ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ-ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে জানুন
প্রিয় পাঠক ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে জানুন। ডেঙ্গু থেকে বাঁচার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের উপায় অবলম্বন করে থাকি। কারণ এইরোগ হলে আমরা অনেকেই মনে করে এটি একটি ভাইরাস জনিত রোগ
তবে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে যে এইরোগ কোন ভাইরাস জনিত রোগ না। এটি মশার মাধ্যমে ভাইরাসজনিত একটি রোগ
ভূমিকা
এই রোগ হলে রোগীর পরিবারের লোকজনেরা অনেক ভয় পেয়ে যায় যে এই রোগ সবার না ছড়িয়ে পড়ে তবে এটি কোন ছোঁয়াচে রোগ না। এ রোগ হলে সবসময় রোগীর পাশে থাকতে হবে এবং সঠিক চিকিৎসা ও যত্ন দিয়ে তাকে খুব দ্রুত সুস্থ করে তুলতে হবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে নীচে আরো পড়ুন।
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ
ডেঙ্গু শব্দের অর্থ পরিষ্কার নয় তবে একটি মত আছে এটি এসেছিল Swahili শব্দ বন্ধ কা ডিঙ্গা পোপো যার অর্থ দুষ্টু আত্মার কারণে সৃষ্টি রোগ। সোয়াহিলি শব্দ ডিঙ্গা স্পেনিও শব্দের ডেঙ্গুর মূলে রয়েছে যার অর্থ খুতখুঁতে ও সাবধানে যেটি মূলত এই রোগে আক্রান্ত রোগীর চালচলনের বর্ণনা করে। এ রোগের লক্ষণ গুলি হল
আরও পড়ুনঃ ভালো ঘুম হওয়ার উপায় জানুন
- সাধারণত এইরোগের প্রধান লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। এই রোগ হলে শরীরে ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০২° তাপমাত্রা পরিমাণে জ্বর থাকে।
- জ্বর একটানা বেশ কিছুদিন থাকতেও পারে আবার মাঝে মাঝে জ্বর ছেড়ে যাওয়ার পর আবার ফিরে আসতে পারে অতিরিক্ত শরীর ঘামার সঙ্গে সঙ্গে।
- এর লক্ষণ হল এই সময় মাথা ব্যাথা শরীরে ব্যথা চোখের পিছনে ব্যাথা ও আমাদের চামড়ার ত্বকে র্যাশ ও ফুসকুড়ি সৃষ্টি হয়।
- তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে এগুলো না থাকলেও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
- শরীরে শীতলতা বৃদ্ধি পাওয়া ও খিদে কমে যাওয়া।
- কোষ্ঠকাঠিন্য ও মুখের স্বাদের পরিবর্তন সৃষ্টি হওয়া।
- অরুণ স্পন্দনের হার ও রক্তচাপ দ্রুত কমে যাওয়া
- এ রোগের গুরুতর কিছু উপসর্গ হলোঃ
- ক্রমাগতভাবে বমি হওয়া
- দাঁতের মাড়ি অথবা নাক দিয়ে রক্তপাত হওয়া
- প্রচুর পরিমাণে পেট ব্যাথা
- অনিয়ন্ত্রিত ভাবে পায়খানা
- প্রস্রাব ও পায়খানার মলের সঙ্গে রক্ত পাত ঘটা
- শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হওয়া ও ক্লান্তি ভাব সৃষ্টি হওয়া
- অস্বাভাবিক ভাবে অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়ে বিরক্তিভাব হওয়া
- শরীরের ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ সৃষ্টি হওয়া যে গুলো ক্ষতের মত সৃষ্টি হতে পারে
ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে জানুন
বাংলাদেশে বেশ কিছুদিন ধরে সরকারি তথ্যমতে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার এর বেশি মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। চলতি বছরেও এর সংখ্যা কোন অংশে কম নেই। একজন ব্যক্তি এই জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে ডেঙ্গু ভাইরাস বহনকারী এডিস মশার কামড় খেলে তার শরীরে এই জ্বর সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শে জানা যায়
আরও পড়ুনঃ ভাতের মাড়ের উপকারিতা জানুন
