ব্যাংক একাউন্ট খোলার-সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম



সম্মানিত পাঠক ব্যাংক একাউন্ট খোলার ও সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম জানুন। বর্তমান সময়ে আমরা অনেক এগিয়ে যাচ্ছি এজন্য আমাদের প্রত্যেকেরই ব্যাংক একাউন্ট থাকা প্রয়োজন
ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
ব্যাংক একাউন্ট থাকলে আমরা বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকি দেশের ভেতরে বা দেশের বাইরে থেকে খুব সহজেই অর্থ লেনদেন করতে পারি

ভূমিকা

বাংলাদেশ ব্যাংকিং খাত অনেকে এগিয়ে গেছে এসব ব্যাংকের সেবা পেতে প্রথমে আমাদেরকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করার নিয়ম জানতে হবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচে আরো পড়তে থাকুন

ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

অনেক ইচ্ছা থাকা সত্বেও আমরা অনেকেই ব্যাংক এর একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানি না। ব্যাংক একাউন্ট বর্তমান সময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যাংক সবচাইতে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান আপনার টাকা গচ্ছিত রাখার ক্ষেত্রে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের টাকা লেনদেন করা যায় এই ব্যাংকের মাধ্যমে। 

এ জন্য ব্যাংক একাউন্ট না থাকলে আমরা অনেক পিছিয়ে থাকি। এজন্য খুব দ্রুত আমাদের পার্সোনাল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা দরকার। তবে এখান সবচাইতে বড় ব্যাংক একাউন্ট খুলতে গেলে আমরা মনে করি বেশ কঠিন একটি কাজ। তবে আজকে আপনাদেরকে জানাবো কিভাবে ব্যাংক একাউন্ট খোলা যায়।
একাউন্ট করার নিয়ম
প্রথমে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে কোন ব্যাংকে একাউন্ট খুলবেন। আমাদের দেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে কিছু সরকারিভা বে সরকারি ব্যাংক সর্বমোট ৪৭ টি রয়েছে এই ব্যাংকগুলোর কোন ব্যাংকে আপনি একাউন্ট করতে চান তা আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে। আর এসব ব্যাংকগুলোকে তফসিলি ব্যাংক বলা হয়। 

এছাড়াও বেশ কয়েকটি ব্যাংক রয়েছে যেমন গ্রামীণ ব্যাংক কো-অপারেটিভ ব্যাংক কর্মসংস্থান ব্যাংক । যে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলবো সেটা নির্ধারণ হয়ে গেলে এই ব্যাংক সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা ও ব্যাংকের শাখা সমূহ সম্পর্কে জেনে নিন 

যেমন অনলাইন সুবিধা কার্ড সুবিধা দেশের কোথায় কোথায় এর শাখা প্রশাখা আছে এবং আমাদের বাসা থেকে এই ব্যাংকের দূরত্ব কত এসব বিষয়ে। এরপরে ব্যাংকের কোয়ালিটি দিকটাও ভালো করে দেখে নিতে হবে যেমন ব্যাংকিং চার্জ ইন্টারনেটও সার্ভিস সুবিধা এ সমস্ত বিষয়গুলি। তবে আমাদের নিজস্ব মতামত অনুযায়ী আপনি যদি সুদ মুক্ত 

ব্যাংকিং সেবা পেতে চান তাহলে ইসলামী ব্যাংক এ অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। কিন্তু সেখানেও তাদের নিয়ম নীতি ভালো হবে জেনেও করে নিবেন। ইসলামী ব্যাংকেও সুদের ব্যবহার থাকলেও সব তথ্য সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে।
ব্যাংক ফর্মের তালিকা বাংলাদেশে মূলত দুই ধরনের ব্যাংক ফরম পাওয়া যায়
প্রথম ব্যক্তিগত একাউন্ট ফর্ম : আমরা নাম দেখেই বুঝতে পারছি যে এই অ্যাকাউন্ট আমাদের ব্যক্তিগত কাজের জন্য ব্যবহার করা যাবে যে একাউন্ট এর শিরোনাম টাইটেল অফ একাউন্ট নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির নামে হয় সেগুলোকে ব্যক্তিগত একাউন্ট বলা হয় এ ধরনের ধর্মের মাধ্যমে একজন বা একাধ ব্যক্তির নাম দিয়ে একাউন্ট খোলা যাবে।

