কিডনি রোগের লক্ষণ-কিডনিতে পাথরের লক্ষণ জেনে নিন


প্রিয় পাঠক কিডনি সমস্যা হলে আমরা শারীরিকভাবে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয় কিডনি রোগের লক্ষণ ও কিডনিতে পাথরের লক্ষণ জেনে নিন। আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে কোন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হলে বিশেষ করে কিডনির মধ্যে কোন সমস্যা সৃষ্টি হলে
কিডনি রোগের লক্ষন জানুন
আমাদের খুব দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে এবং সঠিক নিয়মে জীবন যাপন ও ঔষধ সেবন করতে হবে । কারণ কিডনি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ আমাদের বেঁচে থাকার জন্য।

ভূমিকা 

ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা নিয়মিত কিডনি টেস্ট করতে হবে বছরে ১ থেকে ২ বার ডাক্তারের কাছে গিয়ে। কারণ কিডনিতে কোন ধরনের সমস্যা হলে সরাসরি আমরা শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি এবং ধীরে ধীরে আমাদের শরীরকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয় এ সম্পর্কে জানতে নীচে আরো পড়ুন।

কিডনি রোগের লক্ষণ

এখন কিডনি রোগ একটি মহামারি আকার ধারণ করেছে। আমাদের প্রতিনিয়ত খাবারের অনিয়ম ও অগোছালো জীবনযাপনের জন্য আমরা অনেক বড় বড় রোগের সম্মুখীন হচ্ছি। এক্ষেত্রে কিডনি রোগ আমাদের শরীরে খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে কিডনির সমস্যা কিডনিতে পাথর কিডনিতে পানি জমা বিভিন্ন ধরনের রোগের সম্মুখীন হচ্ছি আমরা। এ রোগের প্রধান কিছু লক্ষণ হল।
  • প্রস্রাব করার সময় প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত বের হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এটি কিডনি রোগের প্রধান একটি লক্ষণ।
  • আমাদের শরীরে লোহিত রক্তকণিকা কমে যাওয়ার ফলে মস্তিষ্কের অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায় যার ফলে আমাদের কাজে মনসংযোগ করতে সমস্যা হয়।
  • কিডনি আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে পানি ও বর্জ্য বের করে দিতে কাজ করে। কিন্তু কিডনিতে কোন সমস্যা হলে শরীরে এই বাড়তি পানি বের করতে পারেনা যার ফলে আমাদের শরীর ফোলা ভাব বৃদ্ধি করে।
  • কিডনিতে রোগ হলে আমাদের প্রস্রাব করার সময় অনেক ব্যথা অনুভূত হয় আর এই সমস্যাটি ও প্রধান একটি লক্ষণ কিডনি রোগের। প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া ও ব্যথা অনুভূত হলে এগুলো আমাদের ইউরিন এর ইনফেকশনের সৃষ্টি করে আর এই সমস্যাটি কিডনিতে ছড়িয়ে পড়লে আমাদের শরীরে পিঠের পিছনে ব্যথা ও জ্বর হয়।
  • এই রোগের প্রধান লক্ষণ আমাদের প্রস্রাবের পরিবর্তন হওয়া। প্রস্রাব কম হয় বা বেশি হয় কিডনির সমস্যা হলে বিশেষ করে রাতে এই সমস্যা।
  • রক্তে বর্জনীয় পদার্থের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে বমি বমি ভাবের সৃষ্টি হয়।
  • অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কিডনি রোগীর পিঠের পাশে ও শরীরে ব্যথা হয় এটিও কিডনি রোগে একটি প্রধান লক্ষণ
  • কিডনি রোগ হলে কিডনি রোগীর শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা সৃষ্টি হয় এই সময় রোগী অনেক ছোট ছোট ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করেন।
  • এই সময় যৌনভাবে আগ্রহ কম হওয়া এবং ক্ষুধা ওজন ও ঘুম কমে যাওয়া প্রধান লক্ষণ।
  • আমাদের শরীর খুব দ্রুত দুর্বল হয়ে ক্লান্তি ভাব অনুভূত করে।
  • অনেক বেশি পরিমাণে তৃষ্ণা পায়।
  • আমাদের শরীরে অভ্যন্তরীণ মাংসপেশী ক্র্যাম্প হওয়া কাঁপুনি ও ক্ষয় সৃষ্টি হয়।
  • অনেক বেশি হেঁচকি
  • অত্যাধিক মাত্রায় চুলকানি হওয়া।
  • অনিয়ন্ত্রিতভাবে উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি পাওয়া।

