দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম-দাউদের স্থায়ী চিকিৎসা জানুন
প্রিয় পাঠক দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম ও দাউদের স্থায়ী চিকিৎসা জানুন। দাউদ অথবা দাদ একটি চর্মরোগ। এটি শরীরের কোন স্থানে সৃষ্টি হলে আমরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে পড়ি । এটি নিয়ে বাইরে কোথাও চলাফেরা করতে গেলে অনেক অস্বস্তিকর পরিবেশের সম্মুখীন হতে হয়
এই সমস্যাটি এতটাই ভয়াবহ যে এই রোগের আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে এই রোগ সৃষ্টি হতে পারে এজন্য এ ধরনের সমস্যা থাকলে কেউ কাছে আসতে চায় না।
ভূমিকা
দাদ অথবা দাউদ আমাদের শরীরের ত্বকে হলে গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হই। বিভিন্ন ধরনের ডাক্তার এর পরামর্শ গ্রহণ করে অনেক প্রকারের ঔষধ ও ক্রিম ব্যবহার করে থাকি। দাউদ ভালো করার সেরা কিছু ওষুধ ক্রিমের নাম ও ঘরোয়া উপায় বিস্তারিত ভাবে জানতে নিচে আরো পড়তে থাকুন।
দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম
দাউদ একটি গুরুতর সমস্যা এটি একবার শরীরের ত্বকের কোন অংশে হলে খুব সহজে তার নির্মূল হতে চায় না। এজন্য আমাদেরকে অনেক ধরনের ডাক্তার ও চিকিৎসার গ্রহণের প্রয়োজন পড়ে। দাউদের সবচেয়ে ভালো ও কার্যকরী মলমের নাম গুলো নিচে দেওয়া হল
- Econate- ( Econazole Nitrate )
- Tenafin- ( Beximco )
- Nizoder- ( Unimed )
- Aristen- ( Aristo Pharma )
- Fungidal- ( Square Pharma )
- Butefin- ( Square Pharma )
- Whitfield ointment
দাউদের স্থায়ী চিকিৎসা জানুন
দাউদ অনেক বড় একটি সমস্যা এই সমস্যা একবার আমাদের ত্বকের উপরে সৃষ্টি হলে খুব সহজে তা আর ভালো হয় না। এজন্য আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করতে হয়। দাউদ ভালো করার সেরা কিছু উপায় আজকে আপনাদের জানাবো। দাউদের স্থায়ীভাবে নীর্মূল করার উপায় জানুন
আরও পড়ুনঃ নিজোডার শ্যাম্পুর উপকারিতা জানুন
- এজন্য আপনাকে প্রথমে এরাচি গাছের অল্প কিছু বিচি নিতে হবে এর সঙ্গে এক চিমটি লবণ নিয়ে ভালোভাবে বেটে পেস্ট করে নিতে হবে এরপর এই পেস্ট দাউদ চুলকিয়ে এর উপরে মালিশ করে লাগিয়ে দিতে হবে মাত্র ৩ দিন লাগালে আর দাউদ কখনো হবে না
- টি ট্রি অয়েলে রয়েছে এন্টিফাঙ্গাল উপাদান যা আমাদের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে এজন্য একটি পরিষ্কার পাত্রে এই তেল নিয়ে পরিস্কার তুলা দিয়ে দাউদের উপরে হালকা করে মালিশ করে নিতে হবে । এবং নারিকেল তেল ও টি ট্রি ওয়েল একসঙ্গে মিক্স করে ক্ষতস্থানে লাগালে খুব দ্রুত পুরোপুরি ভাবে দাউদ নির্মূল হয়ে যাবে
- ভিনেগার বা অ্যাপেল স সাইডার এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিফাঙ্গাল ও পাঙ্গাস বিরধী উপাদান দ্রুত শরীরে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এজন্য এটি ছোট কাঁপে অল্প কিছু পরিমাণে ভিনেগার নিয়ে সেখানে তুলো ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থানে ধীরে ধীরে পরিষ্কার করে নিতে হবে তাহলে খুব দ্রুত দাউদ পুরোপুরি ভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
দাউদ কিভাবে ভালো হয়
