ই ক্যাপ খেলে কি-ই ক্যাপ কখন খেতে হয়


প্রিয় পাঠক ই ক্যাপ খেলে কি ও ই ক্যাপ কখন খেতে হয় জানুন। বাজারে বিভিন্ন ধরনের ইক্যাপ পাওয়া যায় এই ক্যাপসুলগুলো কিনে আমরা মুখে খাই এবং আমাদের ত্বকে ব্যবহার করি
ই ক্যাপ খেলে কি হয় জানুন
এতে আমাদের শরীরের ও ত্বকের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে সকল ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যায়

ভূমিকা

ই-ক্যাপ ক্যাপসুল আমাদের দেহের সকল ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও অংশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই-ঔষুধের গুনাগুন অনেক ইক্যাপের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচে আরো পড়ুন।

ই ক্যাপ খেলে কি 

ই-ক্যাপ ট্যাবল্যাট মুখে খাওয়া হয় এবং আমাদের ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা হয়। আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকি এসব খাবার থেকে আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামি ই পূরণ হয় না এজন্য আমাদের বাজার থেকে ভিটামিন ই-ক্যাপসুল কিনে খেয়ে এর ঘাটতি পূরণ করতে হয়। এই- ঔষুধ খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে কি হয় তা জানুন।

  • এই ঔষৌধ প্রতিদিন খেলে আমাদের ত্বকে সানবার্ন অনেক কম হয় ।
  • ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন বলিরেখা ত্বকে টান পড়া ও ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এই-ট্যাবল্যাট।
  • বয়স্ক ভাব কে দুরে রাখতে ও ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকরী এই ঔষৌধ ।
  • কিডনির বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হওয়াকে বাধা প্রয়োগ করতে পারে এই ঔষৌধ ।
  • এই ঔষুধ হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় ।
  • হাড়ের সমস্যা রোধ করে এবং গুরুতর সমস্যা আছে তা ভালো করতে সাহায্য করে।
  • এই-ট্যাবল্যাট নিয়মিত খেলে চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা চুল পড়া রোগ দূর করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
  • আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ ও এলার্জিজনিত রোগ দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • আমাদের শরীরে কোন অংশ কেটে গেলে ক্ষত সারানোর জন্য ভিটামিন এই ঔষুধ খুব দ্রুত সাহায্য করে নিয়মিত এই ট্যাবলেট খেলে ক্ষতস্থান দ্রুত সেরে ওঠে ।

ই ক্যাপ কখন খেতে হয়

এই ঔষৌধ আমরা প্রতিদিন ১ থেকে ২ টি করে খেতে পারব। ট্যাবলেট টি খাওয়ার একটি নিয়ম রয়েছে এই ট্যাবলেট টানা চারশো দিন খেতে হয় এজন্য যদি দিনে একটি করে খায় তাহলে মোট ৮০০ ই-ক্যাপ খেতে হবে আর যদি দুইটা করে খাই তাহলে মোট ১২০০ ই-ক্যাপ খেতে হবে। তবে এই-ঔষুধটি নিজেরা বেশি বেশি ফার্মেসি থেকে

কিনে খাওয়ার চেষ্টা করবেন না অবশ্যই এটি খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন। এই ঔষৌধ খাওয়ার নিয়ম
  • ই-ক্যাপ ৬০০- এটি প্রতিদিন একবার খাওয়া যাবে।
  • ই-ক্যাপ ৪০০ - এটি প্রতিদিন সকালে একটা করে খাওয়া যাবে ।
  • ই-ক্যাপ ২০০ - এই-ক্যাপসুলটি প্রতিদিন রাতে ও সকালে একটি করে খাওয়া যাবে ।

ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা

ই-ক্যাপ ট্যাবল্যাট অনেক কার্যকরী একটি উপাদান আমাদের শরীরের জন্য। আমাদের শরীরে ভিটামিন ই এর ঘাটতি পূরণ করতে পুরোপুরিভাবে সক্ষম এই ট্যাবলেট। ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন। এই ঔষুধের নাম আপনারা সবাই জানেন এই-ঔষুধটি দু'রকম ভাবে আমাদের শরীরে কার্যকরী ভূমিকা প্রদান করে থাকে 

