নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম-নগদ একাউন্ট খোলার নিয়ম
সম্মানিত পাঠক নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম ও নগদ একাউন্ট খোলার নিয়ম জেনে নিন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের শীর্ষ দুই মোবাইল ব্যাংকিং অপারেটর নগদ ও বিকাশ। এই দুটো ব্যাংকিং সেবা খাত থেকে আমরা খুব সহজেই আমাদের দেশের এক স্থান থেকে অন্য স্থান বা এক দেশ থেকে অন্য দেশে খুব সহজে টাকা লেনদেন করতে পারে।
এবং আমাদের মোবাইলের মাধ্যমে খুব দ্রুত মোবাইলে টাক রিচার্জ ও ঘরে বসে বিদ্যুৎ বিল সবকিছু দিতে পারে। যার ফলে আমাদের সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয়ী হচ্ছে।
ভূমিকা
বিকাশ ও নগদ বর্তমান সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সাধারণ জনগণের সেবার জন্য। তারা খুব সহজেই মোবাইল ব্যাংকিং সেবা খাতে ঘরে বসেই টাকা লেনদেন ও উত্তোলন করার সম্ভাবনা তৈরি করে দিয়েছেন। বিকাশ ও নগদ একাউন্ট খোলার ও সিকিউরিটি ব্যবস্থার সম্পর্কে বিস্তারিত তর্থ জানতে নিচে আরো পড়ুন।
নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম
বর্তমান সময়ে বিকাশের মতো নগদ অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে বাংলাদেশের জনগণের কাছে । নগদে টাকা আদান-প্রদানের প্রক্রিয়াটিতে বিকাশের থেকে খরচ অনেক কম হওয়াতে এটি সাধারণ জনগণ খুব সহজেই গ্রহণ করে নিয়েছে এর সুবিধা অনেক ভালো। বর্তমান সময়ে স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তির টাকা নগদে প্রদান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ জমির খাজনা চেক পদ্ধতি জানুন
যা পেয়ে তারা খুবই উপকৃত হচ্ছেন। নগদের একাউন্ট দেখার জন্য যে কোড ডায়াল করতে হয় সেটি হল- *১৬৭#। মোবাইলে এটি লিখে ডায়াল করলে মোবাইলের স্ক্রিনে অপশন আসবে
দ্বিতীয় ধাপঃ
Nagad
1. Cash Out
2. Send Money
3. Mobil Recharge
4. Payment
5. Bill Pay
6. EMI Payment
7. My Nagad
8. PIN Reset
7-----------------------------------
Cancel Send
তৃতীয় ধাপঃ
My Nagad
1. Balance Enquiry
2. Mini Statement
3. Update Operator
4. Helpline
5. Allow new Device
6. Change Account Type
0. Main menu
1---------------------------------
Cancel Send
চতুর্থ ধাপঃ
Enter PIN:
------------------------------------
Cancel Send
পঞ্চম ধাপঃ
Balance: 0.08
0. Main Menu
-----------------------------------------
Cancel Send
নগদ একাউন্ট খোলার নিয়ম
নগদ একাউন্ট খোলার দুইটি ধাপ রয়েছে এই দুইটি পদ্ধতিতে নগদের একাউন্ট খোলার নিয়ম নিচে জানানো হলোঃ এক নম্বর পদ্ধতি প্রথমে মোবাইলে ডায়াল কোড *১৬৭# ব্যবহার করতে হবে এরপর
Nagad
1. Cash Out
2. Send Money
3. Mobil Recharge
4. Payment
5. Bill Pay
6. EMI Payment
7. My Nagad
8. PIN Reset
---------------------------------------
Cancel Send
এখানে চার ডিজিটের একটা পিন নম্বর সেট করতে হবে। পিন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার অ্যাকাউন্ট সেট হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে আপনি যে অপারেটর কোম্পানির সিম ব্যবহার করছেন তা থেকে আপনার জরুরী তথ্য নিয়ে নিবে। যে সিম দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুললেন সেখানে একটি OTP-( One Time Password) দিতে হবে। পাসওয়ার্ড বসালেই