দাউদ একটি বিরক্তিকর ঝামেলা এটি ত্বকের উপরে একবার ছড়িয়ে পড়লে খুব সহজে তা আর নির্মূল হতে চায় না। আর এটি শরীরে সৃষ্টি হলে যে কোন সময় যে কোন জায়গায় ত্বকের উপরে চুলকানির সৃষ্টি হতে পারে কখন কোন জায়গায় আছেন সেটি কোন বিষয় না আপনাকে চুলকাতেই হবে। দাউদ হওয়ার কারণগুলো হলঃ
আরও পড়ুনঃ ত্বকের যত্নে তুলশী পাতার উপকারিতা জানুন
- ভেজা কাপড় পরিধান করা
- অপরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে ও বিছানায় থাকলে
- দাউদ আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি থাকলে বা সংস্পর্শে আসলে
- অনেক বেশি পরিমাণে ঘামে ভিজে থাকার কারণে ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হয়ে এ রোগ তৈরি হতে পারে
- দাউদ আক্রান্ত ব্যক্তির পরিধানের কোন বস্ত্র পড়লে এ রোগ সৃষ্টি হতে পারে।
- দাউদ আক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর সংস্পর্শে আসলে এই রোগ সৃষ্টি হতে পারে যেমন গরু-ছাগল কুকুর-বিড়াল ও ঘোড়া।
এই সময় যেসব খাবারগুলি বর্জন করবেন সেগুলো হলো
- অনেক বেশি পরিমাণে চিনি থাকা খাবার
- বাজারের অনেক তেল যুক্ত ফাস্ট ফুড খাবার
- অনেক বেশি পরিমাণে ডিম ও এলার্জি জাতীয় সকল ধরনের খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে
দাউদ কিভাবে ভালো হয় জানুন। আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাউদ নির্মূলের বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা করতে পারি কিন্তু এতে একটু ফল পেতে দেরি হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় বিশেষ কিছু উপাদান যেগুলো হল
- আমাদের জীবনে অতি প্রয়োজনীয় নিম গাছও নিমপাতা শরীরের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ চুলকানি ও দাউদের জ্বালাপোড়া ও বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী হিসেবে কাজ করে। ত্বকের যেসব স্থানে দাউদ সৃষ্টি হয়েছে সেই স্থানগুলোতে নিম পাতা বেটে এর পেস্ট দাউদের উপরে নিয়মিত লাগালে খুব দ্রুত দাউদ নির্মূল হয়ে যাবে।
- অনেক ধরনের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাতে কাঁচা হলুদ ব্যবহৃত হয়ে থাকে এর মধ্যে রয়েছে অনেক উপাদান যা এই সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এজন্য আক্রান্ত স্থানে কাঁচা হলুদ বেটে প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে গোসল করতে হবে।
- রসুনের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান যা বিভিন্ন ছত্রাক সৃষ্টিকারী ভাইরাসকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এজন্য রসুন বাটার সঙ্গে অল্প কিছু পরিমাণে সরিষার তেল মিক্স করে দাউদের উপরে লাগালে খুব দ্রুত দাউদ সেরে যায়।
- ত্বকের বিভিন্ন ধরনের চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এলোভেরা গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এলোভেরা চুলকানির ফলে ক্ষতস্থান সৃষ্টি হওয়া জায়গা গুলোকে খুব দ্রুত শুকাতে পারে। বাজারে বিভিন্ন সুপারশপে এলোভেরা জেল কিনতে পাওয়া যায় এগুলো ভীষণ কার্যকরী।
- এই রোগ সৃষ্টি হলে খুব দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
- ত্বক সবসময় শুকনো রাখতে হবে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পোশাক পড়তে হবে এবং ত্বকের যে স্থানে এ রোগ থাকবে সেই স্থানে সংস্পর্শ করলে খুব দ্রুত হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