এই রোগ হলে সঠিক সময়ে খুব দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করলে মৃত্যু ঝুঁকি অনেকটাই কম তবে এই রোগ হলে এটি নিয়ে অবহেলা করা ঠিক না। যুক্তরাষ্ট্র সিডিসি বলেছে এইরোগে আক্রান্ত রোগীর প্রতি চারজনে একজনের মৃত্যু ঝুঁকি থাকে। এবং বেশি পরিমাণে এইরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন দ্রুতই হুমকির কবলে পড়তে পারে। সিডিসির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে
এ রোগের প্রধান লক্ষণ সাধারণ জ্বর। এর সঙ্গে বমি চুলকানি শরীরে র্যাশ পড়া ও ব্যথার উপসর্গ সৃষ্টি হওয়া। এই লক্ষণ গুলি প্রধানত দুই থেকে সাত দিন পর্যন্ত থাকে এক সপ্তাহের মধ্যেই বেশির ভাগ রোগী সুস্থ হয়ে যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলেছেন যে জ্বর কমে যাওয়ার পর রোগী ভালো হয়ে গেলেও রোগীর রক্তের
প্লাটিলেট কাউন্ট কমে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয় আর সেই সময়ই রক্তক্ষরণসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। এজন্য জ্বর চলে যাওয়ার পর রোগীকে সতর্ক ও নিয়ম মেনে চলাফেরা করতে হবে। সিডিসি আরো বলেছেন এই রোগের সুনির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই ডাক্তারেরা এই রোগের লক্ষণ দেখে চিকিৎসা প্রদান করে থাকে রোগীদের
যেমন জ্বর হলে জ্বরের ঔষধ দিয়ে থাকেন। এডিস মশা কামড়ানোর পর এই রোগের লক্ষণ দেখা দিতে সময় লাগে প্রায় পাঁচ থেকে সাত দিন। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে এই জ্বর প্রায় ১৫ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে।
ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার
এই রোগ আমাদের দেশে বর্তমান সময়ে অনেক বড় একটি সমস্যা সৃষ্টি করেছে। এটি প্রধানত মশা বাহিত একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এডিস মশার কামড় খেয়ে মানুষের শরীরে এ রোগের সৃষ্টি হয়। আর এই রোগটি একজন ব্যক্তিকে তখনই আক্রান্ত করতে পারবে যখন মশা সংক্রমিত কোন ব্যক্তিকে কামড়ানোর পর ভাইরাস
আরও পড়ুনঃ দাতের মাড়িতে ক্যান্সার হওয়ার লক্ষন জানুন
বহন করার সময় অন্য আরেকজন সুস্থ ব্যক্তিকে কামড় দেয় সেই ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি এইরোগে আক্রান্ত হয়ে যায়। ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন
- নিম পাতা আমাদের জন্য খুবই উপকারী একটি ঔষধি উপাদান। এজন্য এইরোগ হলে শরীরের রক্তের প্লাটিলেট বৃদ্ধি করতে এই পাতার রস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শ্বেত রক্ত কণিকার হার বৃদ্ধি করতে ও সাহায্য করে।
- পেয়ারা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল এজন্য এই রোগ হলে পেয়ারার শরবত খাওয়া যেতে পারে যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ প্রক্রিয়াকে আরো উন্নত করতে সাহায্য করে এবং এই রোগ ভালো করতে সাহায্য করে।
- বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন এইরোগ হলে বেশি বেশি তরল খাবার খেতে হবে যেমন ডাবের পানি স্যালাইন ফলের রস ভাতের মাড় লেবুর রস দিয়ে শরবত ইত্যাদি। এসব তরল খাবার প্রায় ৯০ শতাংশ কমিয়ে আনে এইরোগের তীব্রতা।
- এছাড়াও শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে যেমন মুরগির মাংস ছোট মাছের ঝোল ডিম ডাল এ ধরনের খাবার খেতে হবে।
