কিডনীর জন্য উপকারী খাবার-কিডনী ভালো রাখার উপায়
সম্মানিত পাঠক কিডনীর জন্য উপকারী খাবার ও কিডনী ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো এই আর্টিকেলটিতে বর্তমান সময়ে এলোমেলো খাদ্যাভ্যাসের ফলশ্রুতিতে ও অনিয়ন্ত্রিতভাবে জীবনযাপনের ফলে
আমাদের শরীর কে বিভিন্ন ধরনের রোগের সম্মুখীন হতে হয়। যার মধ্যে প্রধান একটি কিডনি রোগ এ রোগ থেকে আরোগ্যের জন্য অনেক নিয়ন্ত্রান্ত্রিক জীবনযাপন করতে হয়।
ভূমিকা
বর্তমান সময়ে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি হচ্ছে হার্টের রোগ ফ্যাটি লিভার ডায়াবেটিস হৃদরোগ এবং কিডনি রোগ। সারা পৃথিবীতে ষষ্ঠ বৃহত্তম মরণব্যাধি রোগ হচ্ছে ক্রনিক কিডনি রোগ এ সম্পর্কে জানতে নীচে আরও পড়ুন।
কিডনীর জন্য উপকারী খাবার
কিডনির সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য উপকারী ও প্রয়োজনীয় খাবার গুলো খেতে হবে আমাদের নিয়ম মেনে। কেননা কিডনি আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ এই অংশের কোন ক্ষতি সাধন হলে আমাদের শরীর ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যাবে । সঠিক নিয়মে জীবন যাপন করার পাশাপাশি নিয়ম মাফিক খাবার খেতে হবে।
- সয়াবিন তেল পরিহার করে ও রান্নায় অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে হবে কারণ এই তেলে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের প্রদাহ কমাতে এবং কিডনি ও হার্ট কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
- চর্বিযুক্ত মাছ বা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সরবরাহ করে এসব মাছ খেতে হবে যা আমাদের কিডনির সুস্বাস্থ্য গঠনে সাহায্য করে।
- রসুনের মধ্যে রয়েছে এন্টি ইনফ্লামেন্টরি ও এন্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান যা আমাদের কিডনি সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে কাজ করে।
- বেরি জাতীয় ফল এর মধ্যে রয়েছে স্ট্রবেরি ব্লুবেরী ফলগুলোতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা আমাদের কিডনির সুস্বাস্থ্য পরিচালনা করতে সাহায্য করে।
- নিয়মিত একটি করে আপেল বা আপেলের জুস খেতে হবে এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা আমাদের কিডনির জন্য অনেক উপকারী
- গমের রুটি বাদামি চাল এর মত পুষ্টি ও ফাইবার যুক্ত খাবার খেতে হবে যা আমাদের দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বৃদ্ধি করে কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- লাল শাক বেল ও কাঁচা মরিচের রয়েছে ভিটামিন এ সি ও ভিটামিন বি ৬ সমৃদ্ধ উপাদান তার সঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা কিডনির স্বাস্থ্য সুরক্ষা বৃদ্ধি করে।
কিডনী ভালো রাখার উপায়
কিডনি আমাদের মেরুদন্ডের দুই পাশে পাঁজরের খাঁচার নিচে অবস্থান করছে। কিডনির কার্যকারিতা আমাদের দেহে অপরিহার্য। তোমাদের দেখে কিডনির সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হচ্ছে অতিরিক্ত পানি ও বর্জ্য পদার্থ বের করে দেওয়া । আমাদের শরীরে অতিরিক্ত পানি আমাদের মুদ্রা সহ জমা হয় কিডনির মাধ্যমে ফিল্টার করে
আরও পড়ুনঃ ঘন ঘন প্রস্রাব ভালো করার উপায় জানুন
তাদেরকে অপসারণ করা হয় । কিডনি আমাদের শরীরে পি এইচ এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে । এবং আমাদের দেহের লোহিত রক্ত কণিকা ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে । কিডনির বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে যেমন কিডনিতে পাথর অনেক সময় ধরে কিডনি রোগ পলিসিস্টিক কিডনি রোগ ও তীব্র কিডনি আঘাত জনিত রোগ।
আরও পড়ুনঃ কিডনিতে পাথরের লক্ষন কি জানুন
এজন্য কিডনি সুস্থ রাখতে আমাদের নিয়মিত জীবনযাত্রা মান উন্নয়ন করতে হবে এবং সুস্বাস্থ্য সম্পন্ন খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