কিডনিতে পাথরের লক্ষণ জেনে নিন

আমরা আসলে অনেকেই জানিনা যে কিডনিতে পাথর রোগটি আসলে কি অনেকের মনে এ বিষয়ে অনেক ভ্রান্ত ধারণা আছে যে কিডনির মধ্যে মনে হয় সত্যি সত্যি পাথর সৃষ্টি হয়। কিন্তু এই পাথর আমাদের দেখা কংক্রিটের মতো না। মূলত এই পাথরটি তৈরি হয় আমাদের শরীরে খনিজ ও লবণ দিয়ে জমে শক্ত হওয়াকে বুঝায় যেটি আমাদের 

কিডনির অভ্যন্তরে সৃষ্টি হয়। আমাদের শরীরে কিডনিতে পাথর সৃষ্টি হয় বিভিন্ন ধরনের ও বিভিন্ন জায়গাতে । কিডনিতে পাথর আমাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে যেমন মুত্রাসয় জরায়ু কিডনি মূত্রনালী এই সব স্থানে সৃষ্টি হতে পারে। কিডনিতে পাথর সৃষ্টি হওয়ার বিশেষ কিছু লক্ষণ সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো। 
  • কিডনিতে পাথর হলে আমাদের শরীরে ব্যথা এমন ভাবে বৃদ্ধি পায় যে আমাদের শরীরে বমি বমি ভাব অনুভূত হয়। এ ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হলে আমাদের অতি দ্রুত নিরিবিলি কক্ষে প্রবেশ করা উচিত আর এই সমস্যাটির সময় যে ব্যথা অনুভূত হয় সেই ব্যথাকে অনেক খারাপ একটি ব্যথা বর্ণনা করেন অনেক মানুষ এজন্য এই সময় ডাক্তারের পরামর্শ নিতে কোন ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব করা যাবে না।
  • কিডনিতে পাথর হলে আমাদের শরীরে ভয়ানক মাত্রায় ব্যথা সৃষ্টি হয় যা আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম কে ব্যাঘাত ঘটায়। এই সময় ব্যথা আমাদের তলপেটে ও কুচকিতে অনুভূত হয় এই সময় বসে থাকা কিংবা শুয়ে থাকার চেষ্টা করলে ব্যাথা থেকে কোন উপশম পাওয়া যায় না কারণ ব্যথাটি ঢেউয়ের আকৃতিতে চাপ সৃষ্টি করে এই ব্যথা আমাদের শরীরে প্রায় ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা পর্যন্ত সময় থাকতে পারে।
  • প্রস্রাব করার সময় কিডনি তে সৃষ্টি হওয়া পাথর সরে গিয়ে প্রস্রাবের নলে আটকালে প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত পড়তে পারে মূত্রনালীর ব্যাস ৩ থেকে ৪ মিলিমিটার হয় আর এর থেকে বড় কোন পাথর মূত্রনালীতে আটকে গেলে রক্তপাত সৃষ্টি হয়। এই সমস্যাটি সৃষ্টি হলে খুব দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
  • আমাদের শরীরে কিছু কিছু জায়গায় অনেক বেশি পরিমাণে যেমন মুখ অনেক বেশি মাত্রায় ঘামতে থাকে। এই সমস্যাকে আমরা খুব একটা বেশি গুরুত্ব দেই না তবে এটিও কিডনিতে পাথরের কোন ধরনের সমস্যা সৃষ্টির প্রধান একটি কারণ
  • আমরা সর্বপরিমাণে কিছু খেলেই আমাদের অনেক বেশি বমি বমি ভাব সৃষ্টি হয় এটাও কিডনিতে পাথরের প্রধান লক্ষণ হতে পারে।
  • আমাদের কিডনিতে কোন সমস্যা হলে ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে।

কিডনি পরিষ্কার করে এই ১০ খাবার জেনে নিন

আমরা আমাদের খাদ্যাভ্যাসের কারণে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। যার বীরুপ প্রভাব পড়ে আমাদের স্বাস্থ্যের উপরে। স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য আমরা অনেক প্রোটিন আয়রন আমিষ ও পুষ্টিকর সব খাবার খেয়ে থাকি। তবে সুস্থ ও সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য ভালো খাবার খেলে হবে না া আমাদের শরীরের 

