টেলিফোন আবিষ্কার ও ঘড়ি কে আবিষ্কার করেন জানুন


সম্মানিত পাঠক টেলিফোন আবিষ্কার ও ঘড়ি কে আবিষ্কার করেন জানুন। টেলিফোন আবিষ্কার হওয়ার পর মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো উন্নত হয়েছে টেলিফোনের দ্বারা মানুষের কথার ভাব বুঝানোর চেষ্টা করেছেন
টেলিফন আবিষ্কার ও ঘড়ি কে আবিষ্কার করেন
টেলিফোন মূলত গ্রাহাম বেল তার স্ত্রীর শ্রবণ শক্তি জানার জন্য আবিষ্কার করেছিলেন কারণ তার মা ও স্ত্রী কেউই কথা বলতে পারতো না তবে এই যন্ত্রাংশটি আধুনিক বিশ্বে অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে

ভূমিকা 

টেলিফোন মোবাইল ফোন আবিষ্কার হওয়ার ফলে বর্তমান সময়ে আমরা সারা পৃথিবীতে হাতের নাগালে পেয়ে গেছি। কম্পিউটারের মাধ্যমে অনেক নিত্যনতুন প্রযুক্তির সাহায্যে নিয়ে কাজ করতে পারছি এজন্য এ যন্ত্র গুলো যেসব বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন তাদের সম্পর্কে কিছু তথ্য জানতেন নিচে আরও পড়ুন।

টেলিফোন আবিষ্কার

টেলিফোন আবিষ্কারক করেন কে সে বিষয়ে জানুন । টেলিফোন সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল ১৮৭৬ সালে। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৮৪৭ সালের ৩ মার্চে তার জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ১৯২২ সালের ২ আগস্ট। টেলিফোন আবিষ্কারক নিয়ে অনেক মতভেদ থাকলেও গ্রাহাম বেল কেই 

টেলিফোনের অন্যতম আবিষ্কারক বলে সম্মাননা প্রদান করেছেন। এজন্য তাকে সবাই বোবাদের পিতা বলতেন। তার পরিবারের অন্য সদস্যরা বাবা দাদা ও ভাই অভিনয় এবং বক্তৃতার সঙ্গে জড়িত ছিল। তার স্ত্রী ও মা দুজনেই বোবা ছিলেন। এজন্য তিনি কথা বলতে না পারা মানুষদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করার জন্য 

অনেক গবেষণা করে তাদের কথা ও শ্রবণ শোনার জন্য এই যন্ত্রাংশটি আবিষ্কার করেছেন। বেল স্কটল্যান্ড এর এডিনবার্গে ৩ মার্চ ১৮৪৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
  • তার পিতার নাম ছিল আলেকজান্ডার মেলভিল বেল এবং মাতার নাম এলিজা গ্রেস সাইমনডস বেল।
  • তার দুই মেয়ে ও দুই ছেলে মোট ৪ টি সন্তান ছেলের দুটো শিশু অবস্থায় মারা যায়।
  • তার স্ত্রীর নাম ম্যাবেল হুবার্ড (১৯৪৭ থেকে ১৯২২) পর্যন্ত তাদের দাম্পত্য জীবন।
  • গ্রাহাম বেল নোভা স্কটিয়া কানাডাতে ৭৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
  • তিনি লেখাপড়া করেছেন ইউনিভার্সিটি অফ এডিনবরা-ইউনিভার্সিটি অফ টরেন্টো।
এই তালিকায় আরো শির্ষ্য চারজন বিজ্ঞানীর নাম উল্লেখ রয়েছে যাদেরকে টেলিফোন আবিষ্কারি বিভিন্ন তথ্য ও প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছিলেন । এদের মধ্যে রয়েছে
  • ১৯৫৪ সালে এন্টোনিও মিউসি টেলিফোনের মত যন্ত্র আবিষ্কার করেছিলেন।
  • ১৮৭৬ সালে এলিসা গ্রে ইলিনয়ের হাইল্যান্ড পার্কে এটি টেলিফোন ডিজাইন করেছিলেন জল মাইক্রোফোন ব্যবহার করে।
  • ১৮৭৬ সালে টিভাদার পুস্কেস টেলিফোন সুইচবোর্ড এক্সচেঞ্জ করার মতামত দিয়েছিলেন ।
  • টমাসন অ্যাডিসন কার্বন মাইক্রোফোন আবিষ্কার করেন যা অনেক শক্তিশালী একটি টেলিফোন সংকেত হিসেবে কাজ করতো।