দ্বিতীয় প্রাতিষ্ঠানিক বা অব্যক্তিগত একাউন্ট ফর্ম : এ ধরনের ফর্মে ব্যাংক একাউন্টের শিরোনাম বা টাইটেল অফ একাউন্টের নাম কোন প্রতিষ্ঠানের নামে হয়ে থাকে এই অ্যাকাউন্টগুলি অব্যক্তিগত একাউন্ট হিসেবে বিবেচিত হবে।
  1. ব্যাংক একাউন্টের ধরন
  2. চলতি হিসাব বা কারেন্ট একাউন্ট
বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এজন্য কারেন্ট একাউন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারেন্ট একাউন্ট থেকে দিনে যতবার খুশি ততবার টাকা-পয়সার লেনদেন করা যাবে। ব্যাংক চলাকালীন যে কোন সময় টাকা ওঠাতেও পারবেন এবং জমা রাখতেও পারবেন। এজন্য বাড়তি কোনো সু সুদ প্রদান করতে হয়নি বছর শেষে কিছু পরিমাণ টাকা সার্ভিস 

চার্জ হিসেবে কেটে নেই। কারেন্ট একাউন্ট বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়ীদের জন্য এটি সাধারণ কোন ছাত্র বা চাকরিজীবীদের জন্য নয়। কিন্তু একটা বিষয় করা যায় সুদ মুক্ত একাউন্ট করতে চাইলে ব্যক্তিগত একাউন্টকে  কারেন্ট একাউন্ট করা যায় এর জন্য একটু তদবিরের প্রয়োজন ।
দুই নাম্বার সঞ্চয় হিসাব বা সেভিংস একাউন্ট
যে কেউ এই ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। এই অ্যাকাউন্ট থেকে সপ্তাহে অন্তত দুইবার টাকা উত্তোলন করা যায় এবং জমা রাখা যায়। জমাকৃত টাকার উপরে বার্ষিক ৪% থেকে ৬% হারে সুদ প্রদান করা হয়ে থাকে। যেসব ব্যক্তিদের জন্য সব সময় টাকা লেনদেন করা প্রয়োজন হয় না তাদের জন্য। একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে 

লাভজনক ব্যবসা হলে অবশ্যই লেনদেনের সুবিধার্থে কারেন্ট একাউন্ট করে রাখতে হবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মূলক যেমন বিভিন্ন স্কুল কলেজ মাদ্রাসার ক্ষেত্রে কারেন্ট একাউন্ট বা সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে।
ডিপিএস অ্যাকাউন্ট
বলা হয়ে থাকে ভবিষ্যতের মুনাফা কারণ ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবাই হচ্ছে জ্ঞানির কাজ। ভবিষ্যতের জন্য আমাদের প্রত্যেকেরই নিয়মিত সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। এছাড়াও বিশেষ কিছু মুহূর্তে ঢাকা উত্তোলনের প্রয়োজন হয়ে থাকে অনেক সময় কোন প্রত্যেক মাসে খরচ বাদ দিয়ে যতটুকু বাকি থাকে সবটুকু সঞ্চয় 