অভ্যন্তরীণ কিডনি পরিষ্কার ও ভালো রাখার জন্য অনেক খাবার খেতে হবে। কিডনি পরিষ্কার করে এই ১০ খাবার জেনে নিন।
  • একটি কথা প্রচলিত আছে যে প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে আমাদের ডাক্তারের কাছে যেতে হবে না। আর এই কথাটি কিডনির ক্ষেত্রেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপেলে বিদ্যমান রয়েছে উচ্চ আঁশ যার মধ্যে রয়েছে এন্টি ইনফ্লামেন্টরি যেটি আমাদের শরীরে উচ্চ কোলেস্টেরল দূর করে হৃদরোগ প্রতিরোধ করে এছাড়াও এটি আমাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এজন্য আমাদের নিজ প্রতিদিন কাঁচা আপেল অথবা আপেলের তৈরিকৃত এক গ্লাস জুস খেতে হবে
  • কিছু গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিনের রান্নার তেলের থেকে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা অধিক স্বাস্থ্যকর । এতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেন্টরি অলিক এসিড ফ্যাটি এসিড যা আমাদের কিডনি সুস্থ রাখে এবং ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ করে।
  • ড্যান্ডেলিয়ন এক প্রকারের বন্য হলুদ ফুলের গাছ যার মূল ও পাতা শুকিয়ে চা তৈরি করে খেতে হয়। যা আমাদের প্রস্রাবের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং দেহের অতিরিক্ত পানি বের করে । এই উপাদানটি প্রাকৃতিক ভাবে আমাদের কিডনি পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
  • রসুনে রয়েছে অ্যাান্টি ইনফ্লেমেন্টরি যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা আমাদের প্রদাহ দূর করতে সক্ষম। কিন্তু রান্না অবস্থায় খেলে এর মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান পাওয়া যায় না। সেজন্য সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুনের দুইটি কুয়া খেলে আমাদের কিডনির পাশাপাশি হার্ট কে ও ভালো রাখবে ।
  • সবুজ শাকসবজি প্রতিদিন খেতে হবে কারণ শাকসবজিতে অনেক বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি এ কে আইরন ফাইবার ও ফলিক এসিড থাকে যা আমাদের উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে এবং কিডনির বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করে।
  • হলুদ আমাদের রান্নার ক্ষেত্রে এবং ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা করার জন্য বেশ কার্যকরী। এর সঙ্গে আমাদের কিডনি রক্ষা করতেও হলুদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । সেজন্য নিয়মিত হলুদ খাওয়ার ফলে ক্যান্সার রোগের ঝুঁকি কমায় এবং কিডনি ও পরিষ্কার হয়ে থাকে। এর মধ্যে থাকা কার কুমিনে আন্টি ইনফ্লেমেন্টারি উপাদান আমাদের কিডনির বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হওয়া থেকে প্রতিহত করে ।
  • চেরি ফলের মতো ক্যানবেরিতে আছে অনেক বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি এই দুইটি উপাদান আমাদের কিডনির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এজন্য নিয়মিত ক্যানবেরি জুস খেলে আমাদের মূত্রথলির অনেক সংক্রমণ কমতে থাকে তার সঙ্গে কিডনিও পরিষ্কার হয়ে যায় এবং কিডনিতে পাথর সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
  • আঁদাতে রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে কিডনিকে কার্যকর করে তোলার ক্ষমতা। আঁদা খাওয়ার ফলে আমাদের কিডনির রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পেয়ে কিডনি অনেক সুস্থ ও সচল হয়ে ওঠে যার ফলে আমাদের কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতিদিন কাঁচা আঁদা অথবা আঁদার জুস তৈরি করে খেতে হবে।
  • লেবুতে রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে এসিডিক উপাদান যা আমাদের কিডনিতে সৃষ্টি হওয়া পাথরকে ভাঙতে সাহায্য করে । লেবুর মধ্যে থাকা সাইট্রাস উপাদানের কারণে কিডনির মধ্যে থাকা ক্রিস্টালদের পরস্পরের মধ্যে জোড়া লাগাতে বাধা সৃষ্টি করে।
  • সাইট্রাসযুক্ত ফল যেমন কমলালেবু , লেবু ও চুন এ অনেক বেশি পরিমাণে হাইড্রেট উপাদান রয়েছে যা আমাদের কিডনি থেকে বাড়তি টক্সিন বের করতে সাহায্য করে । এজন্য এই ফলগুলো খেলে আমাদের কিডনির পাথর সহ বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ।

