গরমে ত্বকের যত্ন-গরমে মেয়েদের ত্বকের যত্ন


সম্মানিত পাঠক গরমে ত্বকের যত্ন ও গরমে মেয়েদের ত্বকের যত্ন কিভাবে নিতে হয় জেনে নিন। গ্রীষ্মকালে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে আমাদের দেশের তাপমাত্রা অনেক গুণ বৃদ্ধি পায় যার ফলে আমাদের শরীরের ত্বক ও মাথা সবকিছুই অনেক গরম হয়ে যায় এবং আমাদের প্রয়োজনীয় কাজ করতে ব্যাঘাত ঘটে
গরমে ত্বকের যত্ন ও মেয়েদের ত্বকের যত্ন
এই সময় রক্ত চাপ বৃদ্ধি পেয়ে শরীরের বিভিন্ন প্রেসার তৈরি করে। গ্রীষ্মকালে সবারই নিজের স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে স্বাস্থ্য সুরক্ষায়

ভূমিকা  

গ্রীষ্মকালে আমাদের দেশে গত কয়েক দশকের চেয়ে বর্তমান সময়ে গরমের মাত্রা তীব্র আকার ধারণ করেছে যা সূর্যের অতিবেগুনি রশ্নি থেকে সৃষ্টি হচ্ছে। এই অসননীয় বরং সহ্য করার মতো ক্ষমতা সবার নেই এজন্য এই সময় ঘরের বাইরে কম বেরোনোই উচিত। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে নিচে আরো পড়ুন।

গরমে ত্বকের যত্ন 

বাংলাদেশের ইতিহাসে এবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যা পূর্বে আর কখনো হয়নি তীব্র এই গরমে মানুষের এখন চলাচল ও কাজেকর্মে যেতে সমস্যা হচ্ছে । গরমের তীব্রভাব ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে যে মানুষ হিট স্ট্রক করে মারা যাচ্ছে। এই সময় আমাদের শরীরের পাশাপাশি শরীরের ত্বকের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ এ সম্পর্কে নিচে 

আলোচনা করা হলো তীব্র গরমের মাঝে পরিবেশের আদ্রতা যোগ হয়ে সৃষ্টি হচ্ছে বেশি তাপদাহে এরকম আভাহাওয়াই বাহিরে চলাফেরা করলে আমাদের দেহের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। গরমে শরীর থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে পানি বের হয়ে যায় যার ফলে পানি শূন্যতার কারণে ত্বক  নিষ্প্রাণ ও জরাজীর্ণ হয়ে ওঠে। এই সময় ত্বকের যত্নে করণীয়
  • ত্বক পরিষ্কার করার জন্য ওয়াটার বেষ্ট ফেসওয়াশ ও ক্লিনজার ব্যবহার করলে অনেক ভালো হবে
  • অনেক বেশি মাত্রায় ক্ষার জনিত সাবান দিয়ে গোসল করলে ত্বকে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে এবং গোসলের পর ত্বকের ধরন বুঝে সানব্লক ক্রিম ব্যবহার করা উচিত
  • সূর্য রশ্মি আমাদের ত্বকের তৈরি করে উজ্জ্বলতা নষ্ট করে এজন্য সরাসরি সূর্যের আলো শরীরে পড়তে দেওয়া থেকে থাকবেন
  • গ্রীষ্মকালে আবহাওয়া অনেক গরম থাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম ও বিশ্রাম নেয়া সম্ভব হয় না এজন্য নিয়মিত করে প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন না হলে ত্বক নিষ্প্রভ হয়ে যাবে।
  • নিয়মিত গোলাপজল শসার রস ও চন্দন মিশিয়ে মুখের ত্বকে মেসেজ করে লাগাতে হবে
  • পাকা পেঁপে ও কলার ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখের ত্বকে সুন্দর করে লাগালে এটি রোদের পোড়া ভাব দূর করতে সাহায্য করে
  • টক দইয়ের সঙ্গে অল্প কিছু পরিমাণে মধু মিক্স করে ফেসপ্যাক তৈরি করে গরমের সময় এটি আমাদের মুখের ত্বকে লাগালে ত্বক খুব মসৃন থাকে ।
  • এলোভেরা গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান এজন্য গরমকালে অ্যালোভেরা আমাদের মুখের ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক অনেক ঠান্ডা থাকে ও অনেক চকচকে করে তোলে