- প্রতিদিন ব্যায়াম করলে অনেক সময় ধরে হওয়া কিডনি রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে । এটি আমাদের শরীরে উচ্চ রক্তচাপ কমায় এবং হৃদ যন্ত্রের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে কাজ করে ।
- আমাদের দেহের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য উচ্চ প্রোটিন সোডিয়াম ও পটাশিয়াম যুক্ত খাবার বর্জন করতে হবে এবং কিডনি ক্ষতিকারক বিভিন্ন ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এজন্য নিয়মিত খেতে হবে ব্লুবেরি মাছ ও ফুলকপি পুরো সর্ষের প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি কৃত খাবার যার মধ্যে সোডিয়ামের মাত্রা অনেক কম।
- কিডনির সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য আমাদের সব ধরনের ধূমপান এবং মধ্যপান থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ ধূমপানের ফলে আমাদের কিডনি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত পরিমাণে ধূমপান এবং মধ্যপান করলে ক্যান্সার রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
- দিনের বেশিরভাগ সময়ই পানি খেতে হবে নিয়মিত আট থেকে দশ গ্লাস পানি পান করতে হবে কিডনি পরিষ্কার রাখার জন্য। কারণ তরল পানি পান করলে আমাদের কিডনি হাইড্রোটেট থাকবে।
- স্বাস্থ্যকর ভাবে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের রক্তে উৎস শর্করা থাকে এজন্য তারা বেশিরভাগ সময় কিডনির সমস্যার সম্মুখীন হয়।
- নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে কিডনির সব ধরনের পরীক্ষা করে নেওয়া প্রয়োজন।
- নিয়মমাফিক জীবন যাপন অতিরিক্ত স্ট্রেস ও মানসিক চাপ না নেওয়া এবং উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবার পরিহার করা যা আমাদের কিডনির কার্যক্রম ক্ষমতাব বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- কিডনি সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে হাইড্রেট থাকা এবং এক্সট্রা লবন খাবারের সঙ্গে না খাওয়া প্রক্রিয়াজাত ও ফাস্টফুড খাবার স্বল্পমাত্রায় খাওয়া উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সব ধরনের ব্যথার ঔষধ খাওয়াকে বর্জন করা।
কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায়
আমাদের কিডনিতে কোন সমস্যা তৈরি হলে আমরা অতি সহজে তা বুঝতে পারিনা। এর প্রধান কারণ হলো এ রোগের কোন লক্ষণ আমরা ধরতে পারিনা এজন্য নিয়মিত ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় হল
- জি এফ আর পরীক্ষা এই পরীক্ষার মাধ্যমে আমাদের কিডনিতে কোন সমস্যা রক্তের মধ্যে ক্রিয়েটিনিন কোন বর্জ্য পদার্থ সঠিকভাবে বের হচ্ছে কিনা এটা বোঝার এক নম্বর ধাপ। এরপরে জি এফ আরে দেখতে হবে এ রেজাল্ট দেখেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ বুঝতে পারেন কিডনি কেমন আছে। রক্তের এই টেস্ট দেখে ডাক্তারগণ আমাদের রক্তের ক্রিয়েটিনিন মাত্রা স্বাভাবিক আছে কিনা এটা দেখার পর এই লেবেল যদি বৃদ্ধি পেয়ে থাকে তাহলে আমাদের ধাপে ধাপে আরও বেশ কয়েকটি টেস্ট পরীক্ষা দিয়ে থাকেন।
- এসিআর এ পরীক্ষার মাধ্যমে এলবুমিন ও ক্রিয়েটিনের মাত্রা নির্ধারণ করা যায় । এলবুমিন এক ধরনের প্রোটিন আমাদের মুএরে এলবুমিন রয়েছে কিনা এই পরীক্ষার মাধ্যমে তা দেখা হয়। এই প্রোটিন মুত্রের মধ্যে থাকার কথা না এইজন্য এই রুটিন মুত্রের মধ্যে মিললে কিডনি সঠিকভাবে কার্য সম্পাদন করতে পারে না আর এখান থেকে বোঝা যায় কিডনিতে কোন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এজন্য ইউরিন টেস্টে প্রোটিন পজেটিভ আসলে নিশ্চিত হওয়ার জন্য এন এফ আর পরীক্ষা করাতে হবে এই পরীক্ষা তিন মাস ধরে করতে হয় এবং তিন মাসেই এ রেজাল্ট পজিটিভ হলে এটি কিডনি রোগের আভাস দেয়।