কিডনি ড্যামেজের প্রধান ১০টি লক্ষণ জেনে নিন

আমাদের দেহের অভ্যন্তরীণে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ কিডনি। এই স্থানে শারীরিক কোন সমস্যা সৃষ্টি হলে তাকে অনেক গুরুতর সমস্যা বলে ধারণা করা হয়। এ রোগ এতটাই ভয়ঙ্কর রুপ ধারণ করতে পারে যে ধীরে ধীরে আমাদের শরীরে বাসা বেধে শরীরকে একদম ধ্বংস করে দিতে সক্ষম । বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায় 

বর্তমান সময়ে আমাদের হার্ট অ্যাটাক ক্যান্সার ও কিডনি রোগের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । আমেরিকার মতো বড় দেশে প্রায় ২৬ মিলিয়ন ব্যক্তি কিডনি রোগে আক্রান্ত। বাংলাদেশেও এর সংখ্যা কোন অংশে কম নয়। আমরা অনেকেই জানিনা যে কিডনিতে কোন সমস্যা হলে ফলাফলস্বরূপ যে অনেক ভয়ানক 

রূপ ধারণ করতে পারে এজন্য আমরা সাধারণ লক্ষণগুলোকে খুব একটা বেশি গুরুত্ব দেই না । কিডনি ড্যামেজের প্রধান ১০টি লক্ষণ জেনে নিন
  • প্রস্রাবের সমস্যা সৃষ্টি হওয়া
  • প্রস্রাবের সময় অনেক বেশি পরিমাণে ব্যথা অনুভূত হওয়া
  • খাবারে অরুচি সৃষ্টি হওয়া ও ক্ষুধা মন্দাভাব তৈরি
  • প্রস্রাবের সময় রক্ত বের হওয়া
  • পায়ের পাতা ও পায়ের গোড়ালি অনেক বেশি পরিমাণে ফুলে যাওয়া
  • ত্বকের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের র‍্যাস ও চুলকানি ভাব সৃষ্টি হওয়া
  • শরীরের মধ্যে খুব দ্রুত ক্লান্তি ভাব অনুভূত হয়ে কাজকর্মে অমনোযোগী হওয়া
  • আমাদের শরীরে পেশিতে টান পড়া ও ক্র্যাম্পট হওয়া
  • শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া এবং ধীরে ধীরে ছোট হওয়া
  • আমাদের চোখের মাংসপেশির চারদিকে ফুলে যাওয়া

কিডনি রোগীর খাদ্য তালিকা জানুন

কিডনি রোগীর খাদ্য তালিকা জানুন। বিভিন্ন গবেষণায় তথ্য মতে বাংলাদেশের প্রায় আড়াই কোটির মত মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। কিডনি রোগের প্রধান চিকিৎসা নতুন কিডনি সংযোজন অথবা ডায়ালাইসিস । তবে এই দুটি অনেক ব্যয়বহুল সম্পন্ন একটি চিকিৎসা যা সাধারন মানুষের হাতের নাগালের বাইরে। 

এজন্য আমাদের প্রয়োজন নিয়মিত স্বাস্থ্য ও কিডনি ভালো রাখার জন্য সঠিক মানের খাবার খাওয়া ও সঠিক নিয়মে জীবন যাপন পরিচালনা করা । কিডনি রোগীদের খাদ্যের তালিকা নিচে দেওয়া হল। 
  • বর্তমান সময়ে আমাদের অনিয়ন্ত্রিতভাবে ব্যথার ওষুধ সেবন করার ফলে কিডনির উপর ভবিষ্যতের বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে এজন্য আমরা এজাতীয় ঔষধ সেবন থেকে বিরত থাকবো।  
  • প্রোটিন যুক্ত ও আমিষ যুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে আমিষ জাতীয় খাবার একদমই না খেলে আমরা আবার শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বো এই জন্য কিডনির সমস্যা কি পরিমাণে রয়েছে ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে আমরা প্রোটিন ও আমিষ যুক্ত খাবার খেতে পারি। 
  • আমাদের কিডনির সমস্যা থাকলে প্রতিদিন একটি করে ডিম দুপুরে ও রাতের খাবারের পর দুই টুকরা মাছ অথবা মাংস এবং তার সঙ্গে তিন থেকে চার চামচ ডাল ভাত খেতে পারি। তবে খুব ভালো হবে রেডমিট জাতীয় খাবার যেমন খাসি ও গরুর মাংস খাওয়ার পরিবর্তে মুরগি ও মাছ খাওয়া অনেক স্বাস্থ্যকর। 
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে সবুজ শাকসবজি ও ফল খেতে হবে এই ধারণাটি পুরোপুরি সঠিক নয়। যেসব ব্যক্তিদের রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে ও কিডনিতে জিএফ আর ৩০ % এর কম থাকে সেক্ষেত্রে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া নিষেধ ।  এ জাতীয় খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে শুকনো খেজুর ডাবের পানি কলা ফল আলু পালং শাক শসা টমেটো ফলের রস অনেক বেশি পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে।
  • খাবারের সঙ্গে এক্সট্রা লবন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। 
  • আমাদের কিডনিতে জিএফ আর ৬০ এর কম থাকলে দিনে ১০০০ গ্রামের বেশি ক্যালসিয়াম খাওয়া যাবে না এবং বছরে দুইবার শরীরের ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর মাত্রা পরীক্ষা করে নিতে হবে ডাক্তারের কাছে গিয়ে। 