গরমে মেয়েদের ত্বকের যত্ন

গরমকালে অনেক বেশি আমাদের ত্বক ঘেমে ত্বকের সৌন্দর্যতা নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য এই সময় আমাদের মুখের ত্বকে বেশ কিছু সমস্যা তৈরি হতে থাকে। এসব সমস্যা দূর করার জন্য বিভিন্ন টিপস নিচে দেওয়া হল
  • এ সময় অতিরিক্ত পরিমাণে  গাড় মেকআপ করা থেকে বিরত থাকবেন প্রয়োজনে ওয়াটার বেস্ট মেকআপ বা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করলে আপনাদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্কতা থেকে রেহাই পেতে পারে
  • গরমকালে অতিরিক্ত ঘাম থেকে শরীরকে রেহাই দিতে মুলতানি মাটি শরীরে ব্যবহার করতে পারেন ত্বকের জন্য এই মাটি খুবই উপকারী। তবে শুধু এই মাটি ব্যবহার করলে ত্বক অনেক শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে এজন্য এর সঙ্গে ১ চামচ মধু ও ২ চামচ গোলাপ জল মিক্স করে মুখের ত্বকে ব্যবহার করতে হবে
  • গ্রীষ্মকালে ত্বকের যত্নে ভারী কোন ক্রিম নয়, ব্যবহার জন্য বেছে নিতে হবে হালকা ময়শ্চেরাইজার
  • কাঠবাদামের পেস্ট ও দুধ একসঙ্গে মিক্স করে মুখের ত্বকে লাগিয়ে প্রায়ই ৩০ মিনিট পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এতে ত্বক অনেক সুন্দর ও ময়েশ্চারাইজার হয়ে উঠবে
  • অতিরিক্ত তৈলাক্তভাব দূর করতে একটি পাত্রে আধা লিটার পানি নিয়ে এতে অল্প কিছু পরিমাণ লেবুর রস মিক্স করে মুখের ত্বকে লাগিয়ে ঘষতে হবে তাহলে খুব দ্রুত ত্বক এর তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যাবে

গরমে কোন ক্রিম ভালো

গরমে আমাদের শরীর অতিরিক্ত মাত্রায় ঘেমে যায় এ সময় শরীরে কোন ধরনের ক্রিম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে গরমের সময় কিছু কিছু ক্রিম লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় । গরমে কোন ক্রিম ভালো জেনে নিন

  • লোটাস হারবাল আলফা হাইড্রোক্সি স্কিন রিনিউয়াল অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার যা গরম কালে আপনার ত্বকে অনেক সুন্দর ও নমনীয় করে রাখবে
  • সিম্পল কাইন্ড তো স্কিন হাইড্রেটিং লাইট ময়েশ্চারাইজার এটিও খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ক্রিম ত্বকের জন্য
  • পন্ডস সুপার লাইট জেল অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার ক্রিম
  • ল্যাকমি পিচ মিল্ক সফট ক্রিম মশ্চারাইজার
  • ডার্মালজিকা কাম ওয়াটার জেল মশ্চারাইজার

গরমে শিশুর যত্ন

গ্রীষ্মকালে আপনার শিশুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখা আপনার অতীব জরুরি প্রয়োজনীয় একটি কাজ। এ সময় নিয়মিত সাবান ও স্যাভলন দিয়ে গোসল করাতে হবে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাপড় পরিয়ে রাখতে হবে। কারণ বাইরের ধুলাবালি ও অতিরিক্ত ঘামে ভেজা কাপড় পরিধান করলে খুব দ্রুত রোগ বালা শরীরে বাসা বাধতে পারে এজন্য কাপড় খুব ভালো 