আপনার অ্যাকাউন্ট কমপ্লিট হয়ে যাবে। আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে যেহেতু টাকা লেনদেন করবেন সে ক্ষেত্রে আপনার অ্যাকাউন্টটি সিডিউর করতে হবে এজন্য আরও তথ্য দিয়ে একাউন্টটির পুরোপুরি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নিবেন।
দ্বিতীয় ধাপঃ
এই পদ্ধতিটি পুরোপুরি ঝামেলা মুক্ত ও একদম সিকিউরিটি নির্ভর। এখানে শুধু দরকারি কাগজপত্র ও ডকুমেন্টস থাকলে নিরাপদে ও নির্ভুলভাবে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। এজন্য প্রথমেই আপনাকে নিকটস্থ নগদ এজেন্টের কাছে যেতে হবে। এখানে যেসব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রয়োজন সেগুলো হলো
- আপনার ভোটার আইডি কার্ড
- পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি দুই কপি ছবির সাথে রাখবেন যদি লাগে
- সচল সিমসহ মোবাইল নাম্বার
এই সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজ পাতি জমা দিয়ে গেলে আপনার বাকি কাজগুলো নগদ এজেন্ট্রাই করে দেবে। এরপর তারা আপনাকে একটি আবেদন পত্র পূরণ করতে দেবে এবং নগদ এজেন্টরা কিছু টাকা নিয়ে সেটা কমপ্লিট করে দেয়। ৫০ অথবা ১০০ টাকা ক্যাশ ইন করতে হতে পারে তাছাড়া নগদ একাউন্ট চালু হবে না।
এখানে একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন নগদ এজেন্টরা যে পিন সেট করে দিবে সেটা পরবর্তীতে খুব দ্রুত পরিবর্তন করে নেবেন উক্ত পিন নম্বরটি আর কাউকে জানাবেন না।
একটা আইডি দিয়ে কয়টি বিকাশ খোলা যায়
সম্মানিত পাঠক একটা আইডি দিয়ে কয়টি বিকাশ খোলা যায় জেনে নিন। অনেক সময় আমরা একটি এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে অনেকগুলো বিকাশ একাউন্ট খুলে ফেলি তবে এই প্রক্রিয়াটি পুরোপুরি ভুল । আপনার একটি এনআইডি কার্ড দিয়ে একটি মাত্র বিকাশ একাউন্ট খুলবেন এটি একদম সঠিক পদ্ধতি। কারণ আমরা যখন একটা আইডি
আরও পড়ুনঃ জিপিএফ আইডি খোলার নিয়ম জানুন
কার্ড দিয়ে অনেকগুলো বিকাশ একাউন্ট খুলি তখন আমাদের প্রত্যেকটি অ্যাকাউন্ট গুলোই বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। বিকাশ এ আপনি বেশ কয়েকটা অ্যাকাউন্ট করলেন এবং তার সবগুলোতেই পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা রাখলেন কিন্তু আপনার অনেকগুলো অ্যাকাউন্ট হওয়ার কারণে হঠাৎ করেই বিকাশ আপনার সব একাউন্টগুলো
বন্ধ করে দিলে আপনার সবগুলো একাউন্টের সঙ্গে সঙ্গে আপনার সমস্ত টাকা গুলো হারিয়ে যাবে। এছাড়াও বিকাশ আপনাকে সরাসরি তাদের হেড অফিসে ডাকতে পারে এবং প্রশ্ন করতে পারে যে আপনার একটি এনআইডি দিয়ে আপনার এতগুলো বিকাশ একাউন্ট কেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে একটি অপশন দিবে যেকোনো একটি অ্যাকাউন্ট সচল
রাখার জন্য এবার এখান থেকে আপনাকে বেছে নিতে হবে আপনি কোন একাউন্টটি রাখবেন। এজন্য আপনাকে সব সময় একটা এন আই ডি কার্ড দিয়ে একটি মাত্র বিকাশ একাউন্ট খুলতে হবে। আপনি আনলিগ্যাল ভাবে বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন কিন্তু সে ক্ষেত্রে আপনার সবগুলো একাউন্ট নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে
