ডেঙ্গু জ্বর হলে কি গোসল করা যাবে জানুন


সম্মানিত পাঠক ডেঙ্গু জ্বর হলে কি গোসল করা যাবে জানুন। এই রোগ আমাদের শরীরে এমনভাবে বাসা বাঁধে যে প্রথম অবস্থায় এটি বোঝার কোন অবকাশ থাকে না এ রোগের বিশেষ কিছু লক্ষণ প্রথম অবস্থায় চোখে পড়ার মতো না
ডেংগু জ্বর হলে কি গোসল করা যাবে জানুন
তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে এ রোগের লক্ষণ গুলো প্রকাশ পেতে পারে । আমাদের দেশে এই রোগ দিন দিন এতটাই ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে যে এ রোগের ফলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে

ভূমিকা

তবে বর্তমান সময়ে আধুনিক চিকিৎসায়নের জন্য এই রোগ নিয়ে আর কোন ভয় নেই এই রোগ তেমন কোন ভয়াবহতা রূপ ধারণ করতে পারে না সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করলে খুব দ্রুত এই রোগ নিরাময় করা সম্ভব ডেঙ্গু রোগ নিয়ে বিস্তারিত জানতে নিচে আরও পড়তে থাকুন।

ডেঙ্গু জ্বর হলে কি গোসল করা যাবে জানুন

আমাদের জ্বর হলে আমরা সব সময় ডাক্তারের দ্বারস্থ হয়ে থাকি আর এই সময় ডাক্তার আমাদের বেশিরভাগ সময়ই বিভিন্ন ধরনের উপদেশ দিয়ে থাকে। এর মধ্যে আগে বেশিরভাগ সময়কার ডাক্তারেরা জ্বর হলে গোসল করতে নিষেধ করত কিন্তু বর্তমান সময়ে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে দেখা গেছে যে জ্বর হলে গোসল করলে 

অনেক উপকার মিলে শরীরের রোগ মুক্তির জন্য তবে বিশেষ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় গোসলের সময় এর সঠিক নিয়ম কানুন গুলো নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ

গোসল করার সঠিক নিয়মকানুন জানুনঃ
  • সব ধরনের জ্বরের মতো ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রেও একই যে এই জ্বর হলে গোসল করলে কোন সমস্যা হবে না।
  • গোসল করার সময় অনেক বেশি পরিমাণে ঠান্ডা ও বেশি পরিমাণে গরম পানি দিয়ে গোসল করা যাবে না অল্প কুসুম গরম পানি ব্যবহার করে গোসল করতে হবে।
  • অনেক বেশি সময় ধরে শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে পানি ঢালা যাবে না কারণ এতে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে জ্বর আরো বেড়ে যে শরীর দুর্বল হয়ে পড়।
  • গোসল শেষে শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গের পানি খুব ভালোভাবে পরিষ্কার গামছা দিয়ে মুছে নিতে হবে যাতে শরীর ঠান্ডা না লাগে।
  • আমাদের শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পেলে তা কমানোর জন্য আমাদের শরীরে মাথা থেকে পা পর্যন্ত পরিষ্কার কাপড় পানিতে ভিজিয়ে মোছানো যেতে পারে এতে জ্বর অনেকটা কমতে থা।
  • এবং গোসলের পরে খুব সুন্দরভাবে পেট ভরে খেয়ে নিতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে এতে আমাদের শরীর অনেক শক্তি পাবে এবং জ্বর ধীরে ধীরে কমতে থাকবে।
গোসল করা যাবে না যে সময়ঃ
  • আমাদের শরীর যখন অনেক বেশি পরিমাণে দুর্বল হয়ে পড়বে তখন গোসল করা থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ গোসলে আমাদের শরীরে অনেক বেশি ক্যালরি ক্ষয় হয়
  • আমাদের শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে জ্বর থাকলে শরীর অনেক ঠান্ডা থাকে এই সময় ভুল করেও গোসল করা যাবে না এর ফলে আমাদের শরীরে জ্বর বৃদ্ধি পেয়ে সর্দি কাশি ও ঠান্ডা লেগে যেতে পারে
  • জ্বরে আক্রান্ত হলে আমাদের শরীর অনেক দুর্বল থাকে এজন্য অনেক সময় বিছানায় শোয়া অবস্থা থেকে উঠে হঠাৎ করে দাঁড়িয়ে গোসলের জন্য হেঁটে চলতে গেলে আমাদের মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যেতে পারি এজন্য আমরা তাড়াহুড়ো করে হাঁটাচলা করব না এবং বাড়ির অন্য লোকজনের সহযোগিতা নিয়ে গোসলখানায় যাওয়ার চেষ্টা করব