- এই রোগে আক্রান্ত হলে এ সময় শুধু প্যারাসিটামল খাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে থাকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার গণেরা। তবে অনেকেই না জেনে শরীরের ব্যথা কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যথার ওষুধ খেয়ে থাকেন যেমন ক্লোফেনাক অ্যাসপিরিন আইবো প্রফেন এ ধরনের ওষুধ খেলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বা ক্ষতি হতে পারে ব্যথা না শোক এসব ওষুধ খেলে রক্তক্ষরণ সৃষ্টি হতে পারে যা মৃত্যু ডেকে আনতে পারে ।
- সর্বোপরি পরিপূর্ণভাবে বিশ্রামে থাকতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে
বাংলাদেশে গ্রামঅঞ্চল থেকে শহর অঞ্চলে এইরোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। এই রোগটি মূলত শহরের মানুষ দের বেশি হয় তবে এটি যে গ্রামের লোকদের হবে না এর কোন নিশ্চয়তা নেই এটি সব ধরনের মানুষের শরীরেই হতে পারে পুরোপুরি মশার উপর নিশ্চিত যে এই রোগটি কখন কার উপর তারা ছড়িয়ে দিবে।
এজন্য এই রোগ হলে নিয়মিত সঠিক চিকিৎসার পাশাপাশি পুষ্টিকর ও প্রোটিনযুক্ত বিশেষ কিছু খাবার খেতে হবে তাহলে এই রোগ দ্রুত সেরে যাবে এবং এসব খাবার খাওয়ার মাধ্যমে রক্তের প্লাটিলেট সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে জেনে নিন
- পাকা পেঁপে কলা অথবা তরমুজ এর মতো ফলগুলি বেশি বেশি খেতে হবে। এতে রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হওয়ার পাশাপাশি পুষ্টিকর সব খাবারগুলোর সঙ্গে তার শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
- এ সময় রোগীকে বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়ানো প্রয়োজন। শক্ত খাবারের তুলনায় তরল খাবার খুব সহজেই শরীরে স্বাভাবিকভাবেই পুষ্টি প্রদান করে থাকে। ধীরে ধীরে এইসব তরল খাবার খাবার ফলে শরীরের পানি শূন্যতা দূর হতে থাকবে এবং শরীরের উচ্চ তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে ।
- মুখের স্বাদ বৃদ্ধি করার জন্য লেবুর রস ব্যবহার করে খেতে পারেন । নরম ডায়েট এর জন্য ফলের রস স্যুপ এবং ডাবের পানি মত প্রচুর পরিমাণে তরল পান করা প্রয়োজন এই সময় এগুলো আমাদের শরীরে পানি এবং ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
- এই রোগ থেকে মুক্ত হওয়ার সময় দ্বিতীয় ধাপে খুব সহজে হজম যজ্ঞ খাবারগুলো রোগীকে খাওয়ানো প্রয়োজন যেমন ভাত খিচুড়ি দই সেদ্ধ শাকসবজি সেদ্ধ আলু কুমড়ো পেঁপে সবুজ মটর এ ধরনের খাবার খাওয়াতে হবে।
- এইরোগের সময় শরীরে প্রোটিনের চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পায় এ সময় শরীরের ঘাটতি পূরণ করার জন্য ও খুব দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য যেসব খাবারগুলো বেশি বেশি খাওয়ানো প্রয়োজন যেমন মাছ মুরগি ডিম দুধ চরবিহীন লাল মাংস ইত্যাদি।
- এ সময় শরীরে প্লাটিলেট ও হিমোগ্লোবিনের সংখ্যা অনেক কমে যায় এই দুটো উপাদান বৃদ্ধি করার জন্য শরীরে প্রচুর পরিমাণে আয়রনের প্রয়োজন হয় আর এইসব পাওয়া যায় যেসব খাবার থেকে সেগুলো হলো ডালি মিষ্টি কুমড়ার বিচি মুরগির ডিম কলিজা বিট জুস বিট জুস খেজুর কিসমিস সবুজ শাকসবজি জলপাই ইত্যাদি এ ধরনের খাবার গুলো বেশি বেশি খেতে হবে।
- এ সময় শরীরে অধিক পুষ্টি উপাদান ও ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রয়োজন এই খাবারগুলো হল নরম পাতলা মুগ ডালের খিচুড়ি পায়েস দই মিষ্টি পুডিং ফিরনি ও মিল্ক শেখ ইত্যাদি।
এ সময় বিশেষ কিছু খাবার বর্জন করতে হবে যেগুলি হলঃ
- প্রচুর পরিমাণে মসলা ও তেল যুক্ত খাবার পাকস্থলীকে এসিডিক করে দেয় এজন্য এই সময় এসব খাবার বর্জন করতে হবে।
