বিড়ালের আঁচড়ে কি ভ্যাকসিন দিতে হয় জেনে নিন
সম্মানিত পাঠক বিড়ালের আঁচড়ে কি ভ্যাকসিন দিতে হয় জেনে নিন। পুরো পৃথিবীতে বিড়াল এমন একটি প্রাণী যাকে পোষ মানিয়ে নিজেদের বাসা বাড়িতে সবসময় রাখতে আমরা অনেক পছন্দ করি। আর এইসব প্রাণীগুলো
দেখতে অনেক সুন্দর ও ছোট হওয়াতে আমরা খুব সহজেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যেতে পারি এবং তাদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে পারি।
ভূমিকা
এই প্রাণীগুলো আমাদের অনেক শখের হয়ে থাকলেও বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে এই প্রাণীগুলো আমাদের জীবনের হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়ায় । বিড়ালের নখের আঁচড়ের ভয়াবহ দিক এবং এর আঁচড় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য উপায় গুলি বিস্তারিত ভাবে জানতে নিচে আরো পড়ুন।
বিড়ালের আঁচড়ে কি ভ্যাকসিন দিতে হয় জেনে নিন
বিড়াল এমন একটি প্রাণী যা আমরা আমাদের বাড়ির আশেপাশে অনেক দেখতে পাই এবং আমরা এই প্রাণীগুলোকে নিজেদের পোষ মানিয়ে একসঙ্গে নিয়ে থাকতে অনেক পছন্দ করি তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে এই বিড়ালগুলো র্যাবিশে আক্রান্ত হয়ে গেলে বা অনেক ক্ষিপ্ত হয়ে গেলে তারা আমাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঁচড় এবং কামড় বসিয়ে দিতে পারে।
আরও পড়ুনঃ কিডনীর জন্য উপকারি খাবার কি জানুন
আর এসব বিড়াল গুলি আমাদের শরীরে আঁচড় দিলে বা কামড় দিলে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসজনিত রোগের সৃষ্টি হতে পারে যেমন ডিপথেরিয়া জলাতঙ্ক ফ্লু এর মত ভয়াবহ রোগ গুলি যেগুলো পশুর মাধ্যমে মানুষের কিংবা মানুষের মাধ্যমে পশুতে ছড়াতে পারে। এছাড়াও বিশেষ করে আমাদের ছোট্ট শিশুরা বাড়ির পোষা প্রাণীগুলো নিয়ে খেলতে
অনেক পছন্দ করে আর এইসব খেলার সময় বিড়াল ও কুকুরেরা একটু রেগে গেলেই আঁচড় এবং কামড় বসিয়ে দিতে পারে। এজন্য এইসব প্রাণীগুলোকে আপনারা নিজেদের বাসায় আনার পরেই গুরুত্বপূর্ণ সব টিকা গুলি দিয়ে নেবেন। তাহলে এই সব রোগের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়। বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের টিকা রয়েছে
এসব টিকাগুলো দেওয়ার সঠিক নিয়ম। বিড়ালের বয়স যখন ৩ মাস হবে তখন প্রথমে ফ্লু এর ভ্যাকসিন দিয়ে নিতে হবে। এবং প্রথমবার এই ভ্যাকসিন দিলে এর ঠিক ২১ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে বুস্টার-ডোজ দিয়ে নিতে হবে। আর এই বুস্টার ডোজ একবার দিলে এর মেয়াদকাল থাকে প্রায় ১ বছর আর সেজন্য ১ বছর পর পর এই টিকা দিতে হয়।
এছাড়াও জলাতঙ্ক বিড়ালের অনেক ভয়াবহ ও মরণঘাতী একটি সংক্রমণ সেজন্য র্যাবিশ ভ্যাকসিন দিলে বিড়ালের এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা দূর হয়ে যায় আর এই ভ্যাকসিনটি ৬ মাস ১ বছর মেয়াদী ও ৩ বছর মেয়াদী হয়ে থাকে। এটি পোস্ট এক্সপোজার প্রোফাইল্যক্সিসের মধ্যে এটি ক্যাটি হিউম্যান রেভিস ইমিউনোগ্লোবিউলিন এর RIG এ অন্তর্ভুক্ত ।