কিডনি টেস্ট নাম লিস্ট গুলো জানুন
কিডনি সমস্যায় পড়লে বা কিডনি সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য নিয়মিত ডাক্তারে রুটিন চেকআপ করার জন্য বিভিন্ন টেস্ট করতে হয় এজন্য কিডনি টেস্ট নাম লিস্ট গুলো জানুন।
- ইজি এফ আর হচ্ছে কিডনি বিষয়ে অন্যতম পরীক্ষা এর পূর্ণরূপ হচ্ছে এস্টিমেটেড গ্লোমের্রুলার ফিল্টারেশন রেট। এই টেস্টের স্বাভাবিক মাত্রা ৯০ বা তার বেশি হলে কিডনি স্বাভাবিক আছে কিন্তু ৬০ এর কম হলে কিডনির সমস্যা সৃষ্টি হবে।
- প্রস্রাবের এলবুমিন টেস্ট রক্তের মধ্যে থাকা প্রোটিনের হচ্ছে এলবুমিন এই টেস্টের স্বাভাবিক মাত্রা ৩০ এমজি বা তার কম থাকলে কিডনির সমস্যা হবে
- ক্রিয়েটিনিন টেস্ট কিডনি সব ধরনের সমস্যা জানতেও কিডনির কার্যক্রম ক্ষমতা বোঝার জন্য এই টেস্ট করতে হয় প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য এ টেস্টের মাত্রা ১১০ মাইক্রো মোল লিটার মহিলাদের ক্ষেত্রে ১০০ মাইক্রো মোল লিটার পর্যন্ত ক্রিয়েটিনিনের স্বাভাবিক মাত্রা ধরা হয়।
- কিডনি আল্ট্রা সাউন্ড এই টেস্টের মাধ্যমে আমাদের কিডনির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন টিউমার পাথর সিস্ট রয়েছে কিনা এবং কিডনির মাত্রা কম কিংবা বেড়ে যাওয়া জানার জন্য এই টেস্ট করা হয়।
উপরোক্ত টেস্টগুলোর পাশাপাশি সমসাময়িকভাবে কিডনির বিভিন্ন ধরনের অবস্থার পরীক্ষা করার জন্য বিশেষ কিছু টেস্ট করা হয় যেমন
- হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোলাইটস
- ক্যালসিয়াম
- সি বি সি
- ভিটামিন ডি পরীক্ষার পরীক্ষা করে থাকেন
- এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ রোগীর স্বাভাবিক অবস্থার কথা বলেন।
কিডনির পয়েন্ট কমানোর ১২ টি উপায় জানুন
আমাদের দেহের অভ্যন্তরে থাকা কিডনির পয়েন্ট কমানোর বারটি উপায় জানুন। আমাদের শরীরে ক্রিয়েটিনিন তৈরি হয় প্রাকৃতিক বর্জ্য সম্প্রসারণ ও মাংসপেশী স্বাভাবিক কাকার ক্ষেত্রে এবং খাদ্যের প্রোটিন হজমের জন্য। এজন্য ক্রিয়েটিনিনের স্তর জানার জন্য প্রয়োজন আছে কিডনির পয়েন্ট কমানোর ১২ টি উপায় জানুন।
আরও পড়ুনঃ ব্লাডক্যান্সারের কারন জেনে নিন
একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্তের ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা প্রতি ডেসিলিটারে ১.৮ মিলিগ্রাম। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির রক্তের ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ৫.০ মিলিগ্রাম এর বেশি হলে কিডনিতে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে বুঝতে হবে।
- কাঁচা আপেল, আপেল জুস ও আপেল সিডার ভিনেগার আমাদের শরীরে বিয়েটিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এর মধ্যে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড কি কিডনির অভ্যন্তরে পাথর সৃষ্টি হওয়া কে বিরত রাখে। এজন্য নিয়মিত এক গ্লাস গরম পানির সঙ্গে আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করতে হবে।
- অনেক বেশি পরিমাণে তরল পানি এবং অন্যান্য পানীয় খেতে হবে দিনে দুই থেকে তিন লিটারের মত। এজন্য নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে সারাদিনই অন্তত ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি খেতে হবে।
- খাবার সঙ্গে অতিরিক্ত কাঁচালবণ খাওয়া যাবেনা এতে আমাদের শরীরে হাই ব্লাড প্রেসার বৃদ্ধি পেতে পারে।
- ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি করতে বিশেষভাবে কার্যকরী ধূমপান ও মদ্যপান। এর সঙ্গে ভারী ব্যায়াম থেকে বিরত থাকতে বলেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ।
- অনেক গবেষণায় দেখা গেছে আমাদের শরীরে ফাইবারের মাত্রা বৃদ্ধি করার ফলে ক্রনিক কিডনি রোগীদের ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কমানো সম্ভব। এজন্য বিশেষভাবে প্রয়োজন বিভিন্ন ফলমূল শস্যদানা ও সবজি বেশি বেশি খাওয়া।
