পদ্মা সেতু বিশ্বের কততম সেতু-পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত


প্রিয় পাঠক পদ্মা সেতু বিশ্বের কততম সেতু ও পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত এ সম্পর্কে জানুন পদ্মা সেতু বাংলাদেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম সেতু হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছে । এই সেতু নির্মাণের জন্য মোট ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে । তবে ২০১৯ সালে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এক দল কুচক্রি মহল যার মধ্যে প্রধান ছিল ফেসবুক এরা ছড়িয়েছিলেন যে
পদ্মা সেতু বিশ্বের কততম-পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত
পদ্মা সেতুতে ছোট বাচ্চার মাথার প্রয়োজন হয় । সারা বাংলাদেশ অনেক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় । এবং এর কিছুদিন পরে ২০১৯ সালের ৯ জুলাই সেতু নির্মাণ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের সবকটি গণমাধ্যমকে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছিলেন যে এই তথ্যটি পুরোপুরি মিথ্যা । এ সম্পর্কে সাধারন মানুষকে সচেতন করার জন্য ।

ভূমিকা 

পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মিত হওয়ার ফলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আর উন্নত হয়েছে । যার মাধ্যমে বাংলাদেশের পুরো এলাকার মধ্যে মোট ২৯ পার্সেন্ট অঞ্চলের লোকজন প্রায় তিন কোটির বেশি মানুষ এর সুবিধা ভোগ করবে । এই প্রকল্প টি বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা পরিবহন খাতকে অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে । এ সম্পর্কে জানতে নিচে আরো পড়ুন ।

পদ্মা সেতু বিশ্বের কততম সেতু

সারা পৃথিবীতে ছোট-বড় মিলিয়ে কয়েক হাজার সেতু রয়েছে। আর এই সেতুগুলো নদীর এক পাড়ের মানুষের সঙ্গে আরেক পাড়ের মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা ও ব্যবসা বাণিজ্য আরো উন্নত করে তুলে । পদ্মা সেতু আমাদের বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু । এই সেতুটি নির্মিত হয়েছে পদ্মা নদীর উপর দিয়ে শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের সঙ্গে 

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়কে একত্রিত করেছে । ২৫ জুন ২০২২ সালে পদ্মা বহুমুখী সেতুর উদ্বোধন করেন বর্তমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা । বাংলাদেশের ইতিহাসে চ্যালেঞ্জিং একটি কাজ ছিল পদ্মা সেতু নির্মাণ করা । পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার বা ৩.৮২ মাইল । পদ্মা সেতু পৃথিবীর দীর্ঘতম সেতু গুলোর মধ্যে ১২২ তম স্থানে রয়েছে । 

সারা পৃথিবীর মধ্যে সবচাইতে বড় ও দীর্ঘতম সেতু চীন দেশ নির্মাণ করেছেন । এই সেতুর নাম ডানইয়াং- কুনসাং গ্র্যান্ড ব্রিজ । এই ব্রিজের দৈর্ঘ্য ১১৩.৭ কিলোমিটার । এই তালিকার দশ নম্বর স্থানে থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুনচাক সুয়াম্প সেতু। এই সেতুটি দৈর্ঘ্য ৩৬ কিলোমিটার ।

পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত

পদ্মা বহুমুখী সড়ক কাম রেল সেতু পদ্মা নদীর উপরে নির্মিত হয় । বাংলাদেশের সবচাইতে বড় সেতু । এই সেতুর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরিয়তপুরের জাজিরা প্রান্তকে সংযুক্ত করা হয়েছে । এবং ঢাকার সাথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লোকজনের যাতায়াত ব্যবস্থা ব্যবসা-বাণিজ্য অনেক উন্নত হয়েছে । এই সেতুর তৈরির প্রকল্পটি 