ঘড়ি কে আবিষ্কার করেন জানুন

পৃথিবীর সর্ব প্রথম যান্ত্রিক ঘড়ি নাম হচ্ছে সূর্য ঘড়ি। যাকে ডায়াল অফ জাহাজ বলা হয়ে থাকে। প্রায় ৫৫৫০ বছর পূর্বে মিশরের ব্যাবিলন শহরের এই ঘড়ি উদ্ভব হয়েছিল । গোল আকৃতির চারটি ও নির্দেশিকা একটি কাটা নিয়ে এই ঘড়ি কাজ করতো তবে এই ঘরের বিশেষ বৈশিষ্ট্য এই যে শুধুমাত্র সূর্য উঠলেই এই ঘড়িতে সময় দেখা যেত। 

পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞানী গ্যালিলিওর সূত্র থেকে পিন্ডুলাম চালিত প্রথম ১৬৫৬ সালের (criscian haizen) ঘড়ি আবিষ্কার করেন । পেন্ডুলাম এর ঘড়ি ডানে-বামে অনেক ভালো ভাবে ঘুরতেও মিনিট ও ঘন্টার ঘাজ কাটা চাকতিগুলো । ১৫২৪ সালে পিটার হেনিলিন সর্বপ্রথম পকেট ঘড়ি আবিষ্কার করেছিলেন এরপরে ১৯৯০ সালে সেকেলে ঘড়িগুলো 

পকেটের মধ্যে থাকতো দীর্ঘ অনেক বছর পর ১৯৭০ সালে ঘূর্ণায়মান ঘড়ির সঙ্গে ঘন্টার কাটা ও মিনিটের কাটা যুক্ত করে দেওয়া হয়। এরপর আধুনিক ডিজিটাল ঘড়ির উদ্ভাবন হয় ১৯৯০ সালে । এই ঘড়ির ভেতরে কম্পিউটারের ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ যাতে কাটার পরিবর্তে সংখ্যার মাধ্যমে সময়ের দেখাও হিসাব-নিকাশ করা যেত।

চার্লস ব্যাবেজ কত সালে কম্পিউটার আবিষ্কার করেন 

চার্লস ব্যাবেজ কত সালে কম্পিউটার আবিষ্কার করেন জানুন। ১৮২২ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতবিদ অধ্যাপক চার্লস ব্যাবেজ অন্যরকম একটি ইঞ্জিন তৈরি করেন। এর পরবর্তী সময়ে এনালটিক্যাল ইঞ্জিন নামক একটি যান্ত্রিক কম্পিউটার তৈরীর পরিকল্পনা ও নকশা করেন ১৮৩৩ সালে। আর সেই সূত্রে তাকে সর্বপ্রথম কম্পিউটারের জনক বলা হয়। বস্ত্র শিল্পের নকশা তৈরি করার জন্য ১৮০১ সালে 

পাঞ্চকার্ডের ব্যবহার শুরু হয় এটি সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন ফ্রান্সের জোসেফ মরি যেকার্ড। আমেরিকার আদর আদমশুমারি গণনার জন্য একটি মেশিন আবিষ্কার করেছিলেন ১৮৮৭ সালে ডঃ হরমেন হলরিত এই যন্ত্রটিকে টেবুলেটিং মেশিন বলা হয়। কম্পিউটার প্রধান অংশ সর্বপ্রথম ট্রানজিস্টর নামে আবিষ্কৃত হয় এর সঙ্গে আইসি ব্যবহার করে 

অনেক বড় একটি ঘরের ব্যবহার করত । এরপর ১৯৭১ সালে সর্বপ্রথম আমেরিকার ইন্টেল কোম্পানি মাইক্রোপ্রসেসর তৈরি করেন আধুনিক যুগের কম্পিউটারের মূলে রয়েছে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট। বিজ্ঞানী জ্যাক ক্যাল বি ১৯৫৮ সালে সর্বপ্রথম আইসি আবিষ্কার করেন ।

মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন বিস্তারিত জানুন

টেলিফোন আবিষ্কারের পর মানুষ তারবিহীন টেলিফোনের কথা ভাবতে থাকেন। মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন বিস্তারিত জানুন। বিজ্ঞানী রেজিনালদ ফেসেনদেন ১৯৪০ সালে একটি রেডিও টেলিফোন আবিষ্কার করেন যা মিলিটারিরা ব্যবহার করতেন। ১৯৭৩ সালের বিশ্বের অন্যতম মোটোরোলা কোম্পানির প্রধান জন মিশেল 

এরই ধারাবাহিকতায় তারবিহীন টেলিফোন আবিষ্কার করার চিন্তা ভাবনা করেন। এই কাজের প্রধান পরামর্শ ছিলেন একই কোম্পানির গবেষক ও নির্বাহী মার্টিন কুপার। আর এই মাটি কুপার সর্বপ্রথম সেলুলার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মুঠোফোন অথবা মোবাইল ফোন আবিষ্কার করেছিলেন। এই মুঠোফোনটির ওজন ছিল প্রায় ২.৫ পাউন্ড। 

যার দৈর্ঘ্য ছিল ৯ ইঞ্চি প্রস্থ ১.৭৫ ইঞ্চি ও উচ্চতা ৫ ইঞ্চি। এজন্য মার্টিন কুপার কে আধুনিক মোবাইল ফোন আবিষ্কারের জনক বলা হয়।

বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল কোম্পানির নাম কি জানুন

বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল কোম্পানির নাম কি জানুন। বাংলাদেশের সর্বপ্রথম মোবাইল কোম্পানির নাম হল সিটিসেল । বিটিআরসি থেকে মোবাইল ফোন প্রত্যাবর্তন এর জন্য বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড বিটিএল তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বরাদ্দ করে ১৯৮৯ সালে। লাইসেন্স পাওয়ার পরে হংকং এর বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হাচিসন টেলিকমিউনিকেশন 

লিমিটেড কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন। এর কয়েক বছর পর ১৯৯৩ সালে এর মালিকানা পরিবর্তন আসে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোর্শেদ খান এর মালিকানা পান তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক মটরস ও ফারিইস্ট টেলিকম এইচ বি টি এল এর শেয়ার কিনে এরপর কোম্পানির নাম বদলে প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড ও সিটি সেলের নামে 

ব্র্যান্ডিং ও লোগো তৈরি করেন যা গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশে অনেক নিম্ন পর্যায় ছিল। এজন্য ২০১৬ সালের ২০ অক্টোবর বি টি আর সি কর্তৃক এই কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। 
এদের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৬ লাখের একটু উপরে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৩ নভেম্বর আবার সিটি সেল নেটওয়ার্ক খুলে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু ৬ নভেম্বর আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়। তো পুরোপুরিভাবে সিটিসেলের লাইসেন্স ২০২৩ সালে বাতিল করে দেওয়া হয় বাংলাদেশ বিটিআরসি থেকে।

রেডিও আবিষ্কার করেন কে জেনে নিন

রেডিও আবিষ্কার করেন কে জেনে নিন। পৃথিবীর সকলে অবগত আছেন যে রেডিও সৃষ্টি করেছেন মার্কিন বিজ্ঞানী বাঁয়ে কিন্তু রেডিও সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেছেন বাঙালির বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু । এজন্য এই যন্ত্রাংশটির উদ্ভাবক হিসেবে মার্কিনী ও জগদীশচন্দ্র বসু দুইজনকেই ধরা হয়। ১৯০১ সালে তারা একে অপরের কাছে বেতার সংকেত পাঠান।

লেখকের মন্তব্য

পৃথিবীর সকল বিশ্ব বিখ্যাত ব্যক্তিগণ অনেক জিনিস আবিষ্কার করেছেন। তবে তৎকালীন সময়ের এসব উদ্ভাবনীয় বস্তুর থেকে বর্তমান সময়ে আধুনিক চিন্তা চেতনার মাধ্যমে এই যন্ত্রগুলোকে পরিপূর্ণভাবে রূপ দিয়েছেন আধুনিক বিজ্ঞাণীগণ। তাই এদের অবদান কোন অংশে কম নেই এসব যন্ত্রাংশ আবিষ্কারের ক্ষেত্রে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url