পাথর কুচি পাতার উপকারিতা-চুলের যত্নে পাথরকুচির ব্যবহার
সম্মানিত পাঠক বিরুৎ জাতীয় একটি উদ্ভিদ পাথরকুচি গাছ । পাথর কুচি পাতার উপকারিতা ও চুলের যত্নে পাথরকুচির ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন । প্রায় ২ ফুটের মতো লম্বা আকৃতির হয়ে থাকে এই পাতাটি ডিম্বাকৃতির মত ছোট ছোট খাজ কাটা । বিস্ময়কর এই উদ্ভিদটির একটি বড় গুন হচ্ছে এর পাতার কাটা অংশ মাটিতে ফেললেই সেখান থেকে নতুন
আরেকটি উদ্ভিদের সৃষ্টি হয় এজন্য আমরা এই গাছটির আমাদের বাড়ির উঠানে তৈরি করার জন্য বাজার থেকে কেনার খুব বেশি একটা প্রয়োজন হয় না । পুষ্টি উপাদান ও ভেষজ গুনে সমৃদ্ধ এই উদ্ভিদ আমাদের শরীরের সব ধরনের রোগ প্রতিরোধ করার জন্য বেশ কার্যকরী এ সম্পর্কে জানতে আরও পড়ুন।
ভূমিকা
বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই পাথরকুচি গাছটি অনেক পরিচিত এই গাছের বৈজ্ঞানিক নাম ব্রায়োফাইলাম উদ্ভিদ । অঞ্চল ভেদে একেক এলাকায় একেক নামে ডাকা হয় পার্টিয়াপুরি কফপাতা ইত্যাদি নামে ডাকা হয়ে থাকে। প্রাচীনকাল থেকেই এর ব্যবহার হয়ে আসছে তবে এই উদ্ভিদের কান্ড ও শাখার কোন ঔষধি গুনাগুন নেই শুধু এর পাতার অনেক কার্যকরী উপাদান রয়েছে।
পাথর কুচি পাতার উপকারিতা
পাথরকুচি উদ্ভিদ দুই ধরনের পাওয়া যায় আমাদের দেশে। পাথরকুচির এক জাতের বৈজ্ঞানিক নাম (Kalanchoe Pinnata Pers) অন্য আরেকটি জাতের নাম (Berginia Iigulata Wall-Saxifragaceae) । কবিরাজি শাস্ত্রে পূর্বের পাথরকুচি গাছটিকে আসল বলে গণ্য করেন । এবং আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে পরের পাথরকুচি গাছটিকে আসল বলে গণ্য করা হয়েছে ।
আরও পড়ুনঃ তুলশী পাতার গোপন ১০টি উপকারিতা
পাথরকুচি পাতার পুষ্টিগুণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। অনেকদিন ধরে হওয়া সর্দি কাশি জন্য পাথরকুচি পাতার রস খেলে খুব দ্রুত নিরাময় পাওয়া যায়। বড় থেকে ছোট সকল বয়সী মানুষের ঘন ঘন প্রস্রাব রোধ করার জন্য পাথরকুচির রস খাওয়ানো হয়। আমাদের মূত্রনালীর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা মূত্রনালীতে পাথর পেট ফাঁপা পেট ব্যথায়
রক্তপৃত্তিতে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমনের সময় অথবা মৃগী রোগীদের পাথরকুচি পাতার রস খাওয়ালে এ ধরনের সমস্যা খুব দ্রুত সেরে যায়। এ পাতার সবচাইতে বড় গুণ হচ্ছে আমাদের মূত্রনালীতে কোন ধরনের পাথর হলে এই পাতা এবং পাতার রস খেলে খুব দ্রুত সে পাথর সরিয়ে দিতে সাহায্য করে। এবং আমাদের শরীরে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা
আরও পড়ুনঃ চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার
নিচে দেওয়া হলোঃ
- আমাদের শরীরে লিভারের সকল ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রতিদিন পাথরকুচি পাতা ও এর রস খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
- এই পাতা খাওয়ার ফলে মূত্রনালীর যে কোন ধরনের সমস্যা ও উচ্চ রক্তচাপ এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে ।
- পাথরকুচি পাতার মধ্যে রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে পানি এইজন্য এই পাতা খেলে আমাদের শরীরের ত্বকের জ্বালাপোড়া রোগ প্রতিরোধ করে।
- ছোট বাচ্চাদের পেট ব্যাঁথা হলে ৪০ থেকে ৫০ ফোটা পাথরকুচি পাতার রস পেটের উপরে ও পিঠে মালিশ করে দিলে ব্যাথা থেকে খুব দ্রুত উপশম পাওয়া যায়।