বাস্তবায়িত করেছেন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং চাইনা মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড মূল সেতুর নির্মাণ কাজ করেছেন । পদ্মা বহুমুখি সেতুটির মূল সেতু ব্যতীত মোট ১২.১৭ কিলোমিটার এবং মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার । ও ৩.৮২ মাইল। ৫৩২ মিটার রেল ও ভায়ডাক্ট ৩.৪৮ কিলোমিটার ।

পদ্মা সেতুর পিলার কয়টি জেনে রাখুন

পদ্মা বহুমুখী সেতুর কারণে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষেরা রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছেন এবং মংলা বন্দর থেকে সরাসরি সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়েছে । পদ্মা সেতুর পিলার কয়টি জেনে রাখুন । এই সেতুতে ব্যবহৃত পাইল গুলো ইনক্লিড এক এইচ 6 ভি অনেক উন্নত রেকেট ইস্পাত টিউবুলার দ্বারা নির্মিত । 

এক একটি পিলারে রয়েছে মোট ৬ টি পাইল যার এক একটির ব্যাসার্ধ ৩ মিটার ও দৈর্ঘ্য ১২৮ মিটার । এই সেতুতে মোট পাইল ব্যবহৃত হয়েছে ২৭২ টি । ৪০ মিলিমিটারের রিভার পাইলে ব্যবহার করা হয়েছে এই মোট রিভার সংখ্যা ১৩২টি । রিখটার স্কেলের ৯ মাত্রা ভূমিকম্প সহনশীল হিসেবে এই সেতু নির্মিত হয়েছে । পদ্মা সেতুর মোট পিলারের সংখ্যা ৪২ টি 

এবং মোট স্পেনের সংখ্যা ৪১ টি যার এক একটি দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার । এই সেতুর ডেকের উচ্চতা ১৩.৬ মিটার । যার ওপরে রয়েছে ২২ মিটারের পাথরের ডেক স্লাব এর সব দিকে রয়েছে ২.৫ মিটার শক্ত শোল্ডার । ও এর নিচের ডেকে রয়েছে ডুয়েল গেজ রেললাইন সিঙ্গেল ট্র্যাকের । এই সেতুর মাওয়া প্রান্তে স্প্যানের সংখ্যা মোট ৩৯ টি যার দৈর্ঘ্য ১৪৭৮.০৩ মিটার । 

জাজিরা প্রান্তে স্পেনের সংখ্যা ৪২ টি । যার দৈর্ঘ্য ১৬৭০.০৩ মিটার । ৮১টি স্প্যান মোট সড়কের ভায়াটাকে আছে । এগুলো দৈর্ঘ্য ৩১৪৮.৬ মিটার । এবং জাজিরা ও মাওয়া প্রান্তে ১৪ টি স্পেন রেল ভায়োডাক্ট আছে । যেগুলো দৈর্ঘ্য ৫৩২ মিটার ।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ জেনে নিন

বাংলাদেশ সরকার রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা আর উন্নত করার জন্য ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৯৮ সালে পদ্মা নদীর ওপরে একটি সেতু নির্মাণের প্রকল্প প্রস্তাব জারি করে । পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ জেনে নিন । ২০০৭ সালের ২০ই আগস্ট সে সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার মোহাম্মদ ফকর উদ্দিন আহমেদ 

একনেকের সাথে বৈঠক শেষে ১০১৬১ কোটি টাকা ব্যয় এই সেতু নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছিলেন । ২০০৮ সালের গণতান্ত্রিক নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ দল তাদের নির্বাচন ইশতেহারে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণের ওয়াদা দেন । এবং সেই নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগ দল এই প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করার উদ্যোগ নেন । 

২০০৯ সালে এই সেতুর জন্য ভূমি অধিগ্রহণের নকশা নির্মাণের কাজ শুরু হয় যাতে এই সেতুটির নির্মাণ কাজ ২০১১ সালের মধ্যে শুরু করতে পারে । ২৮ এপ্রিল ২০০৯ সালে বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশের ঋণ শক্তির স্বাক্ষর করে পদ্মা সেতু নির্মাণ ব্যায়ের । কিন্তু ২৯ শে জুন ২০১২ সালে এই সেতুর পরামর্শ প্রতিষ্টান এসেন্সি লাভানিদের সঙ্গে বাংলাদেশের 

কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিশ্ব ব্যাংক এই ঋণ প্রণোদনা চুক্তিটি বাতিল করে দেয় । এরপরে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ২০১২ সালের ৪ জুলাই জাতীয় সংসদের অধিবেশনে নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দেন । এরি ধারাবাহিকতাই ৯ জুলাই ২০১২ সালে নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের বাজেট পাস হয় জাতীয় সংসদে । 

 ৩১ জুন ২০১৪ সালে এই সেতুটি নির্মাণের জন্য নতুন করে যুক্তি বাস্তবায়িত করে চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপের সঙ্গে । ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর পদ্মা সেতুর উপর হওয়া দুর্নীতির উপর তদন্ত করে কোন অভিযোগ পাইনি দুদকের কর্মকর্তারা এজন্য ২৬ অক্টোবর এই মামলার অবসান ঘটে । 

এবং ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বরে পদ্মা বহুমুখী মূল সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজের উদ্বোধন করেছিলেন । এরপরে ২০১৭ থেকে ২২ সাল পর্যন্ত এই সেতু নির্মাণ কাজ চলে এবং ৪ জুন থেকে ১০ জুন ধাপে ধাপে এই সেতুর বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হয় । 

এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫শে জুন পদ্মা বহুমুখী সেতুর উদ্বোধন করেন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম টোল পরিশোধ করে । এবং সাধারণ জনগণের জন্য ২৬ জন ২০২২ এই সেতুটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় । এই সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আপামর জনতার লক্ষ লক্ষ ঢল নেমে এসেছিল পায়ে হেঁটে এসে পুর সেতু অতিক্রম করার জন্য । 

আনুষ্ঠানিকভাবে এই সেতু উদ্বোধনের দিন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সামরিক বেসামরিক সকল বাহিনীর পদাচারণা ছিল নান্দনীয় । অনেক জাকজমকপূর্ণ আয়োজনে এই সেতুটি উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

পদ্মা সেতুর খরচ কত সঠিক তথ্য জানুন

পদ্মা সেতুর খরচ কত সঠিক তথ্য জানুন । ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ সরকার একটি বাজেট উত্থাপন করেছিলেন । যাতে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের ঢাকার সঙ্গে যাতায়াত ব্যবস্থা আরো উন্নত করার লক্ষ্যে । তৎকালীন সময়ে এই সেতুটি 

তৈরীর বাজেট ধরা হয়েছিল ৩,৬৪৩.৫০ কোটি টাকা । কিন্তু পরবর্তীতে এসে নির্মাণের প্রকল্প ব্যয় দাঁড়ায় ৩০ হাজার ১৭৩ কোটি টাকা । এবং এরপরে নির্মাণ ব্যায় আবার বেড়ে দাঁড়ায় মোট ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা । পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য মোট জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে ১৪৭১ হেক্টর । এর সাথে জাজিরা প্রান্তে ১২.৪ কিলোমিটার 

ও মাওয়া প্রান্তে ১.৬ কিলোমিটার নদী শাসন করেছেন । এই প্রকল্পটির খরচ বাড়তি হওয়ার কারণ বর্তমান সময়ে ডলারের মূল্যস্ফীতি নদী ভাঙ্গন ফেরিঘাট স্থানান্তর ও সময়মতো কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্পের নির্মাণাধীন পরামর্শকদের বেতন ভাতা বৃদ্ধির জন্য এই সেতু নির্মাণ ব্যয় কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছিল ।  

মূল অনুষ্ঠান শেষ করার জন্য খরচ হয়েছিল ৩০ কোটি টাকা । পদ্মা বহুমুখী সেতুর উপর দিয়ে ২০২৪ সালে প্রতিদিন প্রায় ২৪ হাজার যানবাহন চলাচল করবে বলে মনে করা হচ্ছে । ২০৫০ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৬৭ হাজারে ।