রেখে দেওয়া অনেক ভালো। আর এই টাকা ঘরে থাকলে এর নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তা তৈরি। ব্যাংকে একাউন্ট খুলে এই টাকা ডিপিএস এর মাধ্যমে সঞ্চয় করলে অনেক নিরাপদ ও নিশ্চিন্তে থাকা যায়। জিপিএস যে কোন ব্যাংকে খোলা যায়।
এফডিআর একাউন্ট
এই অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে একটি বড় অংকের নির্দিষ্ট এমন জমা রাখতে হবে যার সু শুধু মাসিক পাখি পাখি পাখি অর্ধ বার্ষিক অথবা বার্ষিক হিসেবে পাওয়া যায় এই অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ২৫ হাজার টাকার প্রয়োজন হয় সর্বোচ্চ যত রাখতে পারেন এই ব্যাংকিং সেবাই সুদের হার ৯% থেকে ১২% পর্যন্ত দিয়ে থাকে।
ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের নিয়ম কানুন
  • ১ নাম্বারঃ পূরনকৃত ফরম আপনার পছন্দের শাখা থেকে একাউন্ট খোলার ফর্ম উত্তোলন করে যে ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলতে চান ব্যক্তিগত কিংবা প্রতিষ্ঠানে সে ধরনের নাম দিয়ে এই ফর্মের ফটোকপি করে দিতে হবে
  • ২ নাম্বারঃ স্পেস সিমেন সিগনেচার কার্ড দিয়ে থাকেন এতে ব্যাংকের অফিসারের সামনে অ্যাকাউন্ট ফোল্ডার স্বাক্ষর করতে হবে।
  • ৩ নাম্বারঃ পরিচয় জানকারি সাধারণত আপনাকে ওই ব্যাংকের যেকোনো একজন গ্রাহককে আপনার জিম্মাদার বা পরিচয়দানকারী হিসেবে নিয়ে যেতে হবে কারেন্ট একাউন্ট খুলতে হলে কেবল অন্য কোন কারেন্ট একাউন্ট ফোল্ডার কে পরিচয়দানকারী হতে পারবেন। নাম ঠিকানা ও অ্যাকাউন্ট নাম্বার পরিচয় তদানকারী ব্যক্তি একাউন্ট খোলার দিন উপস্থিত না হলেও চলবে। এখন বেশ কিছু ব্যাংকেই অ্যাকাউন্ট খোলার সময় পরিচয়দানকারী প্রয়োজন হয় না
  • ৪ নাম্বারঃ ছবি একাউন্ট ব্যবহারকারী প্রত্যেক ব্যক্তির দুই থেকে তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে এবং ছবিগুলো সত্যায়িত এবং নমিনির এক কপি ছবি লাগবে যা পরিচালনা কারি কর্তৃক সত্যায়িত হবে
  • ৫ নাম্বারঃ নমিনি ব্যক্তিগত একাউন্ট খোলার জন্য সর্বনিম্ন একজন মুমিনের প্রয়োজন হয়। প্রাতিষ্ঠানিক অ্যাকাউন্টে নমিনি প্রয়োজন হয় না নমিনের স্বাক্ষর দিতে হয় না কিন্তু নাম ঠিকানা ও ছবি দিতে হয়। এক্ষেত্রে নমিনির যেকোনো একটি পরিচয় পত্র দিলেও হবে
  • ৬ নাম্বারঃ টাকা নির্ধারিত জমা আপনি কি পূরণ করে টাকা জমা দিতে হবে সঞ্চয়ী ও চলতি হিসাবের জন্য ব্যাংক পেতে ১০০০ থেকে ২ হাজার টাকা লাগবে ডিপিএস এর জন্য কিস্তি সমপরিমাণ ও এফডিআর এর জন্য এফডিআর সমপরিমাণ টাকা প্রদান করতে হবে
  • ৭ নম্বরঃ অন্যান্য কাগজপত্র এর প্রত্যেক ব্যক্তির পরিচয় পত্রের ফটোকপি লাগবে জাতীয় পরিচয় পত্র মেয়র চেয়ারম্যান অথবা কমিশনার কর্তৃক নাগরিক সনদপত্র সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য হবে উক্ত পরিচয় পত্রের অনুভূতিতে পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স জন্ম সনদ চাকরির পরিচয় পত্র স্টুডেন্ট আইডি কার্ড ইত্যাদি থেকে যেকোনো দুইটি উপস্থাপন করতে হবে।
স্থানীয় মুদ্রা একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজন
  • সেভিং /কারেন্ট/ এস এন ভি অ্যাকাউন্ট
  • প্রথমে একটি ফরম পূরণ করে অ্যাকাউন্ট খোলার পূরনকৃত ফরম ফর্ম ব্যাংক কর্মকর্তার বুকে আবেদনকারীর স্বাক্ষর করা
  • পরিচয় দানকারী কর্তিক সত্যায়িত হিসাবধারী সাম্প্রতিক ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
  • ছবি যুক্ত পরিচয় পত্রের কপি মূল কপি যাচাইয়ের জন্য উপস্থাপন করতে হবে
  • প্রত্যাশিত লেনদেন বিবরণ করতে হবে
  • একক মালিকানা একাউন্ট
  • অংশীদারি ব্যবসা একাউন্ট
  • লিমিটেড কোম্পানি একাউন্ট
বৈদেশিক মুদ্রা একাউন্ট
  • ব্যক্তিগত বৈদেশিক মুদ্রা একাউন্ট প্রথমে যোগ্যতা
  • বাংলাদেশী কিন্তু বিদেশে কাজ করছে অথবা বিদেশে বসবাসকারী দ্বৈত নাগরিকত্ব সহ
  • বিদেশি নাগরিকরা বিদেশে বা বাংলাদেশে বসবাসকারী
  • বিদেশি সংস্থাগুলো বিদেশে নিবন্ধিত এবং বাংলাদেশ বা বিদেশে কর্মরত
  • বৈদেশিক মিশন এবং তাদের প্রবাসী কর্মীদের
  • কূটনৈতিক ওয়্যার হাউজ ডিউটি ফ্রি দোকান কাস্টমস কর্তৃপক্ষ দ্বারা লাইসেন্স কৃত
  • স্থানীয় জয়েন্ট ভেঞ্চার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যারা চুক্তির সত্তা বলি অনুযায়ী বিদেশী আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার দ্বারা প্রকল্প কার্যকর করার জন্য নিয়োগকৃত
  • বৈদেশিক বা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বৈদেশিক মুদ্রায় বেতন প্রাপ্ত বাংলাদেশী নাগরিক
  • বাংলাদেশে অবস্থিত শিপিং লাইন বাইং হাউস মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান
  • অনুমোদিত মুদ্রা ব্রিটিশ পাউন্ড ইউরো জাপানি ইয়েন
  • প্রয়োজনে কাগজপত্র
  • প্রাথমিক আমানত

সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার নিয়ম প্রথমেই আপনার প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র নিতে হবে।
  • ১ নম্বর ব্যক্তিগত সোনালী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন জাতীয় পরিচয় পত্র ড্রাইভিং লাইসেন্স পাসপোর্ট অথবা জন্ম নিবন্ধন কার্ড ব্যক্তিগত একাউন্ট তৈরি করার জন্য এর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি সনদপত্র লাগবে।
  • ২ নাম্বার ব্যবসায়ের ট্রেড লাইসেন্স এবং অথবা তিন সার্টিফিকেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে একাউন্ট খুলতে চাইলে
  • ৩ নাম্বার যে ব্যক্তির জন্য সোনালী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করবেন ওই ব্যক্তি দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
  • ৪ নাম্বার যে ব্যক্তির নামে ব্যাংক একাউন্ট করবেন তার অবর্তমানে একজন নমিনির নাম দিতে হবে এবং নবীনের এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিতে হবে
  • ৫ নাম্বার নমিনের জাতীয় পরিচয় পত্র পাসপোর্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি সনদ দিতে হবে
  • ৬ নাম্বার অ্যাকাউন্ট তৈরি কৃত ব্যক্তি কে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে সোনালী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অন্যথায় তৈরি করতে পারবেন না
  • ৭ নাম্বার সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট খোলার সময় আপনাকে ৫০০ টাকা জমা দিতে হবে এ টাকা আপনার একাউন্টে যোগ হয়ে যাবে
  • ৮ নম্বর কারেন্ট বা চলতি হিসাব চালু করার সময় আপনাকে ১৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা জমা দিতে হবে এই টাকাটিও আপনার একাউন্টে জমা হয়ে যাবে তবে শাখা পেতে এই টাকা পাঁচ হাজার টাকার কম জমা দিলেও হবে