- অতি বিষাক্ত কোন পোঁকামাকড় আমাদের শরীরে কামড় দিলে সেই স্থানে পাথরকুচি পাতার রস আগুনে সেকে লাগালে খুব দ্রুত ব্যথা কমে যায়।
- পাথরকুচির রসের সঙ্গে অল্প কিছু পরিমাণে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে আমাদের শরীরের অশ্ব ও পাইলস রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- সর্দি জনিত যেকোনো ধরনের সমস্যার সময়ে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ফোঁড়া তৈরি হয় এতে অনেক ব্যাঁথা অনুভব হয় শরীরে এই সমস্যাটিকে মেহ বলে। এজন্য প্রতিদিন সকালে পাথরকুচি পাতার রস এক চামচ করে খেতে হবে প্রতি সপ্তাহে সকাল বিকালে তাহলে খুব দ্রুত এই রোগ প্রতিরোধ হবে ।
চুলের যত্নে পাথরকুচির ব্যবহার
এই গাছের পাতা মাংসল ও মসৃণ ছোট ছোট আকৃতির হয়ে থাকে । কিছুটা হাসের ডিমের মত এর চারদিকে গোল গোল ছোট খাঁজ কাটা । গ্রামীন কবিরাজি চিকিৎসায় এ পাতা প্রধান একটি ঔষধি উপাদান ।
আরও পড়ুনঃ চুলের খুশকি দূর করার প্রাকৃতিক উপায়
এ পাতার মাধ্যমে আমাদের চুলের যত্ন নেওয়ার বিভিন্ন ধরনের উপায় রয়েছে এগুলো জানানো হলো
- পাথরকুচি পাতায় বিদ্যমান রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খনিজ ভিটামিন এজন্য এটি খেলে আমাদের চুল খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় ।
- আমাদের চুলের খুশকি রোগ হওয়া অতি পরিচিত একটি সমস্যা চুলের খুশকি নিরাময় পাথরকুচি পাতার বেটে এর সঙ্গে অল্প কিছু পরিমাণে টক দই ও জয়তুন তেল মিক্স করে আমাদের মাথায় মেসেজ করলে চুলের সব ধরনের খুশকি দূর হয়ে যায়।
- পাথরকুচি পাতা এবং নিমপাতা একসঙ্গে বেটে এতে এক চা চামচ অলিভ অয়েল ও টি ট্রি ওয়েল মিক্স করে আমাদের মাথার চুল এবং ত্বকে লাগালে চুলের সব ধরনের সমস্যা খুব দ্রুত নির্মূল হয়ে যাবে।
- পাথরকুচি পাতা বেটে সুন্দর করে এর রস তৈরি করতে হবে এর সঙ্গে একটি পেঁয়াজ মিক্স করে এর রস গোসল করার কিছু সময় আগে মাথায় খুব সুন্দরভাবে লাগাতে হবে এর ঠিক ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করে চুল পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে তাহলে চুলের খুশকি ও চুল ঝরা রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে ।
পাথরকুচি পাতার ৭টি ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানুন
পাথরকুচি পাতার অনেক উপকারিতা ও ভেষজ গুনাগুন পুষ্টি উপাদান থাকলেও এর বিভিন্ন অপকারিতা রয়েছে । পাথরকুচি পাতার ৭টি ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানুন ।
- এই পাতা খুব বেশি পরিমাণে খেলে আমাদের শরীরে পিত্তথলিতে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে ।
- অতিরিক্ত মাত্রায় পাথরকুচি পাতার রস খেলে আমাদের মুখের সব ধরনের স্বাধ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
- এই পাতা অনেক বেশি পরিমাণে খেলে আমাদের ক্ষুধামন্দা ভাব তৈরি হতে পারে ।
- পাথরকুচি পাতার রস অত্যাধিক মাত্রায় খাবার ফলে আমাদের পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে যেমন ডায়রিয়া কলেরা পেট ফাঁপা পেট ব্যাঁথা ইত্যাদি ।
- এই পাতা খুব বেশি মাত্রায় খেলে আমাদের পেটে অনেক ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে ।
- পাথরকুচি পাতা ব্যবহারের সময় খেয়াল রাখবেন যেন এই পাতা কোনভাবে পানিতে ডুবে না থাকে পানিতে ডুবে থাকা অবস্থার কোন ধরনের পাতা খাবেন না।
- পাথরকুচি পাতা খাওয়ার সময় অবশ্যই খুব সুন্দর ভাবে পরিষ্কার করে নেবে খেয়াল রাখবেন মাটিতে পড়ে থাকা কোন ধরনের পাতা খাবেন না এবং ত্বকে ব্যবহার করবেন না।