পদ্মা সেতুতে চলাচলের জন্য বিভিন্ন যানবাহনের টোলের পরিমাণ । ৩১ আসনের ছোট বাসের জন্য ১৪০০ টাকা/ মাঝারি সিটের বাস বা ৩২ সিটের চেয়ে একটু বেশি এর জন্য ২ হাজার টাকা / বড় ধরনের বাস থ্রি এক্স এল ২৪০০ টাকা / মোটরসাইকেল ১০০ টাকা / পিকআপ ভ্যান ১২০০ টাকা / ছোট মাইক্রো বা কারের জন্য ৭৫০ টাকা / 

ছোট ট্রাক ৫ টন ১৬০০ টাকা / মাঝারি ট্র্যাক ৮ টন বেশি ২১০০ টাকা / মাঝারি ট্রাক ৮ থেকে ১১ টন ২৮০০ টাকা / বড় ট্রাক থ্রি এক্সলে ৫৫০০ হাজার টাকা / ছোট ট্রেইলার থ্রি এক্সেল ৬ হাজার টাকা / এবং বড় ট্রেইলার ৪ এক্সেল এর বেশি ৬ হাজারের সঙ্গে প্রতি এক্সলে আরো ১৫০০ টাকা বেশি টোল চাঁদা দিতে হবে ।

পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কত জেনে নিন

মুন্সিগঞ্জের মাওয়ার সঙ্গে শরীয়তপুরের জাজিরার সংযোগ স্থাপন করে পদ্মা বহুমুখী সেতু । পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ কত জেনে নিন । এই সেতু বিশ্বের পৃথিবীর দীর্ঘতম ট্রাশ সেতু । এই সেতুর দৈর্ঘ্য মোট ৬.১৫ কিলোমিটার ও প্রস্থ ১৮.১৮ মিটার বা ৫৯.৬৫ ফুট । এর ডায়াডাক্ট । রিক্টার স্কেলের ৯ মাত্রা ভূমিকম্প সহনশীল । 

এই সেতু নির্মাণের মূল উপাদান কংক্রিট স্টিল । এই সেতুতে মোট চারটি লেন আছে । একটি মিটার গ্যাসের রেল সংযোগ ব্রডগেজ লাইনের । এই সেতু নির্মাণের জন্য ১২ কিলোমিটার নদী শাসন করতে হয়েছিল । এই সেতু নির্মাণের জন্য মোট ব্যয় কৃত টাকার পরিমান ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা । এই সেতুর মোট আয়ুষ্কাল প্রায় ১০০ বছর । 

পদ্মা সেতু দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ষষ্ঠ বৃহত্তম সেতু । পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে যশোর ও ঢাকার রেলপথের দূরত্ব প্রায় ১৬৯ কিলোমিটার । এই সেতুতে মোট ৪১ টি স্পেনের ব্যবহার করা হয়েছে ও মোট পিলারের সংখ্যা ৪২ টি ।

লেখকের শেষকথা

পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ সরকার বড় একটি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন । এবং তিনি সফলভাবে এই সেতুর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়িত করেছেন । তবে ২০১৯ সালে একদল কুচক্রি মহল পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য নাকি ছোট বাচ্চাদের মাথার প্রয়োজন এই বলে গুজব ছড়াচ্ছিলেন । এই সময় এই গুজবের উপর বিশ্বাস করে 

আপামর জনতা অনেক সাধারন মানুষকে এবং বাক-বিতণ্ডতা বুদ্ধিহীন পাগল দের উপর মারধর করেন এতে অনেকের প্রাণহানিও হয় । এজন্য এইসব গুজবে কান দিবেন না । নিজে সচেতন থাকুন এবং আপনার পরিবারকে সচেতন ভাবে তৈরি করুন ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url