বিড়ালের আঁচড় দিলে বা কামড় দিলে আমাদের শরীরে হিউমান ডিপ্লয়েড সেল ভ্যাকসিনের সর্বমোট পাঁচটি টিকার ডুজ গ্রহণ করতে হয় যেমন, ০,৩,৭,১৪, এবং ২৮ তম দিনে দিতে হয়। এছাড়াও ৯০ তম দিনে আমাদের শরীরে একটি বুস্টার ডোজ নিয়ে নেওয়া যেতে পারে। আরেক টিকা গুলো ক্ষতস্থানে বেশি দিতে হয়।
বিড়ালের নখের আঁচড় কি বিপজ্জনক বিস্তারিত জানুন
আমাদের বাড়ির আশেপাশে অনেক ধরনের বিড়াল ঘোরাফেরা করে এসব বিড়াল আমরা অনেক সময় আমাদের পছন্দের প্রাণী হিসেবে পোষ মানিয়ে আমাদের সঙ্গে নিয়ে তাদেরকে অনেক ভালোবাসা ও যত্ন নেওয়ার চেষ্টা করি তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে বিড়াল গুলো রাগান্বিত হয়ে পড়লে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে কামড় বসিয়ে দিতে পারে।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু জ্বর হলে কি গোসল করা যাবে
বিড়ালের নখের আঁচড় কি বিপজ্জনক বিস্তারিত জানুন। এসব কামড় গুলো খুবই মারাত্মক হতে পারে যদি আমরা সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ না করতে পারি এজন্য আজকের এই পোস্টটিতে বিস্তারিতভাবে বিড়ালের কামড়ের কিছু তথ্য আপনাদেরকে জানাবো। সর্বপ্রথম একটি বিড়ালের কামড়ানোর পর সেই জায়গাটির ক্ষতস্থানের
গভীরতা সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিড়াল আঁচড় দেয়ার ফলে আমাদের শরীরে রক্তপাত সৃষ্টি হলে তার সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের জীবাণুর সংস্পর্শ সৃষ্টি হয়। আর এই সময় সঠিক চিকিৎসা এবং টিকা নেওয়ার প্রয়োজন হয়। তবে বিড়ালের কামড়ের বা নখের আঁচড়ের ক্ষতস্থান যদি অনেক বেশি গভীর না হয় তাহলে সেই জায়গাটি খুব দ্রুত সাবান বা পরিষ্কার
পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে সেক্ষেত্রে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। আমরা বিশেষ কিছু ক্ষেত্রেই বুঝতে পারি না যে বিড়ালটি র্যাবিশে আক্রান্ত ছিল কিনা। আর এই লক্ষণ গুলি বুঝার বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো হল বিড়াল অনেক ক্ষিপ্ত ও আগ্রাসী হয়ে যাবে। তার আচরণ বিধিতে অনেক পরিবর্তন দেখা যাবে।
অনেক দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করবে মুখ দিয়ে লালা ঝরাবে এবং গলার স্বরের অনেক পরিবর্তন দেখা দিবে আর উপরোক্ত এইসব লক্ষণগুলি দেখা দিলেই বুঝতে পারবেন এই বিড়ালটি র্যাবিশে আক্রান্ত। আর এ ধরনের বিড়াল যদি আমাদের শরীরে আঁচড় বা কামড় বসিয়ে দেয় তাহলে সেই জায়গাগুলোতে খুব দ্রুত
স্যাভলন বা ডেটল দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে এর পাশাপাশি রক্তপাত সৃষ্টি হলে রক্তপাত বন্ধ করার জন্য খুব দ্রুত পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। বিড়ালের আঁচড় দিলে নিম্নোক্ত যে বিষয়গুলি খুব দ্রুত করতে হবে সেগুলি হলঃ
- সর্বপ্রথম রেবিশ ভাইরাস ও বিভিন্ন ধরনের জীবাণুর সংক্রমণ রোধ করার জন্য সাবান পানি দিয়ে ক্ষতস্থানটিকে খুব দ্রুত ধুয়ে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। এর ফলে আমাদের আক্রান্ত স্থানে জীবাণু সংক্রমিত হতে পারে না।
- বিড়াল আমাদের শরীরে আঁচড় দিলে রক্ত নাও বের হতে পারে তবে সেক্ষেত্রে ভয় না পেয়ে এই স্থানটিতে জীবাণুনাশক দিয়ে খুব দ্রুত পরিষ্কার করে নিতে হবে । তবে ক্ষত অনেক গভীর ও রক্তপাত অনেক বেশি পরিমাণে হলে খুব দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