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

বাংলাদেশের বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে জনপ্রিয় একটি ব্যাংকিং সেবা খাত ডাচ বাংলা ব্যাংক। ডাচ বাংলা ব্যাংকে নিরাপত্তার সঙ্গে লেনদেন করা সম্ভব হচ্ছে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম জানুন। খোলার জন্য যেসব নিয়ম ও কাগজপত্র প্রয়োজন সেগুলো হলো
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের যেকোনো একটি কপি
  • বয়স সীমা ১৮ বছরের উপরে হতে হবে
  • পাসপোর্ট সাইজের সদ্য তোলা চার কপি রঙিন ছবি
  • নমিনির ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি ও দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • নূন্যতম জমাকৃত টাকার পরিমাণ ৫০০ টাকা
  • ইউটিলিটি বিলের ফটোকপি প্রয়োজন হতে পারে
  • একজন সুপারিশকারী অ্যাকাউন্ট ডিবিএল ব্যাংকে একাউন্ট আছে এমন একজন অ্যাকাউন্ট ফোল্ডারের সুপারিশ প্রয়োজন
  • ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন হবে
  • তো ডকুমেন্টগুলো দিয়ে অনেক সহজেই ডাচ বাংলা ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে।

ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

বাংলাদেশের একমাত্র শোধ মুক্ত ব্যাংকিং সেবা দিয়ে থাকেন ইসলামী ব্যাংক। এই ব্যাংকের সেবা অনেক উন্নত এজন্য আমরা এই ব্যাংকে একাউন্ট খুলে অর্থ লেনদেন করার চেষ্টা করব ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম জেনে নিন। ইসলামী ব্যাংক সর্বক মোট পাঁচ প্রকার যেমন
  1. আল ওয়াদিয়হা কারেন্ট একাউন্ট
  2. আল ওয়াদিয়হা পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট
  3. মুদারাবা সেভিং একাউন্ট
  4. মুদারাবা স্পেশাল সেভিংস একাউন্ট
  5. স্টুডেন্ট মুদারাবা সেভিংস একাউন্ট
ইসলামী ব্যাংকে কারেন্ট অথবা সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজন
  • আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্র পাসপোর্ট অথবা ট্রেড লাইসেন্স
  • আবেদনকারী সম্পত্তি তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
  • নমিনির জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ও এক কপি ছবি
  • নূন্যতম জমা টাকা
  • জাতীয় পরিচয় পত্র পাসপোর্ট থেকে বর্তমান ঠিকানা ভিন্ন হলে বিদ্যুৎ বিল অথবা যে কোন ইউটিলিটির বিলের কাগজ কপি
  • এর সঙ্গে একটি আবেদনের ফরম পূরণ করে পাওয়া যাবে । একাউন্ট খুলতে চাইলে সেখানে অনলাইন ভিত্তিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।