করে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে । গ্রীস্মর তীব্র খরতাপে আপনার শিশুকে সবসময় পাতলা সুতির ও ঢিলেঢালা কাপড় পড়াতে হবে এবং সদ্য জন্মলাভ কৃত নবজাতককে কাপড়ে মুড়িয়ে না রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এই সময় সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে রাখলে শরীর অনেক ভালো থাকে শরীরে বিভিন্ন ধরনের resh ও ঘামাচি থেকে দূর রাখতে সাহায্য করে। গরমে শিশুর যত্ন নেওয়ার জন্য প্রয়োজন
  • অনেক বেশি মাত্রায় গরমের শিশু দের বাইরে যেতে দেবেন না এই সময় রোদে খেলাধুলা করলে শরীরের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে বিশেষ করে ঘরের ভিতরে বা ছায়া যুক্ত স্থানে তাদের খেলতে পরামর্শ দিবেন এবং সব সময় ঠান্ডা স্থানে থাকার পরামর্শ প্রদান করবেন
  • গরমে আপনার শিশুকে ঢিলঢালা পোশাক পরাতে হবে যাতে সে চলাচলের স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে পারে
  • ঘরের ভিতরে খেলার সময় অথবা বসে থাকলে শিশুরা যাতে অতিরিক্ত পরিমাণে ঘেমে না যায় বারবার সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং ঘাম পাতলা কাপড় দিয়ে মুছে দিতে কারণ ঘাম শরীরে শুকিয়ে গেলে শরীরে জ্বর সর্দির মত বিভিন্ন গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে
  • এই সময় আপনার শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়াতে হবে এবং তরল পানি-যুক্ত ফল বা  ফলের রস যেমন ডাবের পানি লেবুর রস তরল জাতীয় খাবার বেশি দিতে হবে যাতে তীব্র গরমে শিশুর দেহে পানি শূন্যতা রোগ দেখা না দেয়
  • প্রতিদিন খাবারের সময় বাইরে ও যাতে শিশুরা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করে সেটি পুরোপুরি খেয়াল রাখতে হবে
  • শিশুদের নিয়মিত গোসল করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে গরমে অতিরিক্ত থেমে গেলে দ্বিতীয়বার গোসল করে শরীর পরিষ্কার করে নিতে হবে

গরমে কোন ফেসওয়াস ভালো

গরমের সময় ত্বকের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তবে এই সময় ত্বকে খুব দামি প্রোডাক্ট ব্যবহার না করাই ভালো এতে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে এই সময় ত্বকে খুব সফট ক্রিমও ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। গরমে কোন ফেসওয়াশ ভালো তা নিচে দেওয়া হল
  • Lakme Blash and Glow Lemon Fresh Facewash-

  • Pond's Pure White Mineral Clay & Pollution Purity Facial Foam-
  • Simple Daily Skin Detox Purifying Facial Wash-সিম্পল ডেইলি স্কিন ডিটক্স পিউরিফাইং ফেসিয়াল ওয়াশ
  • Dermalogica Daily Microfoliant-ডার্মালজিকা ডেইলি মাইক্রোফোলিয়েন্ট
  • Liver Age Natural Ayurvedic Oil Clear Aloe Vera Face Wash-লিভার আয়ুস ন্যাচারাল আয়ুর্বেদিক অয়েল ক্লেয়ার এলোভেরা ফেসওয়াশ
  • Clean and clear forming face wash for only skin-ক্লিন এন্ড ক্লিয়ার ফর্মিং ফেস ওয়াশ ফর অনলি স্কিন
  • Neutrogena Oil Free Acne Wash-নিউট্রোজিনা অয়েল ফ্রী অ্যাকনে ওয়াশ
  • Neutrogena Clear & Suds Moose Cleanser-নিউট্রোজেনা ক্লিয়ার এন্ড সুদ মুজ ক্লিনজার

