টিউমার কেন হয়-ব্রেন টিউমার কেন হয় জানুন


প্রিয় পাঠক টিউমার কেন হয় ও ব্রেন টিউমার কেন হয় জানুন। এইরোগ আমাদের দেহে একটি অবিচ্ছেদ অংশ এটি গোল চাক্তির আকার ছোট ডিম্বাকৃতির মতো তৈরি হতে পারে আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেক বড় আকার ধারণ করতে পারে
টিউমার কেন হয় জানুন
এইরোগ দুই ধরনের হয়ে থাকে এক ধরনের যেখানে সৃষ্টি হয় সেখানেই থেকে যায় আরেক ধরনের এক জায়গায় সৃষ্টি হলে শরীরের বাকি অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে

ভূমিক

এইরোগ সৃষ্টির কারণ ও লক্ষণ এবং টিউমার কি ক্যান্সারের কারণ হতে পারে । টিমার থেকে অনেক ক্ষেত্রে ক্যান্সারের সৃষ্টি হতে পারে । তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই রোগ থেকে ক্যান্সারের সৃষ্টি হয় না এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচে আরও পড়ুন।

টিউমার কেন হয়

আমাদের দেহ অনিয়ন্ত্রিতভাবে কোষের বৃদ্ধি হওয়াকে টিউমার বলে। জেনেটিক ত্রুটি বা সবথেকে সম্ভাব্য কারণ হচ্ছে আমাদের শরীরের উপর কোন রাসায়নিক তেজস্ক্রিয় রশ্মির প্রভাবে এইরোগের সৃষ্টি হতে পারে। এবং আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে অন্যান্য রোগের মত এটি আমাদের শরীরের কোন অংশে হতে পারে। 


তবে সব ধরনের টিউমার ম্যালিগনেন্ট ও ক্যান্সারের সম্ভাব্য কারণ হয় না। বিভিন্ন ধরনের টিউমার শরীরে ক্ষতি না করে অনেকদিন ধরে রয়ে যায়। মূলত ক্যান্সার কোষ ক্যান্সার টিস্যু দিয়ে তৈরি হয় এটি মানবদেহে অনিয়ন্ত্রিত ও অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং খুব দ্রুত সেটা ম্যালিগনেন্ট ও রক্ত রসে লিম্ফনোড সৃষ্টি হতে পারে 

এটি শরীরে ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা অনেক বেশি থাকে একে বলে মেটাস্টাসিস। তবে খুশির সংবাদ এই যে সব ধরনের টিউমার ক্যান্সারে পরিণত হয় না।

ব্রেন টিউমার কেন হয় জানুন

ব্রেন টিউমার রোগের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে আমাদের এই দেশে । আমাদের দেশে সঠিক চিকিৎসা পেতে হলে ব্যাপক অর্থের প্রয়োজন কিন্তু তারপরও সঠিক চিকিৎসা ও এই রোগ সম্পর্কে সঠিক তথ্য আমরা জানতে পারি না এই রোগের 

সম্পর্কে কিছু তথ্য নিচে দেওয়া হল। ব্রেন টিউমারে্র কোন নির্দিষ্ট কোন কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে অল্প কিছু কারণ রয়েছে যেগুলো এই রোগ হওয়ার জন্য কাজ করে থাকে। আমাদের শরীরের ডিএনএ নষ্ট হয়ে অস্বাভাবিকভাবে কোষের বৃদ্ধি করতে থাকে যার মধ্যে রেডিও থেরাপি এক্স-রে ধূমপান অ্যালকোহল কেমিক্যাল যুক্ত 

খাবার ও রং সংস্পর্শে আসলে ব্রেন টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ এইরোগের কোন কারণ জানা যায়নি। ব্রেন টিউমার মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি অংশ ব্রেনের নিজস্ব সেল থেকে সৃষ্টি হয়ে কিমার তৈরি হয় যেমন ব্রেনের নিউরন কাভারিং ও ব্রেনের রক্তনালী থেকে এইরোগ তৈরি হয় একে প্রাইমারি লেভেল ব্রেন টিউমার বলে। 