এর সঙ্গে আপনার টাকাগুলো হারিয়ে যাবে । এই তথ্যটির বিষয়ে আরো বেশি জানতে চাইলে বিকাশ হেড অফিস হেল্প লাইন নাম্বারে কল করতে পারেন- ১৬২৪৭ নম্বরে। এ বিষয়ে তারা আপনাকে সঠিকভাবে সঠিক তথ্য জানিয়ে দেবে। এজন্য সবসময় একটি এনআইডি কার্ড দিয়ে একটি মাত্র বিকাশ একাউন্ট খোলার চেষ্টা করবেন।
বিকাশ কোড নাম্বার
বর্তমান সময়ে বিকাশ একটি জনপ্রিয় মাধ্যম টাকা পাঠানোর জন্য। আমরা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বা এক দেশ থেকে অন্য দেশে খুব সহজেই বিকাশের মাধ্যমে খুব দ্রুত টাকা লেনদেন করতে পারি। এতে আমাদের সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হয়। বিকাশ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। বিকাশ কোড নাম্বার হলো- *২৪৭# ।
আপনার মোবাইলে ডায়াল অপশনে গিয়ে এই কোড নাম্বারটি ডায়াল করলে বিকাশের সবগুলো ইনফরমেশন আপনার চোখের সামনে চলে আসবে যা থেকে আপনি প্রয়োজনীয় কাজ সারতে পারবেন।
বিকাশ পিন পরিবর্তন করার নিয়ম
আমরা বেশিরভাগ সময়ই বিকাশের পিন নম্বর ভুলে যায়। এজন্য আমরা একটু ভয় পেয়ে যাই তবে এই বিষয়ে ভয় না পেয়ে একটু সচেতন হলে খুব দ্রুত আপনি পিন রিসেট করে একাউন্ট আবার সচল করতে পারবেন। বিকাশ পিন পরিবর্তন করার নিয়ম সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত জানুন। এজন্য আপনাকে
- প্রথমে আপনাকে অ্যাপের লগইন স্ক্রিন থেকে পিন ভুলে গেছেন এই অপশনে ক্লিক করতে হবে
- এরপর পিন রিসেন্ট অপশনে ক্লিক করুন
- স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভেরিফিকেশন কোড এড হয়ে যাবে/ এরপর কনফার্ম বাটনে ক্লিক করুন
- উল্লেখিত নিয়ম অনুসারে ফেস স্ক্যানিং প্রসেস সম্পূর্ণ করতে হবে
- ভেরিফিকেশন চলার সময় অ্যাপ বন্ধ না করে অপেক্ষা করতে হবে
- বিকাশ থেকে পাঠানো অস্থায়ী পিন নম্বরটি দিয়ে কনফার্ম বাটনে ক্লিক করতে হবে
- এরপর আপনার পছন্দমত ৫ ডিজিটের নতুন পিন নম্বর সেট করতে হবে
- পুনরায় নতুন পিন নম্বরটি দিয়ে কনফার্ম বাটনে ক্লিক করে আবারো অ্যাপে লগইন করতে হবে
বিকাশ থেকে টাকা রিচার্জ করার নিয়ম ২০২৪
বিকাশ থেকে টাকা রিচার্জ করার জন্য প্রথমে আপনার মোবাইলে বিকাশ অ্যাপ টি ডাউনলোড করে নিতে হবে গুগল প্লে স্টোর থেকে। এরপরে আপনাকে অ্যাপসের মাধ্যমে উক্ত প্রক্রিয়াটিকে সম্পূর্ণ করে মোবাইলে টাকা রিচার্জ করতে হবে। এছাড়াও আপনি বিকাশ কোড নাম্বার দিয়ে মোবাইলে টাকা রিচার্জ করতে পারবেন। বিকাশ থেকে টাকা রিচার্জ করার নিয়ম ২০২৪ হলো। প্রথমে আপনাকে বিকাশ কোড *২৪৭# ডায়াল করতে হবে
- এখানে অনেকগুলো অপশন আসবে সেখান থেকে ৩ নম্বর অপশন সিলেক্ট করতে হবে
- যে সিমে টাকা রিচার্জ করবেন সেই সিমের নাম্বার দিতে হবে
- প্রিপেইড হলে prepaid সিলেক্ট করতে হবে এবং পোস্টপেইড হলে postpaid সিলেক্ট করতে হবে
- এরপর যে নাম্বারে টাকা রিচার্জ করবেন সেই নাম্বারটি দিতে হবে
- তারপর রিচার্জ টাকার পরিমাণ
- এরপর আপনার পিন কোড দিয়ে ক্লিক করতে হবে।
আমাদের শেষ কথা
উপরোক্ত আর্টিকেল থেকে আপনারা বেশ কিছু নগদ ও বিকাশের তথ্য সম্পর্কে জানতে পারলেন। তবে বর্তমান সময়ে এই দুটি মাধ্যম খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে টাকা লেনদেন এর মাধ্যমে। তবে এই অ্যাকাউন্টগুলোতে টাকা লেনদেন করার সময় খুবই সতর্কভাবে একাউন্টগুলো সিকিউরিটি চেক করে নিবেন নইলে আপনার এত কষ্টের টাকা গুলো খুব দ্রুত হ্যাকাররা নিয়ে নিতে পারে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url