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ জেনে নিন

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ জেনে নিন। এ রোগের লক্ষণ সমূহ নিচে তুলে ধরা হলো আমাদের দেশে জলাই থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগের অনেক প্রকোপ থাকে এই সময় এডিস মশার লার্ভা গুলো যত্রতত্র জন্ম লাভ করে এবং খুব দ্রুততা বংশবিস্তার করে মশাই রূপান্তর হয়ে আমাদের শরীরে কামড় দিয়ে বিভিন্ন ধরনের 

রোগের সৃষ্টি করে যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডেঙ্গু। এ রোগের বিশেষ কিছু লক্ষণ নিচে তুলে ধরা হলোঃ
  • এর প্রধান লক্ষণ জ্বর
  • আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে যেমন জয়েন্টে ব্যথা মাথা ব্যথা পেঁশিতে ব্যথা এবং চোখের পেছনের অংশে ব্যথা
  • পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা পেট ফুলে যাওয়া পেট ব্যথা ও পাতলা পায়খানা সৃষ্টি হওয়া
  • আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের লালচে রেশ দাগ পড়ে যাওয়া
  • শরীরে বমি বমি ভাব পাওয়া এবং বমি হওয়া সমস্যা সৃষ্টি
  • শুষ্ক কাশি ও ক্ষুধা মন্দা সৃষ্টি হওয়া
  • আমাদের শরীর অস্বাভাবিকভাবে দুর্বল হয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়া
  • আমাদের শরীরের রক্তচাপ কমে যেয়ে পালস রেট বৃদ্ধি পাওয়া
  • আমাদের শরীরের বিভিন্ন স্থান যেমন মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ ও কালো রংয়ের পায়খানা ও পায়খানার সাথে রক্তপাত সৃষ্টি হওয়া

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

আমাদের দেশের ডেঙ্গু একটি গুরুতর সমস্যা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আমাদের দেশে অনেক বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পেতে থাকে এই রোগের বিশেষায়িত কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আজকে আমরা জানবো ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা নিচে করা হলোঃ

ডেঙ্গুর লক্ষণঃ-
এই রোগের প্রধান লক্ষণ হলো জ্বর । আমাদের শরীরে ১০১ ডিগ্রিতে থেকে প্রায় ১০২° পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠতে পারে এবং একটানা জ্বর অনেক দিন থাকতে পারে। আমাদের শরীরে ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে যাওয়ার পর আবার পুনরায় জ্বর ফিরে আসতে পারে এর সঙ্গে শরীরে বিভিন্ন জায়গাতে ব্যাথা অনুভব হওয়া ও ত্বকে লালচে দাগ 

পড়ে যাওয়া এবং চোখের পেছনে ব্যথা সৃষ্টি হওয়া তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে এসব লক্ষণ গুলি না থাকলেও ডেঙ্গু হতে পারে।

ডেঙ্গুর প্রতিকারঃ-
এই রোগ হলে আমরা অতিরিক্ত পরিমাণে চিন্তিত না হয়ে বিশেষ কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে আমাদের শরীর থেকে ডেঙ্গু রোগ খুব দ্রুত দূর হতে থাকবে।
  • ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে খুব দ্রুত ডাক্তারের দ্বারস্থ হয়ে সঠিক চিকিৎসা নিতে হবে
  • জ্বর হলে আমাদের বিশ্রামে থাকতে হবে জোর নিয়ে অতিরিক্ত পরিমাণে হাঁটাচলা দৌড়াদৌড়ি করা একদমই যাবে না এবং আমাদের নিত্যপ্রতিদিনের যে সব ভারী পরিশ্রমের কাজগুলো আছে সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে জর পুরোপুরি সেরে না যাওয়া পর্যন্ত এবং পুরোপুরি বিশ্রামে থাকতে হবে।
  • এই সময় আমাদের অনেক বেশি পরিমাণে তরল পানীয় যেমন লেবুর শরবত ফলের জুস ডাবের পানি ও খাবার স্যালাইন খেতে হবে এবং খুব বেশি পরিমাণে পানি না খেয়ে পানি জাতীয় খাবার খেলেই হবে
  • এ সময় আমাদের শরীরে জ্বর কমানোর জন্য সাধারণ প্যারাসিটামল ও এ জাতীয় ওষুধ সেবন করলেই হবে
  • জ্বর কমানোর জন্য গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে আমাদের শরীর পুরোপুরি মুছে নিতে হবে এবং অল্প পানিতে গোসল করতে পারলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়
  • এ রোগ হলে আমাদের অনেক বেশি পরিমাণে আয়রন ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে
  • এবং এই রোগ হলে আমরা খুব বেশি প্রয়োজন ব্যতীত ঘরের বাইরে বের হবো না

শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

বর্তমান সময় আমাদের দেশে ১৫ বছর বয়সের কম বয়সী শিশুদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। এই ভাইরাসের মোট চারটি সেরোটাইপ শনাক্ত হয়েছে এর একাধিক টাইপের বা দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে রোগের তীব্রতা খুব বেশি পরিমাণে থাকে। শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে নীচে পড়ুন।

শিশুদের ডেঙ্গু রোগের লক্ষণঃ
  • এই ভাইরাস শরীরের মধ্যে প্রবেশের সাধারণত চার থেকে সাত দিনের মধ্যে তিন থেকে ১৪ দিন ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ দেখা যায়। প্রথম এক থেকে পাঁচ দিন হঠাৎ অনেক বেশি মাত্রার জ্বর প্রায় ১০৪ ডিগ্রী এবং এর সঙ্গে অতিরিক্ত বমি বমি ভাব ও শরীরের রেশ পড়ে যাওয়া । উপসর্গের প্রথম বা দ্বিতীয় দিনে তকে লাল ফুসকুড়ি অথবা অসুখের চার থেকে সাত দিনের মধ্যে আমের মতো লাল বিন্দু সৃষ্টি হওয়া এবং শরীরে হাড়ের বিভিন্ন জয়েন্টে ও মাংসপেশিতে অনেক বেশি পরিমাণে ব্যথা অনুভূত হওয়া।
  • বিশেষ কিছু লক্ষণ বিপদজনক চিহ্ন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে যেমন `N পেটব্যথা অতিরিক্ত পরিমাণে বমি ও শরীরে পানি জমে নাক ও দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্তপাত সৃষ্টি হওয়া শরীর ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে অস্থিরতা ও লিভার স্ফীতি `N2 সে.মি. এর বেশি হয়ে যাওয়া ল্যাবের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষায় রক্তের`N হেমাটোকৃটের মান বৃদ্ধি পাওয়া ও অনুচক্রিকা দ্রুত কমতে থাকা।
  • এই জ্বরের সময় প্রথম পাঁচ থেকে সাত দিন সময়কাল অনেক বেশি মারাত্মক এই সময় ডেঙ্গু রোগের বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে পারে যেমন ডেঙ্গু শখ সিনড্রোম শরীরে অতিরিক্ত পানি জমে যাওয়া নারী দুর্বলয়ে শরীর দুর্বল হয়ে পড়া শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া তাপমাত্রা 96.8 ডিগ্রি ফারেনহাইটের কম হওয়া রক্তচাপ অতিরিক্ত পরিমাণে কমতে থাকা অতিরিক্ত পরিমাণে রক্তক্ষরণ ও লিভার এ এস টি বা এ এল টির মান ১০০০ বা এর বেশি জ্ঞান হারানো হার্ট ও অন্য অঙ্গে বিভিন্ন রোগের লক্ষণ দেখা দেওয়া।
শিশুদের এই রোগের প্রতিকারঃ
  • সর্বপ্রথম আমাদের করণীয় হলো এডিস মশার উচ্চ ধ্বংস করা এডিস মশা সাধারণত আমাদের বাড়ির অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্নতা জায়গা গুলিতে পানি জমে থাকা স্থানের জন্ম লাভ করে বিশেষ কিছু স্থানে যেমন গাড়ি টায়ার ফুলের টপ ডাবের খোলে বৃষ্টির পানি জমে থাকলে সেখানে এডিস মশার লার্ভা জন্ম লাভ করে আর এখান থেকেই এডিস মশা আমাদের শরীরে কামড় দিলে ডেঙ্গু রোগের সৃষ্টি হয় এজন্য এসব স্থানগুলো আমরা খুব দ্রুত পরিষ্কার করে রাখবো
  • তাদের শরীরে অনেক পরিমাণে খোদা মন্দা সৃষ্টি হওয়া এবং কোন কিছুই খেতে চাইবে না এবং অতিরিক্ত পরিমাণে বমি বমি ভাব ও কিছু খেলে বমি হয়ে যায়।
  • আমাদের ছোট্ট শিশুরা যখন বাইরে খেলাধুলা করে ও দৌড়াদৌড়ি করে তখন আমরা তাদের শরীরে মসকুইটো রেপেলেন্ট অর্থাৎ মশা নিরোধিকরণ স্প্রে ক্রিম অথবা জেল লাগিয়ে দেবো এবং কয়েক ঘন্টা পর পর এটি পুনরাই করতে হবে ।
  • আমাদের শিশুরা যখন ঘুমানোর জন্য রাতে অথবা দিনে বিছানায় আসবে সেই সময় আমরা তাদেরকে সর্বক্ষণিক মশারির মধ্যে রাখার চেষ্টা করব তারা ঘুমিয়ে গেলে মশারি টানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব এই সময় মশারির ভিতরে থাকলে ডেঙ্গু রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে কারণ মশা কামড়াতে পারে না ।
  • আপনার শিশুর বয়স যদি অনেক কম হয় এবং তাদের শরীর এবং হাতে ক্রিম বা স্প্রে ব্যবহার করা না গেলে তাদের হাতে মসকুইটো রিভলমেন্ট বেল্ট ও পোশাকে প্যাচ ব্যবহার করা যেতে পারে ।
  • এবং মশার কামড় প্রতিরোধে আরও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে যেমন শিশুদের ফুলহাতা ও ফুল প্যান্ট পড়ে রাখতে হবে সব সময় ।
  • তবে সর্বক্ষণিক মশা প্রতিরোধ করার জন্য মশার কয়েল ফাস্ট কার্ড এরোসল ব্যবহার করে থাকে যা বড় মানুষ থেকে শুরু করে ছোট্ট বয়সী শিশুদের জন্য অনেক ক্ষতিকারক। এজন্য এগুলোর পরিবর্তে আমরা বিশেষ কিছু উপায় অবলম্বন করতে পারি যেমন মসকুইটো কিলার বাল্ব ইলেকট্রিক কয়েল ইলেকট্রিক কিলার ল্যাম্প মস্কুইটো রেপ্লার মেশিন মসকুইটো কিলার ট্রাপ ব্যবহার করে অনেক নিরাপদে বসবাস করতে পারি।

