ঘুমের ওষুধ এর নাম|ঘুমের ওষুধ কোনটা ভালো জানুন
প্রিয় পাঠক ঘুমের ওষুধ এর নাম ও ঘুমের ওষুধ কোনটা ভালো জানুন। বর্তমান সময়ে আমাদের খাদ্য অভ্যাস ও জীবনযাত্রার মান চেঞ্জ হওয়ার ফলে আমরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকি এর মধ্যে অপর্যাপ্ত ঘুম অন্যতম একটি
এ সমস্যা তৈরি হলে আমরা সব সময় বিভিন্ন ফার্মেসির দোকান থেকে ঔষধ কিনে খাওয়ার চেষ্টা করি এই সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য
ভূমিকা
ঘুমের ওষুধ খেতে খেতে আমরা একসময় ঘুমের ওষুধের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যায়। এটি এক সময় আমাদের নেশায় পরিণত হয়ে যায়। বাজারে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ আছে তবে এসব ওষুধ খাওয়ার আগে এর সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিতে হবে ঘুমের ওষুধের নাম ও উপকার জানতে নীচে পড়তে থাকুন ।
ঘুমের ওষুধ এর নাম
বর্তমান সময় বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের ঘুমের ওষুধ পাওয়া যায়। রাসায়নিকভাবে প্রস্তুতকৃত বারবিচ্যুরেট এর বিকল্প হিসেবে বেঞ্জোডায়াজিপিন উদ্দেক কমানোর ক্ষেত্রে এই উপাদানটি ব্যবহৃত হয়। আমাদের দেশে ত্রিশের অধিক বেঞ্জোডায়াজিপিন ব্যবহৃত হয় এর মধ্যে
- সিডিল
- ডায়াজিপাম
- এটিভান
- অক্সাজীপাম
- রিবুট্রিল
- ক্লোনাজিপাম
- সেরাক্স ইত্যাদি।
ঘুমের ওষুধ কোনটা ভালো জানুন
আমাদের দেশে বেশ কিছু ধরনের ঘুমের ওষুধ রয়েছে। এর মধ্যে ডায়াজিপাম অন্যতম এটি এটি ঘুমের ওষুধ হিসেবে পরিচিত এটি বেঞ্জোডায়াজিপিন গ্রুপের ঔষধ। এটি বাজারে সর্বপ্রথম এসেছিল ভ্যালিয়াম নামে পুত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হাফ ম্যান লাড়শ এই ওষুধটি সাধারণ দুশ্চিন্তা আতঙ্ক অনিদ্রা স্ট্যাটাস মাংসপেশির সংকোচন জনিত
আরও পড়ুনঃ দ্রুত ঘুম আসার উপায় জানুন
অক্ষমতা টিটেনাস অ্যালকোহল ত্যাগ পরবর্তী জটিলতা ইত্যাদি সমস্যা সমাধানের জন্য। এই ওষুধটি সর্ব প্রথম ব্যবহার করা হয় অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা ফলে নিদ্রাহীর্ণতার কারণে একে ইনসোমনিয়া রোগ বলে। বিভিন্ন ধরনের নেশা সেবন করার পরবর্তী সময়কালে যখন এসব মাদকদ্রব্য ছেড়ে দেওয়া হয় তখন
এই ওষুধ ব্যবহৃত হয় এছাড়াও মৃগী রোগীদের ক্ষেত্রে এই ওষুধটি ব্যবহার হয়ে থাকে। ছাড়াও রয়েছে স্লিপওয়েল ১০ এমজি ট্যাবলেট এই ট্যাবলেটটিও বেশ কার্যকরী
স্কয়ার কোম্পানির ঘুমের ঔষধের নাম জানুন
ঘুমের ওষুধ সব সময় একটু ভালো মানের খাওয়াই প্রয়োজন কারণ অতিরিক্ত মাত্রায় ড্রাগ এর সংমিশ্রণে তৈরি হয় ঘুমের ওষুধ। বেশিরভাগ সময়ই কোন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই নিজেরাই বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে বিভিন্ন ধরনের ঘুমের ওষুধ কিনে খেয়ে থাকে তবে এসব ওষুধ খেলে আমাদের হিতে বিপরীত হতে পারে । সেজন্য সবসময় চেষ্টা করব ভালো মানের ওষুধ খাওয়ার। স্কয়ার কোম্পানির ঘুমের ঔষধের নাম জানুন।
- মেলাটোনিন- (Melatonin) এই ওষুধটি মূলত প্রাকৃতিক হরমোন যা ঘুম নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে
- রিলাক্স- (Relax) এই ওষুধটি জোপিডেম টারট্রেড যেটি খেলে আমাদের ঘুমের সময়কাল বৃদ্ধি পায়
- স্টিল নক্স (Steelnox) এই ওষুধটি জেপিডেম আইটেমের সেজন্য এটি খেলে দ্রুত ঘুম চলে আসে
আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের ঘুমের ওষুধের কোম্পানিগুলোর মধ্যে স্কয়ার অন্যতম স্কয়ার ব্যান্ডের এই সব ওষুধ খেলে খুব দ্রুত ঘুম চলে আসে তবে খুব বেশি পরিমাণে এ সকল ওষুধ খাওয়া ঠিক না অবশ্যই ওষুধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
সেরা ১০ টি ঘুমের ওষুধ এর নাম জানুন
বর্তমান সময়ে আমাদের লাইফস্টাইল অনেকটা চেঞ্জ হয়ে গেছে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন দেখা ও মানসিক চাপের কারণে বিছানায় ঘুমানোর পরে খুব সহজে ঘুম আসতে চায় না। এজন্য আমরা নিয়মিত ঘুমের ঔষধ সেবনের চেষ্টা করি। বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে বিভিন্ন ধরনের ঘুমের ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই কিনে খাওয়ার চেষ্টা করি।
আরও পড়ুনঃ রাতে ঘুম না হলে কি কি সমস্যা হয় জানুন
তবে এই প্রক্রিয়াটি পুরোপুরি ভুল। বাংলাদেশের সেরা ১০ টি ঘুমের ওষুধ এর নাম জানুন।
- ক্লোনাযেপাম- Clonazepam
- বুসপিরন- Buspirone
- এমিট্রিপটাইলিন- Amitriptyline
- ক্লোবাজাম- clobazam
- ডায়াজেপাম- Diazepam
- ক্লোনাজেপাম- Clonazepam
- কিটোটিফেন- Ketotifen
- ক্লোনিডাইন হাইড্রক্লোরাইড- Clonidine hydrochloride
- ক্লোরাডায়াজেপক্সাইড- Chlordiazepoxide
- রিভোট্রিল- Rivotril
পাওয়ারফুল ঘুমের ঔষধের নাম
ঘুমের ওষুধের মধ্যে বেশ কিছু ঘুমের ওষুধ রয়েছে যা খেলে খুব দ্রুত ঘুম চলে আসে এবং এসব ঘুমের ওষুধ খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যারও সৃষ্টি হতে পারে তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে এসব ঘুমের ট্যাবলেট খাওয়ার চেষ্টা করবেন। পাওয়ারফুল ঘুমের ঔষধের নাম
- Clonazepam
- Lonazep
- Clonaride
- Diazepam
- Sleep-Well 10 mg
ঘুমের ওষুধ খেলে কি ক্ষতি হয় জানুন
ঘুমের ওষুধ এক ধরনের নেশা। এটি অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করা শুরু করলে এটি থেকে আর বের হওয়া যায় না। ঘুমের ওষুধ খেলে কি ক্ষতি হয় জানুন। ডায়াজিপামের মতো বিভিন্ন ধরনের গ্রুপের ওষুধ খেলে এর মধ্যে থাকা ইন্টারোগ্রেট এমনেসিয়া তন্দ্রাচ্ছন্নতা ও দ্বিধাগ্রস্থ হওয়া এর ফলে ডাজিপাম স্বল্প সময়ের নীতি ও নতুন
স্মৃতি সংরক্ষণে বাধা সৃষ্টি করে। অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরে যেসব সমস্যা তৈরি হতে পারে তা হল
- অতিরিক্ত ঘুম ঘুম ভাব
- অতিরিক্ত বমি বমি ভাব
- শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাওয়া
- স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া
- এলার্জির সমস্যা সৃষ্টি হওয়া
- আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়া
- অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ার নেশায় রূপান্তরিত হওয়া
- চিন্তা চেতনার পরিবর্তন হয়ে হ্যালোসিনেশন এর মত সমস্যা সৃষ্টি হওয়া
- ডায়রিয়া ও মাথা ব্যাথা সমস্যা
শেষ কথা
সবসময় চেষ্টা করবেন প্রাকৃতিকভাবে ঘুমানোর কারণ এইসব ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমানোর অভ্যাস একবার তৈরি হলে এ থেকে মুক্তির উপায় খুবই কঠিন। এবং এসব ওষুধ কেনার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেবন করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url