আবার অন্য একটি মাধ্যমে এই রোগ তৈরি হয়ে সেই স্থান থেকে রক্তনালীর মাধ্যমে ব্রেনের গিয়ে জায়গা করে নেওয়া কে সেকেন্ডারি টিউমার বলে। এই রোগের  বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো হল
  • ব্রেনে অতিরিক্ত পরিমাণে প্রেসার বেড়ে যাওয়া
  • ঘন ঘন বমি ভাব সৃষ্টি হওয়া
  • অতিরিক্ত পরিমাণে মাথা ব্যাথা সৃষ্টি হওয়া
  • দৃষ্টিশক্তি ক্ষীন হয়ে দ্রুত দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে ফেলা
  • এবং ব্রেন টিউমার হলে আমাদের শরীরটা খিঁচুনি সৃষ্টি হতে পারে

পেটে টিউমার চেনার ১০ টি উপায় জেনে নিন

পেটে এই রোগের সমস্যা একটি ভয়ানক সমস্যা। পেটে টিউমার চেনার ১০ টি উপায় জেনে নিন আমাদের শরীরে প্রতিনিয়ত নতুন কোষের সৃষ্টি হয়ে থাকে তবে হঠাৎ করে অস্বাভাবিক ভাবে কোষের গঠন বৃদ্ধি পেলে সেটি এই রোগে রূপান্তর হয়। শরীরের নতুন কোষ সৃষ্টি হলে পুরাতন গুলো এমনি এমনি মারা যায় কিন্তু কোষগুলো অস্বাভাবিক ভাবে তৈরি হলে 

সে ক্ষেত্রে পূরনো কোষ গুলো বের হয়ে আসতে পারে না আর এই কোষগুলো একত্রিত হয়ে সৃষ্ট হয় এইরোগের । এই রোগের লক্ষণ গুলি খুব সহজে বোঝা সম্ভব হয় না ক্যান্সার লাস্ট পর্যায়ে পৌঁছে গেলে সেই ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ই এই রোগের সন্ধান মিলে তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রাথমিক পরীক্ষা করে পেটে টিউমার নিশ্চিত করা সম্ভব ।
  • পেটে বা পাকস্থলী টিউমারের প্রধান লক্ষণ মলের সঙ্গে রক্ত প্রবাহ
  • ঘন ঘন বমি ভাব ও রক্ত বমি হওয়া
  • কিছু কিনতে গেলে গলায় আটকে যাওয়া বা সমস্যা তৈরি হওয়া
  • অল্প কিছু খাওয়ার পরেও পেট অনেক ভারি ভারি ভাব
  • পেটের টিউমার থাকলে সেটি কোষ্ঠকাঠিন্যের অভিযোগ হতে পারে।
  • পেট বা আশেপাশের অংশে অনেক বেশি মাত্রায় ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে ।
  • পেটে কোন ধরনের আঘাত লাগলে এইরোগের  সৃষ্টি হতে পারে।
  • বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া
  • পেটের টিউমার সংক্রমণ ও প্রদয়ের কারণে সৃষ্টি হতে পারে
  • অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণেও পেটে এই রোগের সৃষ্টি হতে পারে
  • জ্বীনগত কারণে পেটে এইরোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে

বেনাইন টিউমার চেনার উপায় জানুন

বেনাইন টিউমার চেনার উপায় জানুন । বেনাইন হচ্ছে এক ধরনের গুচ্ছ কোষের সমষ্টি বা টিউমার যেটি প্রতিবেশী কলাকে আক্রমণ করতে ও মেটাস্ট্যাটাসাইজ্ড করতে পারে না। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের টিউমার গুলো অনেক বড় হয়ে থাকে। পুরোপুরি অপারেশন করার পর এ ধরনের টিউমার আবার পুনরায় ফিরে আসে না। 

অন্যদিকে ম্যালিগন্যাট টিউমার শরীরে ঘনঘন ফিরে আসতে পারে। শরীরের অন্য কোন অংশে বিনাইন টিউমার হওয়ার থেকে মস্তিষ্কে এই এইরোগ হলে এটি আমাদের জন্য অনেক হুমকি স্বরূপ। ম্যালিগনেন্ট টিউমারের থেকে বেনাইন টিউমার খুব ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। সাধারণত এই টিউমার চেনার উপায় শরীরে বিভিন্ন ধরনের আঁচিল ও জরায়ুর ফাইব্রয়েড। 

বেনাইন টিউমার মিটাস্টেটাসাইজড হয় না বা আশেপাশের কোন কলাকে সংক্রমণ করে না তবে এ টিউমার হলে স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি হয়। এ ধরনের এইরোগ শরীরের সৃষ্টি হলে শরীরের ভারের প্রভাব পড়ে এবং আশেপাশে কলা বা কোষের উপরে অতিরিক্ত মাত্রায় চাপ সৃষ্টি হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বেনাইন টিউমার শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয় 