প্রথমটি হলো মুখে খাবার মাধ্যমে ও দ্বিতীয়টি বাহ্যিকভাবে ত্বকে ব্যবহার করার মাধ্যমে। এর কিছু উপকারিতা হলঃ 
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ই-ক্যাপ এরমধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা আমাদের ত্বককে কড়া রোদের হাত থেকে রক্ষা করে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে ।
  • নিয়মিত এই ঔষৌধ খাওয়ার পাশাপাশি এর মধ্যকার অয়েল তেলের সঙ্গে মিক্স করে আমাদের চুলে ব্যবহার করলে এর ৪ ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিলে আমাদের চুল পড়া বন্ধ হয়ে চুল অনেক চকচকে ও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে এই প্রক্রিয়াটি প্রতিমাসে ৩ থেকে ৪ দিন করতে হবে
  • একটি কথা প্রচলন আছে যে ই-ক্যাপ খেলে মানুষ মোটা হয়ে যায় তবে এই কথাটি পুরোপুরি ভুল এটি খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
  • মুখের ত্বকের লাবণ্যতা ধরে রাখতে নিয়মিতএই ঔষৌধটি খাবার পাশাপাশি এর মধ্যকার তেল মুখের ত্বকে ব্যবহার করলে তখনই খুব জল অনমনীয় হয়ে থাকবে।
অপকারিতাঃ
এই ঔষুধের গুণাগুণ এতটাই বেশি যে এর কোন অপকারিতা নেই। এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে সব কিছুরি একটা লিমিট থাকে এই ট্যাবলেট এর ক্ষেত্রেও তাই খুব বেশি পরিমাণে এই ট্যাবলেট খেলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়ে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে যেমন পেট ব্যাথা ও আমাশয় এবং এলার্জিজনিত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয়

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয় জেনে নিন । শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির  ঘাটতি পূরণ করে থাকে। তবে এই-ঔষুধের  অনেক ভালো গুনের মধ্যেও বিশেষ কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে সেগুলো হলো
  • অনেক বেশি পরিমাণে এই ঔষৌধটি সেবন করলে আমাশয় সহ এলার্জিজনিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে ।
  • ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ফেসপ্যাক হিসেবে সরাসরি এই ট্যাবলেট ব্যবহার না করে লেবুর রস মধু টক দই এইসব এর মিশ্রণের সঙ্গে মিক্স করে সুন্দরভাবে লাগাতে হবে নইলে আমাদের মুখের ত্বকে ছোপ ছোপ সব দাগ সহ ব্রণের সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • মধু পাকা পেঁপে ও লেবুর রস এর সঙ্গে এই ঔষুধের তেল মিশিয়ে মুখে্র ত্বকে লাগালে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয়ে উজ্জ্বলতা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় ।
  • ভিটামিন ই ত্বকের জন্য স্বাস্থ্যকর হলেও মনে রাখতে হবে সরাসরি ত্বকে এই তেল লাগালে কারো কারো ক্ষেত্রে অনেক ক্ষতি হতে পারে যাদের মুখের ত্বক অনেক সংবেদনশীল তাদের মুখে ত্বকে সরাসরি ভিটামিন ই-ক্যাপ ব্যাবহার না করাই ভালো।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো

ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো জানুন। এই ঔষুধ সবগুলোই ভালো আমাদের জন্য। এটি আমরা দুইভাবে ব্যবহার করতে পারি আমাদের জন্য প্রথমত মুখে খাবার মাধ্যমে দ্বিতীয়ত ত্বকের বিভিন্ন ফেসপ্যাক হিসেবে। তবে বাজারে বিভিন্ন ধরনের ই-ক্যাপ ঔষুধ পাওয়া গেল সবচাইতে ভালো ই-ক্যাপ ৪০০। ডাক্তারের কাছে গেলে সব সময় এই-ঔষুধটি খাবার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ই ক্যাপ এর কাজ কি

ই ক্যাপ এর কাজ কি জানুন। ভিটামিন ই এর ঘাটতি পূরণ করে এবং আমাদের মাথার চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা চুল পড়ে যাওয়া চুলের খুশকি ও মুখের ত্বকের সকল ধরনের সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • ই-ক্যাপ এর মধ্যকার অয়েল আমাদের ত্বকে ব্যবহার করলে এর মধ্যে কার এন্টিঅক্সিডেন্ট এর ফলে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন বলিরেখা দূর করে ত্বক নরম রাখতে সাহায্য করে।
  • এই ঔষুধের মধ্যকার অয়েল শ্যাম্পুর সঙ্গে মিক্স করে আমাদের মাথার চুলে ব্যবহার করলে চুল পড়া রোগ খুব দ্রুত সেরে যাই। 

শেষ কথা

এই ঔষুধটি খেলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়। তবে সব কিছুরই একটি লিমিট থাকে অত্যাধিক মাত্রায় এই-ঔষুধ খেলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url