পাথরকুচি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
পাথরকুচি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন । এটি একটি বহুবর্ষজীবী উদ্ভিজ ও পাতা। অঞ্চল বেঁধে একে্ক এলাকায় একেক নামে ডাকা হয় যেমন পাষাণভেদ , টিকফ পাতা ,পাথান বেইদ , পাটিয়াপুরি এর ইংরেজি
নাম (Pathorkuchi-American Life Plant)। এই গাছটির মধ্যে শুধু এর পাতাটি কার্যকরী হিসেবে ব্যবহৃত হয় । আমাদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাথরকুচি রয়েছে তবে সবচাইতে বেশি পাথরকুচি গাছ পাওয়া যায় পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের নিচু আদ্র এলাকাগুলোতে গুলোতে । এর উপকারিতা জেনে নিন
- মৃগী রোগীদের যখন এই রোগের উদ্ভব হয় তখন পাথরকুচি পাতার রস ৩ থেকে ৪ ফোঁটা পরিমাণে মুখে দিলে এই রোগ থেকে খুব দ্রুত উপশম পায় ।
- অনেকদিন যাবত সর্দি থাকা রোগ খুব দ্রুত নির্মূল করে পাথরকুচি পাতার রস ও সোহাগার খই মিশিয়ে খেলে । প্রতিদিন সকাল ও বিকাল 2 চামচ করে খেতে হবে ।
- আমাদের শরীরে কোন স্থানে কেটে গেলে বা থেঁতলে গেলে কাঁচা পাথরকুচির রস আগুনে সেঁকে সেই স্থানে সেঁকা দিলে খুব দ্রুত ব্যাথা থেকে উপসম পাওয়া যায় ।
- পাথরকুচি পাতায় বিদ্যমান রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে পানি যা আমাদের ত্বকের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী এজন্য পাথরকুচি পাতা বেটে পেস্ট করে আমাদের ত্বকের উপরে লাগালে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন ব্রণ কালো কালো দাগ খুব দ্রুত সেরে যায় এবং ত্বক উজ্জ্বল ও চকচকে হয়ে ওঠে।
- মাথা ব্যাঁথার সময় পাথরকুচি পাতার পেস্ট আমাদের মাথার কপালে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখতে হবে তাহলে খুব দ্রুত মাথা ব্যাথা দূর হয়ে যাবে। মাথা ব্যাথা রোগ ঘন ঘন হয় এরকম মানুষদের জন্য এই পেস্ট অত্যন্ত কার্যকরী ।
- আমাদের চোখের যত্নে পাথরকুচির রস বেশ কার্যকরী। পাথরকুচির রস আমাদের চোখের চারপাশে লাগালে খুব দ্রুত ব্যথা দূর হয়ে যায় এবং চোখের দৃষ্টি ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ।
- আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের ফলে ত্বকে বিভিন্ন রোগ জীবাণু বাসা বেঁধে খোস পাঁচড়া রোগের সৃষ্টি হয় এই সময় পাথরকুচি পাতার পেস্ট ত্বকের এই সমস্যাগুলোর উপরে লাগালে ত্বকের এই ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- যাদের গলগন্ড রোগ আছে তারা নিয়মিত দিনে দুই বেলা পাথরকুচি পাতার রস খেলে এই রোগ সেরে যাবে।
- ও অপকারিতা
- অনেক বেশি মাত্রায় পাথরকুচি পাতা খেলে আমাদের পেটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে যার দরুন ডায়রিয়া ও কলেরা সহ বিভিন্ন ধরনের রোগের সম্ভাবনা তৈরি হয় ।
- খুব বেশি পরিমাণে পাথরকুচি পাতা খেলে ক্ষুধামন্দা ভাব তৈরি হয় ।
- অনেক বেশি মাত্রায় পাথরকুচি পাতা ও এর রস খেলে আমাদের পিত্তথলিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে ।
- মাত্রাতিরিক্তভাবে পাথরকুচি পাতা ও এর রস খেলে আমাদের মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয় ।
পাথরকুচি পাতা খাবার নিয়ম জানুন
বর্তমান সময়ে চিকিৎসা জন্য আমরা ডাক্তারের দ্বারস্থ হলে বিভিন্ন ক্লিনিক বা মেডিকেলের ডাক্তারেরা গাদি গাদি ঔষধের লিস্ট ধরিয়ে দেয় আমাদের হাতে এসব ওষুধ খাওয়ার ফলে আমাদের একটি সমস্যা থেকে মুক্তি মিললেও তৈরি হয় অনেক বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার সম্ভব না । এজন্য আয়ুর্বেদ শাস্ত্রীয় উদ্ভিজ্জ ভেষজ গুণাগুণ সম্পন্ন ওষুধ খেলে