তবে অনেক ক্ষেত্রে এই এই রোগ ক্যান্সার মূলক ম্যালিগনেন্ট সৃষ্টি করতে পারে যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক হুমকি স্বরূপ এজন্য এই এইরোগ হলে খুব দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তা অপসারণের ব্যবস্থা করতে হবে।

টিউমার ক্যান্সারের লক্ষণ জেনে নিন

আমাদের শরীরে এই রোগ বাসা বাঁধলে খুব সহজে তা বোঝা যায় না তবে এইরোগের বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো দেখে আমরা খুব দ্রুততা সনাক্ত করতে পারি। টিউমার ক্যান্সারের লক্ষণ জেনে নিন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এইরোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধলে তা অপারেশন করে সরিয়ে নিলে খুব দ্রুত তার সরে যায়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই অপারেশন করার পরও 


কিছু কিছু টিউমার শরীরের বাসা বেধে থাকে এছাড়াও এমন কোন ধরনের টিউমার দেহের মধ্যে হয়ে থাকলে খুব সহজে তা সনাক্ত করা যায় না এটি ধীরে ধীরে ক্যান্সারে আকার ধারণ করে যা অত্যন্ত ভয়াবহ। এজন্য বলা যায় যে এই রোগ ক্যান্সারের লক্ষণ হতেই পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এইরোগ ক্যান্সারের লক্ষণ হয় না এর কিছু লক্ষণ হল।
  • মলত্যাগের সময় ও অভ্যাস চেঞ্জ হয়ে গেলে।
  • শরীরে বিভিন্ন জায়গায় কালশিটে দাগ তৈরি হয় কিন্তু কোন ধরনের ব্যাথা থাকে না এরূপ অবস্থা হলে
  • মাড়ি প্রস্রাব বা মলের সাথে নিয়মিত রক্ত প্রবাহ হলে
  • অনেক দিন ধরে সর্দি কাশি চলতে থাকলে
  • নিয়মিত খাবারে অরুচি ও বমি বমি ভাব সৃষ্টি হওয়া
  • ত্বকের কোন অংশে তিল বা আঁচিলের মত সৃষ্টি হলে
  • গলার স্বর ভেঙ্গে যাওয়া এবং অনেক দিন ধরে চিকিৎসা করেও তা ঠিক না হওয়া

টিউমার দেখতে কেমন হয় জেনে নিন 

এই রোগ শরীরের মধ্যে কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হওয়াকে বলে। টিউমার দেখতে কেমন হয় জেনে নিন। টিউমার আমাদের শরীরে কোন অংশে হলে সেই স্থানে কোষ বৃদ্ধি পেয়ে উঁচু ঢিপি বা গোল আকৃতির ছোট বলের আকার ধারণ করে। তবে কোষ যখন স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে তাকে বেনাইন টিউমার বলে অনেক বড় আকার ধারণ করলে 

এটি অপারেশন করে খুব দ্রুত অপসারণ করতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টিউমার একবার অপারেশন করে ফেলে দেওয়ার পর পুনরায় আবার ওই স্থানে তৈরি হতে পারে। এইরোগ মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে মানব দেহে। এক ধরনের টিউমার যে স্থানের সৃষ্টি হয় সেই স্থানে থেকে যায় এদের বলে বিনাইন টিউমার। এরা মানবদেহে তেমন ক্ষতি করতে পারে না। 

অন্য আরেক ধরনের টিউমার হল লিম্ফ নামক কিছু রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গিয়ে শরীরের সঠিক কোষ গুলোকে বাধা সৃষ্টি করে একে মলিগেনেট টিউমার বলে। আমাদের দেহে ২০০ ধরনের ক্যান্সার রোগের উপসর্গ রয়েছে এটি হলো আমাদের শরীরে একটি রোগ বিন্যাস সমষ্টি এজন্য এটি 

আমাদের শরীরে কোন অংশে তৈরি হলে তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে মহিলাদের ব্রেষ্টে লাম্ফ বা চাকতির মত পিন্ড তৈরি হলে সেটি টিউমার হতে পারে খুব দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

শেষ কথা

এইরোগ আমাদের শরীরে একটি আগাছা অংশের মতো। যেটি আমাদের শরীরে অপ্রয়োজনীয় অংশ হিসেবে সৃষ্টি হয়। আর এটি সৃষ্টি হলেই আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয় এ ধরনের সমস্যা হলে খুব দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। এই আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url