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ২০২৩

ডেঙ্গু প্রধানত একটি মশা বাহিত রোগ। এডিস মশা থেকে এ রোগটি ছড়ায় এ রোগের প্রধান লক্ষণ হচ্ছে জ্বর অনেক এ এই জ্বর কে ভাইরাল জ্বর বলে উড়িয়ে দেন যার দরুন ডেঙ্গু রোগ মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ। ডেঙ্গু জ্বর ও ভাইরাল জ্বর একই জিনিস নয় তবে ডেঙ্গু জ্বর এখনো অনেক বেশি 

মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে এজন্য ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ২০২৩ বিস্তারিত জেনে নিন এই রোগের লক্ষণ গুলোর সময়সীমা চার থেকে ছয় দিন এবং এটি দশ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে সক্ষম হয় এই রোগের বিশেষ কিছু উপসর্গ গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে যা নিচে জানানো হলো
  • এ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হল শরীরের অনেক বেশি পরিমাণে জ্বর ও ব্যথা অনুভূত হওয়া ৯৯° থেকে ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত শরীরে জ্বর ওঠা ঘাম ছেড়ে জ্বর কমে যাওয়ার পরেও আবার পুনরায় ফিরে আসা ।
  • এ রোগে আক্রান্ত হলে আমাদের শরীর অনেক বেশি পরিমাণে শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হবে ।
  • এই রোগ হলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের জয়েন্টে যেমন হাত ও পায়ে ও কোমরে ব্যাথা সৃষ্টি হ।
  • এ রোগ হলে আমাদের চোখের পেছনে অনেক বেশি পরিমাণে ব্যথা অনুভব হয় ও চোখে তীক্ষ্ণ জ্বালা অনুভূত হয়ে চোখে অনেক অসুবিধা সৃষ্টি হয়।
  • এ রোগে আক্রান্ত হলে আমাদের পেটে অনেক ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে এবং খুব দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়তে পা।
  • এই রোগটি সাধারণ সর্দি কাশির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে।
  • এ রোগে আক্রান্ত হলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি শরীরে ইউরিন এর বা প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তৃতীয়বার ডেঙ্গু সংক্রমণের পর যদি আমরা আবার এই রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে এর তীব্রতা অনেক ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে এজন্য আমরা যারা আগে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছি তাদেরকে অনেক বেশি পরিমাণে নিরাপত্তা বেষ্টনীতে থাকতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে চলতে হবে।