- বিড়ালের আঁচড়ে ও কামড়ে র্যাবিশ ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য তরল এন্ডোয়েটিক ব্যবহার করা প্রয়োজন। আর এই বিষয়গুলির মধ্যে সবচাইতে ভালো ও কার্যকরী হলো ডেটল ও স্যাভলন।
- বিড়ালের কামড়ে ক্ষত অনেক গভীরভাবে দেখা না দিলেও বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে এর সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে এর জন্য এই ক্ষতস্থানগুলোকে নিয়ে হালকা ভাবে বসে থাকলে চলবে না এই ক্ষতস্থান গুলি ভুলে গেলে খুব দ্রুত ডাক্তারের কাছে গিয়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে
- আমাদের শরীরে বিড়াল আঁচড় বা কামড় দিলে রক্তপাত সৃষ্টি হলে সেটি বন্ধ করার জন্য খুব দ্রুত ব্যান্ড এইড লাগিয়ে নিতে হয় । কেননা বাতাস চলাচল যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে ক্ষতস্থানে ধনুষ্টংকারের জীবাণু সংক্রমিত হয়ে যাবে আর এই স্থানটিতে বিশেষ কোনো ক্রিম বা মলম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন।
- বিড়াল কামড় দেওয়ার ফলে আমাদের শরীরে জ্বর আসলে এটা বুঝে নিতে হবে যে এটি এক ধরনের বিপদের চিহ্ন বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় বিড়াল আঁচড় দিলে বয়স্ক ব্যক্তিদের জ্বর আসে না তবে ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খুব দ্রুত জ্বর আসতে পারে আর এই বিষয়টিকে বলা হয় ক্যাট ক্র্যাচ ডিজিজ। আর এই সময় জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে পেট ব্যথা পিঠে ব্যথা ও ফোসকা পড়ার মতো লক্ষণ গুলি দেখতে পেলে খুব দ্রুত ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
বিড়াল আঁচড় দিলে কি ভ্যাকসিন দিতে হয়
বিড়াল আমাদের খুবই প্রিয় একটি প্রাণী এই পোষা প্রাণীটি আমরা আমাদের বাড়িতে রাখতে গেলে বিভিন্ন সময় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকি যার মধ্যে এর নখের আঁচড় ও কামড় যা আমাদের জন্য খুবই ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। বিড়াল আঁচড় দিলে কি ভ্যাকসিন দিতে হয় বিস্তারিত জেনে নিন। বিড়াল কামড়ানোর পরে
এর কামড়ের ধরন বুঝে চিকিৎসকরা আমাদের চিকিৎসা করে থাকেন এর জন্য এর কামড়ের ক্ষতস্থানের গভীরতা সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আচরের কারণে যদি অনেক বেশি পরিমাণে রক্তপাত সৃষ্টি হয় তাহলে সেখানে খুব দ্রুত জীবাণু সংক্রমণ সৃষ্টি হতে পারে আর এই সময় ভ্যাকসিনের টিকা নেওয়া ও সঠিক
চিকিৎসা গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আর সেজন্য বিড়াল আঁচড় দিলে অথবা কামড়ালে কোন সময়টিতে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয় সেই বিষয়টি নিচে তুলে ধরা হলোঃ
- আমাদের শরীরে বিড়াল কামড় দিলে যদি সেই স্থানটিতে রক্ত বের না হয় তাহলে অতিরিক্ত ভয় না পেয়ে ক্ষতস্থানটিতে খুব দ্রুত পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে জীবাণুনাশক দিয়ে। ক্ষত অনেক বেশি পরিমাণে গভীর হলে এবং রক্তপাত হলে খুব দ্রুত ডাক্তারের সহ শরণাপন্ন হতে হবে।