- দারুচিনি আমাদের শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এটা খেলে প্রাকৃতিকভাবে আমাদের প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এজন্য যেকোনো পানি উর সাথে আধা চামচ দার চিনি খেলে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।
- আলুর মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম তবে এই সস্তা খাবার কে খুব বেশি মূল্যায়ন করে না অনেকেই এটি আমাদের কিডনির জন্য অনেক কার্যকরী উপাদান। কিডনি সুস্থ রাখার জন্য ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ১.২ এর উপরে চলে গেলে বেশ কিছু খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে যেমন গরুর কলিজা মাংস পালং শাক বাঁধাকপি ফুলকপি টমেটো বরবটি গাজর পেঁপে মুলা সিম যে কোনো ধরনের ডাল ও ডাল যাত খাদ্য বর্জন করতে হবে
- উচ্চ পটাশিয়াম ফসফরাস ও সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খুব কম পরিমাণে খেতে হবে যে খাবারগুলোতে সোডিয়াম এর মাত্রা অনেক কম সেই খাবারগুলো খেতে হবে।
- শরীরে হাইড্রেশনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে ডিহাইড্রেশন এর ফলে শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে
- করলার তরকারি বেশি বেশি খাওয়া এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন খনিজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবারের মতো কার্যকরী উপাদান।
- কেমো মাইল চা খেতে হবে এই যাক খেলে আমাদের শরীরে উচ্চ ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কমতে থাকবে এজন্য নিয়মিত কেমো মাইল চা খেতে হবে।
কিডনি রোগী কি দুধ খেতে পারবে জেনে নিন
কিডনি আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এর মধ্যে ছোট কোনো সমস্যা হলেও আমাদের শরীরে বিরূপ ভাবে তার প্রভাব পড়ে। এজন্য পিকনিকে সবসময় সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কিডনি রোগী কি দুধ খেতে পারবে জেনে নিন। দুধ এবং দুগ্ধ জাত খাবারে রয়েছে প্রোটিন পটাশিয়াম ও ফসফরাস
- কিডনি ভালো থাকলে আমাদের দুধ ও দুধের তৈরি খাদ্য আমাদের শরীরে হাড়ের গঠন সঠিকভাবে পরিচালনা করে। আর ক্ষয় হওয়া বা দুর্বল হয়ে গেলে বিশেষ ডাক্তারগণ বেশি বেশি দুধ পান করার কথা বলেন। তবে ক্রনিক কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে এই ফলাফলটি উল্টো হতে পারে এই রোগ হলে দুগ্ধ জাত খাবার খেলে তাদের শরীরের হাড় ক্ষয় হয়ে যেতে পারে
- তাই ডাক্তারগন দুধ খেতে বারণ করেন। বর্তমান সময়ে কিছু গবেষণায় দেখা গেছে দুধ এবং দুগ্ধ জাত তৈরি খাবার খেলে এর মধ্যে থাকা উচ্চ ফ্যাটের কারণে কিডনির প্রভার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায় যার দরুন কিডনির সুস্বাস্থ্য অনেক ভালো থাকে। তবে যে সব ব্যক্তিরা অনেক বেশি সময় ধরে কিডনি রোগে আক্রান্ত আছেন তাদের দুধ ও দুগ্ধ যাত কৃত খাবার
- একদমই খাওয়া ঠিক না। তবে কিডনির সমস্যায় যাতে না পড়ি এজন্য প্রোটিনের পাশাপাশি দুধ ও দুগ্ধ যাত খাদ্য বেশি বেশি খেতে হবে এর মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম ফ্যাটি অ্যাসিড বায়ো একটিভ পেপটাইড উপাদান ফলে আমাদের শরীরে কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
লেখকের শেষকথা
কিডনি আমাদের দেহের অভ্যন্তরীণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। এই অংশের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য নিয়মিত আমাদের প্রোটিন ফাইবার ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খেতে হবে এবং নিয়মিত ডাক্তারের কাছে গিয়ে রুটিন চেকাপ করাতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url