- কড়া দুধ চা কফি এনার্জি ড্রিঙ্কস এ ধরনের খাবার শুধু হজমের অসুবিধা করে না দ্রুত রোগ ভালো হতে ও বাধা প্রয়োগ করে এজন্য এ সময় ক্যাফেইন ও ডাই ইউরেটিক যুক্ত খাবার যা শরীরকে পানি শূন্যতা করে এ ধরনের খাবার থেকে এড়িয়ে চলা ভালো।
- ফাস্টফুড ও ভাজা পোড়া ও অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার কাঁচা সব শাকসবজি যেমন সালাদ এই ধরনের খাবার একদমই খাওয়া যাবেনা এতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ও রক্তক্ষরণ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয়
এইরোগ কোন ছোঁয়াচে রোগ না এজন্য এই রোগ পরিবারের অন্য কারো হলে। আমরা খুব স্বভাবিক ভাবেই তার সঙ্গে খেতে পারব ঘুমাতে পারবো এবং তার যত্ন নিতে পারব। ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয় কি জানুন। এ রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর সঙ্গে বেশি বেশি খোলামেলা পরিবেশে কথা বলতে হবে এবং। তাকে বোঝাতে হবে এটি কোন মারাত্মক রোগ না।
এই জ্বর হলে আমরা সাধারণত দুইটি টেস্ট করতে পারি প্রথমটি সি বি সি ও দ্বিতীয়টি প্লাটিলেট একাউন্ট। এইরোগ একটি মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ এজন্য এই সময় চিকিৎসা করার পাশাপাশি এ রোগ হলে বেশি বেশি জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল ঔষধ ও বিভিন্ন ধরনের পানি ও শরবত জাতীয় খাবার খাওয়ানোর কথা বলে থাকে। এইসব খাদ্য গ্রহণে
অক্ষম থাকলে স্যালাইন ও গ্লুকোজ শিরিপথ দিয়ে গ্রহণ করতে হবে খুব বেশি পরিমাণে বমি হলে খাদ্য গ্রহণে অক্ষম থাকলে খুব দ্রুত মেডিকেলে ভর্তি করাতে হবে।
- এইরোগ হলে যে ধরনের চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন তা হল আপনি যেখানেই থাকুন প্রথমে এর তিনটি ক্যাটাগরি রয়েছে এ বি ও সি প্রথম ক্যাটাগরিতে রোগী স্বাভাবিক থাকে এ সময় শুধু শরীরের জ্বর থাকে এ মেডিকেলে থাকলে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই। এই সময় বাড়িতেই বেশি বেশি বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন
- বি ক্যাটাগরি ডেঙ্গু রোগ হলে মেডিকেলে ভর্তি হওয়া লাগতে পারে এর প্রধান কিছু লক্ষণ রয়েছে যেমন বমি ভাব পেট ব্যাথা ডায়াবেটিস স্থলতা অন্তঃসত্ত্বা কিডনি ও লিভারের সমস্যা জন্মগত সমস্যা এ ধরনের সমস্যা থাকলে খুব দ্রুত মেডিকেলে ভর্তি হতে হবে
- সি ক্যাটাগরি ডেঙ্গু রোগীদের অবস্থা খুবই গুরুতর হয় এ সময় লিভার কিডনি ও মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে আইসিউর প্রয়োজনও হতে পারে।
- ডেঙ্গু রোগ হলে বাড়িতে বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে
- এই সময় বেশি বেশি তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে খাবার স্যালাইন ফলের জুস লেবুর শরবত ও ডাবের পানি একটু পরপরই পান করতে হবে।
- এ সময় শুধু প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে অন্য কোন ধরনের ঔষধ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এতে রক্তক্ষরণ সহ আরো গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
- এই সময় শরীরে অনেক ব্যথা থাকবে কিন্তু ফার্মেসি থেকে কেনা কোন ব্যাথার ঔষ সেবন করবেন না তাহলে খুব বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
বাংলাদেশে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হয়। এ সময় এডিস মশার লার্ভা যত্রতত্র জমে থাকা পানিতে সৃষ্টি হয়ে খুব দ্রুত ভাইরাস ছড়াতে সক্ষম হয়। বিশেষ করে দেশের ঢাকা শহরে এইরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে অস্বাস্থ্যকর ও অপরিষ্কার পরিবেশে জীবন যাপন করার ফলে।