শরীর গরম থাকা কিসের লক্ষণ

নিয়মিত আমাদের শরীর গরম থাকলে আমরা কিন্তু এ বিষয়টাতে খুব বেশি গুরুত্ব দেই না হালকা জ্বর ভেবে ছেড়ে দিই কিন্তু। শরীর গরম থাকা আর জ্বরের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে শরীর সকালে ৯৮.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি এবং সন্ধ্যার পরে ৯৯.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলে ধরে নিতে হবে শরীরে জ্বর আছে। তবে এর পাশাপাশি যদি শরীর 

অতিরিক্ত পরিমাণে ঘেমে যাওয়া শ্বাসকষ্ট বুকে ব্যথা সৃষ্টি হয় তাহলে এটি যক্ষা রোগের আশঙ্কা তৈরি করে এবং প্রস্রাবে সঙ্গে জ্বালাপোড়া তলপেটে ব্যথা মূত্রথলি কিংবা মূত্রনালী বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ ধরে নেওয়া যায় এটির মাধ্যমে শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু বাসা বেধেছে। বিশেষ করে আমাদের দেশে আবহাওয়ার আদ্রতার জন্য 

গা গরম হওয়াটা স্বাভাবিক ব্যাপার বয়স্ক মহিলাদের হরমোন জনিত কারণে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে গাও মাথা গরম হয়ে যেতে পারে সাধারণ সংক্রমণ দুই এক সপ্তাহে তবে দীর্ঘমেয়াদি জ্বর হলে এটি নিয়ে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। তবে আমরা শরীরের তাপমাত্রা না মেপে জ্বর হয়েছে বলে বিভিন্ন ধরনের 

এন্টিবায়োটিক সেবন করে থাকে এটি পুরোপুরি ভুল একটি বিষয় প্রথমে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এরপরে নিয়ম মাফীক ঔষধ খেতে হবে। শরীর গরম থাকা কিসের লক্ষণ জেনে নিন
  • অতিরিক্ত গরমে শারীরিক পদক্ষেপের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে এবং যেমন অতিরিক্ত পড়াশোনা ও অনেক বেশি মাত্রায় কাজ করলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়
  • গরমে কিছুটা লাল রং যুক্ত চোখ হতে পারে যা শরীরের তাপমাত্রা বাড়ানোর একটি লক্ষণ হতে পারে
  • আমাদের শরীরের তাপমাত্রা যদি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি হয় এটি শরীরের গরমীয়তা এবং প্রকাশ্য সাধারন স্তরের চেয়ে অনেক বেশি উচ্চতায় ধরা যায়
  • অতিরিক্ত পরিমাণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে মানুষের শ্বাসকষ্ট ও হার্টবিট পরিপাকতন্ত্রের পাচন সমস্যা তৈরি হতে পারে
  • এ সময় মাতা চক্কর দেওয়া বমি বমি ভাব ও শরীরকে নিষ্কাশ করে দেওয়া সমস্যা তৈরি হয়
  • এবং বেশি সংকুচিত হয়ে মাথা ব্যাথা ও প্রচন্ড ঘামের সাথে ক্লান্তি ভাব তৈরি হয়

লেখকের শেষকথা

আমাদের দেশে গরমের মাত্রা অসনীয় লেভেলে পৌঁছে গেছে সাধারন মেহনতী মানুষদের অনেক কষ্ট দিচ্ছে তাদের কর্ম ক্ষেত্রে যেতে অনেক সমস্যা হচ্ছে তীব্র গরমের কারণে। এবং এত কষ্টের মাঝেও তাদের নিয়মিত খাবারের জন্য অর্থ উপার্জন করতে হচ্ছে। গরমের সময় বেশি বেশি শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য পানি ও খাবার খাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url