কিডনি রোগ এর লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন

ক্যান্সার ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগ বর্তমান সময়ে একটি নীরব ঘাতক হিসেবে আকার ধারণ করেছে। যেসব মানুষের এই তিনটি সমস্যা রয়েছে তাদের জীবনে দুঃখ-দুর্দশার কমতি নেই । কিডনি রোগ এর লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য অভ্যাস চলাফেরা ও জীবনযাপনের জন্য অনেক পরিবর্তন আনতে হয় । 

কোন সমস্যার কারণে কিডনির কার্যক্রম ক্ষমতা কমে গেলে আমাদের নানা রকম শারীরিক জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়। কিডনি রোগের প্রধান লক্ষণ গুলো হল এ রোগ আমাদের শরীরে সৃষ্টি হলে প্রাথমিক পর্যায়ে সেরকম কোন লক্ষণ বোঝা যায় না । তবে আস্তে আস্তে কিডনির কার্যক্রম ক্ষমতা কমতে থাকে তার সাথে লক্ষণগুলো ধীরে ধীরে প্রকাশ পায় 

যেমন শরীরের ওজন কমে যাওয়া দেহের মধ্যে মাংসপেশীর বিভিন্ন জায়গায় টান পড়া ক্র্যাম্প হওয়া হাড়ের মধ্যে ব্যথা অনুভব হাত-পা ও মুখ ফুলে যাওয়া প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া ও রক্তপাত হওয়া শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্লান্তি ভাব অনুভব করা মাথাব্যথা ও বমি বমি ভাব তৈরি হওয়া কে প্রধান লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়।

এ রোগের প্রতিকার হচ্ছেঃ কিডনি রোগ হলে অন্যতম ঝুঁকি বেড়ে যায় উচ্চ রক্তচাপের ও ডায়াবেটিসের। এজন্য যেসব ব্যক্তিদের অনেক বেশি সময় ধরে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে জীবন যাপন করতে হবে এবং বাধ্যতামূলকভাবে ঔষধ খেতে হবে । 

কারণ ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। অনেক বেশি শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে শরীরের বাড়তি ওজন দূর করার জন্য । ধূমপান করার অভ্যাস থাকলে খুব দ্রুত এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। খাবারের সময় এক্সট্রা কাঁচা লবণ খাওয়া যাবেনা। অনেক বেশি পরিমাণে সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে। 

এক্ষেত্রে কিডনি রোগীদের ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে ফলমূল খেতে হবে। কিডনি সমস্যা রোগীদের জন্য নিয়মিতভাবে ডাক্তারের কাছে গিয়ে চেকআপ করাতে হবে এবং নিয়ম করে ঔষধ খেতে হবে ।

লেখকের মন্তব্য 

আমাদের শরীরে কিডনি একটি প্রধান অংশ শরীরের অভ্যন্তরীণ এই অংশটি আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে ও জীবনকে সঠিক নিয়মে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই এই অংশটিতে কোন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হলে আমাদের জীবনযাত্রায় অনেক বড় সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং শরীরকে ধীরে ধীরে ধ্বংস করে দেয়। এজন্য আমরা কিডনির প্রতি অধিক গুরুত্ব শীল হয়ে উঠবো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url