আমাদের এ ধরনের গুরুতর রোগ সম্ভাবনা অনেক কম থাকে । পাথরকুচি পাতা খাবার নিয়ম জানুন
- আমাদের অনেক সময় প্রস্রাব আটকে পেট ফাঁপা পেট ফুলে যাওয়ার রোগের এবং অধবায়ু পরিষ্কার হচ্ছে না এ ধরনের সমস্যার সময়ে পাথরকুচি পাতার রস দুই চামচ এবং অল্প কিছু পরিমাণে চিনি এক কাপ সমান পরিমাণ গরম জলের সঙ্গে মিক্স করে খেতে হবে তাহলে পেটের সব ধরনের সমস্যা খুব দ্রুত নির্মূল হবে ।
- ২ চা চামচ পাথরকুচির রস ও আধা গ্লাস গরম পানি মিশিয়ে খেলে আমাদের শরীরের ও ত্বকের বিভিন্ন ধরনের জ্বালাপোড়া রোগ থেকে আরোগ্য মিলবে ।
- আমাদের শরীরে যেকোনো ধরনের সমস্যা যেমন মূত্রনালীর ও উচ্চ রক্তচাপের সমাধানের ক্ষেত্রে পাথরকুচি পাতার রস বেশ কার্যকরী এর জন্য এ পাতা নিয়মিত ভাবে খেলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ।
- আমাদের শরীরের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ উপকার হিসেবে কার্যকরী লিভারের যেকোনো ধরনের সমস্যা যেমন জন্ডিসহ সকল ধরনের সমস্যা দূর করতে পাথরকুচি পাতা ও এর রস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
খালি পেটে পাথরকুচি পাতা খেলে কি হয়
পাথরকুচি গাছ ও পাতা আমাদের অনেক পরিচিত একটি ওষুধী উপকরণ । খালি পেটে পাথরকুচি পাতা খেলে কি হয় জানুন । পাথরকুচি পাতা আমরা যদি প্রতিদিন ২ থেকে ৩ বার চিবিয়ে খায় তাহলে আমাদের কিডনির সকল ধরনের পাথর দূর হয়ে যাবে এবং জন্ডিস রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে । এই পাতা চিবিয়ে এর রস খেলে আমাদের ডায়রিয়া
আমাশয় ও কলেরার মতো সমস্যা খুব দ্রুত নির্মূল করে দিবে । আমরা অনেক সময় প্রস্রাব আটকে রাখলে বিভিন্ন সময় বায়ু দূষণ প্রক্রিয়া সঠিকভাবে পরিচালনা হয় না এবং পেট ফাঁপা রোগ সৃষ্টি হয় এই সময় পাথরকুচি পাতার রসের সঙ্গে এক চিমটি চিনি হালকা কুসুম গরম পানিতে মিক্স করে খেলে আমাদের মূত্রের বেগ সঠিকভাবে পরিচালনা হবে
এবং পেট ফাঁপাও কমতে থাকবে । এই পাতার সবচাইতে বড় উপকারী বিষয় হচ্ছে মৃগী আক্রান্ত রোগীদের এ রোগ যখন ওঠে তখন পাথরকুচির রস ৩ থেকে ৪ ফোঁটা তাদের মুখে দিলেই এই রোগটি খুব দ্রুত সরে যায় । এই পাতার রস খাওয়ার ফলে পিত্তথলির বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দূর হয়ে যায়।
পাথরকুচি পাতা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় এই পাতাটি চীনে কিডনির মহৌষধ হিসেবে তারা এই পাতাটি কে ব্যবহার করে এজন্য তারা নিয়মিত এই পাতার স্যুপ তৈরি করে খান । ভারতের বুন্দেলখন্ড রাজ্যে জন্ডিসের চিকিৎসার জন্য
কাঁচা পাথরকুচি পাতার রস ব্যবহার করে থাকেন । এবং পশ্চিমাঞ্চলের স্বদ্ধ জন্মলাভকৃ নবজাতক ও তার মাকে এই পাতার রস খাওয়ানো হয় ।
লেখকের মন্তব্য
পাথরকুচি পাতা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপকারী ঔষধি উপাদান । পাথরকুচি পাতা ও এর রস আমাদের জন্য খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। তবে খেয়াল রাখবেন এই পাতা এবং এর রস খুব বেশি পরিমাণে যেন না খাওয়া হয় । খুব বেশি পরিমাণে খেলে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে এঈ পাতাটি খাবার আগে অবশ্যই পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিবেন ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url