- বিড়ালের কামড়ের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দূর করার ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করার পাশাপাশি স্যাভলন এবং ডেটল দিয়ে খুব দ্রুত সেই ক্ষত তারটি পরিস্কার করে নিতে হবে এবং রক্তপাত বন্ধ করার জন্য ব্যান্ড এইড গজ ব্যবহার করে নিতে হবে।
- বিড়াল আঁচড় দিলে ক্ষতস্থানটিতে খুব দ্রুত সাবান পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে এর মধ্যকার এন্টিবায়োটিক সল্যুশন জীবাণু ধ্বংস করতে সক্ষম এজন্য এই উপায়টি খুব দ্রুত অবলম্বন করতে হবে।
- বিড়ালের নখের আঁচড়ে যদি আমাদের শরীরে জ্বর আসে তাহলে বুঝে নিতে হবে এটি বিপদের লক্ষণ এজন্য খুব দ্রুত ডাক্তারদের কাছে গিয়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে আর এই সময় জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে যেমন পিঠ ও পেট ব্যাথা শরীরে ফোসকা পড়া।
- ক্ষত গভীর না হলেও বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে আমাদের শরীরের জীবাণু সংক্রমিত হতে পারে এর ফলে এই বিষয়টিকে একদমই হালকা ভাবে নিলে চলবে না বিশেষ ভাবে লক্ষ্য রাখবেন যে ক্ষতস্থান খুলে গেছে কিংবা লাল হয়ে গেলে অথবা রক্তপাত বন্ধ না হলে এর পাশাপাশি ক্ষতস্থানে অনেক ব্যথা করলে বুঝবেন সেই স্থানটিতে জীবাণু সংক্রমিত হয়েছে এই সময় খুব দ্রুত ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
বিড়ালের নখের আঁচড়ে কি হয়
আমাদের বাসা বাড়িতে পোষা শকের বিড়াল এবং কুকুরের কামড়ে আমরা অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ভয়াবহ সংক্রমণের সম্মুখীন হতে পারে আর এই বিপদের নাম হচ্ছে র্যাবিশ ভাইরাস। বিড়ালের নখের আঁচড়ে কি হয় জেনে নিন। এটির ফলে আমাদের শরীরে মস্তিষ্কের প্রদাহ সৃষ্টি হয় । এই সমস্যাটিকে বলা হয় এনকেফালাইটিস।
যা আমরা জলাতঙ্ক রোগ হিসেবে জেনে থাকি আর এ রোগটি প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের কাছে সুপরিচিত। এ রোগটি অত্যাধিক ভয়াবহ এতে মৃত্যুহার এখন পর্যন্ত প্রায় একশত ভাগ। এ রোগের জন্য পুরো পৃথিবীতে প্রতি বছর ৬০ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে আর এই রোগের মৃত্যুর প্রায় ৯৬% ঘটে আমাদের এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশে।
আমাদের দেশেও এর ব্যতিক্রম নয় বছরে প্রায় দুই থেকে তিন লক্ষ লোক বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর কামড়ে শিকার হয় এসবের মধ্যে শতকরা ৯৫ ভাগ কুকুরের কামড় । কুকুর এর পাশাপাশি এই তালিকায় রয়েছে বিড়াল খেকশিয়াল শেয়াল বাদুর বানর বেজি সহ অন্যান্য প্রাণীগুলো। আর এইসব প্রাণীগুলোর কামড়ের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এই ভয়াবহ জলাতঙ্ক রোগ।
এসব প্রাণীর কামড় গুলো থেকে কি হতে পারে । তাহলে বিড়াল বা অন্যান্য প্রাণীগুলো কামড় দেওয়ার ৫ দিন থেকে শুরু হয়ে প্রায় কয়েক বছর পরেও এর লক্ষণগুলো সৃষ্টি হতে পারে। সাধারণ ভাবে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। এই ভাইরাস গুলো প্রবাহিত হয়ে থাকে স্নায়ুর মাধ্যমে যখন কোন প্রাণী আমাদের শরীরে