- পরিধানের কাপড় বা ব্যবহারের জিনিসপত্র যেমন তোয়ালে প্যান্ট শার্ট বিছানার চাদর নিয়মিত গরম পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।
- ত্বক সবসময় পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং হাত ও পায়ের নখগুলো ছোট ছোট করে কেটে পরিষ্কার করতে হবে।
- প্রতিদিন অন্তত একবার অন্তর্বাস ও মৌজা পরিবর্তন করতে হবে
- লবণ পানিতে বিদ্যমান রয়েছে অ্যাস্ট্রনঞ্জেন্ট যা ক্ষতস্থান দ্রুত সারাতে কাজ করে। এজন্য প্রতিদিন ক্ষত স্থানে লবণ পানি ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে এরপর জায়গাটি আলতো হাতের ছোঁয়ায় নরম কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে।
- নারিকেল তেলের মধ্যে রয়েছে এন্টিফাঙ্গাল উপাদান এজন্য দাউদ দূর করতে নারকেল তেল গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এর জন্য প্রয়োজন প্রথমে ১টি পাত্রে দুই চামচ নারকেল তেল নিয়ে গরম করে নিতে হবে তারপর হালকা গরম তেল ক্ষতস্থানে আস্তে আস্তে মালিশ করে নিতে হবে এতে জায়গাটি খুব দ্রুত শুকাতে থাকবে।
দাউদের সবচেয়ে ভালো ঔষধ
দাউদ একবার সৃষ্টি হলে এটি ভালো করার জন্য আমরা অনেক বড় বড় ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে থাকি। এতে আমাদের অনেক অর্থ ব্যয় হয় দাউদের সবচেয়ে ভালো ঔষধ এর নাম হল
- Fluoxerine Capsule
- Flozol 50 Tab.
- Flujo Capsule
- Cosflo Tab.
- Anicon Tab.
দাউদের ক্রিম এর নাম
দাউদ ত্বকের উপরে সৃষ্টি হলে এজন্য বিশেষ কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করতে হয়। বিভিন্ন ধরনের ঔষধ খাওয়ার পাশাপাশি অনেক ধরনের ক্রিম ব্যবহার করতে হয় । দাউদের ক্রিম এর নাম জানুন
- Pevisone Cream 10mg
- Fungison Cream 10mg
- Lulizol Cream 10mg
- Fungirox Cream 15mg
- Renaissance Cream 100ml
- Clopirox cream 15mg
দাউদের সবচেয়ে ভালো সাবান
দাউদ এক ধরনের চর্ম রোগ । এটি আমাদের শরীরে একবার সৃষ্টি হলে খুব সহজে তা আর ভালো হতে চাই না। এটি ভালো করার জন্য এর বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা ঔষধ ও ক্রিম ব্যবহারের পাশাপাশি নিয়মিত সাবান ব্যবহার করতে হয়। দাউদের সবচেয়ে ভালো সাবান এর নাম জেনে নিন
কিটোকোনাজল ও লুলিকোনাজল এই দুই ধরনের সাবান পাওয়া যায়। এই সাবানগুলো শরীরে মেখে প্রায় ৫ মিনিট পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। যেসব শরীরের ত্বকে অতিরিক্ত পরিমাণে দাউদ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে কিটোকোনাজল শ্যাম্পু গোসল করার ১৫ থেকে ২০ মিনিট আগে পুরো শরীরের মেখে ফেনা করে নিয়ে প্রায় ২০ মিনিট পরে গোসল করে নিতে হবে। এছাড়াও রয়েছে সাইক্লো পাইরক্স শরীরে লাগাতে হবে।
শেষ কথা
চর্মরোগ বা দাউদ আমাদের ত্বকের জন্য এত ভয়ানক একটি সমস্যা যা একবার ত্বকে সৃষ্টি হলে খুব সহজে নির্মূল হতে চাই না। এটি নিয়ে আমাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয় বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি ক্রিম ও ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। এই সমস্যাটি হলে খুব দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url