে খুশকি দূর হয়ে চুল অনেক দ্রুত ঘন ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
- রোজমিরী অয়েলের সঙ্গে নারকেল তেল মিক্স করে ব্যবহার করলে আমাদের মাথার খুশকি দূর করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই জন্য প্রয়োজন কয়েক ফোটা রোজমেরি অয়েলের সাথে তিন চামচ নারিকেল তেল ভালোভাবে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ও চুলের গোড়ায় সুন্দরভাবে লাগাতে হবে এরপর গরম কাপড় দিয়ে ১৫ মিনিট মাথা ঢেকে রাখতে হবে এর কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করে চুল পরিষ্কার করে নিতে হবে তাহলে চুলের খুশকি ও চুল ঝরা খুব দ্রুত প্রতিরোধ হবে।
খুশকি চিরতরে নির্মূল করার সেরা ১০ টি উপায়
খুশকি আমাদের মাথার চুলের জন্য প্রধান একটি শত্রু। এটি একবার আমাদের মাথায় তৈরি হবে খুব সহজে তা নির্মূল হতে চায় না এজন্য অনেক ভাবে আমাদের এটা নির্মূলের চেষ্টা করতে হয় খুশকি চিরতরে নির্মূল করার সেরা ১০ টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
- গোসলের ৩০ মিনিট আগে চুলের গোড়ায় অ্যালোভেরা জেল সুন্দরভাবে ঘসে ঘসে লাগাতে হবে এর পর শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করে চুল ধুয়ে নিতে হবে তাহলে অনেক দ্রুত খুশকি কমতে থাকবে।
- আধা কাপ ভিনেগার ও ১ গ্লাস পানি একসঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ঢেলে দিতে হবে এরপর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে গোসল করে মাথার ত্বক ধুয়ে নিতে হবে।
- গোসলের সময় শ্যাম্পুর সঙ্গে অল্প কিছু পরিমাণ লবণ মিক্স করে মাথায় লাগাতে হবে এরপর ৩ মিনিট অপেক্ষা করে ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
- ৪ চামচ আঁদা বাটার সাথে ৩ চামচ টক দই মিশাতে হবে এই মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় ও মাথার ত্বকে খুব ভালোভাবে লাগাতে হবে এক ঘন্টা এভাবে রাখার পর শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করে চুল পরিষ্কার করে নিতে হবে এতে খুশকি খুব দ্রুত নির্মূল হবে।
- ১০ ফোটা টি ট্রী অয়েলের সঙ্গে ১ চামচ নারিকেল তেল মিশিয়ে মাথার স্কেলপে ধীরে ধীরে মেসেজ করতে হবে এবং ঠিক ৩০ মিনিট পরে শ্যাম্পুর সঙ্গে টি ট্রি ওয়েল ব্যবহার করে গোসল করে চুল পরিষ্কার করে নিতে হবে।
- গোসলের সময় চুল ভিজিয়ে নিয়ে তারপর মাথার চুলের গোড়ায় বেঁকিং সোডা লাগাতে হবে লাগানোর ঠিক পাঁচ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নিতে হবে।
- ১ গ্লাস পানিতে ৩ চামচ মেথি ভিজিয়ে রেখে সকালে তা বেটে নিতে হবে এই পেষ্টের সঙ্গে ২ চামচ টক দই মিশিয়ে মাথায় লাগাতে হবে ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করে চুল পরিষ্কার করে নিতে হবে।
- অ্যালোভেরা জেল এর সাথে লবণ মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ব্যবহার করলে খুশকির হাত থেকে খুব দ্রুত রেহাই পাওয়া যাবে।
- খুশকির সমস্যা দ্রুত ভালো করতে জলপাই তেল ও কর্পূর তেল একসঙ্গে মিক্স করে মাথার চুলের গোড়ায় লাগাতে হবে ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করে চুল পরিষ্কার করে নিতে হবে তাহলে খুশকি খুব দ্রুত দূর হয়ে যাবে মাথা থেকে।
মাথার খুশকি ও চুলকানি দূর করার উপায় জানুন
মাথার খুশকি হলে অকালে চুল ঝরতে শুরু করে সমস্যার সমাধানের জন্য প্রাকৃতিক কিছু উপায় অবলম্বন করতে হবে । এই প্রক্রিয়াগুলো ব্যবহার করলে এই সমস্যা খুব দ্রুত সেরে যাবে । মাথার খুশকি ও চুলকানি দূর করার উপায় জানুন । এ রোগের উপসর্গগুলো হল মাথার স্কেলপে অতিরিক্ত পরিমাণে জ্বালা পোড়া ও প্রদাহ সৃষ্টি হওয়া। অতিরিক্ত পরিমাণে চুলকানি খুশকি ও চুল ঝরে পড়া ।
ওটসে রয়েছে প্রাকৃতিক সাপোনিন ক্লিনজার যেটি আমাদের মাথার ত্বকের মধ্যে থাকা তৈলাক্ত ভাব দূর করে এবং মৃত কোষগুলো খুব দ্রুত সারাতে সাহায্য করে। এর মধ্যে বিদ্যমান থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টি ইনফ্লামেন্টরি উপাদান যা আমাদের মাথার খুশকি ও চুলকানি দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এছাড়াও এতে রয়েছে লিপিড ও প্রোটিন উপাদান এজন্য এটি মাথার ত্ত্বকে ব্যবহার করলে মাথার চুল খুব দ্রুত ময়েশ্চারাইজ হয়। ওটসের পেস্ট তৈরি করে চুলের মধ্যে লাগালে এবং ওটস এর মিল্ক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করলে এবং ওঠসের তৈরিকৃত মাক্সটি চুলে লাগাতে হবে এর কিছু সময় পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে।
এই উপকরণ তৈরি করার জন্য প্রয়োজন এক মুঠো ওঠসের সঙ্গে এক গ্লাস পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লিন্ড করলেই এই উপাদান তৈরি হয়।
শেষ কথা
চুলের কোন ধরনের সমস্যা হলে খুব দ্রুত বিষেশজ্ঞ ডাক্তারে কাছে জেতে হবে। এর পাশাপাশি আমাদের মাথা এবং মাথার চুলের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো যত্ন সহকারে পরিষ্কার করে নিতে হবে গোসলের সময় সপ্তাহে ২ দিনের বেশি শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত না।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url