জনতা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪

বাংলাদেশের বেশকিছু ব্যাংকিং সেবা খাত রয়েছে এরমধ্যে অন্যতম একটি জনতা ব্যাংক। জনতা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪। জনতা ব্যাংকের বেশ কয়েকটি ধরণ রয়েছে একাউন্টে এগুলো হলো
  • অ,,, ব্যক্তিক হিসাবখোলা
  • ব্যক্তি হিসাব খোলা
  • সরকারি অথবা আধা সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসাব খোলা
  • স্থায়ী আমানত এফ ডি আর সঞ্চয় স্কিম ও বিশেষ স্কিম হিসাব খোলা
  • জনতা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার ডকুমেন্ট সম সমূহ
  • জাতীয় পরিচয় পত্র পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফটোকপি
  • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
  • ব্যবসায়িক আইডেন্টিফাইড ডকুমেন্ট
  • একজনের নমিনি নির্বাচন এবং ওই ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং তার এক কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
জনতা ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম
  • এক নাম্বার আবেদন ফরম প্রথমে আপনাকে স্থানীয় জনতা ব্যাংকে যেতে হবে সেখানে সেভিংস একাউন্ট খোলার জন্য আবেদন ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে এই ফর্মে আপনার নাম ঠিকানার জন্ম তারিখ পেশা ইমেইল ফোন নাম্বার ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হবে
  • ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে আইডেন্টটি দিতে হবে আইডি যেমন পাসপোর্ট স্মার্ট কার্ড জন্ম সনদ অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স
  • ঠিকানা প্রমাণিকরণ করতে হবে সঠিক ঠিকানা সত্যায়িত করার জন্য আপনার ঠিকানা যেকোনো প্রমাণপত্র প্রদান করতে হবে যেমন বিদ্যুৎ বিল অথবা আবাসন সময়
  • সেভিংস একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী মৌখিক সম্মতি প্রদান করতে হতে পারে যাতে আপনি তাদের নিয়ম ও শর্তাবলী মেনে নিচ্ছেন
  • সেভিংস একাউন্ট খোলার জন্য ব্যাংকে কিছু মূল আমানত প্রদান করতে হবে যা পুরোপুরি আপনার একাউন্টে থেকে যাবে
  • এই একাউন্টে আপনি ব্যাংকের সুদ ও নীতি অনুসরণ পারেন। এই নীতিতে আপনার একাউন্টের সুদের হার ও উত্তোলনের শর্তাবলী মূল আমানতের নির্ধারণ ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য থাকবে।
  • কিছু ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য এটি নূন্যতম মূল্য চার্জ করতে পারে এই মূল্য আপনার ব্যাংকের নীতি একাউন্ট এর ধরনের উপর নির্ভর করে হয়
  • আপনি আপনার সেভিং একাউন্ট থেকে চেক বই পাবেন যার মাধ্যমে আপনি চেক লিখতে এবং অন্যান্য লেনদেন করতে পারেন আপনি একটি ডেবিট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ডও পাবেন যা আপনাকে অনলাইনে লেনদেন করতে সাহায্য করতে পারে।

অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪

অগ্রণী ব্যাংক বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত ব্যাংক। একাউন্ট খোলার জন্য বেশ কিছু নিয়ম নীতি অনুসরণ করতে হয়। অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪। অগ্রণী ব্যাংকে মোট ৩ ধরনের একাউন্ট খোলা যায়
  1. সেভিং অ্যাকাউন্ট
  2. কারেন্ট একাউন্ট
  3. স্টুডেন্ট একাউন্ট
এই ব্যাংক খোলার জন্য প্রয়োজন
  • জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন অথবা পাসপোর্ট এর কপি
  • ঠিকানা প্রমাণের জন্য ইউটিলিটি বিলের কপি
  • আবেদনকারী দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ছবি
  • নমিনি জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি এবং রঙিন ছবি এক কপি
  • আবেদনকারীর টিন সার্টিফিকেট বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজন হতে পারে
  • ন্যূনতম জমার পরিমাণ

শেষ কথা

আমাদের দেশে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় অধ্যসতাধিক ব্যাংক রয়েছে এই ব্যাংকগুলো প্রতিনিয়ত আমাদের সেবা প্রদান করে যাচ্ছে তবে ব্যাংকি সেবা নেওয়া বা অর্থ লেনদেনের জন্য অ্যাকাউন্ট খুলে সুবিধা গ্রহণের আগে অবশ্যই সঠিক তথ্য যাচাই করে নিবেন যে ব্যাংকে একাউন্ট খুলবেন সেই ব্যাংকের সম্পর্কে

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url