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার ২০২৪

ডেঙ্গু এমন একটি রোগ যা মশার মাধ্যমে সৃষ্টি হয়। এ রোগ আমাদের শরীরে প্রথমবার দেখা দিলে এ রোগের বিশেষ কোন লক্ষণ বা উপসর্গ বোঝা যায় না। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে এ রোগের প্রভাব গভীর হতে থাকে । ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার ২০২৪ সম্পর্কে জেনে নিন জেনে নিন
  • এ রোগের প্রধান লক্ষণ গুলো হল শরীরে অনেক বেশি পরিমাণে জ্বর এমন ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট ।
  • অনেক বেশি পরিমাণে মাথা ব্যাথা ও চোখের পিছনে ব্যথা সৃষ্টি হওয়া ।
  • আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের মাংসপেশী অস্থিসন্ধি ও জয়েন্টে অনেক বেশি পরিমাণে ব্যথা হওয়া ।
  • শরীরের অপর্যাপ্ত ভাবে বমি বমি ভাব ও দ্রুত বমি হওয়া।
  • আমাদের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের র‍্যা পড়া ও ফুসকুড়ি ওঠা । 
  • আমাদের শরীরের দাঁতের মাড়ি ও নাক দিয়ে অনবরত রক্তপাত সৃষ্টি হওয়া ।
  • এবং প্রস্রাবের সময় ও মলত্যাগের সময় রক্তপাত হওয়া ।
  • দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস ঘন হওয়া ও শরীরে ক্লান্তি অনুভব করা ।
  • আমাদের শরীর অতিরিক্ত পরিমাণে দুর্বল হয়ে অস্থিরতা ও বিরক্তি অনুভূত হওয়া ।
প্রতিকারঃ
  • এ রোগ হলে খুব দ্রুত সম্ভব আমাদের ডাক্তারের দ্বারস্থ হয়ে সঠিক চিকিৎসা ও পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। এই সময় ডাক্তাররা বেশিরভাগ সময় প্যারাসিটামল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আবার আমরা অনেকেই শরীরের বিভিন্ন অংশের ব্যথা কমানোর জন্য ব্যথা নাশক বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন করে থাকে এই পরিস্থিতি অনেক বিপদজনক হতে পারে এজন্য সতর্কতা অবলম্বন করে ব্যথা নষ্ট হোক করতে হবে তাছাড়া এর ফলে রক্তপাত এর সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে ।
  • এই সময় আমাদের ভিটামিন সি যুক্ত সাইট্রাসফল যেমন শাকসবজি জেরি জিংক সমৃদ্ধ খাবার যেমন সামুদ্রিক মাছ বাদাম মটরশুটি ও আয়রনসমৃদ্ধ খাবার উট মিল ও ফাইবারযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে যা ডেঙ্গু রোগীদের শরীরের ঘাটতি পূরণ করতে খুব দ্রুত সহায়তা করে এর পাশাপাশি উচ্চ পটাশিয়াম ও ভিটামিন ই ভিটামিন কে ফোলেট ও পেঁপে খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • এই সময় আমাদের নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে যেমন ধূমপান ও মদ্যপান ।
  • এ সময় আমরা যদি অনেক বেশি পরিমাণে অসুস্থ হয়ে পড়ি এবং আমাদের শরীরে প্লেটলেট কমতে থাকে তাহলে আমাদের বাড়ি থেকে খুব দ্রুত ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে ।
  • এই সময় আমাদের বাড়ির চারপাশে সমস্ত জায়গা গুলো পরিষ্কার রেখে যেসব জায়গাগুলোতে অপরিষ্কার ও পানি জমতে পারে এবং মশার বংশবিস্তার হতে পারে সেই জায়গাগুলো দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
  • আমাদের শরীরে প্রত্যেকটি অঙ্গ ঢেকে রাখা পোশাক যেমন ফুলহাতা প্যান্ট ও জামা জুতা ও মোজা পড়ে থাকতে হবে।
  • রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে ।
  • ডেঙ্গু রোগ সৃষ্টিকারী মশা গুলো ভোরবেলা ও সন্ধ্যা বেলা সবচেয়ে বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে এ জন্য এই সময় গুলো অনেক বেশি পরিমাণে সর্তকতা অবলম্বন করে চলতে হবে ।

লেখকের শেষকথা

আমাদের দেশে এই রোগ অনেক বেশি বিস্তার লাভ করেছে। এই রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধলে আমরা খুব দ্রুত ডাক্তারের দারস্ত হয়ে সঠিক চিকিৎসা নেওয়ার চেষ্টা করব। এজন্য সবসময় আমরা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সঠিক নিয়মে জীবন যাপন করতে থাকবো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url