ছোট্ট শিশু থেকে বয়স্ক সকল ধরনের বয়সের মানুষের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার জেনে নিন। এ রোগের লক্ষণ শিশুদের ক্ষেত্রে
- পাঁচ থেকে সাত দিন এর বেশি জ্বর থাকবে এবং রক্তপাত হবে ।
- এই রোগ হয় এমন কোন জায়গায় যাওয়া বা বসবাস করা এর ফলে বমি ভাব শরীরে র্যাশ সৃষ্টি ও শরীর অনেক ব্যথা হওয়া
- অতিরিক্ত পরিমাণে মাথা ব্যাথা শরীরের মাংসপেশি ব্যথা এর সঙ্গে বমি বমি ভাব ও পাতলা পায়খানা সৃষ্টি হওয়া।
- এক বছর বেশি সময় ধরে থাকলে কোন শিশুর মধ্যে ডায়াবেটিস বা হাইপারটেনশন থাকলে হাটের রোগ বা হৃদরোগ যেসব বাচ্চার স্টেরয়েড ও রক্ত পাতলা করার ওষুধ খায় এদেরকে বেশি এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
- জ্বর খুব বেশি পরিমাণে থাকলে খুব দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ ও চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
এ রোগ প্রতিরোধে বিশেষ কিছু নিয়ম ও প্রতিকার
- আমাদের দেশে সাধারণত বর্ষা আসে এপ্রিল ও অক্টোবর মাস এই সময় এইরোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায় এই সময় বেশি বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
- এই রোগের বাহক যেসব জায়গা থেকে বংশবিস্তার করে সেই সব জায়গাগুলো খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে ময়লা কোন স্থানে পানির জমে থাকলে খুব দ্রুততা পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
- এডিস মশার বিশেষ একটি গুণ এই মশা দিনের বেলাতে বেশি কামড়ায় এজন্য দিনের বেলা বের হওয়ার সময় খুব ভালো লম্বা পরিমাণে পোশাক পড়ে বের হতে হবে এবং বিছানায় ঘুমাতে হবে।
- এই সময় শরীরে অনেক বেশি পরিমাণে জ্বর মাংসপেশিতে ব্যাথা ও ত্বকের উপরে লালচে দাগ দেখা দিলে এ রোগের লক্ষণ হিসেবে ধরা যায় এজন্য খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে
- জ্বর হলে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোন ঔষধ বা ব্যথা না শোক কোন ঔষধ সেবন করবেন না এতে রোগীর গুরুতর ক্ষতি হতে পারে
- এ সময় জ্বর হলে এইরোগ হয়েছে কিনা এজন্য পরীক্ষা করতে হবে এই রোগ নিয়ে বসে থাকলে বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
- এই সময় আপনার শিশুকে বেশি বেশি তরল জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে যেমন গ্লুকোজের পানি চিড়ার পানি ডাবের পানি খাবার স্যালাইন এ ধরনের খাবার বেশি বেশি খাওয়াতে হবে।
- যাতে এই সময় শিশু বাচ্চা ২৪ ঘন্টায় অন্তত ৬ বার প্রস্রাব করতে পারে। মন থেকে বোঝা যাবে যে আপনার শিশু পানি শূন্যতার রোগ থেকে বিরত আছে।
- ডি গ্রুপ হলে আপনার বাচ্চাকে সব সময় মশারির মধ্যে রাখতে হবে কেননা এই সময় যখন আপনারা তার পাশে তাকে সুস্থ করে তোলার জন্য থাকবেন সেই সময় যাতে এডিস মশা আপনাদের শরীরেও এই ভাইরাস না ছড়াতে পারে।
শেষ কথা
আমাদের দেশে বিভিন্ন রোগ ব্যাধি রয়েছে এর মধ্যে এডিস মশার কামড় থেকে হওয়া এইরোগ আমরা খুবই সাধারণভাবে নিয়ে থাকি। কিন্তু এই রোগটি সঠিক চিকিৎসা না নিলে গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে এজন্য এই রোগ হলে খুব দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে সঠিক চিকিৎসা নেওয়ার চেষ্টা করব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url