আচর বা কামড় দেয় সেই স্থানটিতে সৃষ্টি হয় সেখানে এই ভাইরাসগুলো বংশবৃদ্ধি করতে শুরু করে। আর এই ভাইরাস গুলি স্নায়ুর মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে আমাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে যেমন মস্তিষ্ক কর্নিয়া লালা গ্রন্থি ত্বক ও বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। এই লক্ষণ গুলো প্রকাশের প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকে লালা গ্রন্থিতে জীবাণুর
অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়। আক্রান্ত এসব স্থানে চুলকানি ঝিনঝিন ভাব ব্যথা অনুভূতিরাস পাওয়ায় । এরপর মাথা ব্যাথা জ্বর গা ব্যথা বমি বমি ভাব এবং শরীরে মস্তিষ্কের প্রদাহ হলে বদলে যায় আমাদের আচার-আচরণ। চোখে ভেসে ওঠে অলীক দৃশ্য গুলি। বাতাসে উভয় লাগে পানি খাওয়ার সময় শাসনালী তীব্র সংকোচন ঘটে এর ফলে পানি পান
করার সময় অনেক ভয় লাগে আর এজন্য এটাকে বলে জলাতঙ্ক। এই সময় আমাদের চোখে আলো পড়লে বিভিন্ন ধরনের অস্বস্তি তৈরি হয় এবং মুখ দিয়ে অঝরে লালা ঝরতে থাকে রোগী হয়ে পড়ে অস্থির মোর্চা যায় রোগী এবং ধীরে ধীরে এ রোগের ফলে রোগী মৃত্যুর শয্যায় ঢেলে পড়ে তার শরীরের সবকিছু মন্ত্র হয়ে যায় এবং তার কথাবার্তাও বন্ধ হয়ে যায়।
বিড়ালে আঁচড় দিলে কি দোয়া পড়তে হয়
বিড়ালে আঁচড় দিলে কি দোয়া পড়তে হয় জেনে নিন। আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রাণী আঁচড় অথবা কামড় দিয়ে থাকে এর মধ্যে কুকুর ও বিড়াল অন্যতম। আর এই বিড়াল আমাদের শরীরে আঁচড় দিলে যে দোয়াটি পড়তে হয় সেটি হল।
আরবি বাংলা উচ্চারণঃ ''আউযুবি কালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাক''।
বাংলা অর্থঃ ''আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কলেমার দ্বারা প্রত্যেক শয়তান' বিষাক্ত প্রাণী এবং প্রত্যেক কুদৃষ্টির অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাইছি''।
বিড়ালের নখের আঁচড়ে কি রোগ হয়
বিড়াল আমাদের বাড়ির আশেপাশে অনেক ঘোরাফেরা করে এবং আমরা বিড়াল পোষ মানিয়ে আমাদের সঙ্গে নিয়ে রাখতে অনেক পছন্দ করি তবে এই বিড়াল গুলি যদি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের নখের আঁচড় বসিয়ে দেয় এবং কামড় দিয়ে দেয় এর ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। বিড়ালের নখের আঁচড়ে কি রোগ হয় জানুন।
বিড়াল কামড় দিলে ক্যাট ক্র্যাচ ডিজিস রোগের সৃষ্টি হতে পারে । যেটিকে বলা হয় র্যাবিশ ভাইরাস। আর এই রাবিশ ভাইরাসের মূল অর্থ হচ্ছে জলাতঙ্ক রোগ। এ জন্য বিড়ালের নখের আঁচড়ে আমাদের সর্বপ্রথম এই রোগটি সৃষ্টি হতে পারে।
লেখকের মন্তব্য
আমাদের চারপাশে এমন অনেক বিড়াল এবং কুকুর ঘোরাফেরা করে যেগুলো আমরা পোষা প্রাণীর মত তাদেরকে ভালোবাসা দিয়ে থাকে তবে এইসব প্রাণীগুলোই বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে আমাদের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এজন্য সব সময় সাবধানতা অবলম্বন করে এসব প্রাণীগুলোকে পোষ মানানোর চেষ্টা করবেন এবং বাড়িতে রাখার ক্ষেত্রে সতর্কতা মেনে চলবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url